নগাঁও, আসাম :- রবিবার লংতরাই-এর উদ্যোগে “নগাঁও রিটেইলার্স মিট ২০২৫” এক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়।অনুষ্ঠানের সভাপত্বিত করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ দেব, প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন নগাঁও এর বরিষ্ঠ সাংবাদিক শ্রীযুক্ত কনক হাজারিকা। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন নর্থ ইস্ট ডিস্ট্রিবিউটর এসোসিয়েশনের মাননীয় সম্পাদক আসিফ জামান। কোম্পানির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লংতরাই এর কর্ণধার রতন দেবনাথ, জেনারেল ম্যানেজার সুব্রত দেবনাথ, জোনাল ম্যানেজার শুভ রঞ্জন দাস, রিজিওনাল ম্যানেজার পলাশ সরকার সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।অনুষ্ঠানে প্রায় ১৫০ জন রিটেইলার, ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর অংশগ্রহণ করেন।প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি যথাক্রমে শ্রীযুক্ত হাজারিকা ও আসিফ জামান দুইজনই তাঁদের বক্তব্যের মাধ্যমে উত্তর পূর্ব ভারতের ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার অন্ন্যতম ব্র্যান্ড লংতরাই তার বিভিন্ন্য প্রোডাক্ট গুলি নিয়ে আজ নগাঁও এর রিটেইলার্স মিটের আয়োজন করেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।লংতরাই এর কর্ণধার শ্রী রতন দেবনাথ ওনার ভাষণে কোম্পানির ইতিবৃত্ত তুলে ধরতে গিয়ে এক দারুন মনোজ্ঞ আলোচনা করেন। লংতরাই এখন শুধু ত্রিপুরার জন্যই প্রসিদ্ধ নয় গোটা উত্তরপূর্ব ভারতের এক অনন্য নাম হতে চলছে। উনি আশা করছেন আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে লংতরাই প্রতিটি পরিবারের গৃহিণীদের মন জয় করে নেবে। লংতরাই প্রোডাক্ট শুধুমাত্র মশলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই তার মধ্যে রয়েছে তেল, ঘি, চাউল ইত্যাদি সহ আরো প্রায় ১২০টি প্রোডাক্ট। উনি আরো বলেন লংতরাই বর্তমানে ত্রিপুরা থেকে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহার, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশেও লংতরাই-এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে।রিটেইলারদের মধ্য থেকে অনেকে আলোচনা করতে গিয়ে লংতরাই গুণমান নিয়ে খুব প্রশংসা করেন এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে নগাঁও স্থিত বাজার গুলিতে এক বিশাল প্রভাব ফেলবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এবং আগামীদিন ওনারা লংতরাই ব্রান্ডের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।জেনারেল ম্যানেজার শ্রী সুব্রত দেবনাথ তাঁর ভাষণে কোম্পানির তরফ থেকে রিটেইলার, ডিলারদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি গুণমানের দিক থেকে লংতরাই যে সেরা, তা উল্লেখ করতে গিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে টাইমস অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক উত্তর-পূর্ব ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধ গুঁড়া মশলার প্রস্তুতকারকের সম্মানের কথাও তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানের স্বাগত ভাষণ রাখেন আসামের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার, বাস্তব চ্যাংকাকটি। ও সব শেষে জোনাল সেলস ম্যানেজার শুভ রঞ্জন দাস ওনার ধন্যবাদ সূচক ভাষণের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
admin
তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদ এলাকার উন্নয়নে কাজকর্ম খতিয়ে দেখলেন বিধায়ক, চেয়ারম্যান।
