প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ ২রা অক্টোবর।আমরা গর্বের সাথে মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তী উদযাপন করছি,একই সাথে উদযাপন করছি ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ -এর ১০ম বর্ষপূর্তি। ২০১৪ সালের ২রা অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জী এই মহৎ উদ্যোগের সূচনা করেছিলেন।মহাত্মা গান্ধী বিশ্বাস করতেন যে পরিচ্ছন্নতা শুধুমাত্র শরীরের নয়,পরিচ্ছন্নতা হওয়া উচিৎ সমাজ ও দেশেরও।তাঁর এই বিশ্বাসেরই প্রতিফলন হল ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জী দ্বারা চালু হওয়া স্বচ্ছ ভারত অভিযান।
স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আজ দশ হাজার কোটি টাকার নতুন পরিচ্ছন্নতা প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন,যা দেশের বিভিন্ন স্থানে জল ও নিকাশি ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন “গত ১০ বছরে কোটি কোটি ভারতীয় এই অভিযানকে নিজেদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন।স্বচ্ছ ভারত অভিযান এখন একটি জন আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।” এছাড়াও,তিনি উল্লেখ করেছেন যে,এই অভিযানের মাধ্যমে আমরা শুধু পরিচ্ছন্নতা অর্জন করছি না, বরং এটি আমাদের সমাজের উন্নতি এবং নারীর ক্ষমতায়নের পথও প্রশস্ত করছে।এই মিশনের মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র লক্ষাধিক শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে।যা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ব্যাপক প্রচারাভিযান চালানো হয়েছে।যাতে সাধারণ মানুষ পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং নিজেদের পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতে এগিয়ে আসে।স্বচ্ছ ভারত অভিযান কেবল একটি সরকারি উদ্যোগ নয়,এটি আমাদের সকলের প্রচেষ্টা এবং দায়িত্ব। আমাদের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা,প্লাস্টিক ও অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ থেকে মুক্তি পাওয়া, আবর্জনার সঠিক ব্যবস্থাপনা করা,প্রতিদিনের জীবনে পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং পরিবেশ ও জনজীবনে পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব সম্পর্কে অন্যদের সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব।স্বচ্ছতা এক দিনের কাজ নয়,এটি আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস হয়ে উঠুক।এই বার্তা নিয়েই গত ১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হোওয়া স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির আজ পরি সমাপ্তি হয়েছে।কৈলসহর লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত আজ মহালয়ার ভোরে স্বচ্ছতার এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।
স্বচ্ছতার কর্মসূচি কৈলাসহরে
55