প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বিশালগড় মহকুমার বিজয় নদ, সিনাই নদী এবং রাঙ্গা পানিয়া নদীর জল। ব্যপক ক্ষতির মুখে চাষীরা। ডুবে গিয়েছে জমির ফসল । চাষীরা বরো ধান ঘরে তুলে নিয়েছে। মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে সব্জি চাষীদের। বিজয় নদের তীরবর্তী অঞ্চলের ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। চন্দ্রনগর, গোপীনগর, সিপাহীজলা, গোলাঘাটি, কসবা প্রভৃতি এলাকায় জলের নীচে ডুবে গিয়েছে ফসল। চড়িলাম ব্লকের চেছুড়িমাই গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিমল চৌমুহনী এলাকায় দুই ভাই প্রদীপ পাল এবং লিটন পাল ৬০হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ১৭ গন্ডা জমিতে কাঁকরোল চাষ করেছিলেন। ভালো ফলন হয়েছে । গত দুই দিন ধরে বিক্রি করেছেন কাঁকরোল । কিন্তু প্রবল বর্ষণে সমস্ত কাঁকরোল খেত জলের নিচে ডুবে যায়। মঙ্গলবার গলা সম জলে নেমে দুই ভাই সমস্ত কাঁকরোল ব্যাগ ভর্তি করে সংগ্রহ করে রাস্তার পাশে রাখে বাজারে বিক্রি করার জন্য। জল জমি থেকে চলে গেলে সমস্ত কাঁকরোল গাছ মরে যাবে বলে জানিয়েছে দুই ভাই। এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় জিঙ্গে, ঢেঁড়স, কাচালঙ্কা, বেগুন ইত্যাদি ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। গোলাঘাটির চাষী মন্টু পাল জানান উনি লাউ চাষ করেছিলেন। কিছুদিন পরেই ফলন শুরু হতো। কিন্তু প্রবল বর্ষণে জল জমে গিয়েছে জমিতে। এই লাউ গাছ গুলোকে বাঁচানো যাবে না। সব মিলিয়ে এই টানা বৃষ্টিতে আর্থিক ক্ষতির মুখে চাষীরা।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি মোহনপুর:- বিগত দুইদিন যাবৎ ঘূর্ণিঝড় রেমেলের প্রভাবে মোহনপুর মহকুমাতেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনজীবন। বহু বাড়ি ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা ও কৃষি জমি। জলে থৈথৈ করছে ধান জমিতে। দিনভর বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করার জন্য কাজ করেছেন। বেশ কিছু অঞ্চলে পরিষেবা শুরু করা সম্ভব হলেও অনেক গ্রামেই বিদ্যুৎ পরিষেবা রাত পর্যন্ত শুরু করা যায়নি। প্রাথমিকভাবে প্রায় দুই শতাধিক ছোট বড় মিলিয়ে বাড়িঘর মোহনপুর মহকুমা এলাকাতে ভেঙ্গে গেছে। বিশেষ করে সবজি চাষের জমিতে জল জমে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকেরা। সবজির জমি চলেগেছে জলের নিচে। বহু কৃষক এই ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। যদি এই ঘটনায় প্রাণহানির কোন ঘটনা ঘটেনি মোহনপুর মহকুমা এলাকাতে।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া :- ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সোমবার দিনভর গোটা রাজ্যের সাথে গন্ডাছড়া মহকুমাতেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এদিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, কখনো হালকা, কখনো দমকা হাওয়ার সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে দিনভর। বৃষ্টির ফলে জনজীবন এক কথায় অচল হয়ে পড়ে। এদিন সরকারি অফিস আদালত খোলা থাকলেও অঘোষিত বন্ধের রূপ নেয় মহকুমার সর্বত্র। দোকানপাট, বাজার হাট খোলা থাকলেও মানুষের তেমন কোনো আনাগোনা ছিল না। রাত ৮টা সংবাদ লেখা পর্যন্ত অনবরত বৃষ্টি পড়ছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মহকুমা এলাকার বেশ কিছু রাস্তায় গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। গন্ডাছড়া-আমবাসা, গন্ডাছড়া-অমরপুর, গন্ডাছড়া- রইস্যাবাড়ি সহ বেশ কিছু সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে অল্প কিছু সময়ের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যদিও প্রশাসনের দ্রুত তৎপরতায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এদিন সকাল থেকেই মহকুমা এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা ফিডকো বিদ্যুৎ লাইন পরিষেবা স্বাভাবিক করতে জোরদার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাত ৮টা পর্যন্ত এখনো বিদ্যুতের দেখা নেই। এমতাবস্থায় গোটা মহকুমা অন্ধকারে ডুবে আছে। বিদ্যুৎ না থাকার ফলে স্বাভাবিকভাবে পানীয় জলের পাম্প মেশিন গুলি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