- প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ২৫ বছরের টানা বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বিধায়ক, বিধায়িকা, চেয়ারম্যান সহ নেতারা শহরের নানা সমস্যা সমাধানের কোনও চেষ্টা করেনি। সেই জায়াগায় মাত্র সাত বছরের বিজেপি সরকারের বিধায়িকা, চেয়ারম্যান এর আমলে শহরের নাগরিক পরিসেবা সহ নানা সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে। এবং আগামীদিনেও এই ধরনের কাজ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতে থাকবে। শনিবার তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় নির্মিয়মান রাস্তা, ড্রেইন সহ নানা উন্নয়ন মূলক কাজ পরিদর্শনে বেরিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরা বিধানসভার মূখ্য সচেতক তথা বিধায়িকা কল্যানী সাহা রায়। তিনি বিরোধী দলের নেতৃত্বদের কটাক্ষ করে বলেন, যাদের কাছে কোন রাজনৈতিক ইসু নেই। আগামী পুর পরিষদের নির্বাচনে কে সামনে রেখে নিজেদর অস্তিত্বের জানান দিতে ডেপুটেশন প্রদান করছে। অথচ দেখাযায় ডেপুটেশন দিচ্ছেন তাদের অনেকে পুর পরিষদের বিভিন্ন টেক্স বকেয়া রাখে। কিন্তু এসবে কাজ হবেনা মানুষ উন্নয়ন কারা করে তাদের ভাল করে চেনে। এদিনের এই পরিদর্শনে বিধায়িকা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান রুপক সরকার, কাউন্সিলর বিমল রক্ষিত, দপ্তরের আধিকারিক সহ অন্যান্যরা ।
- ধর্মনগর প্রতিনিধি,, সমস্ত রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লক এলাকায় চুরি,ডাকাতির ঘটনা কিছুতেই যেন হ্রাস পাচ্ছে না। প্রতিরাতেই কোন না কোন গৃহস্থের বাড়িতে হানা দিচ্ছে চোর কিংবা ডাকাত দল। এতে করে বিভিন্ন এলাকার জনগণ এখন নিজেরাই রাত্রিকালীন প্রহরার ব্যবস্থা করলেও অধিকাংশ স্থানে এখনও ভয়ঙ্কর চুরি ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত করছে চোর কিংবা ডাকাত দল। একই ভাবে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন পূর্ব ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪নং ওয়ার্ডের রেল গুদাম সংলগ্ন মিনতি দেবীর বাড়িতে হানা দেয় পাঁচ ছয়জনের এক ডাকাত দল। ডাকাত দলের সদস্যরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে ও হাতে ধারালো দা নিয়ে বাড়ির টিনের বাউন্ডারি ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথমে বাড়ির সদর দরজায় লাথি মেরে পাশের ঘরের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। যদিও ঘরে কোন লোকজন ছিল না। পরে ঘরে থাকা নগদ ত্রিশ হাজার টাকা, দুটি সোনার কানের দুল, পায়ের নপুর, স্বর্ণের চেইন সহ রুপার অলংকার ও দামি ব্ল্যাঙ্কেট, কাপড় ও বিছানা পত্র নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দলটি। তখন পাশের ঘরে থাকা মিনতি দেবী ও উনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাইরে ডাকাত দলের তান্ডব লীলা আঁচ করতে পেরে প্রাণের ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করেননি বলে জানান। তিনি আরো জানান, ঘরে মেয়ের বিয়ের জন্য দামি জিনিসপত্র রাখা ছিল সেগুলোও নিয়ে যায় ডাকাত দলটি। তখন উনারা পেছনের দরজা খুলে চিৎকার-চেঁচামচি করতেই পালিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। রাতেই তিনি চুরাইবাড়ি থানায় ফোন করলে রাত্রিকালীন পেট্রোলিং এ থাকা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে অবশ্য সকালে লিখিত আকারে জানানো হয় থানায়। সব মিলে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মিনতি দেবী। তবে এই ডাকাত দলের উৎপাতে নাজেহাল উত্তর জেলার চুরাইবাড়ী ও কদমতলা থানা এলাকার জনগন।
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ১৭ই জুন। তেলিয়ামুড়া মহকুমা ক্রিকেট এসোসিয়েশন আয়োজিত সিনিয়র ডিভিশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলো নেতাজি স্মৃতি সংঘ। আজ তেলিয়ামুড়া দশমী ঘাট স্থিত ভগৎ সিং মিনি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্ত কে ৯৭ রানে হারিয়ে পরপর দু’বছর চ্যাম্পিয়নের শিরোপা ছিনিয়ে নিল নেতাজির স্মৃতি সংঘ। রাজ্যের স্বনামধন্য একাধিক ক্রিকেটারে সমৃদ্ধ নেতাজি স্মৃতি সংঘ প্রথমে খেলতে নেমে ১৫ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তুলে। অধিনায়ক শুভম ঘোষ ৫২, দুর্লভ রায় ৩২ এবং মিন্টু দেবনাথ এর ৩০ রান ছিল উল্লেখযোগ্য. সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্তের বিশু দেববর্মা তিনটি উইকেট লাভ করে। পাল্টা খেলতে নেমে সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্ত তেরো অবাক তিন বলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তুলে। নেতাজি স্মৃতি সংঘের শুভম ঘোষ দুইটি উইকেট এবং দলের এক নম্বর বোলার পৃতিসগোপ দুইটি উইকেট তুলে নেয়। নেতাজি স্মৃতি সংঘ এবার পরপর দু’বছর তেলিয়ামুড়া মহকুমা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সিনিয়র ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চেম্পিয়ান হলো। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন নেতাজি স্মৃতি সংঘের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রানার্স পুরস্কার তুলে দেন তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার। অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পুরস্কার তুলে দেন মহাকুমা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি বিমল রক্ষিত,সম্পাদক নন্দন রায়, তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রেস ক্লাব সম্পাদক পার্থ সারথী রায় প্রমূখ। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আজকের ফাইনাল ম্যাচটি ৫০ ওভারের পরিবর্তে ১৫ ওভারে করা হয়. এবছর তেলিয়ামুড়া মহকুমা ক্রিকেট এসোসিয়েশন আয়োজিত টুর্নামেন্টে ১৮ টি দল অংশ নেয়.
- প্রতিনিধি ধর্মনগর,,
- উত্তর ত্রিপুরায় বেআইনি বার্মিজ সিগাবরেট চোরাচালান রুখতে তৎপর ত্রিপুরা পুলিশ। ধর্মনগর থানার অধীনস্থ আনন্দবাজার এসপিও ক্যাম্পের নাকা চেকিং পয়েন্টে পুলিশের এক সফল অভিযানে ফের আটক হলো বিপুল পরিমাণ চোরাচালানি সিগারেট। গতকাল গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটে যখন একটি বিলাসবহুল গাড়ি (নম্বর: TR05G0597) সন্দেহভাজনভাবে চেকপোস্ট অতিক্রম করার চেষ্টা করে।
- তৎক্ষণাৎ কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা গাড়িটিকে থামিয়ে তল্লাশি চালান। সেই সময় গাড়ির ভেতর থেকে সাতটি কার্টুনে গুছিয়ে রাখা অবস্থায় মোট ৭০,০০০ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান অনুযায়ী, এই বিপুল পরিমাণ সিগারেটের বাজারমূল্য আনুমানিক প্রায় কয়েক লক্ষ্য টাকা টাকা।
ধর্মনগর থানার রাতের ডিউটিতে থাকা পুলিশ অফিসার সোলেমান রিয়াং তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের আটক করেন। ধৃত তিন যুবক হলেন দামছড়া এলাকার সৌরভ সিনহা, পানিসাগরের জামটিলা এলাকার প্রকাশ দেবনাথ ও বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তাদের বিরুদ্ধে চোরাচালান সংক্রান্ত আইনের অধীনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ধর্মনগর থানার পুলিশ। - পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া প্রতিটি কার্টুনে ১০,০০০টি করে বার্মিজ সিগারেট ছিল। সিগারেটগুলির কোনও বৈধ কাগজপত্র কিংবা কর সংক্রান্ত তথ্য ওই যুবকেরা দেখাতে পারেনি।
- এই ঘটনাটি উত্তর ত্রিপুরা জেলায় বার্মিজ সিগারেট চোরাচালান রোধে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের অংশ। উল্লেখযোগ্য যে, গত মার্চ মাসে রাজনগর এলাকায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনার পর ৪০ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার হয়েছিল। তবে সেই ঘটনায় তৎক্ষণাৎ কেউ গ্রেফতার না হলেও পরে তদন্তের ভিত্তিতে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়, যাদের বিরুদ্ধেও চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে।
- ধর্মনগর থানার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এ ধরনের বেআইনি ব্যবসা সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। তবে পুলিশ এখন আরও সক্রিয়ভাবে নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে। সোলেমান রিয়াং জানান, “চোরাচালান চক্র যতই সক্রিয় হোক, আমরা পিছু হটছি না। এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলতেই থাকবে।”
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৫ জুন।। দুই কুখ্যাত ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করেছে বিশালগড় থানার পুলিশ। গত ২রা জুন গকুলনগর রাস্তারমাথা এলাকায় হাফেজ মিয়া ও তার ছেলে সাগর মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে তাদের কাছ থেকে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়েছে বলে বিশালগড় থানায় অভিযোগ জমা পড়ে। বিশালগড় থানার পুলিশ মামলা হাতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভুঁইয়ামাথা এলাকা থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত গাড়ি স্কুটি সহ কুখ্যাত ছিনতাইবাজ ভিকি মজুমদার এবং সাগর দাসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড ভিকি মজুমদারের বাড়ি পান্ডবপুর এলাকায়। বেশ কয়েকদিন ধরে পলাতক ছিল সে। অবশেষ পুলিশের জালে ধরা পড়ে। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে সেদিন ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়নি। ছিনতাই হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা। তা স্বীকার করেছেন অভিযোগকারীরা। রবিবার এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধর। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দুলাল দত্ত এবং বিশালগড় থানার ওসি সঞ্জিত সেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধর জানান অভিযোগটি ছিল প্রাণনাশের চেষ্টা এবং ছিনতাইয়ের। পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া গুটিয়ে এনেছে। এক্ষেত্রে টেকনোলজির ব্যবহার করেছে পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু তারা জায়গা বদল করে আত্মগোপন করেছিল। কিন্তু অবশেষে তারা ধরা পড়ে। অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে নগদ টাকা মোবাইল ফোন এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত স্কুটি এবং গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুই অভিযুক্ত কে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার সঙ্গে যদি কেউ যুক্ত থাকে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান। ওসি সনজিত সেন জানান ধৃত দুই অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত অভিযুক্তদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ রিমান্ডের আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২৩ শে জুন।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল কৈলাসহর ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে।কৈলাসহর ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জুড়ে ছিল সম্মাননা প্রদান, সেমিনার,রক্তদান শিবির এবং নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি।অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বিশ্বখ্যাত রক্তের গ্রুপ আবিষ্কারক কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং একটি চারা গাছে জল সিঞ্চনের মধ্য দিয়ে।এরপর আমেদাবাদে সদ্য ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ২৪১ জন যাত্রীর প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।অনুষ্ঠানের সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন নির্ঘোষ নিক্বণ এর শিল্পীবৃন্দ।স্বাগত ভাষণ দেন ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরী।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এসোসিয়েশনের সভাপতি অনুপম পাল।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন চপলা দেবরায়,ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক ডঃ তমাল মজুমদার,মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার,জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার,মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি কার্যালয়ের আধিকারিক সুকান্ত মলসই, ডঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ,ভাইস চেয়ারপার্সন নিতিশ দে, বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রীতম ঘোষ সহ জেলার একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।রক্তদানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ডঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ। পাশাপাশি,ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এক তথ্যবহুল সেমিনার, যেখানে “চাইল্ড ম্যারেজ” ও “টিনেজ প্রেগন্যান্সি” বিষয়ে আলোচনা করেন ডঃ অয়ন রায়।এছাড়াও ছাত্রদের মধ্যে একটি কুইজ প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়।এই দিনে ধারাবাহিকভাবে রক্তদান করে সমাজে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় পাঁচজন মহিলা রক্তদাতাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।সম্মান প্রাপ্তরা হলেন শাশ্বতী চক্রবর্তী,পৌষালী ভট্টাচার্য, মহামায়া দাস,সংঘমিত্রা দে এবং সুপর্ণা চক্রবর্তী। এছাড়াও জেলার তেরোটি ক্লাবকে রক্তদানের ক্ষেত্রে তাদের সক্রিয় ভূমিকার জন্য সংবর্ধনা জানানো হয়।রক্তদান শিবিরে মোট ২২ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন,যা অনুষ্ঠানটির মূল সার্থকতাকে প্রমাণ করে।অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বাচিক শিল্পী সুকান্ত চক্রবর্তী।পুরো অনুষ্ঠানের সফল বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ঊনকোটি জেলার বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর।সার্বিকভাবে, কৈলাসহর ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশনের এই বর্ণাঢ্য আয়োজন রক্তদানের প্রতি জনসচেতনতা গড়ে তোলার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইল এমনটাই মত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের।এর পূর্বেও কৈলাসহর ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশনের রক্তদানের প্রয়াস সফলতার শীর্ষে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বৈভবশালী ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে : সুশান্ত
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৪ জুন।।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিগত ১১ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের সেবা সুশাসন গরিব কল্যাণের কর্মসূচি গুলি প্রচারের উদ্দেশ্যে বিজেপির পক্ষকাল ব্যাপী কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে বিশালগড়ে অনুষ্ঠিত হয় বিকশিত ভারত সংকল্প সভা। শনিবার বিকালে বিজেপির বিশালগড় মন্ডল কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিশালগড় পৌরপরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, মন্ডল সভাপতি তপন দাস, মন্ডল প্রভারী অমল দেবনাথ, মন্ডল সহসভাপতি জিতেন্দ্র চন্দ্র সাহা প্রমুখ। ১১ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের জনকল্যাণকর প্রকল্প গুলো জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় সমাবেশ স্থলের পাশে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন ২০১৪ সালের আগে আমরা অনেক সরকার দেখেছি। যে দলটি প্রায় ষাট বছর দেশের শাসনভার পরিচালনা করেছে সেই দলের ইতিহাস আমরা সবাই জানি। কেন্দ্রের কংগ্রেস শাসিত সরকার এবং রাজ্যের সিপিএম শাসিত সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল । যার কারণে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে বিকাশ মুখী সরকার প্রতিষ্ঠার পর দেশের আপামর জনসাধারণ বিশেষ করে গরীব অংশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও রাজ্যে ছিল সিপিএমের সরকার। সেই কারণে এই রাজ্যের গরিব মানুষ দলবাজির শিকার হয়েছে। সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত ছিল । ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠার পর ডাবল ইঞ্জিনের সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মাথা গোঁজার ঠাঁই। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংযোগ দেয়া হচ্ছে। রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে। সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছে। কৃষি স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটছে। কৃষকদের আয় বেড়েছে। প্রায় চার লক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাড়তি রোজগারের সুবিধা পেয়েছে। যুবকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার পাশাপাশি স্বচ্ছ নিয়োগ-নীতির মাধ্যমে সরকারি চাকরি প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও বিশালগড় ছিল সিপিএমের দখলে। সেই