প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উদয়পুর রেল স্টেশন থেকে কখনো বহি:রাজ্যে আবার কখনো রাজ্যে প্রবেশ করছে গাঁজা ভর্তি প্যাকেট । কারা পাচার করছে এই ধরনের গাঁজা ভর্তি প্যাকেট গুলি ? তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত । বুধবার রাতে আগরতলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস উদয়পুর স্টেশনে আসে যাত্রী নিয়ে । তখন বিএসএফ এবং স্থানীয় পুলিশ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালায় । তল্লাশি চালানোর সময় তাদের নজরে পড়ে তিনটি গাঁজা ভর্তি প্যাকেট । এই ঘটনা চোখে পড়তেই সাথে সাথে তিনটি প্যাকেট গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে বিএসএফ এবং পুলিশ । পরে গাঁজা ভর্তি প্যাকেটগুলিকে রাধা কিশোর পুর থানায় নিয়ে আসা হয় । থানার সেকেন্ড ওসি সমর দাস জানায় , রেলের বগি থেকে এই প্যাকেট গুলি উদ্ধার হয়েছে কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি । যেভাবে উদয়পুর রেল স্টেশন দিয়ে গাঁজা পারাপার হচ্ছে তাতে করে গাঁজা মাফিয়ারা যোগাযোগের এক বড় মাধ্যম পাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করে চলেছে বিভিন্ন ছোট বড় গাঁজা ব্যবসায়ীরা। রাজ্য সরকার নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার যে ডাক দিয়েছিল সেই স্লোগানকে সামনে রেখেই পুলিশ ও বিএসএফ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে উদয়পুর রেলস্টেশনে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি।
admin
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৩ ফেব্রুয়ারি:- গন্ডাছড়া-আমবাসা রোডে সম্প্রতি দুষ্কৃতিকারীদের হামলার ঘটনায় পুরো এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার, যখন গন্ডাছড়া থেকে একটি মালবাহী বোলেরো পিকআপ গাড়ি, যার নম্বর ছিল টিআর-০১ ডি ১৮০৫, ৩২ বস্তা গন্ধকি নিয়ে আমবাসার দিকে যাচ্ছিল। বিকেল ৪টা নাগাদ গাড়িটি জগবন্ধু-বড়বাড়ি এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছালে মুখে কালো কাপড় বাধা একদল দুষ্কৃতিকারী গাড়িটি থামিয়ে চালক, সহ-চালক এবং এক যাত্রীকে অপহরণ করে। এরপর তারা গাড়িটি প্রায় ৫/৬ কিলোমিটার গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং তিন লক্ষ টাকার মালপত্র লুটপাট করে। লুটপাট শেষে তারা অপহৃতদের জঙ্গলে বেঁধে রেখে চলে যায়।
এদিকে, ঘটনাটি জানার পর গন্ডাছড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং গোটা এলাকা চিরুনি তল্লাশি চালায়। একপর্যায়ে, তারা গভীর জঙ্গল থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং উদ্ধার করে ২২ বস্তা গন্ধকি। তবে, দুষ্কৃতিকারীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় গাড়ির চালক থানায় একটি মামলা করেন, এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
দুষ্কৃতিকারীদের এই হামলার ঘটনা নতুন নয়। গন্ডাছড়া-আমবাসা রোডে প্রায় প্রতিদিনই এরকম লুটপাটের ঘটনা ঘটছে, কিন্তু এলাকাবাসী এতদিন দুষ্কৃতিকারীদের ভয়ে থানায় অভিযোগ করতে সাহস পায়নি। কিন্তু গত বুধবারের অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা করার পর, এলাকার সাধারণ মানুষ এখন পুলিশের প্রতি আশাবাদী। তারা মনে করছেন যে পুলিশ যদি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
এই হামলার ঘটনা রোডে চলাচলকারী যানবাহন চালক থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এলাকাবাসী এখন তাকিয়ে আছেন, পুলিশ এই ধরনের অপরাধ দমনে কোন পদক্ষেপ নেয়, এবং যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কি ভূমিকা গ্রহণ করে।
এছাড়া, গন্ডাছড়া-আমবাসা রোডের অবস্থা নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি কোনো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে যে কোনো সময় আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
একই দিনে শান্তিরবাজার দুটি স্কুলেই দুঃসাহসিক চুরি, তদন্তে নেমেছে শান্তিরবাজার থানার পুলিশ ।
