47
- প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও মকড় সংক্রান্তির দিনে দুই দুন ব্যাপী পৌষ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্ভোদন হয় সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ চাকমাঘাটস্থিত ব্যারেজ প্রাংগনে। মেলার উদ্ভোদন করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলার জেলা সভাধিপতি অপর্না সিংহরায়, সহ সভাধিপতি সত্যেন্দ্র দাস, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপা দেব , মুংগিয়াকামি এবং তেলিয়ামুড়া ব্লকের বি এ সি চেয়ারম্যান সুনিল দেববর্মা , খোয়াই জেলার জেলা শাসক চান্দনি চন্দ্রন, তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক পরিমল মজুমদার সহ অন্যান্যরা। মেলার উদ্বোধন করে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সনাতন পরম্পরা সামাজিক ব্যবস্থাকে ধরে রাখবে। সনাতন ধর্মের অন্যতম উৎসব হলো মকর সংক্রান্তি উৎসব। মকর সংক্রান্তি উৎসব সারা ভারতবর্ষে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পালন করা হয়। ভারত বর্ষ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের রূপ দেখা যায়। আসামে বিহু, দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গল, হরিয়ানা দিল্লি রাজস্থানে লরি হিসেবে এই দিনটিকে পালন করা হয়। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,১৯৯৮ সাল থেকে তৎকালীন এম.ডি.সি হরিমোহন দেববর্মার হাত ধরে চাকমা ঘাটের খোয়াই নদীর ব্যারেজ প্রাঙ্গণে মকড় সংক্রান্তির দিনে প্রথম পৌষ মেলা শ্রুরু হয়েছিল। জাতি উপজাতির মৈত্রী’কে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা। সেই সময়ে সারা রাজ্যেই সন্ত্রাসবাদীদের আতঙ্কে আতঙ্কিত ছিল সারা রাজ্য। তখন সারা রাজ্যের মধ্যে পৌষমেলা মূলত ডুম্বুরে ঘটা করে অনুষ্ঠিত হতো। সেই সময়ে পরিস্থিতি এবং সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখেই ডুম্বুরে অতিরিক্ত সমাগম রোধ করতেই চাকমা ঘাট বেরেজ প্রাঙ্গনে পৌষমেলার শুরু হয়েছিল। । সেই থেকেই প্রতি বছর বেশ সাড়া জাগিয়ে চলে দুই দিন ব্যপী এই পৌষ মেলা। সারারাত ব্যাপী জনঢল থাকে এই মেলায় প্রতিবছরই। তত্ত্ব সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সারা রাত্র ব্যাপি চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে মেলায় স্টল খোলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূর্ণর্থীরা মধ্য রাত্র থেকে পূর্বপুরুষদের স্মরণে পূজা অর্চনা করে থাকে। অস্থি বিসর্জনের কাজ অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে এখানে করা হয়ে থাকে। সন্ধ্যা রাত থেকেই প্রচুর পূর্ণর্থী এখানে সমাগম ঘটেছে।