- প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৩০ নভেম্বর ।। অনুষ্ঠিত হয় চড়িলাম ব্লক ভিত্তিক কৌশল মেলা । শনিবার চড়িলাম লীলাদেব স্মৃতি কমিউনিটি হলে “কৌশল মেলার ” আয়োজন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বলন করে মেলার উদ্বোধন করেন সিপাহীজলা জেলা পরিষদের এডুকেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি সীমা ভৌমিক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চড়িলাম ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কৃত্তিকা সাহা, চড়িলাম পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান রাধা বল্লব দেবনাথ, চড়িলাম বি এ সির ভাইস চেয়ারম্যান রামমোহন দেববর্মা, উওর চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সরস্বতী দেবনাথ। অনুষ্ঠানে দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল যোজনার মাধ্যমে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের যুবক যুবতীদের সম্পূর্ণ সরকারি খরচে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং সার্টিফিকেট প্রাপ্ত বিকলাঙ্গ বেকারদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য নাম নথিভুক্ত করা হয়। এছাড়া সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর, ন্যাশনাল কেরিয়ার সেন্টার, আই টি আই হেল্প ডেক্স সহ বিভিন্ন দপ্তরের ষ্টল খোলা হয়। প্রতিবন্ধী যুবক-যুবতীদের বিকল্প রোজগারের দিশা দেখানোর জন্য প্রশিক্ষণে ইচ্ছুকদের নথিভুক্ত করা হয়। চড়িলাম ব্লক ভিত্তিক কৌশল মেলায় চড়িলাম ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটি থেকে যুবক-যুবতীরা অংশগ্রহণ করেন।
দেশ
- ধর্মনগর ।। ২৯ নভেম্বর।। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের হাত ধরে ঘটা করে উদ্ধোধন হওয়া সিটি স্ক্যানের বেহাল দশা বর্তমান চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে।বিগত একমাস যাবৎ সিটি স্ক্যানের প্লেইট(ফিল্ম) না পেয়ে হয়রানির শিকার রোগী সহ রোগীর আত্মীয় পরিজনরা।ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর স্হীত জেলা হাসপাতালে।জানা গেছে,চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জেলা হাসপাতালের সিটি স্ক্যানের ভেন্ডার পায় কলকাতার সঞ্জীবনী নামক সংস্থা।যা ঘটা করে শুভ উদ্ভোধন করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।কিন্তু বিগত একমাস যাবৎ জেলা হাসপাতালের সিটি স্ক্যানের প্লেইট(ফিল্ম)দেওয়া হচ্ছে না রোগীদের।বিল না পাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সিটি স্ক্যানের প্লেইট বন্ধের একটি লিখিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সংস্থাটি।এবিষয়ে সঞ্জীবনী সংস্থার কর্মী জানান,প্রায় একমাস যাবৎ তাঁরা আশঙ্কাজনক রোগীদের সিটি স্ক্যানের প্লেইট দিচ্ছেন।আবার অনেককে প্লেইট না দিয়ে মোবাইলে ছবি দিয়ে দিচ্ছেন।আর যাদের প্লেইটের প্রয়োজন নেই তাদের দেওয়া হচ্ছে না। তিনি জানান, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পর্যন্ত কোন বিল পাননি।কয়েক কোটি টাকা বিল আটকে গেছে। এবিষয়ে মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ভাষ্কর দাস জানান, কয়েকদিন পূর্বে জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসারের তরফে ঘটনাটি জানতে পেরে তিনি সঞ্জীবনী সংস্থাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত চিঠির কোন উত্তর তাঁরা দেয়নি।তবে জেলা হাসপাতালের অনুমতি ছাড়া বিজ্ঞপ্তি জারি সহ প্লেইট দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি বলে তিনি জানান।এবিষয়ে তিনি কড়া পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৭ নভেম্বর ।। সিপাহীজলা জেলার উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সিপাহীজলা জেলা প্রশাসনের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। জেলা শাসক ডক্টর সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস কে পুষ্পস্তবক এবং উত্তরীয় দিয়ে সম্বর্ধনা জানান। বৈঠকে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুব্রত মজুমদার, জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, সহ-সভাধিপতি পিন্টু আইচ, তপশিলি জাতি কল্যাণ অধিকর্তা জয়ন্ত দে, নলছড়ের বিধায়ক কিশোর বর্মন, কমলাসাগরের বিধিয়িকা অন্তরা সরকার দেব, ধনপুরের বিধায়ক বিন্দু দেবনাথ, বস্কনগরের বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন সহ প্রাণিসম্পদ ও পশুপালন দপ্তরের অধিকর্তা ছাড়াও সিপাহীজলা জেলা ট্রাইভেল ওয়েলফেয়ারের অধিকারীক প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশালগড়, সোনামুড়া, জম্পুইজলা মহকুমা শাসক, সাতটি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক । কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যে সরকারের প্রকল্প গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন সহ গুনগত মান বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। তিন মাস অন্তর পর্যালোচনা বৈঠক করার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এবং মৎস্যচাষীদের দ্রুত সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উদয়পুরের রাজন্য আমলের জগন্নাথ দীঘি ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তর থেকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে । যার উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা । গত আগস্ট মাসে ঘটে গিয়েছে এক ভয়াবহ বন্যা । তাতে করে নদীর জল প্রবেশ করে জগন্নাথ দিঘীতে । একদিকে ভারী বর্ষা অন্যদিকে বন্যা তার কারণে দিঘির জল যখন বাড়তে থাকে সেই সাথে নদী থেকে আসতে থাকে বিভিন্ন আবর্জনা ও কচুরিপানা । ধীরে ধীরে গত তিন মাসের মধ্যে গোটা দীঘিতে কচুরিপানা বংশবিস্তার করতে থাকে। আগাছা সম্পূর্ণভাবে ঘিরে ফেলে গোটা দিঘির চারপাড় । এর ফলে জঙ্গলে পরিণত হয় গোটা জগন্নাথ দিঘী। দীঘির জলে বাড়তে থাকে দূষণ। এই ঘটনা উদয়পুর পৌরপরিষদের নজরে আসতেই পৌরপরিষদ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গোটা দিঘীকে সংস্কার করা হবে । ইতিমধ্যেই ১১ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে গত ১৪ দিন ধরে কাজ করে দিঘীকে সংস্কার করে তোলা হয় । রবিবার ছিল দিঘী সাফাইয়ের সমাপ্তি দিন। রবিবার দুপুরে পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার পুরপরিষদের কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে গোটা দিঘী ঘুরে দেখেন এবং কাজের গুণগতমান সঠিক রয়েছে কিনা এই বিষয়ে কথা বলেন শ্রমিকদের সাথে। বর্তমানে গোটা দিঘী সংস্কার করে তোলা হয়েছে এবং ঝাঁ চকচকে হয়ে উঠেছে গোটা দিঘির জল । পৌর চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান , জগন্নাথদিঘী পার্কের ভেতরে যে সকল পানীয় জলের ট্যাপগুলি নষ্ট হয়ে পড়েছে সেই গুলিকে ইতিমধ্যেই সংস্কার করা হবে এবং ফুলের বাগানগুলি আরো সুসজ্জিত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। পুরপরিষদ থেকে জগন্নাথ দিঘীর জল এবং গোটা দিঘির পার্কে যেভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে তাতে করে শহরের সৌন্দর্য যেন আরো বেড়ে গিয়েছে মনে করছে পরিবেশপ্রেমী মানুষজন।
- প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৪ নভেম্বর।। জাতীয় প্রেস দিবস উপলক্ষে বিশালগড় মহকুমার কর্মরত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজ্যপাল যীষ্ণু দেববর্মন এর পুত্র প্রতীক কিশোর দেববর্মন। শনিবার বিকালে সিপাহীজলা ট্রেনিং সেন্টার মাঠে মতবিনিময় এবং সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেঙ্গানা রাজ্যপাল যীষ্ণু দেববর্মনের পুত্র প্রতীক কিশোর দেব বর্মন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য রাজকুমার দেবনাথ, বিশালগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি ভবতোষ ঘোষ, সম্পাদক তাজুল ইসলাম সহ সিনিয়র সাংবাদিক কৃষ্ণ পাল, সমীর ভৌমিক, খোকন ঘোষ, মান্নান হক, জীবন সাহা, অজয় পাল, আশীষ মিয়া সহ মহকুমার প্রায় কুড়ি জন সাংবাদিক। সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন প্রতীক কিশোর দেববর্মন। শেষে সাংবাদিকদের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে, পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সবশেষে সমবেত ভোজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভদ্রপল্লী দ্বাদশমান বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার প্রায় ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।চলতি সপ্তাহে চন্ডিপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা ত্রিপুরা সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় শিক্ষা দপ্তর এবং পূর্ত দপ্তর সহ অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে এই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। জানা যায়,গ্রামন্নোয়ন দপ্তরের অর্থানুকল্যে এবং পর্যবেক্ষণে এই বিদ্যালয়ের পুনঃ সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হবে।