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার : গতকাল রাতে শান্তিরবাজার মহকুমা শান্তির বাজার মডেল বালিকা বিদ্যালয়ে এবং শান্তির বাজার বয়েজ হাই সেকেন্ডারি স্কুলেদুঃসাহসিক চুরি সংগঠিত করেন নিশি কুটুম্বের দল। সকালবেলা শিক্ষকেরা যখন প্রাত বিভাগে জন্য শান্তির বাজার বালিকা বিদ্যালয়ে আসেন তখন তারা দেখতে পান বিদ্যালয়ের মেইন গেটের সঙ্গে ছোট গেটের দরজার তালা ভাঙ্গা অবস্থা। তারপরে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের ভিতর প্রবেশ করলে সেখানেও দেখতে পান বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা ক্লাস রুমের , অফিস , স্টাফ রুমের, তালা ভাঙ্গা অবস্থা পাশাপাশি স্টাফ রুম, অফিস কক্ষের প্রত্যেকটা আলমারি লকার ভাঙ্গা অবস্থা। তাই বিদ্যালয়ের এই অবস্থা দেখে খবর দেয়া হয় শান্তিরবাজার শান্তির বাজার থানায়। ছুটে আসেন শান্তির বাজার থানার এসআই নারায়ন নারায়ণ পাল । জানা যায় ওই স্কুলে কম্পিউটার ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী থাকা সত্ত্বেও নিশি কুটুম্বের দল নিয়ে যায় বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাপের জন্য যেই টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল তা নিয়ে যায় নিস্কুটূপের দল প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । অপরদিকে একইদিনে শান্তির বাজার বয়েজ হাই সেকেন্ডারি বিদ্যালয়েও চুরি সংঘটিত হয় বলে জানা যায়। সেই বিদ্যালয়েও নিশি কুটুম্বের দল বিদ্যালয়ে অফিস কক্ষ এবং স্টাফ রুমের তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় বলে খবর । এই দুঃসাহসিক চুরি ঘটনাকে কেন্দ্র করে খবর পেয়ে ছুটে যান স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা শান্তিরবাজার পুরো পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা ।শান্তির বাজার জনবহুল এলাকায় এই বিদ্যালয় দুটি থাকা সত্ত্বেও একই দিনে এই ধরনের দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্তে নেমেছে শান্তির বাজার থানার পুলিশ।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১২ ফেব্রুয়ারি:- গন্ডাছড়ায় একটি ফুটবল মাঠ নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে পূরণ হতে যাচ্ছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বুধবার স্থান নির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত করা হয়। এদিন এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং এবং গন্ডাছড়া মহকুমা শাসক চন্দ্র জয় রিয়াং উপস্থিত থেকে মহকুমার নারায়ণপুর আইটিআই কলেজের পাশে ফুটবল মাঠ নির্মাণের জন্য একটি স্থান চূড়ান্ত করেন। স্থানীয় জনগণ এবং ক্রীড়া প্রেমীদের জন্য এটি একটি সুখবর।
মহকুমায় ফুটবল মাঠ নির্মাণের এই সিদ্ধান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করেছে। খুশি হয়েছেন এলাকার ক্রীড়া প্রেমী মানুষরা, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বিশেষত, যুবসমাজের মধ্যে ক্রীড়ার প্রতি আগ্রহ ও উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য গত ছয় মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন, যার মধ্যে ফুটবল মাঠ নির্মাণের জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই উন্নয়নমূলক পদক্ষেপে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এলাকার ক্রীড়াবিদরা বিশেষভাবে খুশি।
এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং সরকারের একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। ফুটবল মাঠ নির্মাণের মতো প্রাথমিক উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি এলাকায় নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছেন। পাশাপাশি, এমডিসি’র নেতৃত্বে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, যা এলাকাবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।
এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং-এর নেতৃত্বে এলাকায় সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগের ফলস্বরূপ, সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি তাদের আস্থা বাড়িয়েছেন। এলাকার ক্রীড়া প্রেমীরা আশা করছেন, এই ফুটবল মাঠটি কেবল স্থানীয় ক্রীড়াবিদদের জন্যই নয়, বরং সার্বিকভাবে গন্ডাছড়া মহকুমার ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
এমনকি, এই ফুটবল মাঠে স্থানীয় যুবকদের ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের সুযোগ মিলবে, এবং ভবিষ্যতে এটি জেলা বা রাজ্য স্তরে প্রতিযোগিতার আয়োজনের জন্য একটি আদর্শ ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হতে পারে। এছাড়াও, এই মাঠটি যুব সমাজের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও সহায়ক হবে।
