Home » প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বৈভবশালী ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে : সুশান্ত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বৈভবশালী ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে : সুশান্ত

by admin

প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৪ জুন।।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিগত ১১ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের সেবা সুশাসন গরিব কল্যাণের কর্মসূচি গুলি প্রচারের উদ্দেশ্যে বিজেপির পক্ষকাল ব্যাপী কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে বিশালগড়ে অনুষ্ঠিত হয় বিকশিত ভারত সংকল্প সভা। শনিবার বিকালে বিজেপির বিশালগড় মন্ডল কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিশালগড় পৌরপরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, মন্ডল সভাপতি তপন দাস, মন্ডল প্রভারী অমল দেবনাথ, মন্ডল সহসভাপতি জিতেন্দ্র চন্দ্র সাহা প্রমুখ। ১১ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের জনকল্যাণকর প্রকল্প গুলো জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় সমাবেশ স্থলের পাশে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন ২০১৪ সালের আগে আমরা অনেক সরকার দেখেছি। যে দলটি প্রায় ষাট বছর দেশের শাসনভার পরিচালনা করেছে সেই দলের ইতিহাস আমরা সবাই জানি। কেন্দ্রের কংগ্রেস শাসিত সরকার এবং রাজ্যের সিপিএম শাসিত সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল । যার কারণে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে বিকাশ মুখী সরকার প্রতিষ্ঠার পর দেশের আপামর জনসাধারণ বিশেষ করে গরীব অংশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও রাজ্যে ছিল সিপিএমের সরকার। সেই কারণে এই রাজ্যের গরিব মানুষ দলবাজির শিকার হয়েছে। সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত ছিল । ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠার পর ডাবল ইঞ্জিনের সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মাথা গোঁজার ঠাঁই। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংযোগ দেয়া হচ্ছে। রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে। সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছে। কৃষি স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটছে। কৃষকদের আয় বেড়েছে। প্রায় চার লক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাড়তি রোজগারের সুবিধা পেয়েছে। যুবকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার পাশাপাশি স্বচ্ছ নিয়োগ-নীতির মাধ্যমে সরকারি চাকরি প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও বিশালগড় ছিল সিপিএমের দখলে। সেই সময় সিপিএমের তথাকথিত বিধায়ক কে মানুষ বন্যা বলুন প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলুন এমন কি করোনা মহামারীর সময়েও খুঁজে পাননি। ২০২৩ সালে বিশালগড়ে পদ্মফুল ফুটেছে। এরপর থেকে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং চাহিদা পূরণের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। গত ২৫ বছরে বিশালগড়ে যা উন্নয়ন হয়নি দুই বছরে এর চেয়ে বেশি উন্নয়ন করে দেখিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার। এই দুই বছরে বিশালগড়ে ২০০ কোটি টাকার রাস্তার কাজ হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অলিতে গলিতে নতুন রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। সকল সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা উন্নয়নের জন্য সাত কোটি টাকায় নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে। ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ হবে বিশালগড়ে। শিশু উদ্যান সুইমিং পুল ইত্যাদি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। বিধায়ক সুশান্ত দেব আরো বলেন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির সরকার ভারতবর্ষকে চতুর্থ অর্থনীতিতে পৌঁছে দিয়েছেন। অভিশপ্ত ৩৭০ ধারা জম্মু-কাশ্মীর থেকে বাতিল করেছেন। মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান রামচন্দ্রের অপ রাম মন্দির নির্মাণ হয়েছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী মহারাষ্ট্র থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত এক সুতোায় বেঁধে এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়ন করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু উন্নয়ন বিরোধীরা এখনো ষড়যন্ত্র করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন যেখানেই বিভ্রান্তি করার চেষ্টা হবে সেখানে প্রতিবাদ প্রতিরোধ হবে এবং রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। এদিকে চড়িলাম মন্ডল কমিটির উদ্যোগে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ১১ বছরের জনকল্যাণমুখী কর্মযজ্ঞ প্রচারের উদ্দেশ্যে বিকশিত ভারত সংকল্প সভা অনুষ্ঠিত হয়।

You may also like

Leave a Comment