সংবাদ প্রতিনিধি খোয়াই। কয়েক মাস বাদেই ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে চষে বেড়াচ্ছেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য । শুক্রবার খোয়াই জেলার দুটি বিধানসভা কেন্দ্র ঝটিকা সফর করেন প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য এবং ২৪ রামচন্দ্র ঘাট ও ২৬ আশারাম বাড়ি মন্ডলের কার্যকর্তাদের নিয়ে এক সাংগঠনিক বৈঠকে মিলিত হন। এই দিন বেলা বারোটায় বাচাইবাড়ী স্থিত কমিউনিটি হলে সাংগঠনিক বৈঠক শুরু হয়, আশারাম বাড়ি মন্ডলের সভাপতি প্রদীপ দেববর্মার সভাপতিত্বে। বুথ সভাপতি, শক্তি কেন্দ্রের প্রমুখ এবং মন্ডল কমিটি সহ মন্ডলের বিভিন্ন মোর্চার সদস্য সদস্যা গন এই বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন। বৈঠকে নেতৃবৃন্দরা ঐক্যবদ্ধ লড়াই করার আহ্বান জানান। রামচন্দ্র ঘাট মন্ডলের অনুরূপ ভাবে সভা অনুষ্ঠিত হয় রামচন্দ্র ঘাট কমিউনিটি হলে বেলা চারটায়, উক্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিজেপি মন্ডল সভাপতি সঞ্জীব দেববর্মা। আশারাম বাড়ি ও রামচন্দ্র ঘাট মন্ডলের দুটি সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত, প্রদেশ কমিটির সহসভানেত্রী উত্তরা দেববর্মা, বিজেপি খোয়াই জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই টি আসনে বিজেপি সহযোগী দল আইপিএফ টির প্রার্থী ছিল এবং তারা এই দুটি আসন থেকে জয় লাভ করে। এবার কর্মীদের দাবি দুই আসনেই বিজেপি প্রার্থী চাই । নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রদেশ সভাপতির ঝাঁটিকা এই সাংগঠনিক বৈঠকে কর্মীদের মনোবল বেশ তুঙ্গে এবং এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও চলছে জোর জল্পনা ।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৩ ডিসেম্বর।। শিয়রে ভোট। ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বিজেপির সবগুলি মোর্চা। এরমধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ওবিসি মোর্চার কার্যকর্তারা বিজয়ের সংকল্প নিয়ে কোমর বেঁধেছে। সিপাহীজলা (উত্তর) জেলার পাঁচটি মন্ডলে প্রতিটি বুথে মজবুত সংগঠন রয়েছে ওবিসি মোর্চার। ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষকে আরো বেশি সংগঠিত করে উন্নয়ন বিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করে রাজ্যের উন্নয়ন তরান্বিত করার পথ সুগম করার জন্য মাঠে নেমেছে ওবিসি মোর্চা। শুরু হয়েছে জেলা মন্ডল বুথ স্তরে প্রস্তুতি বৈঠক। শুক্রবার
ওবিসি মোর্চার সিপাহীজলা (উত্তর) জেলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বিকালে বিজেপির নবনির্মিত জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, ওবিসি মোর্চার প্রদেশ সহসভাপতি উত্তম দেবনাথ, ওবিসি মোর্চার জেলা সহসভাপতি মধুসূদন দেবনাথ, পরিমল রায়, নারায়ণ দেবনাথ, মানিক দেবনাথ সহ জেলা কমিটির সকল সদস্য, জেলার পাঁচটি মন্ডলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক। আগামী ২৭ শে ডিসেম্বর আগরতলায় ওবিসি সম্প্রদায়ের স্বউদ্যোগী, প্রতিষ্ঠিত নাগরিকদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ৪ জানুয়ারি হবে ওবিসি মোর্চার রাজ্য ভিত্তিক প্রকাশ্য সমাবেশ। এই কর্মসূচি গুলো সফল করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওবিসি মোর্চার প্রদেশ সহসভাপতি উত্তম দেবনাথ বলেন দ্বিতীয় দফায় বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা করতে ওবিসি মোর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জেলার চারটি মন্ডলে ১০ থেকে ২০ হাজার ওবিসি সম্প্রদায়ের ভোটার রয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক বলেন বিগত সরকার ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষকে শুধু শোষণ করেছে। চাঁদার জুলুম সইতে হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ সবকা বিকাশ নীতির কারণে সকল অংশের নাগরিকদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটছে। সেই উন্নয়নের গতিধারা বজায় রাখতে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করতে সবাইকে সংঘবদ্ধ ভাবে মাঠে নামতে হবে ।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে গোটা রাজ্য জুড়ে শাসকদলের সন্ত্রাস ততই বেড়ে চলছে।