55
- দক্ষিণের বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগর ব্লক একপ্রকার গাঁজা চাষে রমরমা হয়ে উঠেছে। খাস হোক সংরক্ষিত বনভুমি হোক আর জোত ভুমি হোক মানুষ এখন গাঁজা চাষের দিকে বেশি ধাবিত হয়ে উঠেছে। অর্থের মুনাফার লোভে কৃষি ফলন ছেড়ে দিয়ে চাষ করছে গাঁজা। রাম সরকার কৃষির উন্নয়ন সহ কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করলেও কৃষি উৎপাদনে ততটা উৎসাহিত করতে পারছে না, যতটা গাঁজা চাষে উৎসাহ দেখাচ্ছে। যার ফলে গাঁজা গাছে ছেয়ে আছে দক্ষিণের রাজনগর । সুত্রের খবর, এই গাঁজা চাষে শাসক দলের চুনোপুটি নেতা থেকে শুরু করে কিছু বড়ো মাপের নেতারাও জড়িয়ে পরেছে । পুলিশ প্রশাসন বার বার অভিযান চালিয়ে গাঁজা বাগান ধ্বংস করে শেষ করতে পারছে না। আবারো রাজনগর পিআর বাড়ি থানার অন্তর্গত মোনাই পাথর, হেতালিয়া, ওয়াংচেড়া ও কমলাকান্ত পাড়াতে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করলো গাঁজা বাগান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার ভোর চারটা থেকে বিলোনিয়া মহাকুমার পুলিশ আধিকারিক অভিজিৎ দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশ, সিআরপিএফ, আবগারী বিভাগ ও ৪৩ নং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সহ বনদপ্তরের কর্মীরা। এই যৌথ অভিযানে ছিলেন রাজনগর পিআর বাড়ি থানার ওসি রতন রবি দাস , এসি সিআরপিএফ শ্যামলাল মিনা , ইন্সপেক্টর ৪৩ নং বিএসএফ দর্শন সিং, আবগারি বিভাগের ইন্সপেক্টর রাকেশ সিং, তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের সহকারী বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন সুকান্ত সরকার সহ অন্যান্য পুলিশ অফিসার। অভিযানের পর মোনাই পাথর, হেতালিয়া, ওয়াংচেড়া ও কমলাকান্ত পাড়ার গভীর জঙ্গলে সাত একর সংরক্ষিত বনভূমিতে দেখা যায় গাঁজা বাগান। চৌদ্দটি কাভারিং প্লটে ৪৮ হাজার পরিপক্ক গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হয়। এই অভিযান শেষ হয় সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ। পুলিশ গাঁজা বাগানের মালিকের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে। এই ধরনের অভিযান আগামী দিনেও জারি থাকবে বলে জানান রাজনগর পিআর বাড়ি থানার ওসি রতন রবি দাস।