প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের সময়েই সর্বাধিক গুরুত্ব এবং মর্যাদা পেয়েছে বাগিচা শ্রমিকরা। কেননা এই সরকারের সময়েই মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিবিধ উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে কাজ করছে বিজেপি সরকার।তাইতো কথা দিয়ে কথা রাখলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। তিনি আজ ঊনকোটি জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত মূর্তিছড়া চা বাগানের হনুমান মন্দির প্রাঙ্গণে এক জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন।দীর্ঘ সময় আদিবাসীদের সঙ্গে একান্তে আলোচনা করেন এবং তাদের সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়গুলি সমাধানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।এর আগে এই এলাকায় এত ঘন ঘন কোন বড় মাপের নেতা আসেননি বলে জানান সাধারণ মানুষরাই।বাম আমলে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার উল্লেখযোগ্য মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী।কিন্তু বছরে একদিন ও মন্ত্রীর দেখা পায় নি স্থানীয়া বাগিচা শ্রমিকরা। সারা বছর আগরতলা থাকার ফলে চা বাগান শ্রমিকদের এভাবে সময় দেননি তিনি এবং তাদের সুখ দুঃখ নিরসনের কোন উদ্যোগ নেননি।আজ বিপ্লব দেবকে কাছে পেয়ে আপ্লুত আদিবাসীরা আগামী দিনে তারা বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রাণপণ লড়াই করবেন বলে কথা দেন বিপ্লব দেবকে।বিপ্লব দেব জানান বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি এই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগ করবেন যাতে দলের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করা যায়।তিনি এর আগে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মূর্তিছড়া চা বাগানে কিন্তু উনার হাতের সময় কম থাকার কারণে তিনি কোন কর্মসূচি করতে পারেননি।কিন্তু কথা দিয়েছিলেন আবার আসবেন এবং আদিবাসীদের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন করবেন সেই অনুসারে তিনি কথা রাখলেন যার ফলে খুশি এলাকাবাসীরা
রাজনীতি
পারিবারিক স্বার্থের জন্য সিপিআইএমের সাথে আঁতাত হয়েছে কংগ্রেসের , বললেন প্রণজিৎ
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
ভারতীয় জনতা পার্টি ৩১ রাধা কিশোরপুর মন্ডলের উদ্যোগে মহিলা মোর্চা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সোমবার দুপুর তিনটায় উদয়পুর জামতলা টাউনহলে । প্রদীপ প্রজ্বলন করে মহিলা মোর্চার সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন , রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ঝর্ণা দেববর্মা , ৩১ রাধাকিশোরপুর মন্ডলের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ভ্রমর সোম, ৩১ আরকেপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস সহ প্রমূখ । মহিলা মোর্চার সম্মেলনে ভাষণ রাখতে গিয়ে পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করার জন্য সিপিআইএম ও কংগ্রেস এক জোটে আবদ্ধ হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেমেছে । যা কখনো তাদের মনোবাসনা পূর্ণ হবে না । এদিন মন্ত্রী নাম না করে সুদীপ রায় বর্মনকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন । তিনি বলেন পারিবারিক স্বার্থের জন্য সিপিআইএমের সাথে আতাত হয়েছে কংগ্রেস । একই সাথে মন্ত্রী জানান আগামী ১১ ই জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের একটি উচ্চপদস্থ দল রাজ্যে আসছেন । একই সাথে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে এদিন ভাষনে উল্লেখ করেন মন্ত্রী । শুধু তাই নয় বর্তমান রাজ্য সরকার মহিলাদের স্বশক্তি করনের জন্য চাকরি ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করেছে । আগামী ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মহিলা মোর্চার কর্মীরা আবারও দ্বিতীয়বারের জন্য পুনরায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে ক্ষমতার মসনদে