প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৩ অক্টোবর:- আলোকচিত্রী ডক্টর শ্রীমন্ত রায়, যার আর একটা পরিচয় গন্ডাছড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়-এর বাংলার সহযোগী অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার তোলা একটি পাখির ছবি সম্প্রতি নেদারল্যান্ডের Queer Nature Photography Awards 2024-এ প্রথম ১০ জন ফাইনালিস্টের মধ্যে স্থান পেয়েছে। ছবিটি পশ্চিমবঙ্গের পূর্বস্থলীতে তোলা I এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ওনাকে ইমেইল করে জানিয়েছেন এবং এই ছবি বিষয়ে ও রহস্যময়ী প্রকৃতি সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আরো কিছু তথ্য তার কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন I প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা ভালো প্রথম তিনজন স্থানাধিকারীর তালিকা কর্তৃপক্ষ আগামী ১৭-ই অক্টোবর নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত ফটোগ্রাফি এক্সিবিশনে ঘোষণা দেবেন বলে জানিয়েছেন। বুধবার রাতে তারা শ্রীমন্ত বাবু সহ বাকি ৯ জন ফাইনালিস্টকেও এক্সিবিশনে যাওয়ার জন্য তাদের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং আসা-যাওয়ার টিকিট পর্যন্ত উপহার দিয়েছেন I এ বিষয়ে অধ্যাপক মহাশয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এ ধরনের প্রাপ্তি উনার কাছে স্বপ্নের মত মনে হয় I এত বড় স্বীকৃতি তাকে আরো অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন I তিনি প্রতিবারের মতো এবারও বলেন যখন কোন প্রদর্শনীতে তার নামের পাশে ভারতবর্ষ বা ইন্ডিয়া লেখা থাকে তখন গর্বে তার বুক ভরে যায়। আর এটাই তার কাছে সব থেকে বড় সম্মান ও পাওনা বলে তিনি মনে করেন I তিনি আশাবাদী আগামী প্রজন্ম কু-নেশার কবল থেকে বেরিয়ে আসবে এবং এমন কোন রুচিশীল নেশার বসবর্তী হয়ে সৃজনশীল সৃষ্টির মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের সুনাম অর্জন করবে I সবশেষে তিনি এই ছবি তোলার সময় উপস্থিত তার স্ত্রী নিশিতা ভৌমিক ও নৌকার মাঝি রতন প্রামাণিক’কে ধন্যবাদ জানাতে ভুলেননি। তার এই প্রাপ্তিতে গন্ডাছড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা খুবই খুশি। এর জন্য শ্রীমন্ত বাবু তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন I
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২ অক্টোবর।।
মহালয়ার পবিত্র তিথিতে প্রতি বছর পথ সঞ্চালনের আয়োজন করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। বুধবার মহালয়া তিথিতে সারা দেশে সবগুলো জেলায় পথ সঞ্চালন অনুষ্ঠিত হয়। এরই অঙ্গ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ সিপাহীজলা জেলার পথ সঞ্চালন অনুষ্ঠিত হয় কমলাসাগর বিধানসভায়। বিকাল তিনটায় সেকেরকোট মোটরস্ট্যান্ডে গৈরিক ধ্বজ উত্তোলন এবং সঙ্ঘ প্রার্থণা শেষে শুরু হয় সঞ্চালন। সেকেরকোট থেকে জাতীয় সড়ক ধরে গোকুলনগর রাস্তারমাথা স্পোর্টস মাঠে সঞ্চালনের সমাপ্তি ঘটে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে জেলার সবগুলো খন্ড এবং নগর থেকে পাঁচ শতাধিক স্বয়ং সেবক পূর্ণ গনবেশে পথ সঞ্চালনে অংশ নেন। রাজপথের দু’ধারে অসংখ্য নরনারী স্বয়ং সেবকদের সুশৃঙ্খল সঞ্চালন উপভোগ করতে হাজির ছিলেন। গৈরিক ধ্বজ বহনকারী বাহিনী সহ স্বয়ং সেবকদের উলুধ্বনি শঙ্খধ্বনি পুষ্পবৃষ্টিতে স্বাগত জানান মহিলারা।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- লাংমা নি হাদুক সমাজ এর উদ্যোগে জামজুরি বৃদ্ধাশ্রমে এক রক্তদান শিবির ,স্বাস্থ্য শিবির এবং বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় । মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে তার শুভ উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এছাড়া ছিলেন বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার , জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, কাকড়াবন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুপ্রিয়া সাহা ও মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস সহ প্রমূখ । এদিনের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , গত কিছুদিন আগে ভারী বন্যা হওয়ার কারণে বিভিন্ন রক্তদান শিবির বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছে জনগণ। কিন্তু এই রক্তের সংকট মেটাতে ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবির। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে জামজুরি এলাকায় এই বৃদ্ধাশ্রমে একদিকে যেমন রক্তদান শিবির অন্যদিকে স্বাস্থ্য শিবির করা হচ্ছে তা খুবই বর্তমানে প্রয়োজন এবং সকলে এই ধরনের সামাজিক কাজে এগিয়ে আসার উচিত বলে তিনি বক্তব্য তুলে ধরেন। সেই সাথে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সামাজিক সংস্থা থেকে দেওয়া হয় বস্ত্র বিতরণ । দুর্গাপূজার এই উৎসবের প্রাক্কালে এই ধরনের অনুষ্ঠান খুবই প্রশংসার যোগ্য বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী । পরে স্বাস্থ্য শিবির ঘুরে দেখেন অর্থমন্ত্রীসহ অন্যান্য অতিথিরা । এদিন কাকড়া বন কৃষি মহকুমা অধিকারীক রাজু মজুমদারের চেষ্টায় এই ধরনের অনুষ্ঠান সাফল্যের মুখ দেখতে পেয়েছে বলে বক্তব্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। পরে অতিথিদের হাত দিয়ে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জামজুরী এলাকার গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বাঙ্গালীদের সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। সেই উৎসবকে সামনে রেখে ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় নিজ উদ্যোগে রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের খিলপাড়া , ভাঙ্গারপাড় ও সোনামুড়া চৌমুহনী এলাকায় দূর্গা পূজা উপলক্ষে অর্থমন্ত্রী নিজ হাতে গরীব অংশের সাধারণ মানুষের হাতে বস্ত্র তুলে দেন । এদিন মন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , যে এক ভয়াবহ বন্যা কিছুদিন আগে তার তান্ডব লীলা চালিয়েছে গোটা রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে । এই বন্যার পরে সাধারণ মানুষ এখনো নিজেদেরকে এক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। কিন্তু তার মাঝেই এক বড় উৎসব সামনে এসে হাজির হয়েছে। সুখ দুঃখ নিয়েই চলতে হবে এই জীবন । তাই এই বছর ছোট্ট একটি উপহার দিয়ে এই বছর সকলে মিলে যেন দুর্গাপূজা উৎসবে আনন্দ করা যায় সেজন্য নিজ উদ্যোগে এই ধরনের বস্ত্র উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান বিধানসভা এলাকার সমস্ত অংশের জনগণ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ ২রা অক্টোবর।আমরা গর্বের সাথে মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তী উদযাপন করছি,একই সাথে উদযাপন করছি ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ -এর ১০ম বর্ষপূর্তি। ২০১৪ সালের ২রা অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জী এই মহৎ উদ্যোগের সূচনা করেছিলেন।মহাত্মা গান্ধী বিশ্বাস করতেন যে পরিচ্ছন্নতা শুধুমাত্র শরীরের নয়,পরিচ্ছন্নতা হওয়া উচিৎ সমাজ ও দেশেরও।তাঁর এই বিশ্বাসেরই প্রতিফলন হল ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জী দ্বারা চালু হওয়া স্বচ্ছ ভারত অভিযান।
স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আজ দশ হাজার কোটি টাকার নতুন পরিচ্ছন্নতা প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন,যা দেশের বিভিন্ন স্থানে জল ও নিকাশি ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন “গত ১০ বছরে কোটি কোটি ভারতীয় এই অভিযানকে নিজেদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন।স্বচ্ছ ভারত অভিযান এখন একটি জন আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।” এছাড়াও,তিনি উল্লেখ করেছেন যে,এই অভিযানের মাধ্যমে আমরা শুধু পরিচ্ছন্নতা অর্জন করছি না, বরং এটি আমাদের সমাজের উন্নতি এবং নারীর ক্ষমতায়নের পথও প্রশস্ত করছে।এই মিশনের মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র লক্ষাধিক শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে।যা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ব্যাপক প্রচারাভিযান চালানো হয়েছে।যাতে সাধারণ মানুষ পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং নিজেদের পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতে এগিয়ে আসে।স্বচ্ছ ভারত অভিযান কেবল একটি সরকারি উদ্যোগ নয়,এটি আমাদের সকলের প্রচেষ্টা এবং দায়িত্ব। আমাদের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা,প্লাস্টিক ও অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ থেকে মুক্তি পাওয়া, আবর্জনার সঠিক ব্যবস্থাপনা করা,প্রতিদিনের জীবনে পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং পরিবেশ ও জনজীবনে পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব সম্পর্কে অন্যদের সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব।স্বচ্ছতা এক দিনের কাজ নয়,এটি আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস হয়ে উঠুক।এই বার্তা নিয়েই গত ১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হোওয়া স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির আজ পরি সমাপ্তি হয়েছে।কৈলসহর লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত আজ মহালয়ার ভোরে স্বচ্ছতার এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।
প্রতিনিধি, উদয়পুর : প্রতিবছরের মতো এই বছরও সার্বজনীন দুর্গা উৎসবে ব্রতী হয়েছেন উদয়পুর ধ্বজনগর জুয়েল ক্লাব । দুর্গাপূজা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ক্লাবের সভাপতি সম্পাদক ও কোষাধক্ষ্য সহ ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা । ক্লাবের কর্মকর্তারা সাংবাদিক বৈঠকে জানান , বন্যার কারণে জুয়েল ক্লাবের একটি বিশাল অংশ গ্রামীণ এলাকাগুলি বন্যাকবলিত হয়েছিল । এর ফলে এই বছর দুর্গাপূজার চাঁদা সেই সকল এলাকা থেকে নেওয়া হচ্ছে না । এবার গত বছরের ২৭ লাখের সেই বাজেট কমিয়ে ১৭ লাখ টাকার বাজেটে নিয়ে আসা হয়েছে পুজো । এছাড়া পূজোর তিনদিন থাকছে নানা সংস্কৃতি অনুষ্ঠান। সেই সাথে পঞ্চমীতে তার উদ্বোধন করবেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী । ক্লাবের কর্মকর্তারা জানান এই বছরের পূজোর থিম হচ্ছে মায়ের স্নেহের আঁচলে আমরা । পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা নির্মাণকারী শিল্পীদের। অন্যদিকে স্থানীয় শিল্পীর যারা তৈরি হচ্ছে আলোকসজ্জা ও মন্ডপ । সেই সাথে নানা আলোক বাহারি সাজে সাজানো হচ্ছে গোটা ক্লাবের প্রাঙ্গণকে । সব মিলিয়ে আর কিছু দিনের অপেক্ষায় যেন প্রহর গুনছে যে ক্লাব এলাকার সমস্ত অংশের জনগণ ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর : তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ,বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর , উদয়পুর পৌর পরিষদ এবং গোমতী জেলা পরিষদের সহযোগীতায় কুমার শচীন দেববর্মনের ১১৮ তম জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় উদয়পুর টাউন হলে মঙ্গলবার দুপুর একটায় । প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও কুমার শচীন দেব বর্মনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন গোমতী জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি সুজন সেন । এছাড়া ছিলেন , বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক ও জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা মনোজ দেববর্মা সহ প্রমূখ । অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা বলেন , বিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দী গানের কিংবদন্তীতুল্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক , সুরকার , গায়ক ও লোকসঙ্গীত শিল্পী । প্রায়শ তাঁকে এস ডি বর্মণ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়। কিছুটা অনুনাসিক কণ্ঠস্বরের জন্য তিনি তার শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। প্রায় একশো বছর পার করেও বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তার কালোত্তীর্ণ গানের আবেদন কিছুমাত্র