সবশেষে, এই ফুটবল মাঠ নির্মাণের মাধ্যমে গন্ডাছড়ার জনগণের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে, যা এলাকায় ক্রীড়ার প্রসারে এবং যুবকদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-সোনালী ফসলের অঞ্চল রাঙ্গাউটি গ্ৰামীন এলাকায় কৈলাসহরের খাওড়াবিল চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে আজ ঐতিহ্যবাহী মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব ও মেলার শুভ সূচনা হয়েছে।এই পবিত্র তিথিতে ভক্ত সমাগমে মুখরিত মন্দির প্রাঙ্গণ,ধূপের সুগন্ধ আর মন্ত্রোচ্চারণে পরিপূর্ণ পরিবেশ যেন এক অপার আধ্যাত্মিক শান্তির বার্তা বহন কর চলেছে দশকের পর দশক ধরে।এই পবিত্র তিথিতে দেব দেবীদের আশীর্বাদে সবার জীবন শান্তি,সমৃদ্ধি ও শুভ শক্তিতে উজ্জীবিত হোক এই প্রার্থনা সকলের-ই।চতুর্দশ দেবতার মহিমায় ভক্তদের হৃদয় পরিপূর্ণ হোক ভক্তি ও আনন্দে।সকলের জীবন শুভ হোক,পূণ্য তিথির আলোয় আলোকিত হোক সকলের জীবন পথ।আজকের এই উদ্বোধনী সমারোহে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়,জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা,চ্যায়ারপার্সন চপলা দেবরায়,জেলা পরিষদের সদস্য বিমল কর, মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উৎসব কমিটির সভাপতি নলিনী কুমার পাল এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৈলাসহর পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা মেলা কমিটির সদস্য নীতিশ দে।প্রায় দুইশত বছরের প্রাচীন এই ১৪ দেবতার মেলা যুগ যুগ ধরে মানুষের সুখ শান্তি এবং মঙ্গলার্থে আয়োজিত হয়ে চলেছে।হাজারেরও অধিক দর্শনার্থীদের সমাগম, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীদের বিপনন পসরা এবং সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই উৎসবের গরিমা বৃদ্ধি করেছে।
রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্য, রাহুল গান্ধী কে ক্ষমা চাওয়া উচিত দেশবাসীর কাছে : অর্থমন্ত্রী
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- বিকশিত ভারতের ,বিকশিত বাজেট পেশ করার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় গোমতী জেলা বিজেপি এক ধন্যবাদ সূচক রেলি ও সভা করে উদয়পুর মেলার মাঠে । এদিন সভা শুরু হওয়ার আগে গোমতী জেলা বিজেপির দলীয় অফিসের সামনে থেকে এক মিছিল বের হয়। অপরদিকে জামতলার টাউনহলের সামনে থেকে আরও একটি মিছিল সমাবেশস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয় । দুইটি মিছিলের দুই প্রান্তে ছিলেন একদিকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অন্যদিকে মাতারবাড়ি কেন্দ্রে বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, জিতেন্দ্র মজুমদার সহ প্রমূখ। পরে রবীন্দ্র, নজরুল ও সুকান্তের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় দলীয় সভা। সে সভায় ছিলেন জেলা বিজেপি সভানেত্রী সবিতা নাগ , জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায় ও পৌর চেয়ারম্যান এবং রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা সহ প্রমূখ । দলীয় সভায় স্বাগত ভাষণ রাখেন জেলা সভানেত্রী সবিতা নাগ । পরে রাজ্য সম্পাদক বিপিন দেববর্মা ভাষণ রাখতে গিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দল বামেদেরকে । পরে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন, ২০২৫ সালে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে বাজেট পেশ করেছে তা জনকল্যাণমুখী বাজেট । এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন , দেশের রাষ্ট্রপতি কে নিয়ে যে ভাষায় কথা বলেছেন রাহুল গান্ধী। তাকে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে নেওয়া খুবই জরুরি। তার কারণ না হলে আগামী দিনে দেশের মানুষ তাদেরকে আরো উচিত শিক্ষা দেবে বলে তিনি তার ভাষনে আখ্যায়িত করেন । পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী বলেন , রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী যেভাবে কেন্দ্রীয় বাজেটকে নিয়ে সমালোচনা করে চলেছে তা কখনোই কাম্য নয়। বিগত ২৫ বছরের এই রাজ্যের শাসন মানুষ দেখেছে যা প্রতিনিয়ত মানুষকে লাঞ্ছিত এবং বঞ্চিত করে রেখেছিল বামেরা। বর্তমান সরকার রাজ্যের উন্নয়নে প্রতিটি বিধানসভা এবং গোমতী জেলা জুড়ে কাজ করে চলেছে যা কখনো বাম গ্রেসদের সহ্য হচ্ছে না । এদিন অর্থমন্ত্রীর একের পর এক আক্রমণের নিশানায় ছিল সবথেকে বেশি কংগ্রেসের দিকে। অন্যদিকে বাম কংগ্রেসকে একই সমান্তরাল ভাবে তিনি আক্রমণ করতেও ছাড়েননি, রবীন্দ্র ,নজরুল ও সুকান্তের মঞ্চ থেকে । এই দিন সভাকে কেন্দ্র করে বড় মাত্রায় দলীয় কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
এক কোটি টাকা ব্যয় নির্মিত হচ্ছে সেতু , যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে উন্নত : অভিষেক