বসাবে বলে এদিন ভাষন রাখতে গিয়ে এমনটাই বলেন পরিবহনমন্ত্রী । একই সাথে মন্ত্রী রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি । পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বর্তমান বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার যে কল্পতরু সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কখনো বিগত সরকার নিতে পারেনি বলে এদিন সরাসরি আক্রমণ শানান সিপিআইএমকে । এদিন আর কে পুর মণ্ডলের মহিলা মোর্চার সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল উদয়পুর টাউন হলে কানায় কানায় পূর্ণ।
বিজেপি ছাড়ছেন একের পর এক বিধায়ক, নেতা! ত্রিপুরা বাঁচাতে এ বার রথযাত্রায় স্বয়ং শাহ
বিধানসভা ভোটের বাকি আর মাস দু’য়েক। তার আগে ত্রিপুরায় দল ছাড়ছেন একের পর এক বিজেপি বিধায়ক ও নেতা। এই পরিস্থিতিতে সে রাজ্যে পদ্মের হাল ধরতে সক্রিয় হচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ত্রিপুরা গিয়ে ৮ দিনের রথযাত্রার সূচনা করবেন তিনি। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে জনজাতি সম্প্রদায়ের সংগঠন আইপিএফটি-র সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছিল। আড়াই দশকের বাম শাসনের অবসান হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিপ্লব দেব। কিন্তু গোড়া থেকেই সরকারের অন্দরে টানাপড়েন শুরু হয়। পাশাপাশি, বিপ্লবের বিরুদ্ধে একাধিক বার আলটপকা মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে।
রাজনীতি নয় মানুষের স্বার্থে কাজ করছে এই সরকার বক্তা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
শনিবার শান্তির বাজার জেলা হাসাপাতাল সংলগ্ন এলাকায় নবনির্মিত ট্রোমা কেয়ার সেন্টারের শুভ উদ্ভোধন হয়। এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নবনির্মিত ট্রোমা কেয়ার সেন্টারের শুভ উদ্ভোধন করলেন ত্রিপুরার মুখ্যনন্ত্রী প্রফেসার ডাক্তার মানিক সাহা। প্রদীপ প্রজ্বলন, ফলক উন্মোচন ও ফিতাকেটে ট্রোমা কেয়ারসেন্টার সকলেরজন্য উন্মুক্ত করেদিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। আজকের এই উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, সাব্রুম বিধানসভার বিধায়ক শঙ্কর রায়, শান্তির বাজার পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান সপ্না বৈদ্য শান্তির বাজার মহকুমাশাসক অভেদানন্দ বৈদ্য সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। আজকের অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ট্রোমা কেয়ারসেন্টারের বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে কিছু তথ্য জনসন্মুখে তুলেধরেন। ট্রোমা কেয়ার সেন্টার উদ্ভোধন শেষে মুখ্যমন্ত্রীর হাতধরে বাইখোড়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্ভোধন করেন। ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ২২ হাজার ৯৮৫ টাকা ব্যায় করে এই ভবনটি নির্মান করাহয়। ৪/০৫/২০১৬ সালে এই ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। ৩১/১২/২০২২ সালে এই ভবন নির্মানের কাজ সমাপ্তিহয়। অবশেষে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভবনের শুভ উদ্ভোধন করাহয়। আজকের এই ভবন উদ্ভোধনে মুখ্যমন্ত্রী পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, বিধায়ক শঙ্কর রায়, শান্তির বাজার মহকুমা শাসক অভেদানন্দ বৈদ্য সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। আজকের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতেগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষার মানউন্নয়নে রাজ্যসরকার কি কি কাজ করছে তার তথ্য জনসন্মুখে তুলেধরেন। বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্ভোধন শেষে মুখ্যমন্ত্রীর হাতধরে জোলাইবাড়ীতে নবঘোষিত কৃষিদপ্তরের তত্বাবধায়কের অফিসের শুভ উদ্ভোধন করহয়।আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার ডাক্তার মানিক সাহা, কৃষিমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহরায়, বিধায়ক শঙ্কর রায়, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, দক্ষিন জেলার জেলা পরিষদের সভাপতি কাকলীদাস দত্ত, বগাফা কৃষি দপ্তরের তত্বাবধায়ক সুজিত কুমার দাস সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। মুখ্যমন্ত্রীর হাতধরে আজকের দিনে তিনটি প্রকল্পের শুভ উদ্ভোধন হোওয়ায় শান্তির বাজার মহকুমার লোকজনেরমধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্যকরাযায়।
