নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে দল বদলের পালাও সম তালে এগিয়ে যাচ্ছে।বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রায় প্রতিদিনই যোগদান সভা,করে চলেছে। বুধবার তিপ্রামথার এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৭ কল্যানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের রতিয়া সংলগ্ন তুইসারংচাক্কামি পাড়া এলাকায়। উক্ত যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন তিপ্রামথা দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অনিমেশ দেববর্মা, ই এম কমাল কলই, তিপ্রামথা দলের রাজ্য নেতৃত্ব মনিহার দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। এদিনের এই যোগদান সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে ৪২ পরিবারের ১৪২ ভোটার তিপ্রামথা দলে সামিল হয় বলে জানান উপস্থিত নেতৃত্বরা। দল ত্যাগীদের হাতে মথা দলের দলিয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে বরন করে নেয় নেতৃত্বর।
admin
চন্ডীপুর বিধানসভায় যুবমোরচার বুথ সভাপতিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে যেভাবে যুব মোর্চার সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য,সেই লক্ষ্যেই ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে যুব মোর্চার সংগঠনকে আরো সক্রিয় এবং সতেজ করার জন্য মাঠে নেমেছেন প্রদেশ নেতৃত্ব।যুব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি সরকার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া খুব বেশি একটা কঠিন কাজ হবে না।সেই লক্ষ্য নিয়েই আজ চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের যুব মোর্চার ৫৩ জন বুথ সভাপতি কে নিয়ে সাংগঠনিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শ্রীরামপুর স্বামী বিবেকানন্দ হলে।এই গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবমোরচা প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক রানা ঘোষ,চন্ডিপুর যুব মোর্চা মন্ডল সভাপতি তথা আজকের সংগঠনিক বৈঠকের আহ্বায়ক অমিও দাস,যুব মোর্চা জেলা সভাপতি অরূপ ধর,মন্ডল সভাপতি শ্যাম কুমার সিনহা ও রাজ্য কমিটির সদস্য রঞ্জন সিংহ এবং বিমল কর।সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিজেপিকে পরাজয় স্বীকার করে নিতে হয়েছিল ২০১৮ সালে। যেখানে এ রাজ্যের বাম সরকারের একটানা কুড়ি বছরের মন্ত্রী এবং প্রার্থী তপন চক্রবর্তীকে নাকানি চুবানি খেতে হয়েছিল বিজেপির সাথে লড়াই করতে গিয়ে। বলা যায়,কানের পাশ দিয়ে গুলি লাগতে লাগতেও লাগেনি।কেননা যেখানে তপনবাবু প্রায় সাড়ে সাত হাজার ভোটে জয়ী হতেন কংগ্রেসকে হারিয়ে,সেই জায়গাতে ২০১৮ সালে মাত্র সাড়ে চারশ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন নিকটতম বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে।সেই সময় দলীয় সংগঠন যুব মোর্চাকে ভিত্তি করেই ছিল। অনুরুপভাবেই আগামী ২০২৩ এর নির্বাচনেও যুব মোর্চার কাঁধে সমস্ত দায়িত্ব সঁপে দিয়ে প্রদেশ নেতৃত্ব দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন।জানা গেছে আজকের এই সাংগঠনিক বৈঠক থেকে আওয়াজ উঠেছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে চন্ডিপুর বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়ককে বিধানসভা পাঠানোর জন্য।
রাজ্য সরকার ও বিশালগড় ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে ওঠা কমলাসাগর বিধানসভায় রাস্তারমাতা মার্কেট কমপ্লেক্স, মধুপুর প্রাথমিক হাসপাতালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে গড়ে ওঠা নবনির্মিত ভবন, কোনাবন পশ্চিম উচ্চ বিদ্যালয় গড়ে ওঠা সাইন্স ল্যাবরটি, আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা বিশালগড় ব্লক চেয়ারপারসন ছন্দা দেববর্মা হাত ধরে শুভদার উদ্ঘাটন হতে যাচ্ছে । কমলাসাগর বিধানসভা ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার কমপ্লেক্স, হসপিটাল, স্কুল সাইন্স লেবারিটি জনগণের স্বপ্নের তরী রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় বাস্তবের রূপ ধারণ করতে আর কিছু সময় বাকি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরে বাজার কমপ্লেক্স ও মধুপুর হাসপাতালে