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন যেন থমকে গিয়েছিল মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে । তার কারণ বিগত ২৫ বছরের বাম শাসনে তৎকালীন এই কেন্দ্রের বিধায়ক মাধব সাহার আমলে উন্নয়ন যেন মহারানী লাভ স্টোরি কৃষ্ণ ভক্ত পাড়ায় উন্নয়নের জোয়ার কখনো বইতে দেখেনি জনজাতি অংশের মানুষ । প্রতি পাঁচ বছর পর পর বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হলেও কখনো তাদের সমস্যার কথা ভাবেনি তৎকালীন বাম বিধায়ক। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়কালে দলীয় প্রচারে বের হয়ে বর্তমানে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় জানতে পারে এই কৃষ্ণভক্ত পাড়ায় একটি সেতুর অভাবে মানুষ এক গ্রামের সাথে অন্য গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। তখন জনজাতি ভোটারদের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি ক্ষমতায় ফিরে এই এলাকায় একটি নতুন সেতু তৈরি করে দেবে। বর্তমানে অভিষেক দেবরায় জনজাতিদের কে দেওয়া সেই কথা আজ বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে । মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কৃষ্ণভক্ত পাড়ায় নতুন সেতুর ভূমি পূজা এবং গঙ্গা পূজা করা হয় । এই পূজায় অংশ নেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় ও এম ডিসি সহ প্রমূখ। বিধায়ক জানান , এই সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় খরচ হবে এক কোটি টাকা । পাশাপাশি এই এলাকার উন্নয়নের জন্য নতুন একটি ক্লাব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে যার ফিতা কেটে এদিন উদ্বোধন করেন বিধায়ক। একই সাথে তিনি জানান গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল এই এলাকায় একটি মন্দির নতুনভাবে নির্মাণ করে দেওয়া তার কারণ পুরনো মন্দিরটি ভগ্নদশায় পরিণত। তাই আগামী এক বছরের মধ্যে এই এলাকায় তৈরি করা হবে নতুন একটি মন্দির। পাশাপাশি এলাকায় একটি পাকা সড়কের যে সমস্যা রয়েছে তার সমাধান আগামী দিনে করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন উপজাতি অংশের নাগরিকদের। বিজেপি বিধায়ক অভিষেক দেবরায় যেভাবে এলাকায় উন্নয়ন করে যাচ্ছে তাতে করে আগামী দিনে এই বিধানসভা কেন্দ্র আরো সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে বলে মনে করছে উপজাতি অংশের লোকজন।
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ১১ই ফেব্রুয়ারী।দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির অভূতপূর্ব জয়ে সারা দেশের সাথে এ রাজ্যে ও ব্যাপক উৎসাহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আম আদমি পার্টিকে পরাজিত করে দিল্লির মসনদে পদ্ম শিবিরের এই সাফল্যকে ঐতিহাসিক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিজেপির এই জয়কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তারই অংশ হিসেবে আজ কল্যাণপুর প্রমোদনগর মন্ডলের উদ্যোগে এক বিশাল বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় র্যালিটি দাউছড়া বাজার থেকে শুরু হয়ে কল্যাণপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পথ পরিক্রমা করে মন্ডল কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিজেপির শতাধিক কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মসূচিতে অংশ নেন কল্যাণপুরের বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, মন্ডল সভাপতি নিতাই বল, বিজেপি নেতা সৌমেন গোপ, চয়ন রায়-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট নেতৃত্ব। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী দিল্লির এই জয়কে “অভূতপূর্ব” বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই বিজয় প্রকৃতপক্ষে উন্নয়নের পক্ষে সাধারণ মানুষের রায়। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে দুর্নীতির যে ছায়া ছিল, মানুষ তার অবসান চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিজেপি যে উন্নয়নের রাজনীতি করছে, এই জয় তারই স্বীকৃতি।” মন্ডল সভাপতি নিতাই বল বলেন, “কল্যাণপুর প্রমোদনগর মন্ডলের প্রতিটি কর্মী আজ আনন্দিত। এই জয় আমাদের সকলকে আরও শক্তিশালীভাবে ভবিষ্যতে কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে।” বিজেপির বিজয় র্যালিকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় উৎসবের আবহ তৈরি হয়। দলীয় কর্মীরা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, দলীয় পতাকা হাতে নেচে-গেয়ে বিজয় উৎসব পালন করেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লিতে বিজেপির এই জয় শুধু রাজ্যের রাজনীতিতে নয়, সারাদেশের রাজনৈতিক সমীকরণে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।