বিদ্যালয়ের পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় মন্ত্রী বলেন,গ্রামীণ এলাকা গুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন রাজ্যে সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার শিক্ষা পরিকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।পরিদর্শনকালে মন্ত্রী শ্রী রায় ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সরাসরি কথা বলে তাদের সমস্যাগুলি শোনেন এবং দ্রুততার সঙ্গে তা সমাধানের আশ্বাস দেন।বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও তাদের মতামত তুলে ধরেছেন মন্ত্রীর কাছে।নতুন ভবনের নির্মাণ হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আসবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধা হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন উপস্থিত সকলে।বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিকাঠামো বিষয়ে মন্ত্রী বলেন,শিক্ষা খাতে রাজ্য সরকার যে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে, তার প্রধান লক্ষ্য হল আধুনিক শিক্ষার সুযোগ প্রত্যন্ত এলাকাতেও পৌঁছে দেওয়া।নতুন ভবনের কাজ সম্পূর্ণ হলে বিদ্যালয়ের মান উন্নত হবে এবং এলাকার শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
- দক্ষিণের বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগর ব্লক একপ্রকার গাঁজা চাষে রমরমা হয়ে উঠেছে। খাস হোক সংরক্ষিত বনভুমি হোক আর জোত ভুমি হোক মানুষ এখন গাঁজা চাষের দিকে বেশি ধাবিত হয়ে উঠেছে। অর্থের মুনাফার লোভে কৃষি ফলন ছেড়ে দিয়ে চাষ করছে গাঁজা। রাম সরকার কৃষির উন্নয়ন সহ কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করলেও কৃষি উৎপাদনে ততটা উৎসাহিত করতে পারছে না, যতটা গাঁজা চাষে উৎসাহ দেখাচ্ছে। যার ফলে গাঁজা গাছে ছেয়ে আছে দক্ষিণের রাজনগর । সুত্রের খবর, এই গাঁজা চাষে শাসক দলের চুনোপুটি নেতা থেকে শুরু করে কিছু বড়ো মাপের নেতারাও জড়িয়ে পরেছে । পুলিশ প্রশাসন বার বার অভিযান চালিয়ে গাঁজা বাগান ধ্বংস করে শেষ করতে পারছে না। আবারো রাজনগর পিআর বাড়ি থানার অন্তর্গত মোনাই পাথর, হেতালিয়া, ওয়াংচেড়া ও কমলাকান্ত পাড়াতে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করলো গাঁজা বাগান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার ভোর চারটা থেকে বিলোনিয়া মহাকুমার পুলিশ আধিকারিক অভিজিৎ দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশ, সিআরপিএফ, আবগারী বিভাগ ও ৪৩ নং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সহ বনদপ্তরের কর্মীরা। এই যৌথ অভিযানে ছিলেন রাজনগর পিআর বাড়ি থানার ওসি রতন রবি দাস , এসি সিআরপিএফ শ্যামলাল মিনা , ইন্সপেক্টর ৪৩ নং বিএসএফ দর্শন সিং, আবগারি বিভাগের ইন্সপেক্টর রাকেশ সিং, তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের সহকারী বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন সুকান্ত সরকার সহ অন্যান্য পুলিশ অফিসার। অভিযানের পর মোনাই পাথর, হেতালিয়া, ওয়াংচেড়া ও কমলাকান্ত পাড়ার গভীর জঙ্গলে সাত একর সংরক্ষিত বনভূমিতে দেখা যায় গাঁজা বাগান। চৌদ্দটি কাভারিং প্লটে ৪৮ হাজার পরিপক্ক গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হয়। এই অভিযান শেষ হয় সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ। পুলিশ গাঁজা বাগানের মালিকের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে। এই ধরনের অভিযান আগামী দিনেও জারি থাকবে বলে জানান রাজনগর পিআর বাড়ি থানার ওসি রতন রবি দাস।
প্রতিনিধি, বিশালগড় ,
