Home » বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জালিয়াতি করে ভোটে জিততে হয়নি –

বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জালিয়াতি করে ভোটে জিততে হয়নি –

by admin

বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জলিয়াতি করে নির্বাচনে জয়ী হতে হয়নি কারণ তখন ছিল বামফ্রন্ট সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হয়েছে মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে লোকসভা নির্বাচন পুর নির্বাচন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়না এমনকি নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ছাপ্পা ভোটে জয়ী হয়েছে, শুক্রবার খোয়াই বিদ্যানিকেতন বিদ্যালয়ের মাঠে সৈরাচারী সরকার হঠাও ত্রিপুরা বাঁচাও স্লোগানকে কেন্দ্র করে বামপন্থী সংগঠনের DYFI SFI TYFI এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ধরনের সমালোচনা করেন । পাশাপাশী এদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা,খোয়াই জেলা সম্পাদক রঞ্জিত দেববর্মা DYFI রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা সভায় অলোচনা করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন,১৮ নির্বাচনের আগে রাজ্যের মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি,কিন্তু সরকার গঠনের পর ৫৮ মাসে ত্রিপুরাকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে চলেছে । ১৮ নির্বাচনের আগে ২৯৯ টি জোমলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বর্তমান সরকার । কিন্তু গত ৫৮ মাসে ২০ শতাংশ পূরণ করতে ব্যার্থ এই সরকার । এখন নির্বাচনের প্রকমুহুর্থে দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এনে নতুন ভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে । শুধু ত্রিপুরাতেই নয় কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যে সরকার চলছে তারও একই অবস্থা । দেশের যুবকদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বছরে ২ কোটি চাকরী দেওয়া হবে কিন্তু কোথায় ২ কোটি চাকরী,সেই হিসাবে ত্রিপুরাতে ও কয়েক হাজার চাকরী হবার কথা ছিলো কোথায় চাকরী । তিনি আরও বলেন বরং এই সরকার সারা দেশের মধ্যে বেকারদের বিরুদ্ধে যেখানে যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে সে ক্ষেত্রে ত্রিপুরাতে এদেরই পরিচালিত সরকার বেকারদের স্বার্থ রক্ষা করবে স্বাভাবিক কথা কিন্তু কিসের কি, নির্বাচনের আগে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ঘরে ঘরে চাকরি বছরে ৫০ হাজার চাকরী,এই ৫৮ মাসে কত হাজার চাকরী হয়েছে । অন্যদিকে তিনি আরও বলেন গত নয় মাসের মধ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরাবাসির উদ্যেশে চারবার বক্তব্য রেখেছেন দুবার দিল্লি থেকে,দুবার ত্রিপুরা থেকে শেষবার আগরতলায় বক্তব্য রেখেছেন,কিন্তু বেকারদের উদ্দেশ্যে কোন কথা বলেননি বরং ২০১৮ নির্বাচনের আগে যাদের বোকা বানিয়ে নির্বাচনে খাটিয়েছে তাদের জন্য অব্দি কোন কথা বলেননি নরেন্দ্র মোদী । পাশাপাশী আলোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রতারক বলেও আখ্যায়িত করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার । অন্যদিকে বিজেপির রথযাত্রা নিয়েও সমালোচনা করতে গিয়ে মানিক সরকার দেশের মন্ত্রী অমিত সাহাকেও প্রতারক বলে আখ্যায়িত করে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি । ১৮ নির্বাচনের আগে প্রথম প্রতিশ্রুতি ছিল ক্ষমতায় আসলে ঘরে ঘরে চাকরী দেওয়া হবে অন্যদিকে ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকাদের মানবিক ভাবে ব্যাবস্থা করা হবে। আর এখন বলা হচ্ছে ,১০৩২৩ দের আমার চাকুরী দেই নি তাদের দায়ভার বর্তমান সরকারের না । বরং ন্যায্য দাবী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ সংগঠিত করা হচ্ছে,এটাই শেষ নয় গোটা রাজ্যে একই অবস্থা,বিরোধীদের বাড়িঘর ভাংচুর পার্টি অফিস ভাংচুর করা হচ্ছে সন্ত্রাস আর সন্ত্রাস এমন কি মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এই ভাবে চলতে দেওয়া যায় না । গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য সভা থেকেই যুবক বৃদ্ধ সবাইকে সঙ্গবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলার আহ্বান জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার । অন্যদিকে বামেদের এই সভায় পুলিশি নিরাপত্তা ছিল লক্ষণীয়

You may also like

Leave a Comment