ধর্মনগর প্রতিনিধি।
জন সমুদ্রে বিলীন হয়ে গেলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কর্মকর্তাদের আশাকে উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে সময় কাটাল মাঠে ঢুকতে না পেরে। জনসমুদ্র দেখে উচ্ছ্বাসিত ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন রাস্তার দু’ধারে যেভাবে হাজার হাজার মানুষ তাকে স্বাগত জানানোর জন্য দাঁড়িয়েছিল তাদেরকে দেখে তিনি আপ্লুত। উত্তর জেলার বিশ্বাস নরেন্দ্র মোদি এবং মানিক সাহা কে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। যেভাবে দলে দলে মানুষ তাকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিল তা দেখে তিনি নিশ্চিত আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভাজপা সরকার গঠন করছে। ত্রিপুরেশ্বর ী দেবী এবং ত্রিপুরার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাবেশে তিনি তার বক্তৃতা শুরু করেন। ত্রিপুরার ত্রিপুরার রাজাদের প্রশংসা করে বলেন তাদের কারণে ত্রিপুরা ভারতের অঙ্গ হিসাবে রয়ে গেছে। ত্রিপুরার এখান থেকেই জনবিশ্বাস রথযাত্রার উদ্বোধন শুরু করেন। সরকারের কাজে ই মানুষের বিশ্বাস। ২০১৮ তে কুমার ঘাটে এসে তিনি বলেছিলেন কমিউনিস্টদের কুখার কে ফেক দেনা হে। তখন চলো পাল্টাই নাড়া দিয়েছিলেন। জনা বিশ্বাস রথ আট দিন ধরে এক হাজার কিলোমিটার যাত্রাপর্বে এবং ২০০ টি জনসভায় মিলিত হবে। একই দিনে সাবরুম থেকে এমন আরেকটি রথ যাত্রা শুরু করবে। ২০১৮ তে ছিল কুশাসন থেকে মুক্ত করার লড়াই। আগে কোন কিছু করতে গেলেই ছিল ক্যাডার ভিত্তিক। ক্যাডারদের সম্মতি ছাড়া কোন কিছু করা সম্ভব ছিল না
এখন লড়াই হচ্ছে রাজ্যের প্রতিটি যুবকের জন্য কাজ মহিলাদের সুরক্ষা জনজাতিদের স্বাধীনতার জন্য। জল স্বাস্থ্য গ্যাস সবকিছু মিলে একটি পুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা করার সংকল্প এবারকার লড়াই। অন্ধকারের জায়গায় আলো এলো কুশাসনের জায়গায় সুশাসন দিয়েছে রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে হীরার কথা বলেছিল তার সবগুলি শর্ত পূরণ করে দেখিয়েছে রাজ্য সরকার শেষে আবার দিয়েছে মানিক। ডাবল ইঞ্জিন সরকার রাজ্যকে পাল্টে দিয়েছে। মুক্ত করেছে এল এল এফ টি উগ্রবাদীদের সন্ত্রাস থেকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জল জঙ্গল বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের মানুষের জন্য 2 লক্ষ ৭০ হাজার গ্যাসের যোগাযোগ দিয়েছেন ৪ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষের ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন দশ হাজার কিলোমিটার রাস্তার কাজ। চলছে। কোভিড পরিস্থিতিতে ২২০ কোটি জনতা কে বিনামূল্যে টীকা করন করে ভয়ংকর মহামারী থেকে রক্ষা করেছেন। ৮০ লক্ষ গরিব পরিবারকে খাদ্যের সুবন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই সপ্তম পে কমিশন কর্মচারীদের জন্য দিয়েছিলেন যা ত্রিপুরার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। সারা দেশকে শিক্ষিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে তার কাজ চলছে। ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে কংগ্রেস আর কম্যুনিস্টরা সমাপ্ত হয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ভাজপার সরকার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। ত্রিপুরায় আবার যে ভাঁজপা সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে তা উপস্থিত জনগণই সাক্ষী দিচ্ছে। জনবিশ্বাস রথ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উদ্বোধন করার পর বাগ বাসা হয়ে কদমতলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
জন স্রোত আছরে পড়লো বি বি আই মাঠে হাজার হাজার মানুষ অমিত শাহ কে দেখতে এসে মাঠে ঢুকতে না পেরে বিমুখ হয়ে ঘুরে যায়
102
previous post