২৪শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩:৩০ নাগাদ সাব্রুম মহকুমার মনোঘাট এলাকার শামসিং উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই প্রকাশ্য জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই এই জনসমাবেশর প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা ও এছাড়াও এই সমাবেশে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চল্লিশ সাব্রুম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শঙ্কর রায় সহ ৪০ সাব্রুম মন্ডলের ভারতীয় জনতা পার্টির একাধিক নেতৃত্বরা। এই জন সমাবেশে সিপিআইএম দল ত্যাগ করে ৩৫ পরিবারের 113 জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করে। তাদের হাতে ভারতীয় জনতা পার্টির দলীয় পতাকা তুলে দেন সাংসদ রেবতি ত্রিপুরা ও বিধায়ক শঙ্কর রায়। এই জনসমাবেশ প্রচুর সংখ্যক জনজাতি অংশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
এই জনসমাবেশে যাওয়ার আগে সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেন এবং কথা বলেন বিএসএফের আধিকারিকদের সঙ্গে। ও ঘুরে দেখেন আইসিপি এর নির্মলস্থলের কাজ।
এই জনসভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়ক শংকর রায় বলেন তিনি যখন প্রথমবারের মতো বিধায়ক হয়েছিলেন 40 সাব্রুম বিধানসভা কেন্দ্রের তখন তিনি প্রথমবার সবার করেছিলেন সাব্রুমের সামসিং স্কুল মাঠে সেই সভায় তিনি বলেছিলেন সামসিং স্কুলের জন্য তৈরি করে দেওয়া হবে ৫০ আসন বিশিষ্ট ছাত্রী আবাস এবং সামসিং স্কুলের জন্য বিতল ভবন নির্মাণ করা হবে তিনি তা বিধায়ক হওয়ার দুই বছরের মধ্যেই করে দিয়েছেন এবং তিনি যেই কথা বলেন তিনি সেই কথা রাখেন বলেও দাবি করেন এবং বিরোধীদল সিপিআইএম ৪০ বছরের কিছু করতে পারেনি বলেও তিনি দাবি করেন। এবং সাবরুম মহকুমার যে সকল উপজাতি এলাকাগুলিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা ছিল না সে সমস্ত জায়গায় তিনি পানীয় জল পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন । সমাবেশের প্রধান বক্তা সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন। কেন্দ্রীয় সরকার নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের পাশাপাশি ছোট্ট ত্রিপুরা রাজ্যের দিকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সজাগ দৃষ্টি রয়েছে তাই প্রতিটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং উপজাতি অংশের যে সকল জনগণ কখনো তাদের পাকা ঘরের কথা চিন্তাও করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার সেই সকল জনজাতিদের জন্য ঘরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে যায় ইতিমধ্যে একসাথে প্রদান করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। সাংসদদের প্রতি ত্রিপুরা আজ এই জনসমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরীকে তীব্র কটাক্ষ করেন এবং তিনি বলেন তিনি এই সাবরুম মহকুমায় কখনো মন্ত্রী ছিলেন কখনও ছিলেন সাংসদ কিন্তু এই মহকুমার উপজাতি অংশের জনগণের জন্য তিনি কিছুই করেননি শুধু ভোটের রাজনীতি করে গেছেন । ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিপিআইএম দল হেরে যাওয়ার পরও এখন বাঁকা পথে আবার ক্ষমতায় আসার জন্য জনজাতি অংশের জনগণদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সংসদ রেবতী ত্রিপুরা এই জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন সিপিআইএম দল দীর্ঘ 25 বছর রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলেও জনজাতিদের কোন উন্নয়ন করতে পারেনি তাই জনজাতি অংশের জনগণের জন্য চিন্তা ধারা ও তাদের জীবন জীবিকার মান উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়র চেষ্টা করে যাচ্ছে বিজেপি সরকার তাই আগামী ২০৩০ বিধানসভা নির্বাচনে চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি কে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার দাবি জানান সাংসদ।
সাংসদ রেবতি ত্রিপুরার উপস্থিতিতে সাব্রুমের সামসিং স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় প্রকাশ্য জনসমাবেশ।
115