১৯ নভেম্বর।। বাইকের দুরন্তপনার বলি হলেন বৃদ্ধা। দুরন্ত বাইকের ধাক্কায় বৃদ্ধা মহিলার হাত পা ভেঙে যায়। বুকের পাঁজর ভেঙে যায়। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এই বয়স্ক মহিলা । মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে নয়টায় টাকারজলা থানাধীন গোলাঘাটি মর্ডান ক্লাব সংলগ্ন গোলাঘাটি বিশালগড় সড়কে। ৭২ বছর বয়সী আরতি দেবনাথ রাস্তা পার হচ্ছিলেন । সে সময় এক নাবালক কিশোর একটি বাইক নিয়ে বেপরোয়া গতিতে সজোরে ধাক্কা মারে আরতি দেবনাথকে। বাইকটির নম্বর টিআর ০১ এ এম ৬৩৫৭(হিরো এক্স পালস্)। বাইকের ধাক্কায় মুহূর্তের মধ্যে আরতি দেবনাথ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । পা ভেঙে হাড় বেরিয়ে আসে। ভেঙে যায় হাত। বুকে মাথায় মারাত্মক আঘাত পায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং স্থানীয় এসপিও ক্যাম্পের জওয়ানরা ছুটে গিয়ে অর্ধমৃত আরতি দেবনাথকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী দয়ারাম পাড়া স্বাস্থ্যে কেন্দ্রে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান টাকারজলা থানার ওসি রথীন দেববর্মা সহ পুলিশ বাহিনী। দয়ারাম পাড়া স্বাস্থ্যে কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরতি দেবনাথের অবস্থা বেগতিক দেখে আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেয়। কিন্ত শেষ রক্ষা হয়নি। বেলা একটা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মহিলা । এদিকে পুলিশ বাইক আরোহীকে আটক করে টাকারজলা থানায় নিয়ে যায় ।বাইক আরোহি জনজাতি ছাত্রটি একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে । স্বাভাবিকভাবেই সে নাবালক। ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার কথা নয়। ছেলেটি জানায় সে বন্ধুর কাছ থেকে বাইক নিয়ে যাচ্ছিল। বাইকের পেছনের আসনে বন্ধু ছিল। ঘটনার পর বন্ধু সুমন পালিয়ে যায়। বাইক আরোহীর বাড়ি শ্রীনগর থানাধীন ধারিয়াছড়া এলাকায়। ছেলেটির মা ছুটে গিয়েছেন থানায়। ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। টাকারজলা থানার ওসি রথীন দেববর্মা ঘাতক বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে । আইনানুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ময়নাতদন্তের পর আরতি দেবনাথের নিথর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়। বিকালে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বয়স্ক আরতি দেবনাথের মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , । ৭১তম অখিল ভারতীয় সমবায় সপ্তাহ যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে পালিত হয় সিপাহীজলা জেলায় । জেলা ভিত্তিক অখিল ভারতীয় সমবায় সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার চড়িলামের লীলা দেব স্মৃতি কমিউনিটি হলে উদযাপিত হয় আলোচনা চক্র । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক কিশোর বর্মন, বিধায়ক অন্তরা দেব সরকার, সিপাহীজলা জেলা পরিষদের সদস্য গৌরাঙ্গ ভৌমিক, অতিরিক্ত জেলা শাসক সুব্রত মজুমদার প্রমুখ । শুরুতে সমবায়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপস্থিতি অতিথিরা। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত । সমবায় সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা চক্রে অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি সুপ্রিয়া দাস দত্ত সহ অন্যান্য অতিথিরা সমবায়ের তাৎপর্য আলোচনা করেন।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- ২০২৪ সালের ২১ শে আগষ্ট এক ভয়াবহ বন্যার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কৃষকরা । বিভিন্ন সব্জির জমি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। অন্যদিকে কোথাও আবার সব্জি প্রবন গ্রামগুলি বুক সমান নদীর চরে পরিণত হয়েছে । এর ফলে বন্যার ভয়াবহতা কেটে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কৃষকরা ফিরে আসার জন্য শুরু হয় আবার নতুন সংগ্রাম। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে তিন মাস । ধীরে ধীরে কৃষকরা জমিতে পুনরায় চাষবাস শুরু করে। মাঠে ফলাতে শুরু হয় বিভিন্ন সব্জি। যেভাবে উদয়পুর মহকুমায় সব্জির দাম আকাশ ছোঁয়া হতে শুরু করেছিল কিন্তু নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে ধীরে ধীরে সব্জির দাম নীচের দিকে নামতে শুরু করে । বাজারে আসতে শুরু করেছে ফুলকপি থেকে শুরু করে বাঁধাকপি ,মুলা সহ একাধিক নানা সব্জি। বর্তমানে সাধ্যের মধ্যেই ক্রেতারা পুনরায় তাদের পছন্দের শীতকালীন সব্জি বাজার থেকে ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন। এই নিয়ে এক সব্জি বিক্রেতা জানান , আরো যত সামনের দিকে এগিয়ে আসবে শীতের মৌরসুম তত দাম আরো কমতে থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। শীতকালীন সব্জি প্রচুর পরিমাণে উদয়পুর বাজারে আসার কারণে স্বস্তি পেয়েছে ক্রেতারা। এমনটি মনে করছে কৃষক মহল ।