মুখ্যমন্ত্রীর হাতধরে শান্তির বাজার মহকুমায় তিনটি প্রকল্পের শুভ সূচনা করাহয়।
শনিবার শান্তির বাজার জেলা হাসাপাতাল সংলগ্ন এলাকায় নবনির্মিত ট্রোমা কেয়ার সেন্টারের শুভ উদ্ভোধন হয়। এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নবনির্মিত ট্রোমা কেয়ার সেন্টারের শুভ উদ্ভোধন করলেন ত্রিপুরার মুখ্যনন্ত্রী প্রফেসার ডাক্তার মানিক সাহা। প্রদীপ প্রজ্বলন, ফলক উন্মোচন ও ফিতাকেটে ট্রোমা কেয়ারসেন্টার সকলেরজন্য উন্মুক্ত করেদিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। আজকের এই উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, সাব্রুম বিধানসভার বিধায়ক শঙ্কর রায়, শান্তির বাজার পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান সপ্না বৈদ্য শান্তির বাজার মহকুমাশাসক অভেদানন্দ বৈদ্য সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। আজকের অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ট্রোমা কেয়ারসেন্টারের বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে কিছু তথ্য জনসন্মুখে তুলেধরেন। তিনি বক্ত্যের মাধ্যমে সকলের প্রতিবিশেষ আহব্বান জানান চিকিৎসা পরিষেবার জন্য সর্বদা চিকিৎসকদের সাহায্যের হাত বারিয়েদিতে ও চিকিৎসকদেরকেও রুগিদেরপ্রতি যত্নশীল হবারজন্য বিশেষ আহব্বান জানান। চিকিৎসকদের প্রতি তিনি জানান রুগিদের অযথা রেফার নাকরে সঠিক চিকিৎসা প্রদানকরেন। রেফার করলে চিকিৎসকদের ভূমিকা পোষ্টম্যানের মতোহয়েপরে। পোষ্টম্যানর কাজ এক জায়গার জিনিষ অন্যজায়গায় নিয়েযাওয়ায়। তাই চিকিৎসকরা যেন পোষ্টম্যানের ভূমিকা পালন নাকরে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করেন। অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী জানানা প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায়করে এই ট্রোমা কেয়ারসেন্টার নির্মানকরাহয়েছে। এই ট্রোমাকেয়ার সেন্টারটি রক্ষনার্থে জনগনকেও এগিয়ে আসতেহবে। ট্রোমা কেয়ার সেন্টার উদ্ভোধন শেষে মুখ্যমন্ত্রীর হাতধরে বাইখোড়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্ভোধন করেন। ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ২২ হাজার ৯৮৫ টাকা ব্যায় করে এই ভবনটি নির্মান করাহয়। ৪/০৫/২০১৬ সালে এই ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। ৩১/১২/২০২২ সালে এই ভবন নির্মানের কাজ সমাপ্তিহয়। অবশেষে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভবনের শুভ উদ্ভোধন করাহয়। আজকের এই ভবন উদ্ভোধনে মুখ্যমন্ত্রী পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, বিধায়ক শঙ্কর রায়, শান্তির বাজার মহকুমা শাসক অভেদানন্দ বৈদ্য সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। আজকের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতেগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষার মানউন্নয়নে রাজ্যসরকার কি কি কাজ করছে তার তথ্য জনসন্মুখে তুলেধরেন। বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্ভোধন শেষে মুখ্যমন্ত্রীর হাতধরে জোলাইবাড়ীতে নবঘোষিত কৃষিদপ্তরের তত্বাবধায়কের অফিসের শুভ উদ্ভোধন করহয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সন্মুখিনহয়ে কৃষির মান উন্নয়নে ও কৃষকদের স্বার্থে রাজ্যসরকার কিকি কাজ করছে তানিয়ে কিছু বক্তব্য তুলেধরেন তারপাশাপাশি কৃষি ও কৃষকদের মানউন্নয়নে কৃষি মন্ত্রী সর্বদাকাজ করেযাচ্ছেবলে কৃষি মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার ডাক্তার মানিক সাহা, কৃষিমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহরায়, বিধায়ক শঙ্কর রায়, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, দক্ষিন জেলার জেলা পরিষদের সভাপতি কাকলীদাস দত্ত, বগাফা কৃষি দপ্তরের তত্বাবধায়ক সুজিত কুমার দাস সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। মুখ্যমন্ত্রীর হাতধরে আজকের দিনে তিনটি প্রকল্পের শুভ উদ্ভোধন হোওয়ায় শান্তির বাজার মহকুমার লোকজনেরমধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্যকরাযায়।