আজকের বিজয় মিছিলে কল্যাণপুর এলাকার মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- কেন্দ্রয় অর্থমন্ত্রীর আনা বাজেট গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য দারুন সুযোগ আনতে চলেছে। গত অর্থ বর্ষ থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য প্রায় ৪৭ শতাংশ অর্থ বৃদ্ধি করা হয়েছে এই বাজেটে। অথচ বিরোধীরা শুধুমাত্র বাজার ধরে রাখার জন্য লোক দেখানো সমালোচনা করছে ত্রিপুরা রাজ্যে। রবিবার সদর গ্রামীণ জেলা কমিটির উদ্যোগে বাজেটকে কেন্দ্র করে এক ধন্যবাদ সভায় এই মন্তব্য করলেন মন্ত্রিস সুশান্ত চৌধুরী।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গোটা দেশের বাজেট পেশ করেছেন সংসদে। এই বাজেটকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরা রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে নতুন গতি আসছে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজেপি সদর গ্রামীন জেলা কমিটির উদ্যোগে এক প্রকাশ্য সভা করা হয়েছে রবিবার। এদিনের সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন কেন্দ্রীয় সরকার গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলকে অষ্ট লক্ষী আখ্যায়িত করে তার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। আগামী দিনে এই বাজেটের ফলে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যে কৃষি ক্ষেত্র, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, বাণিজ্য ক্ষেত্র সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দারুন উন্নয়নমূলক কাজ হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন। মন্ত্রী আরো বলেন গত অর্থবছরের যে বাজেট ছিল তার চাইতেও প্রায় ৩.৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজেট এই বছর হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রী বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন যখন রাজ্যের কংগ্রেস এবং সিপিআইএম জনগণকে ধরে রাখতে পারছে না তখনই এই বাজেট নিয়ে মিথ্যা এবং কুৎসা প্রচারে তারা সরব হয়েছে। এক্ষেত্রে বিজেপি দলের কর্মী এবং নেতৃত্বদের সজাগ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী। এদিনের সভাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর গ্রামীণ জেলা কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, প্রাক্তন সভাপতি অসিত রায়, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ ধনদাস, বামুটিয়া মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস সহ অন্যান্যরা।
ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণের প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো লেম্বু ছড়ায় টি সমিতি হলে
প্রতিনিধি মোহনপুর:- ত্রিপুরায় ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণ করতে এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের আটটি জেলায় ১৯ টি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। পিএমকেএসওয়াই এই প্রকল্পের অন্তর্গত শুরু হয়েছে জল সংরক্ষণের কাজ। নুডাল এজেন্সি হিসেবে এসএলএনএ ত্রিপুরায় কাজ করছে। চলতি অর্থ বর্ষের মধ্যে সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে লেবু ছড়ায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
গোটা ভারতবর্ষের পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যে ও ইতিমধ্যেই ভূগোলগ্রস্থ জল সংরক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। এই ধরনের একটি প্রকল্প জারি রয়েছে ত্রিপুরাতে। চলতি অর্থ বর্ষের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় সমস্ত অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করার লক্ষ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এই দিন। এতে উপস্থিত ছিলেন কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা, হর্টিকালচার দপ্তরের অধিকর্তা, আরডির আধিকারিক এবং অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এধিন মন্ত্রী বলেন রাজ্যে আমাদের রাজ্যে একসময় প্রায় ২৫০টির বেশি ঝর্ণা ছিল। এখনো কিছু কিছু ঝর্ণা রয়েছে। যে সমস্ত ঝর্ণাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলোকে এই প্রকল্পের আওতায় পুনর্জীবিত করার জন্য কাজ করা হবে। পাশাপাশি বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, জলাশয় নির্মাণ এবং জলের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। আগামী দিনে অন্যান্য রাজ্যের মত ত্রিপুরাতে জলের তীব্র সংকট যাতে না আসে তার জন্যই পূর্ব থেকে এই ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে এদিন বৈঠক শেষে স্পষ্টিকরণ দিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।