বীভৎস প্লাবনের সাক্ষী হয়ে রইল উত্তর জেলা সদর ধর্মনগর, ক্যাম্প এবং নৌকা চলাচল শুরু।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। রেমালের দাপটে সোমবার থেকে যে বর্ষণ শুরু হয়েছে তাতে প্লাবিত উত্তর জেলা সদর ধর্মনগর। একের পর এক নদী ফুসে তার স্বমহিমায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তর জেলা শাসক, মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এবং নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন চলছে। নামানো হয়েছে নৌকা এবং বিভিন্ন বেসরকারি রেসকিউ টিম। শুরু করা হয়েছে কয়েকটি ক্যাম্প। মানুষ দলে দলে নিজেকে বাঁচাতে ক্যাম্পের আশ্রয় নিচ্ছে । মঙ্গলবার সকাল থেকে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট জেল রোড, আলগাপুর, শিববাড়ি ছড়ার পার, সাকাইবাড়ি, সিগন্যাল বস্তি কামেশ্বর প্রভৃতি এলাকা পরিদর্শন করছেন। নামানো হয়েছে নৌকা দিয়ে রেসকিউ টিম। জেল রোডে যে জল যাওয়ার রাস্তাটি ছিল সেই রাস্তাটি ঠিকমত কাজ না করায় অধিকাংশের বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। আলগাপুর রোডে এবং শিববাড়ি ছড়ার পার অতিরিক্ত বর্ষণে প্লাবিত হয়ে পড়েছে এলাকা। শিববাড়ি রামঠাকুর আশ্রমে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে মানুষ দলে দলে নিজ ঘর পরিত্যাগ করে আসছে নিজেদের বাঁচাতে। সাকাইবারিতে কিছু সংখ্যক মানুষ প্লাবনে আটকে পড়েছে। রেল লাইনের পাশে সিগনাল বস্তির অবস্থা খুবই খারাপ। এখানে নৌকা দিয়ে রেসকিউ টিম লাগিয়ে মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে। রাজ বাড়িতে মহকুমা শাসকের নির্দেশে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প সম্পূর্ণরূপে তৈরি মানুষকে বাঁচাতে। সরকার থেকে ন্যূনতম খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ঝড়ের কারণে ধর্মনগর বাগ বাসা রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বনদপ্তরের কর্মীরা এবং মহকুমা শাসকের কর্মীরা মিলে রাস্তা পরিষ্কার করে দিলে ধর্মনগর বাগবাসা রাস্তা পরিষ্কার হয়ে গাড়ি চলাচলের জন্য ঠিক হয়। এদিকে আবহাওয়া দপ্তর আরো ২৪ ঘন্টা অত্যাধিক বর্ষণ হবে বলে আগাম বার্তা দিয়েছে। তাই বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীরা ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী নিজেদেরকে তৈরি করে রেখেছেন মানুষকে উদ্ধার করার জন্য এবং মানুষের ন্যূনতম চাহিদা কেমন করে পূরণ করা যায় তা দেখার জন্য। জুরি নদী রাগনা এলাকায় প্লাবিত হয়ে এলাকা জলের তলায় নিয়ে গেছে এবং বহু মানুষের বাড়িঘর জলপূর্ণ হয়ে রাস্তাঘাট সহ আটকে গেছে।কামড়ি নদীর জল তার বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। সময় মত এলাকাবাসীদের অর্থাৎ রামেশ্বর টঙ্গীবাড়ি গঙ্গানগর এলাকার মানুষদের সরিয়ে পথে ক্যাম্পের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক। এন ডি আর এফ কেও তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চড়িলাম মোটর স্ট্যান্ডের সামনে দুটি গাড়ি মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৯ জন শ্রমিক
চড়িলাম মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ন কো- অপারেটিভ ব্যাংকের পাশে আগরতলা সাব্রুম সড়কে বোলেরু DI ও লড়ির সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত ১ আহত ৯ শ্রমিক।ঘটনা রবিবার রাত ১১ টায়। আহতদের উদ্ধার করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত ৯ জন শ্রমিককে আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে রেফার করেন। জানাযায় চড়িলাম মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ন কো-অপারেটিভ ব্যাংকের পাশে আগরতলা সাব্রুম সড়কে TR01AC1937 নাম্বারে বলেরু DI গাড়ি করে শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বাড়ি যাওয়ার পথে লড়ির সাথে সংঘর্ষ হয় ।ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় জাহাঙ্গীর মিয়া নামে এক শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকের বাড়ি চড়িলাম মধ্য চারিপাড়া এলাকায়। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসলে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। আহত শ্রমিকরা হলো ফারুক মিয়া,দুলাল সাহা, দীপক শীল,মিলন মিয়া,সুবল মিয়া, সুহেল মিয়া, আব্দুল মিয়া, রিপন মিয়া, নাসির মিয়া, সকলকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত উভয় শ্রমিকদের আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে রেফার করেন। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে রাতে ছুটে আসন বিশালগড়ের জনপ্রিয় বিদায়ক সুশান্ত দেব সহ বিশালগড় বিজেপি মন্ডলের সমস্ত মোর্চার কার্যকর্তারা। আহতদের দ্রুত আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অন্যদিকে দুর্ঘটনায় মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার মৃতদেহ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়ে দেয় কতব্যরত চিকিৎসা। হাসপাতালে ছুটে আসে বিশালগড় থানার কপিল পাল সহ বিশাল পুলিশ। ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত জানান বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে কতব্যরত চিকিৎসক। ঘটনাস্থলে চলে যায় বিশালগড় থানা পুলিশ অন্যদিকে ঘাতক লড়িটি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে রাতভর বৃষ্টিতে সপ্তাহের প্রথম দিনে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ত্রিপুরার একাংশ। রবিবার রাতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপ কূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আছড়ে পড়ে রেমাল। সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী অংশে, বাংলাদেশের মোংলার কাছ থেকে ঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ রেমাল খানিক শক্তি খুইয়ে প্রবল থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। তবে এখনই তার প্রভাব থেকে মুক্তি পাচ্ছে না ত্রিপুরা । রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্ঘটনা গ্রস্ত বিএসএফ জওয়ানের গাড়ি ।ঘটনার বিবরনে জানাযায় সোমবার শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত পতিছড়ী ড্রপগেইট এলাকায় টি আর ০১ এম ০৮৮৫ নাম্বারের বি এস এফ জোওয়ানের একটি ট্রাকগাড়ী দুর্ঘটনার কবলে পরে। জানা যায় গাড়ীটি দ্রুতগতিতে ছিলো অপরদিকে ঘুর্নিঝড়ের প্রভাবে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাড়ীটি দুর্ঘটনার কবলে পরে। এই দুর্ঘটনায় কোনোপ্রকার হতাহতের খবর পাওয়াযায়নি। দুর্ঘটনার সঠিক কারন জানতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- রবিবার ছিল নতুন বাজারের সাপ্তাহিক হাট বাজার । প্রতিদিনের মতো বাজারে দূরপাল্লার ব্যবসায়ীরা দোকানের পসরা সাজিয়ে বসে ব্যবসা করার জন্য । কিন্তু হঠাৎ রবিবার দুপুর একটা ৩০ মিনিট নাগাদ নতুন বাজার পুরাতন হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন এলাকায় জনসমাগমের মধ্যে বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়ে । অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বাজারে আসা লোকজন । পরে স্থানীয় লোকজন বিদ্যুৎ দপ্তরে ফোন করে বিচ্ছিন্ন করে বিদ্যুৎ পরিষেবা। পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ কর্মীরা এসে ছেঁড়া তারকে পুনরায় বিদ্যুতের খুটির সাথে সংযোগ করে দেয়। কিন্তু এই দিন যদি বিদ্যুতের তার সম্পূর্ণভাবে ছিঁরে বাজার ব্যবসায়ীদের ওপর পড়ে যেত তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেত এদিন নতুন বাজারের সাপ্তাহিক হাটবাজারে । এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং দৌড়ঝাঁপ শুরু হয় বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। বিজেপির উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক সুমিত দের স্মরণে বিজেপি কার্যকর্তারা DNV রোড এলাকায় পথচলতি জনগণের মধ্যে ঠান্ডা সরবত প্রদান করে। ২৬শে মে রবিবার উত্তর জেলার জেলাসদর ধর্মনগর শহরের DNV রোড এলাকায় এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য বিজেপির উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক সুমিত দে গত ২৬শে অক্টোবর ২০২৩ ইং মারা যায়। উনার এই অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে আসে উত্তর জেলা সহ গোটা রাজ্যে। সুমিত দে যেহেতু রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন,তাই সুমিত দের স্মরণে উনার পরিবার পরিজন ও বিজেপির কার্যকর্তারা এক বছর ব্যাপী প্রতি মাসের ২৬ তারিখ সামাজিক কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। সুমিত দের স্মরণে সামাজিক কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে রবিবার DNV রোড এলাকায় প্রচন্ড গরমে তীব্র দাবদাহ থেকে পথচলতি মানুষদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ঠান্ডা পানীয় সরবত প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যানা যায় এদিনের এই অনুষ্ঠানে ১৫০০ জনেরও অধিক পথচারীদের মধ্যে এই ঠান্ডা সরবত প্রদান করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির উত্তর জেলার প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক তথা সুমিত দের স্ত্রী সোমা সেন দে,বিজেপির মহিলা মোর্চার ধর্মনগর মন্ডলের সভানেত্রী তথা পুর পরিষদের কাউন্সিলার রুপালী অধিকারী,তাপস দাস,সুমিত রায়,দীপজ্যোতি পাল,নিলকেশ দাস সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৬ মে।। বিশালগড় বিধানসভার ২২ টি স্কুলের ১৬৫৭ জন মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধিত করবেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান বিজেপির বিশালগড় মন্ডল কমিটি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় মন্ডল সাধারণ সম্পাদক তপন দাস, অফিস সম্পাদক সূজয় দে, কাউন্সিলর রতন দেব । অফিস সম্পাদক সুজয় দে জানান বিধায়ক সুশান্ত দেব ব্যাতিক্রমি কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। কারণ একসময় পরীক্ষায় নম্বর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সেরাদের সংবর্ধিত করা হতো। কিন্তু বিধায়ক সুশান্ত দেব সকল উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করবেন। এই কার্যক্রম গত বছরেও হয়েছিল। এবারও হবে। আগামী ২৮ মে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বিশালগড় নতুন টাউন হলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান “উত্তরসূরী” অনুষ্ঠিত হবে। বিশালগড় বিধানসভায় মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন ৮৩৭ জন এবং উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন ৮২০ জন। সকলকেই সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হবে। সাধারণ সম্পাদক তপন দাস জানান অনুষ্ঠানে বিধায়ক সুশান্ত দেব ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমূখ। সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ প্রদান ভবিষ্যৎ ছাত্র জীবন এবং কর্মজীবন যাতে সফল হয় সেই লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। বিশালগড় বিধানসভার সকল মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানান বিজেপির কার্যকর্তারা।
দুঃসময়ে অসহায় ধনঞ্জয় ত্রিপুরার পাশে দাঁড়ালো শান্তির বাজার বিজেপি আইপিএফটি নেতৃত্ব।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধ : ঘটনার বিবরণে জানা যায় ধনঞ্জয় ত্রিপুরা নামে এক যুবক গত গত ২৯ এপ্রি বহিরাজ্যে কাজের সন্ধানে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে পরেন আর্থিকভাবে নিজেকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে। নিখোঁজ ধনঞ্জয় ত্রিপুরার বাড়ি শান্তির বাজার মহকুমা অন্তর্গত সালথাং মনু এডিসি ভিলেজের নবকুমার ত্রিপুরা তৈইলাই পাড়ায়। বহু খোঁজাখুঁজির পরে পরিবারের লোকজন নিখোঁজ ধনঞ্জয় ত্রিপুরার কোন সন্ধান না পেয়ে অবশেষে শান্তির বাজার থানায় লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি এবং এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব রাম বাবু রিয়াং আইপিএফটি নেতৃত্ব মানিক ত্রিপুরা দারাস্তা হন। এরপরে শান্তির বাজার থানার ওসি এবংসাব ইন্সপেক্টর কানু দেবনাথ এবং বিজেপি আইপিএফটি নেতৃত্ব সহযোগিতায় ঘরে ফিরে আসেন নিখোঁজ ধনঞ্জয় ত্রিপুরা গত ১৯ই মে। নিখোঁজ ধনঞ্জয় ত্রিপুরা ঘরে ফিরে এসে শারীরিক অসুস্থতার জন্য কোন কাজকর্ম করতে পারছেন না । বর্তমানে ওনার স্ত্রী এবং দুই শিশু সন্তান রয়েছে। তাই এই অসহায় ধনঞ্জয় ত্রিপুরার এই দুঃসময়ে পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ছুটে যান বিজেপি জনজাতি মোর্চার রাজ্য কমিটি সদস্য রামবাবু রিয়াং, আইপিএফটি কেন্দ্রীয় কমিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মানিক ত্রিপুরা, বিজেপি শান্তির বাজার মন্ডল কমিটির সহ-সভাপতি রামেশ রিয়াং, আইপিএফটি শান্তিরবাজার ডিভিশনাল কমিটির সদস্য কর্ণ মুড়াসিং সহ অন্যান্য। অসহায় ধনঞ্জয় ত্রিপুরার এই দুঃসময়ে বিজেপি আইপিএফটি নেতৃত্ব মানিক ত্রিপুরা এবং রাম বাবু রিয়াং রমেশ রিয়াং এরএই ধরনের অভাবনীয় উদ্যোগ দেখে খুশি ধনঞ্জয় ত্রিপুরার পরিবার সহ এলাকার সাধারণ মানুষ।