৩৮ জোলাইবাড়ী বিজেপির মন্ডল সভাপতির উদ্দ্যোগে এক প্রকাশ্য জনসভার আয়োজন করাহয়।
আসন্ন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনেরেখে ৩৮ জোলাইবাড়ী বিজেপির মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং এর নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত চলছে নানান কর্মসূচী। এরইমধ্যে নির্বাচনকে সামনেরেখে শনিবার মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং এর নেতৃত্বে জোলাইবাড়ী দ্বাদশশ্রেনী বিদ্যালয়মাঠে এক প্রকাশ্য জনসভার আয়োজন করাহয়। আজকের এই জনসভার প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার ডাক্তার মানিক সাহা। প্রধানবক্তার পাশাপাশি আজকের এই জনসভায় উপস্থিতছিলেন বিজেপির দক্ষিনজেলার সভাপতি তথা সাব্রুম বিধানসভার বিধায়ক শঙ্কর রায়, শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, ত্রিপুরার কৃষি পরিবহন ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়, দক্ষিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাকলী দাস দত্ত, ৩৮ জোলাইবাড়ী বিজেপির মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং, বিজেপির দক্ষিন জেলার সম্পাদক বিকাশ বৈদ্য সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দরা। আজকের এই জনসভায় বক্তব্যরাখতেগিয়ে বক্তারা রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পর কি কি উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তার কিছু তথ্য বক্ত্যের মাধ্যমে জনসন্মুখে তুলেধরেন। তারপাশাপাশি বিগত বাম আমলের বিভিন্নকাজের তিব্র সমালোচনাকরেন। আজকের এই জনসভায় লোকসমাগম দেখে মুখ্যমন্ত্রী খোবই আপ্লুত। জোলাইবাড়ী দ্বাদশশ্রেনী বিদ্যালয়মাঠে আজকের লোকসমাগম দেখে সকলে আশাবাদী আসন্ন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি মনোনিত প্রার্থী বিপুলভোটে জয়লাভ করবে। আজকের এই আলোচনাসভা শেষে অনুষ্ঠীত হয় এক যোগদানসভা। আজকের এই যোগদান সভায় সি পি আই এম, তিপ্রামথা ও আই পি এফ টি দল ত্যাগকরে ৫৭ পরিবারের ১৩২ ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেন। দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকাদিয়ে বরন করেনেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার ডাক্তার মানিক সাহা।
২০২৩সালে বিপুল ক্ষমতা নিয়ে সরকারে ফিরছে বিজেপি , বি এম এস এর পথসভায় বললেন বিপ্লব
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
বি এম এস গোমতী জেলার উদ্যোগে রাজ্যের শ্রমিক , শিক্ষক কর্মচারী হিতে ত্রিপুরায় রাষ্ট্রবাদী সরকারের দ্বারা গৃহীত ও সম্পূন্নকৃত কাজের আলোচনা নিয়ে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার সন্ধ্যায় মাতারবাড়ি চন্দ্রপুর কলোনি বাজারে । এই পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন , বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ , বিজেপি গোমতী জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায়, বিএমএসের গোমতী জেলা সভাপতি গৌতম দাস, গোমতী ত্রিপুরা অটো রিক্সা মজদুর সংঘের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার, গোমতী ত্রিপুরা বাস জীপ চালক সংঘের জেলা সভাপতি স্বপন মন্ডল সহ প্রমূখ । এদিন বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ ও জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে , সিপিআইএমকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন । বিগত দিনে বামেরা এই