নবনির্বত ভবন উদ্বোধন সেরে কোনাবন স্কুল মাঠে জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখবেন। পরবর্তী সময়ে সকল প্রকার বেনিফিসারি দের সঙ্গে বার্তালাপ সেরে, প্রতিঘর সুশাসন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। পরবর্তী সময়ে রামকৃষ্ণ মঠে মধ্যঙ্গ ভোজন সেরে কমলাসাগর বিধানসভার ত্যাগ করবেন। বৃহস্পতিবার দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে সকল প্রকার খতিয়ে দেখতে বিশালগড় এস ডি এম বিনয় ভূষন দাস ও ব্লক প্রশাসন এবং সিপাহীজলা জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক সহ বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব গন উপস্থিত ছিলেন। তবে রাজ্য সরকার ও ব্লক প্রশাসনের প্রচেষ্টা রাজ্যের সাথে কমলাসাগর বিধানসভায় উন্নয়নের ছোঁয়ায় অলঙ্কিত করেছেন তা বলা বাহল্য।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ডায়নামিক বিধায়ক সুধাংশু দাসের হাত ধরে ফটিকরায় বিধানসভায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত।এমন কিছু কাজ যা একটানা দীর্ঘ বছরের সরকার করতে পারেনি শুধুমাত্র সদিচ্ছার অভাবে।আজ সেই কাজ গুলো অনায়াসে হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র মানসিকতা পরিবর্তনের ফলে।
ফটিকরায় বিধানসভার অন্তর্গত পূর্ব রাতাছড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ডে (কালাপানি পাড়া) দীর্ঘ ২৫ বছরের বঞ্চিত কাঁচা রাস্তাটি বিধায়ক সুধাংশু দাসের উদ্যোগে এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের প্রচেষ্টায় আরসিসি রাস্তায় রূপান্তরিত হচ্ছে।যারফলে খুশী প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নাগরিকরা।
ত্রিপুরা যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর এর উদ্যোগে বুধবার তেলিয়ামুড়া টাউন হলে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে খেলো ত্রিপুরা সুস্থ ত্রিপুরা নামক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।পুর পরিষদ এর অন্তর্গত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আলোচনা সভার প্রদীপ প্রজ্বলন করে শুভ সূচনা করেন তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদ চেয়ারম্যান রূপক সরকার।উপস্থিত ছিলেন পুর ভাইস চেয়ারম্যান মধু সুধন রায়,বিশিষ্ট শিক্ষা বিদ হরেন্দ্র দেব,মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক সিদ্ধার্থ শংকর পাল জেলা যুব আধিকারিক ধরণী দাস প্রমুখ রা।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক দপ্তরের মহকুমা আধিকারিক ধরণী দাস।
আলোচনা রাখতে গিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিধ হরেন্দ্র দেব বর্তমানে নেশার করাল গ্রাসে কিভাবে যুব ছাত্র সমাজ জড়িয়ে যাচ্ছেন, তা বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করেন এবং এর থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসতে হবে এই বিষয়ে আলোকপাত করেন।
উদ্বোধকের বক্তব্যে রাখতে গিয়ে পৌর পিতা রূপক সরকার বলেন নেশার কবল থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে সরকার প্রশাসন নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে, চেষ্টা হচ্ছে কিভাবে যুব সমাজকে এই নেশার করাল গ্রাস থেকে সরিয়ে রাখা যায়, এর জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান খেলাধুলা সেমিনার করছে দপ্তর। শুধু এই নয় নেশা থেকে সমাজকে মুক্ত করতে সকলকে এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান রাখেন।
অনুষ্ঠানে নাচ গান ও সচেতনতা মূলক একটি নাটক পরিবেশন করা হয়।
বলা বাহুল্য যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর থেকে নেশার বিরুদ্ধে তেলিয়ামুড়ার বিভিন্ন এলাকায় সচেতন করতে পথনাটক করা হচ্ছে। পথ নাটকগুলি দেখতে স্থানীয় মানুষের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আজ ২৩ শে নভেম্বর ২০২২ ইং উত্তর ত্রিপুরা যুব বিষয়ক ক্রিয়া দপ্তরের উদ্যোগে ও যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় খেলো ত্রিপুরা সুস্থ ত্রিপুরা অঙ্গ হিসাবে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা মূলক কর্মসূচি পালন করা হয়,
