ধর্মনগর প্রতিনিধি।
ধর্মনগর শহরকে আধুনিকীকরণ করতে আগামী 50 বছরে যেভাবে শহরকে গড়ে তুলতে হবে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে চলেছে ধর্মনগরের পুর পরিষদের চেয়ারপারসন প্রদ্যুৎ দে সরকার এবং তার নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। ধর্মগরের মানুষ সামান্য বৃষ্টিতে জলমগ্ন এই অপবাদকে সামনে নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর অতিক্রান্ত করেছে। আর বামফ্রন্টের নেতারা এমনকি তৎকালীন পূর্ত বিভাগের মন্ত্রী বাদল চৌধুরী ধর্মনগর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের বারে বারে বসিয়ে বসিয়ে ধর্মনগর কে নিয়ে উনার মাস্টার প্লেনের গল্প শুনিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে ধর্মনগর তথা উত্তর জেলা বাম আমলে ছিল একটি উপেক্ষিত নাম। তাই উপেক্ষা ধর্মঘরবাসীর কাছে একটা রোজ নাম চায় পরিণত হয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ তে যখন রাজ্যে একটা বিশাল পরিবর্তন আসে বামফ্রন্টের সরকার কে সরিয়ে দিয়ে বিজেপি আইপিএফটি পরিচালিত জোট সরকার রাজ্যের শাসনভারের দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন ধর্মঘরের মানুষ আশায় বুক করতে শুরু করে। তার উপর পেয়ে যায় ধর্মনগরের বিশ্ব বন্ধু সেনের মত একজন সংগ্রামী নেতা কে যে নাকি ধর্মনগরের জন্য এবং ধর্মগরের বাসীর জন্য মন প্রাণ। শুরু হয় ধর্মনগরের উন্নয়নের কাজ। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত পুরো পরিষদ শাসক বিজেপির নিজেদের হাতে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়ন অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ২০২১ সালে রাজ্যের পুরো ভোটে যখন ধর্মনগর শহরের সবগুলি আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয় তখন ধর্মনগরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। তার ওপর ধর্মঘরবাসীরা পুরো পরিষদের চেয়ারপারসন হিসাবে পেয়ে যায় একজন ডাইনিমিক যুবক প্রদ্যুৎ দে সরকার কে। শুরু হয়ে যায় ডাবল ইঞ্জিনের পর ত্রিপুল ইঞ্জিনিয়ার উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। প্রাক্তন পূর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরীর সেই বস্তা পচা গদ বাধা গল্প বাদ দিয়ে বাস্তবে ধর্মনগর শহরের উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যান নিয়ে হাজির হয় প্রদ্যুৎ দে সরকার। একান্ত সাক্ষাৎকারে সে জানায় ধর্মঘর শহরের যে নর্দমাগুলি ছিল তা ছিল সম্পূর্ণভাবে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে তৈরি। তাই সামান্য কয়েক পশলা বৃষ্টির পরই জলে থৈথৈ করত ধর্মঘর শহর। এখন পূর্বের ট্রেন গুলিকে ভেঙে ভিতরে ন্যূনতম এক মিটার করে প্রশস্ত করে নূতন ওয়াল দিয়ে নর্দমা গুলি তৈরি হচ্ছে যাতে অতি সহজেই শহরের জল নেমে যেতে পারে। ডি এন ভি রোড পাওয়ার হাউসের সামনে লাইব্রেরী গুলির সামনে যে বৃষ্টির জলে টইটুম্বুর হয়ে উঠতো তা এখন নয়াপাড়া দিয়ে কেমন করে নামবে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে তিনি জানান যেভাবে কাজ চলছে আগামী ৫০ বছরে ধর্মনগর শহরে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আর হাত দিতে হবে না। এই কাজে ৭৫ লক্ষ টাকা করে মোট তিনটি এজেন্সিকে নর্দমার কাজে লাগানো হয়েছে। তাছাড়া পুরো পরিষদের আওতাধীন 495 টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ইতিমধ্যে এক লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা করে samsung দেওয়া হয়ে গেছে। শহরের উপর এবং তার আশপাশ এলাকার প্রতিটি রাস্তা কি নতুন করে কার্পেটিং করে আধুনিক চিন্তা ধারায় পরিকল্পনা অনুযায়ী বানানো হচ্ছে। চেয়ারপারসন জানান অতিসত্বর ধর্মনগর শহরকে ত্রিলোত্তমা হিসাবে সাজিয়ে তোলা হবে। বাইরে থেকে কেউ আসলে ধর্মনগর শহরকে দেখে যাতে বলে একটি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিকভাবে তৈরি পরিকল্পনামাফিক শহর।
আগামী ৫০ বছরের উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করে চলেছে ধর্মনগর পুরো পরিষদ।
139