লঘু হয়নি। কেবল সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে নয়, গীতিকার হিসাবেও তিনি সার্থক। তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। শচীন দেব বর্মনের জন্মজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এদিন অনুষ্ঠিত হয় টাউন হলে । গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদয়পুর শহর এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর : শারদীয় ও দুর্গোৎসব উপলক্ষে উদয়পুরে এগিয়ে চলো সামাজিক সংস্থা-র প্রাঙ্গনে সামাজিক কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক আলোচনা বিষয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ক্লাবের সদস্যরা । মঙ্গলবার দুপুরে এগিয়ে চলো সামাজিক সংস্থা-র পূজা কমিটির সভাপতি প্রশান্ত রায় জানান অন্যান্য বছরের ন্যায় এই বছরও সার্বজনীন দুর্গা উৎসব পালন করা হবে পোল্ট্রি রোড এলাকায় । কিন্তু এই বছর ভয়াবহ বন্যার কারণে কোন ধরনের বড় বাজেটের পূজো করা হচ্ছে না। তার কারণ বন্যার ফলে এলাকায় ভীষণ ক্ষতির শিকার হয়েছে। এলাকাবাসীদের সাহায্যতে যে চাঁদা তোলা হবে তার থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে বলে জানান ক্লাব কর্তৃপক্ষ । সেই সাথে পূজোর তিনদিন থাকবে নানা সংস্কৃতি অনুষ্ঠান। এছাড়া আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে রক্তদান শিবির । এমনটাই জানান ক্লাব সম্পাদক বিপ্লব দাস।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। বিশালগড়ের মুরাবাড়ি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও পরিচালন কমিটির উদ্যোগে প্রতিবারের মতো এবারও স্কুলের দুঃস্থ বিদ্যার্থীদের মধ্যে বস্ত্র ও পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার মহতী কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এছাড়া ছিলেন বিশালগড় পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, কাউন্সিলর অমর সরকার , মুরাবাড়ি দ্বাদশ দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন দাস প্রমূখ । প্রতিবছর উৎসবের মরশুমে বিদ্যালয়ে এই মহতী উদ্যোগ নেয়া হয়। এর জন্য বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। অন্যদিকে বিশালগড়ের চন্দ্রনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা জবা গুপ্তা বণিকের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিথিভোজের আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকার উদ্যোগে স্কুলের দুঃস্থ বিদ্যার্থীদের ও অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, চন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রিয়া ভৌমিক ও উপ-প্রধান বিশ্বজিৎ সরকার প্রমুখ ।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- ন্যাশনাল ভলান্টারি ব্লাড ডোনেশন ডে উপলক্ষে আমবাসায় অনুষ্ঠিত হয় এক মেগা রক্তদান শিবির। মঙ্গলবার পিআরটিআই সভা গৃহে আমবাসা ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই মেগা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন তপসিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধলাই জেলার সহকারী সভাধিপতি অনাদি সরকার, ধলাই জেলা শাসক সাজু ওয়াহিদ, জেলা শিক্ষা আধিকারিক যতন দেববর্মা সহ অন্যান্য অতিথিরা। উদ্বোদকের ভাষণে মন্ত্রী সুধাংশু দাস রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন রক্তদান করলে যেমন নিজের শরীরের জন্য ভালো তেমনি সমাজের জন্যও এর চাইতে বড় অনুদান কিছুই হতে পারে না। তিনি রক্তদানের একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া জারি রাখতে আমবাসা ডোনার এসোসিয়েশনকে আবেদন জানান। এদিন ৩ জন মহিলা সহ মোট ৫২ জন ডোনার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। যাদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষক, টিএসআর, বাস ও জিপ চালক শ্রমিকদের একাংশ। এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে আমবাসা মহকুমার সাংবাদিকদের সংবর্ধিত করা হয়। এদিন মেগা রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।