যুবরাজনগর ব্লকের অন্তর্গত হাফলং স্কুলের মাঠে ও ফলং বাজারে। উক্ত নেশা মুক্ত ত্রিপুরা সচেতনতামূলক অভিযানে শুভ সূচনা করেন ত্রিপুরা বিধানসভা মাননীয় সদস্য শ্রদ্ধেয়া শ্রী মলিনা দেবনাথ মহোদয় উপস্থিত ছিলেন যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান শ্রদ্ধেয় শ্রী মহানন্দা দেবনাথ মহাশয় এবং উত্তর ত্রিপুরা বিদ্যালয় ক্রিয়া পরশদের যুগ্ম সম্পাদক শ্রী শিবপ্রসাদ দাস মহাশয় তাছাড়াও রিসোর্স পারসন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ডক্টর অলক কুমার ধর এবং ধর্মনগর পুলিশ প্রশাসন এর পক্ষ থেকে ইন্সপেক্টর যে হালদার মহাশয়। এতে পুরুষ বিভাগে কবাডি খেলায় মোট ছয়টি দল অংশগ্রহণ করে এবং মহিলা বিভাগে কবাডি খেলায় মোট তিনটি দল অংশগ্রহণ করে দড়ি টানাটানি খেলায় মোট আটটি ছেলেদের দল অংশগ্রহণ করে এবং মোট পাঁচটি মেয়েদের দল অংশগ্রহণ করে তাছাড়াও নেশা মুক্ত ত্রিপুরা সামনে রেখে দুটি নাটকের দলদল অংশগ্রহণ করে এবং লোকনৃত্য প্রতিযোগিতায় ছয়টি দল এবং লোকসঙ্গীতে চারটি দল অংশগ্রহণ করে এই সচেতনামূলক কর্মসূচিতে স্থানীয় এলাকার প্রায় ৩০০ লোক উপস্থিত হন।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-নতুন সরকার আসার পর দীর্ঘদিনের চাপা পড়ে থাকা বহু প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসছে প্রচারের আলোয়।কুমারঘাটের প্রতিভাবান কিকবক্সার এ রাজ্যের গর্ব। আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খেতাব অর্জনকারী প্রতিষ্ঠিত সুজিত শীল কে আগামীদিনে এশিয়ান কিকবক্সিং প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করার জন্য ফি বাবদ ত্রিপুরা সরকারের প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান দাস মাসিক বেতন ভাতা থেকে ১২,৫০০০/-টাকা তুলে দেন।মেধাবী এই খেলোয়াড়ের আগামী দিনের জন্য শুভকামনা ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেছেন মন্ত্রী ভগবান দাস।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটায় ত্রিপুরা সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের খেলো ত্রিপুরা , সুস্থ ত্রিপুরা ও নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে বিশেষ সচেতনতা অভিযান অনুষ্ঠিত হয় উদয়পুর টাউন হলে । প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন উদয়পুর পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন , যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের গোমতী জেলার সহ অধিকর্তা ভারতী নিগম , বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রবীর দাস , এসডিএমও নূপুর দেববর্মা ও ভাইস চেয়ারম্যান অনুপম চৌধুরী সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ । এদিনের অনুষ্ঠানে সকল বক্তারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , বর্তমান সমাজে এক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে নেশা । স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে ছোট , বড় ও মাঝারি বয়সের মানুষ নেশার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে । এর ফলে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে সমাজ অন্যদিকে ধ্বংস হচ্ছে বহু পরিবার । সেই সাথে এইডস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে রাজ্যের মানুষ । এর ফলে বর্তমান ছাত্র সমাজে এর প্রতিক্রিয়া ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে । এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে খেলো ত্রিপুরা ও সুস্থ ত্রিপুরা করার ডাক দেওয়া হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর এই ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবক মহলও এই সকল অনুষ্ঠানে বেশি করে যোগ দিয়ে এই সকল আলোচনা সভা গুলিকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলছে । এদিন আলোচনা সভা শেষে খেলো ত্রিপুরা ও সুস্থ ত্রিপুরা এই স্লোগানকে সামনে রেখে উদয়পুর টাউন হলের সামনে থেকে এক মিছিল বের হয় উদয়পুর শহরের বুকে । মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পদ পরিক্রমা করে পুনরায় জামতলা টাউন হলে সামনে এসে সমাপ্তি হয় । গোটা অনুষ্ঠান ও মিছিল কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয় ।