রাজ্যকে শোষণ ছাড়া কোন কাজ করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এছাড়া এই রাজ্যের জনগণ ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতার পরিবর্তন করে রাষ্ট্রবাদী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাই রাজ্যের মানুষ এক উন্নয়নের সরকার দেখতে পেয়েছে। রাজ্যে খুন ,ধর্ষণ কোন কিছুই রাজ্যে বর্তমান সময়ে হচ্ছে না বলে দাবি করেন বিধায়ক । এদিন বি এম এস এর পথসভা কে কেন্দ্র করে বি এম এস এর কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৯ ডিসেম্বর।। চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন । বৃহস্পতিবার প্রথমে বিশ্রামগঞ্জ ইনডোর স্টেডিয়াম এবং বিশ্রামগঞ্জ বিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ভবনের এর শিলান্যাশ করেন উপমুখ্যমন্ত্রী। বিশ্রামগঞ্জ মিনিস্ট্রিডিয়ামকে আধুনিকমানের ইনডোর স্টেডিয়ামে রূপান্তরিত করা হবে। তিন দিন পর শুরু হবে কাজ। এছাড়া ৮ কোটি টাকা খরচ করে বিশ্রামগঞ্জ স্কুলের আধুনিকমানের ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। চল্লিশ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বরকোবাড়ি এলাকার নাগরিকদের সুবিধার জন্য বেইলি ব্রীজ নির্মাণ হয়েছে। ব্রিজের উদ্বোধন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী।এছাড়া বিশ্রামগঞ্জ বাজারে কালী মন্দিরের সামনে বাজারের নতুন বিল্ডিং এর শিলান্যাস করেন উপমুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান গুলিতে উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন চড়িলাম ব্লক বিএসির চেয়ারম্যান জাকুলো দেববর্মা, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার স্বপন রায়। সিপাহীজলা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দিবাকর শীল প্রমুখ । উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন বলেন করোনা মহামারী আমাদের সময় নষ্ট করেছে। তারপরেও চড়িলামে যে পরিমাণ কাজ হয়েছে তা বিগত পঁচিশ বছরে করতে পারেনি সিপিএম।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরকদমে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি দল।ঝড়ের গতিতে সাব্রুম থেকে ধর্মনগর সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি।গ্ৰাম থেকে পাহাড় নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলছেন প্রদেশ থেকে জেলা নেতৃবৃন্দ। ভারতীয় জনতা ওবিসি মোর্চা ঊনকোটি জেলা কমিটির উদ্যোগে ২৯শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ডলুগাঁও স্কুল মাঠে এক প্রকাশ্য জনসভা অনুস্টিত হয়ছে।জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ওবিসি মোর্চা ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি সমীর রঞ্জন ঘোষ,বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায়, বিধায়ক সুধাংশু দাশ,মন্ত্রী ভগবান দাস,ওবিসি মোর্চা ঊনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি অমিও সিনহা, বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সদস্য রঞ্জন সিনহা, বিজেপি চন্ডীপুর মন্ডলের সভাপতি শ্যাম কুমার সিনহা, ওবিসি মোর্চার ঊনকোটি জেলা কমিটির প্রভারী কান্তি গোপাল নাথ,নারী নেত্রী কাবেরী সিনহা,শিবানী সিনহা সহ আরও অনেকে।প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওবিসি মোর্চার রাজ্য কমিটির সভাপতি সমীর রঞ্জন ঘোষ কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এমের তীব্র সমালোচনা করে বলেন যে, বিজেপি দল বরাবরই বলে এসেছে এবং এখনও বলছে যে,কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এমের মধ্যে চিরকালই মিতালী ছিলো এবং এখনও রয়েছে।আগামী কিছু দিনের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ প্রকাশ্যে দেখবে।ভোটের প্রাক্কালে এই দুই দল জোট করতে যাচ্ছে। ত্রিপুরা রাজ্যে ২৫বছর সি.পি.আই.এম রাজত্ব করতে পেরেছে একমাত্র কংগ্রেস দলের জন্য।কংগ্রেস দলের সাপোর্ট না থাকলে তা সম্ভব হতো না।কারন কংগ্রেস দলের নেতারাই চাইতো না রাজ্যে বামেদের সরকার চলে যাক।এছাড়াও উনি বলেন যে, দীর্ঘ ২৫বছরে বামেদের সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যে ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষদের কোনো সন্মান দেওয়া হয় নি। ওবিসিদের উন্নয়নের জন্য কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয় নি।পঞ্চায়েত কিংবা পুর পরিষদে কিংবা জেলা পরিষদে কিংবা পঞ্চায়েত সমিতিতে কিংবা বিধানসভায় কোনো ক্ষেত্রেই ওবিসিদের প্রাধান্য দেওয়া হয় নি।রাজ্যে বিজেপি দলের সরকার আসার পর ওবিসিদের যোগ্য সন্মান দেওয়া হচ্ছে।প্রতিটি ক্ষেত্রেই ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উন্নয়ন করা হচ্ছে এবং আগামী দিনে আরও বেশি করে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলেও সমীর বাবু জানান।প্রকাশ্য জনসভার মঞ্চে বিজেপি নেতা তথা চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিশিষ্ট সমাজসেবী পরিমল সিনহাকে সংবর্ধিত করা হয়। কারণ,ওবিসি মোর্চার এই প্রকাশ্য জনসভাকে সার্থক করার জন্য উনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।জনসভা থেকে চলে যাবার পর সময় বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায় সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে,আগামী ৫ডিসেম্বর উত্তর জেলা থেকে দলের উদ্যোগে সারা রাজ্য ভিত্তিক রথযাএা শুরু হবে।এই রথযাএাকে সার্বিক ভাবে সাফল্য করতে পাইতুরবাজার এলাকায় অবস্থিত বিজেপি ঊনকোটি জেলা কমিটির অফিসে এক বৈঠকে যোগ দিতে উনি জনসভা থেকে চলে যাচ্ছেন।তবে ডলুগাঁও স্কুল মাঠে ওবিসি মোর্চার উদ্যোগে প্রকাশ্য জনসভায় হাজার হাজার সাধারণ মানুষের উপস্থিতি এটাই প্রমান করে যে,এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। ২০২৩ সালে চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিরোধী দলের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে এবং বিজেপি দলের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। সাধারণ মানুষেরা শুধু অপেক্ষা করছেন কবে বিধানসভা ভোট হবে আর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেবে।প্রকাশ্য জনসভার মঞ্চে মুনীপুরী সম্প্রদায়ের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুস্টান করে।এই সভার মাধ্যমে প্রমাণ করে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে বিজেপি এবং বিরোধীদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে আছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
আসন্ন ২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রদেশ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের ষাট টি মন্ডলেই মন্ডল ভিত্তিক কার্যকর্তা সম্মেলন এর অঙ্গ হিসাবে আসন্ন উত্তর জেলার বাগবাসা মন্ডল কিষানমোর্চার কার্যকর্তা সম্মেলন দক্ষিণ হুরুয়া গ্রামের জামিরালা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা জেলা কিষান মোর্চার সভাপতি বৃন্দাবন নাথ, ওবিসি মোর্চার প্রদেশ কমিটির সহ সভাপতি তথা এই বিধানসভার ২০১৮সালের প্রার্থী অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার নাথ, কিষান মোর্চার প্রদেশ কমিটির সহ সভানেত্রী লিপিকা নাথ, প্রদেশ মুখপাত্র দিপাল দাস সহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ নাথ, সম্পাদক বিমল মাহিস্য দাস,সুপ্রকাশ ভট্টাচার্য, পুষ্পা দাস,বিভিন্ন গ্রামের প্রধান, বুথ সভাপতি,সমিতির সদস্য , এবং বিজেপির একনিষ্ঠ কার্যকর্তাগণ। ওই সম্মেলনে বিশাল সংখ্যক মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাগবাসা কিষান মোর্চার মন্ডল সভাপতি পদ্মজিত দেব (মনি)। সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতিটি বক্তাই দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন তেইশের নির্বাচনে বাগবাসা কেন্দ্রে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। এই সম্মেলনে বিশাল সংখ্যক মহিলাদের উপস্থিতিতে বক্তারা সন্তোষ ব্যক্ত করেন।সম্মেলন শেষে খিচুড়ি ভোজের আয়োজন ছিল।