সময় সিপিএমের তথাকথিত বিধায়ক কে মানুষ বন্যা বলুন প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলুন এমন কি করোনা মহামারীর সময়েও খুঁজে পাননি। ২০২৩ সালে বিশালগড়ে পদ্মফুল ফুটেছে। এরপর থেকে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং চাহিদা পূরণের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। গত ২৫ বছরে বিশালগড়ে যা উন্নয়ন হয়নি দুই বছরে এর চেয়ে বেশি উন্নয়ন করে দেখিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার। এই দুই বছরে বিশালগড়ে ২০০ কোটি টাকার রাস্তার কাজ হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অলিতে গলিতে নতুন রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। সকল সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা উন্নয়নের জন্য সাত কোটি টাকায় নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে। ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ হবে বিশালগড়ে। শিশু উদ্যান সুইমিং পুল ইত্যাদি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। বিধায়ক সুশান্ত দেব আরো বলেন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির সরকার ভারতবর্ষকে চতুর্থ অর্থনীতিতে পৌঁছে দিয়েছেন। অভিশপ্ত ৩৭০ ধারা জম্মু-কাশ্মীর থেকে বাতিল করেছেন। মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান রামচন্দ্রের অপ রাম মন্দির নির্মাণ হয়েছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী মহারাষ্ট্র থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত এক সুতোায় বেঁধে এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়ন করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু উন্নয়ন বিরোধীরা এখনো ষড়যন্ত্র করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন যেখানেই বিভ্রান্তি করার চেষ্টা হবে সেখানে প্রতিবাদ প্রতিরোধ হবে এবং রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। এদিকে চড়িলাম মন্ডল কমিটির উদ্যোগে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ১১ বছরের জনকল্যাণমুখী কর্মযজ্ঞ প্রচারের উদ্দেশ্যে বিকশিত ভারত সংকল্প সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া 13 জুন:- গন্ডাছড়ার বাসিন্দা মায়ারানি দেবনাথের ৬৯ তম জন্মদিনটি এবারে এক ভিন্ন রকম উজ্জ্বলতা পেল তাঁর পুত্র, পেশায় সাংবাদিক, রামু দেবনাথের মাধ্যমে। মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে তিনি যে মানবিক ও সমাজসেবামূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা সকলের মন ছুঁয়ে গেছে।
তাঁর মায়ের জন্মদিন’টিকে অর্থবহ করে তুলতে অমরপুরের পূর্ব মৈলাক গ্রামের এক নিরীহ পরিবারের অসুস্থ শিশুর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। কাজল দাসের ৮ বছর বয়সী কন্যা প্রিয়াঙ্কা দাস দীর্ঘদিন ধরে থ্যালাসেমিয়া নামক কঠিন রোগে আক্রান্ত। পরিবারটি আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় প্রিয়াঙ্কার চিকিৎসা ও স্বাভাবিক জীবনযাপনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই অবস্থায় সাংবাদিক বাবু তাঁর মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে প্রিয়াঙ্কার হাতে তুলে দেন জামা, স্কুল ব্যাগ, ছাতা, জুতো, আমলদুধ, টিফিন বক্স, পেন্সিল বক্স, জলের বোতল, বিস্কিট, ব্যাস, কলকেট, সাবান, তেল, পাউডার, মুখের স্কীম, সেম্পু, পুতুল, ড্রয়িং খাতা, রং পেন্সিল এবং পাঁচ জাতের ফল। শিশু প্রিয়াঙ্কার চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক ছিল স্পষ্ট। সাংবাদিক বাবুর এহেন উদ্যোগে খুশি কাজল দাসের গোটা পরিবার। পাশাপাশি কাজল দাস সাংবাদিকের মায়ের দীর্ঘ আয়ু কামনা করেন।
সাংবাদিক বাবু বলেন, “প্রতিবার মায়ের জন্মদিনে কেক কাটা, খাবার খাওয়া তো হতোই। কিন্তু এবার মনে হলো এমন কিছু করি যাতে একজন মানুষের মুখে হাসি ফোটে। মা সবসময় আমাদের শেখাতেন দুঃখীদের পাশে দাঁড়াতে। তাঁর শিক্ষাই আজ আমাকে এই উদ্যোগ নিতে অনুপ্রাণিত করেছে।”
এই অভিনব ও মানবিক উদ্যোগে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ বলেন, “এ ধরণের উদ্যোগ সমাজে একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে। একজন সাংবাদিক শুধু খবর পরিবেশনেই নয়, সমাজ গঠনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন— সাংবাদিক বাবু সেটাই করে দেখালেন।”
একজন সন্তানের পক্ষ থেকে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবার এমন মানবিক দৃষ্টান্ত নিঃসন্দেহে সমাজের কাছে এক অনুকরণীয় উদাহরণ। সাংবাদিক বাবুর মতো আরো অনেকেই যদি বিশেষ দিনগুলোতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান, তাহলে সমাজ হবে আরও মানবিক ও সুন্দর।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে গত ২৯শে মে থেকে শুরু হয়েছিল বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান।যা শেষ হবে ১২ই জুন।তার-ই অঙ্গ হিসেবে আজ ঊনকোটি জেলা ভিত্তিক বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারঘাট এর গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়ামে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ,বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস,সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,সহকারি সভাধিপতি সন্তোষ ধর, কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সুমতি দাস,কৃষি দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার স্বপন দাস,উদ্যান দপ্তরের অধিকর্তা দীপক কুমার দাস,কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সিনিয়র সাইন্টিস্ট বিশ্বজিৎ বল এবং আই সি এ আর এর সিনিয়র সেন্টিস্ট প্রাণনাথ বর্মন,মৎস্য দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর তারেন্দ্র দেববর্মা ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর তপন রায়। এছাড়াও মঞ্চে বিশেষ অতিথির আসন গ্রহণ করেন প্রগ্ৰেসিভ কাল্টিভেটর হীরালাল চৌধুরী।সমৃদ্ধি, সচ্ছলতা এবং আত্ম নির্ভরতার অঙ্গীকারে অঙ্গীকারবদ্ধ ত্রিপুরা সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণে অভিনব এই উদ্যোগ গোটা রাজ্য ব্যাপী বাস্তবায়িত হয়েছে।বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন কৃষকদের কল্যাণে এবং কৃষি দপ্তরকে আরো জনমুখী ও কৃষক মুখী করতে প্রতিদিন এ রাজ্যের ৭২ টি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।২০১৮ সালের পূর্বে আই সি এ আর এবং কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র রাজ্যের আটটি জেলায় থাকলেও তার সম্পর্কে কৃষকদের স্পষ্ট কোন ধারণা ছিল না। সরকার পরিবর্তনের পর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের কাজের প্রতি উৎসাহ বাড়ানো হয়েছে এবং তাদের সৃজনশক্তি বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে কৃষকের আয় কিভাবে দ্বিগুণ করা যায় এবং তার রূপায়ণ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোকিত হয়।তিনি বলেন বিজ্ঞানীদের কাজ হচ্ছে মাঠে গিয়ে কৃষকের জমিতে মাটির গুণমান পরীক্ষা করা এবং সহজ পদ্ধতিতে অল্প পরিশ্রমে এবং কম খরচে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে কিভাবে চাষ করা যায় সে সম্পর্কে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয় কৃষি বিজ্ঞানীদের।আজ তাদের কল্যাণে সারা ত্রিপুরা রাজ্যে কৃষি বিপ্লব শুরু হয়েছে। তাদের গবেষণায় গতি এসেছে।একটি পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন সারা রাজ্যে মোট ৬৫ লক্ষ কানি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ লক্ষ কানিতে ফসল চাষ হয় এবং তার মধ্যে ১৫ লক্ষ কাণী জমিতে ধান চাষ হয় গোটা রাজ্যে। মাটি ছাড়াও কৃষিকাজ কিভাবে করা যায় তার ওপর রাজ্যের রিসার্চ সেন্টার নাগি ছড়ায় কৃষকদের গবেষণা শুরু হয়েছে।এছাড়াও সরকার পেঁয়াজ চাষের জন্য ২ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান ভর্তুকি হিসেবে দেখছেন।আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কৃষকদের ভুয়ষি প্রশংসা করেন মন্ত্রী শ্রীনাথ।অনুষ্ঠানের শেষে ঊনকোটি জেলার আট জন বিশেষ কৃষকদের সম্মাননা জ্ঞাপন করেন অতিথিরা।