ফের যান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক ৬০ উর্ধ বৃদ্ধ সহ দুই , আহত বৃদ্ধের নাম অর্জুন পাল চৌধুরী (৬২) ঘটনা খোয়াই থানার অন্তর্গত চেবরী এলাকায় ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১ টা নাগাদ অর্জুন পাল চৌধুরী ওনার প্রয়োজনীয় বাজার সামগ্রী ক্রয় করে ওনার নিজ বাড়ী চেবরী শচিন্দ্র নগর কলোনী এলাকায় যাবার পথে, চেবরী পুরাতন গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে এসে পৌঁছলে অপরদিক থেকে আসা একটি বাইক দ্রুত গতিতে এসে অর্জুন পাল চৌধুরীকে সজোড়ে ধাক্কা দেয়, এতেই রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যায় অর্জুন পাল চৌধুরী সহ বাইক চালক জাস্টিন দেববর্মা (১৬) এবং বাইক আরোহী পিপাশা দেববর্মা (১৫) তাদের বাড়ী খোয়াই মহকুমা মোদীবাড়ী এলাকায় । পরবর্তী সময় বিষয়টি স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের নজরে আসলে,খবর দেওয়া হয় খোয়াই দমকল কর্মীদের, অন্যদিকে অর্জুন পাল চৌধুরীর ডান হাত বেঙে যাওয়ায় এবং অবস্থা গুরুতর হওয়ায়,একটি অটো গাড়ী করে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা । খোয়াই জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্জুন পাল চৌধুরীর হাত বেন্ডেজ করে এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলার জিবি হাসপাতালে স্থানন্তরিত করে দেয়। অন্যদিকে খোয়াই দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহত জাস্টিন দেববর্মা ও পিপাসা দেববর্মাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর বাইক চালক জাস্টিন দেববর্মা ও পিপাসা দেববর্মা উভয়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকতে ঘটেছে এই বিপত্তি । তবে অধিকাংশ মহলের দাবী খোয়াই ট্রাফিক পুলিশের উদাসীন মনোভাব এবং খামখেয়ালীপনার দরুন প্রতিনিয়ত ঘটছে এই যান দুর্ঘটনা খোয়াই শহরের মধ্যে একাধিক বাইক হেলমেট বিহীন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া প্রতিনিয়ত ঘুড়ে বেড়ালেও কোন হেলদুল নেই ট্রাফিক কর্তাবাবুদের । তবে এর পরও যদি ট্রাফিক কর্তাবাবুদের ঘুম না ভাঙে তবে আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলবে এবং আরও বড় ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকতে পারে খোয়াই বাসী এমনটাই অভিমত একাংশ মহলের
আসন্ন ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের সামনে রেখে প্রতিদিন ৩১ রাধা কিশোরপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস বুথ সভা , উঠান সভা থেকে শুরু করে ছোট আকারে দলীয় সভা ও সেরে নিচ্ছে । মঙ্গলবার অর্কেপুর মণ্ডল যুব মোর্চা উদ্যোগে রাজারবাগ ৪০ নং বুথে যুব মোর্চার কর্মী রূপন ঘোষের বাড়িতে উঠোন সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস , মন্ডল যুব মোর্চার সভাপতি রাকেশ শীল , যুব মোর্চা সাধারন সম্পাদক রতন ঘোষ ও বুথ সভাপতি বাবুল চক্রবর্তী সহ আরো অনেকে । এদিন উঠোন সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস বলেন , আগামী বছর ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এই রাজ্যের বুকে। রাজ্য সরকারের উন্নয়ন ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে সামনে রেখে প্রচারের আলোতে ঝড় তুলতে হবে । সেই সাথে প্রতিটি এলাকার নাগরিকের বাড়িতে গিয়ে জনসম্পর্ক অভিযান গড়ে তুলতে হবে এলাকার নেতৃত্বদেরকে । সেই সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ স্থাপন করে চলতে হবে । উদয়পুর পৌর পরিষদ এলাকা যে সকল উন্নয়ন তথা রাস্তাঘাট, পানীয় জল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা , এছাড়া শহরে উন্নয়নে যে সকল প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে সে সকল উন্নয়নের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি বিরোধীদের বিভিন্ন চক্রান্ত ভেস্তে দিতে হবে । এদিনের এই সভায় মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস আরো বলেন , ২০২৩ বিজেপিকে এই ৪০ নং বুথ থেকে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য যুব মোর্চার কর্মীদেরকে আরো বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে তিনি বার্তা দেন । এদিনের উঠান সভায় যুব মোর্চার কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো ।