- প্রতিনিধি , উদয়পুর :- টেপানিয়া কৃষি মহকুমার উদ্যোগে দক্ষিণ বাগমা গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষক পরিমল দে-র আমন ধানের জমিতে সফলভাবে কমিউনিটি ট্রান্স প্লান্টিং কার্যক্রম সম্পন্ন হয় । পরিমল দে কুড়িকানি জমিতে গোমতী জাতের ধান রোপন করা হয়েছে ধান জালাল বয়স ছিল ১৫ দিনের। এদিন বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রামপদ জমাতিয়ার হাত ধরে। এদিন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে এই চাষের জন্য কৃষককে ধানের মানসম্পন্ন বীজ, কেমিক্যাল ফার্টিলাইজার , অর্গানিক সার , প্ল্যান্ট প্রোটেকশন কেমিক্যালস এবং প্রতি হেক্টরে মোট ৫৬৫০ টাকার অনুদান প্রদান করা হবে । তারিফ মৌসুমের সূচনা লগ্নে কৃষকদের উৎসাহ দিতে এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রচলন ঘটাতে এই ধরনের ট্রান্সপ্লান্টিং কর্মসূচিকে উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে আয়োজন করা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , টেপানিয়া কৃষি মহকুমার কৃষি তত্ত্বাবধায়ক অর্পিতা দত্ত, টেপানিয়া পঞ্চায়েত সমিতি ভাইস চেয়ারম্যান রামচন্দ্র দেবনাথ , বাগমা এগ্রি সেক্টর অফিসার ইন্দ্রানী চক্রবর্তী এবং এই মহিলা পরিচালিত টেপানিয়া কৃষি মহকুমার সকল মহিলা কর্মচারীবৃন্দ। কৃষি দপ্তরের এই ধরনের উদ্যোগ কৃষকদের মাঝে নতুন উৎসাহ যোগাবে এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া ।
admin
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ঊনকোটি জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে গুরু পূর্ণিমা উৎসব।১৪ই জুলাই আয়োজিত এই বর্ণময় অনুষ্ঠানে অবিভক্ত উত্তর জেলার গুণী ব্যক্তিদের সম্মানিত করা হয়।আজীবন যারা শিক্ষাব্রতী ছিলেন, যাদের শিক্ষার আলোয় হাজারো ছাত্রছাত্রী আলোকিত হয়েছেন সেই সকল গুণী ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করা হয়।যে ৭ জনকে সম্মানিত করা হয়েছে কমলপুর কলাছড়া হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এবং তিলকপুর স্থিত গায়ত্রী পরিবারের অধ্যক্ষ চন্দ্রকান্ত সিনহা,শ্রীনাথপুর হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিধুভূষন দাস,ধর্মনগর গোবিন্দপুর সিনিয়র বেসিক স্কুল থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রামকৃষ্ণ দাস,পেচারথল দ্বাদশমান বিদ্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রঞ্জিত দেব, ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষক চন্দ্রকান্ত সিনহা,ভগিনী নিবেদিতা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সমীরণ মালাকার এবং কমলপুর থেকে আগত ভাগবত প্রবাচক ও গীতা পাঠক কমল দুবেকে সম্মানিত করা হয়।গুরু গম্ভীর এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বননের মধ্য দিয়ে।উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস এবং সভাপতিত্ব করেন চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত ক্লিকদার ও জেলা পরিষদ সদস্য বিমল কর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহ অধিকর্তা বিশ্বজিৎ দেব। আমন্ত্রিত গুরুদের স্মারক সম্মাননা সহ অন্যান্য উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে।উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া টাকা হাতে পেয়েও নিজের সততা বিসর্জন দেয়নি যুবকরা।প্রায় দুমাস পূর্বে মোহনপুরের গোপালনগর গ্রামে রাস্তার মধ্যে বেশ কিছু টাকা কুড়িয়ে পেয়েছিল এলাকার কতিপয় যুবকরা। সেই টাকা প্রকৃত মালিকের হাতে ফিরিয়ে দিতে যুবকরা চেষ্টা করেছিল। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায়েও সন্ধান করা হয়েছিল প্রকৃত মালিকের। কিন্তু দুমাস পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে সেই টাকা দিয়ে গোপালনগরে দুস্থ ছেলেমেয়েদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করল স্নেহাশীষ গোপ এবং সিমরান দত্ত সহ অন্যান্য যুবকরা। যুবকদের এই সৎ মানসিকতা দেখে খুশি এলাকার অভিভাবক সহ সাধারণ মানুষ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কুমারঘাটের গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়ামে উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের উদ্যোগে এবং ইয়ং ডার্লং অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ধলাই,উত্তর এবং ঊনকোটি জেলা নিয়ে প্রথমবারের মতো কুমারঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে আনারস প্রদর্শনী এবং প্রতিযোগিতা। যেখানে ১২৩ জন আনারস চাষী তাদের উৎপাদিত সামগ্ৰী নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ,প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস, বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস, সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, সহকারী সভাধিপতি সন্তোষ ধর সহ দপ্তরের সচিব এবং অধিকর্তা সহ অন্যান্যরা।চারা গাছে জল সিঞ্চনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছে।এই আনারস উৎসবে ইয়ং ডারলং এসোসিয়েশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির। যেখানে ৩০ জনেরও বেশী যুবক রক্তদান করেছেন।এই প্রতিযোগিতায় ৮ জনকে পুরস্কৃত করা হয় এবং ১০ জন আনারস চাষীকে সন্মাননা জ্ঞাপন করা হয। মন্ত্রী শ্রী নাথ আনারস হাতে নিয়ে চাষীদের সাথে আনন্দে মেতে উঠেন।রাজ্যের জাতীয় ফল নিয়ে সত্যিই এক অন্যরকম উন্মাদনা তৈরী হয় আজ।এই সুমিষ্ট ও পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল রাজ্যবাসীর গর্ব- এক উজ্জ্বল পরিচয়। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলেইন,যা হজমে সহায়তা করে,আর প্রদাহ কমায়।শরীরে জলধারণ, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা, এমনকি হার্টের যত্নেও আনারস কার্যকর।ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই ফল একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প।এই অপূর্ব ফলের পেছনে রয়েছেন যাঁরা—আমাদের খেটে খাওয়া আনারস চাষীরা,তাঁদের প্রতি সকলেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাদের এই চাষের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তত সরকার,বলে বক্তরা জানান।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ কৈলাসহর ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে আয়োজিত পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার অন্তর্গত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কারিগর ও উদ্যোগীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আত্মনির্ভর ভারতের পথে এগিয়ে চলা এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো দেশজুড়ে হস্তশিল্প,কারুশিল্প ও ঐতিহ্যবাহী পেশায় নিযুক্ত শ্রমজীবী মানুষদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাঁদের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।আজকের এই সার্টিফিকেট বিতরণ শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের সমাপ্তি নয়,বরং এক নতুন সম্ভাবনার সূচনা। দক্ষতার মাধ্যমে গড়া ভবিষ্যতের এই যাত্রায় প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জানান সকলেই।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী টিংকু রায়,জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, চ্যায়ারপার্সন চপলা দেবরায় সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-পরিবেশ রক্ষা ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো
কুমারঘাট ব্লক এলাকায় স্থাপিত প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট।যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে ইতিমধ্যেই।কুমারঘাট আরডি ব্লকে স্থাপিত প্লাস্টিক ওয়েস্ট মেনেজমেন্ট ইউনিের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পাণ্ডে,পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কুন্তলা দাস এবং জেলাশাসক তমাল মজুমদারের হাত ধরে এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছে।
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ, শ্রেণিবিন্যাস ও পুনঃব্যবহারযোগ্য উপাদানে রূপান্তর করা।যা পরিবেশ বান্ধব জীবনযাত্রা গড়ে তোলতে সহায়ক হবে।
এর পাশাপাশি স্থানীয় যুব ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি হবে।দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন এবং তার রূপায়ণ আগামীতে প্লাস্টিক ওয়েস্ট মেনেজমেন্ট ব্যাবস্থাপনা কে নতুন দিশা দেখাবে।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- গত মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে ব্যাপক বৃষ্টিপাত চলছে মুষলধারে। এর ফলে বুধবারও জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা গোমতীর জেলা জুড়ে। অন্যদিকে উদয়পুরেও একই অবস্থা। সুখ সাগর জলা এবং গোমতী নদীতে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। উদয়পুরের সাথে মূল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনকারী সুভাষ সেতুর পাশে থাকা বিভিন্ন বাড়ি ঘর গত বছর বন্যার কারণে ভেঙে গিয়েছিল কিন্তু এই বছর নদীর পাড় বাঁধানোর ফলে জলস্তর বাড়লেও নদীর জলে এবছর ভাঙতে পারেনি ছনবন এলাকা। সেই সাথে গোমতী নদীতে থাকা মহারানীতে জলের বাঁধ সম্পূর্ণভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। অন্যদিকে আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি ঘুরে দেখছে গোটা পরিস্থিতি। কোথাও তৈরি করা হয়েছে উদয়পুরের বিভিন্ন জায়গায় শরণার্থী শিবির আবার কোথাও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা উদ্ধার কারী দল চেষ্টা চালাচ্ছে যে সকল নাগরিকরা বন্যা কবলিত এলাকায় পড়েছে সেই সকল এলাকা গুলি থেকে নিরাপদে বের করে আনার জন্য। সব মিলিয়ে গত বছরের বন্যার পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে এই বছরের ভারী বৃষ্টিপাত। অন্যদিকে উদয়পুর পৌর এলাকার রাজারবাগে বিভিন্ন সব্জির জমি গোমতী নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা । পরিদর্শনে যান পৌর চেয়ারম্যান । অন্যদিকে বিজেপি জেলা সভাপতি সবিতা নাগ ও আরকেপুর মন্ডল সভাপতি সানি সাহা ঘুরে দেখেন বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা। সব মিলিয়ে গোটা উদয়পুরে বর্তমানে আবারও বন্যার রূপ ধারণ করতে চলেছে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
- ধর্মনগর প্রতিনিধি,,
- আজ দুপুরে পানিসাগর মহকুমা শাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় প্রাকৃতিক দোর্যোগ বন্যা ও ভূমিধসের মতো বিপর্যয় মোকাবিলায় আগাম প্রস্ততি বৈঠক। রাজ্য সরকারের নির্দেশানুসারে আসন্ন দশই জুলাই সমগ্র রাজ্য ব্যাপী সব কটি মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে সচেতনতা মুলক মকড্রিল ঘোষণা করেছে।এরই অঙ্গ হিসেবে আসন্ন ৯ই জুলাই উক্ত মকড্রিল কে সার্বিক ও সুন্দর ভাবে সুসম্পন্ন করতে পানিসাগর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় আগাম প্রস্তুতি বৈঠকটি।এতে পৌরোহিত্য করেন পানিসাগর মহকুমা শাসক সুশান্ত দেব্বর্মা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পানিসাগর মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি কালেক্টর দিবাকর জমাতিয়া,ডেপুটি কালেক্টর বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য,ডেপুটি কালেক্টর অভিষেক চক্রবর্তী,পানিসাগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্য দেব্বর্মা,পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতের সহকারী কার্যনির্বাহী আধিকারিক আইনূল হক,পানিসাগর আরক্ষা প্রশাসনের অফিসার ইনচার্জ সুমন্ত ভট্টাচার্য সহ পানিসাগর মহকুমার সবকটি লাইন ডিপার্টমেন্ট এর আধিকারিকেরা।উক্ত রাজ্য ভিওিক সচেতনতা মুলক মকড্রিল কে সার্থক রুপ দিতে উপস্থিত ছিলেন পুর্ত দপ্তর,ডি,ডব্লিও,এস, ওয়াটার রিসোর্স,স্বাস্থ্য দপ্তর,আর,ডি সাব ডিভিশন,কৃষি দপ্তর,শারির শিক্ষন মহাবিদ্যালয়,মৎস্য দপ্তর,প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর,তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর,সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক,নগর পঞ্চায়েত দপ্তর,বিদ্যালয় পরিদর্শক দপ্তর,অগ্নি নির্বাপক দপ্তর,আপদামিএ ভলান্টিয়ার,সিভিক ভলান্টিয়ার,১৩ নং টি,এস,আর,এর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর জোয়ান সহ আধিকারিকেরা।বৈঠকে উপস্থিত প্রতিটি দপ্তরের আধিকারিক সহ পদাধিকারীরা মকড্রিলটিকে সুষ্ঠু ভাবে সুসম্পন্ন করতে নিজ নিজ মতামত ব্যাক্ত করেন।জানা গেছে এই ধরনের মকড্রিল উপস্থাপনা করতে সকল ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি।এরই অঙ্গ হিসেবে রাজ্যের আট টি জেলার সবকটি জেলা শাসক কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনের নির্ধেশিকা জারি করা হয়।প্রাকৃতিক বিপর্যয় তথা ভূমিকম্প প্রবণ এিপুরা রাজ্য বর্তমানে পাঁচ নম্বর বিপজ্জনক অবস্থানে রয়েছে।তৎসঙ্গে রয়েছে বন্যা ও ভূমিধসের প্রবনতা।বিগত বৎসর সহ এবারকার চলতি বছরেও রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যায় ও ভূমিধসে একাংশ জনগন কে বাড়িঘর ছেড়ে এান শিবিরে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে।পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ টাকার সহায় সম্পদ বন্যার জলে তলিয়ে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসতে হয়েছে।তাই এই ধরনের অনাঙ্ক্ষিত বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য বাসিকে পরিএান দিতে রাজ্য সরকার কতৃক এই ধরনের সচেতনতা মুলক মকড্রিল উপস্থাপন করে রাজ্যের জনগনকে সচেতন করে তুলছেন।রাজ্য জোরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধ সহ বিপর্যয় মোকাবিলা করতে কি কি করণীয় সেই নিয়ে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি রাজ্য জোরে এই ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষে নিরলস ভাবে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।এই মর্মে রাজ্যের সবকটি জেলার প্রতিটি লাইন ডিপার্টমেন্ট কে যুক্ত করে রাজ্য জোরে সার্বিক কল্যাণে এই ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।ধারণা করা হচ্ছে,এই ধরনের মকড্রিল প্রদর্শনের মাধ্যদিয়ে রাজ্যের সমস্ত অংশের জনগন প্রাকৃতিক বিপর্যয় সহ বিপর্যয় মোকাবিলাজ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আহরণ সহ সমস্ত ধরনের ভয়ভীতি কাটিয়ে উটে নিজেদের প্রস্তুত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
- প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ড্রাগ মুক্ত ত্রিপুরা নির্মাণ এবং বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এই বিষয়কে সামনে রেখে আজ কুমারঘাটের দারচৈ স্থিত একলব্য মডেল রেসিডেনসিয়াল স্কুলে সচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।মুষল ধারায় বৃষ্টির মধ্যেও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান হল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের জেলা পরিদর্শক বিদ্যাসাগর দেববর্মা,বিদ্যালয় পরিদর্শক বিরলা সিং কলই,একলব্য বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল অরুন কুমার এবং সিডিপিও হরিপদ দেবনাথ।উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ প্রধান রতন দাস।এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য কুমারঘাট বিদ্যালয় পরিদর্শকের তরফ থেকে ৩০টি ট্যাব তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ক্রীড়া সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রচুর সংখ্যক মশারী বিতরন করা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।২০১২ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল ভারত সরকারের অনুমোদিত এই একলব্য বিদ্যালয়ের।যেখানে বর্তমানে ৪ শতাধিক জনজাতি ছাত্রছাত্রী নিয়মিত পড়াশোনা করছে।স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে আয়রন,ফলিক এসিড ও জিঙ্ক ট্যাবলেট ইত্যাদিও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা যায়। মূলত এই জেলার ড্রাগ গ্রহণের তালিকায় প্রায় ৮০ শতাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক জনজাতি ছেলেমেয়েরা রয়েছে।তাদের মধ্যে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং নিজেদেরকে আরও বেশি সংশোধিত করার লক্ষ্য নিয়ে একলব্য বিদ্যালয়ে আজকের এই কর্মসূচি রুপায়িত হয়েছে।
ধলাইয়ে মৎস্য, প্রাণিসম্পদ বিকাশ ও এসসি ওয়েলফেয়ার দপ্তরের পর্যালোচনা সভা
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- শনিবার ধলাই জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে মৎস্য, প্রাণিসম্পদ বিকাশ ও এসসি ওয়েলফেয়ার দপ্তরের জেলাভিত্তিক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ এবং এসসি ওয়েলফেয়ার দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধলাই জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুস্মিতা দাস, বিধায়িকা স্বপ্না দাস পাল, ধলাই জেলা শাসক, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের অধিকর্তা ও জেলার বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকবৃন্দ।
সভায় মন্ত্রী সুধাংশু দাস সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, এই পর্যালোচনা সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল মৎস্য, প্রাণিসম্পদ বিকাশ এবং তপশিলি কল্যাণ দপ্তরের বিগত দিনের গৃহীত কর্ম পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে তার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা। পাশাপাশি আগামী দিনে এই তিনটি দপ্তরের মাধ্যমে জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে কিভাবে আরও গতিশীল করা যায় সেই বিষয়ে দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে খোলামেলা আলোচনা হয়।
মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের আর্থিক উন্নয়ন, বিশেষত প্রান্তিক ও তপশিলি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাছচাষ ও প্রাণিসম্পদ বিকাশের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একাধিক নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সভা শুরুর আগে মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে এলাকার কিছু সুবিধাভোগী চাষির হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মাছের পোনা তুলে দেওয়া হয়। মন্ত্রী সুধাংশু দাস, সভাধিপতি সুস্মিতা দাস সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা নিজ হাতে সুবিধাভোগীদের মাছের পোনা বিতরণ করেন।
মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জেলার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বনির্ভরতা ও কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।