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে গোটা রাজ্য জুড়ে শাসকদলের সন্ত্রাস ততই বেড়ে চলছে। বুধবার রাইমাভ্যালীতে এমনই একটি ঘটনা ঘটে। এদিন গভীর রাতে বিজেপি দলের দুষ্কৃতিকারীরা গন্ডাছড়া বাজারে কংগ্রেস ভবনে হামলা চালায়। শাসকদলের কর্মীরা কংগ্রেস ভবনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে একপ্রকার তাণ্ডব লীলা চালায়। অথচ পুলিশ বাজারে পাহারায় ছিল। পুলিশের নজর এড়িয়ে কিভাবে এত বড় হামলা সংগঠিত করতে পেরেছে দুষ্কৃতিকারীরা তাহা বোধগম্য হচ্ছে না ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজনের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেস ভবনে হামলার খবর পেয়ে ভবনে ছুটে যান রাইমাভ্যালী ব্লক কংগ্রেস সভাপতি রঞ্জিত ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি গৌতম সাহা, ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি বাদল সরকার প্রমুখরা । ঘটনার বিবরণ দিয়ে ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি বাদল সরকার জানান বুধবার কংগ্রেস ভবনে তাদের একটা দলীয় বৈঠক ছিল। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় অল্প কিছু দিনের মধ্যে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের হাত ধরে প্রায় ১৫০ পরিবার বিজেপি দল ত্যাগ করে কংগ্রেস দলে যোগদান করবে। এ খবর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হতেই বিজেপি কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। আর এই কারণেই বিজেপি দলের গুন্ডারা কংগ্রেস ভবনে হামলা চালায় বলে যুব কংগ্রেস সভাপতি বাদল সরকার জানান।
-রাজ্যে পুনরায় ডবল ইঞ্জিনের সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারতীয় যুব মোর্চা
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-রাজ্যে পুনরায় ডবল ইঞ্জিনের সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারতীয় যুব মোর্চা।ইতি মধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় নেতা তেজস্বী সূর্য। আর তার আসাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় জনতা পার্টির যুব নেতৃত্বদের মধ্যে এক বাড়তি উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজধানী আগরতলার পর যুব বিধায়ক শুধাংশু দাসে’র ফটিকরায় নির্বাচনী কেন্দ্রে ঝড়ো প্রচারে তেজস্বী সূর্য। রাজ্যের ভোটের আবহে রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তিকে শেষ বারের মতো ঝালিয়ে নিতেই আগরতলায় রাজ্যের অতিথিশালায় এক বৈঠকের পর আজ ঊনকোটি জেলার ফটিকরায় সফরে আসেন তেজস্বী সূর্য। আসন্ন রাজ্য ভোটে বিরোধী দলের যুব বাহিনীকে কড়া টক্কর দিতেই উনার এই রাজনৈতিক সফর বলে জানা যায়।আর সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই উনার ঊনকোটি জেলা সফর। উনার ঊনকোটি জেলা সফরে আজ ফটিকরায়ে উনার সফর সঙ্গী হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা,শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়,রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ভগবান দাস,বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য,বিধায়ক সুধাংশু দাস,যুব মোর্চা রাজ্য সভাপতি নবাদল বনিক ও সহ-সভাপতি রানা ঘোষ,যুব মোর্চা জেলা সভাপতি অরুপ ধর ছাড়াও আরো অনেকে।মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা উনার ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর ত্রিপুরা নিয়ে যে স্বপ্ন তা জনসাধারণের সামনে তুলে ধরেন।এছাড়াও রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য তার বক্তব্যে বলেন সিপিআই(এম) এর ২৫ বছরের রাজত্বকালে কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি রাজ্যে আর সেই হিসেবে মাত্র ৫ বছরের সময়কালে অনেক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবী করেন।তিনি আরও বলেন বিজেপি সরকার অন্তিম ব্যাক্তির জন্য কাজ করতে দায়বদ্ধ।তাইতো যাদের মাথার উপর ছাদ ছিল না তাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর,পাকা শৌচালয়,ই-শ্রম কার্ড,সামাজিক ভাতায় অংশীদারিত্ব,বিভিন্ন যোজনার মাধ্যমে সরকারী সাহায্য থেকে শুরু করে সর্ব স্তরের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে বিজেপি সরকার।এই সভা একটা সময় জনজোয়ারে পরিনত হয়ে যায় যুব মোর্চার উচ্ছ্বাসে।
সানি সাহা প্রায় এককদম বাড়িয়ে রেখেছে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে টিকিট পাওয়ার জন্য
বিশেষ সংবাদ :-
২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর । কিন্তু এখন থেকে শাসকদল বিজেপির মধ্যে একটি অংশ উঠে পড়ে লেগেছে কিভাবে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট । সূত্রের খবর ইতিমধ্যে বিজেপির গোমতী জেলার সাধারণ সম্পাদক সানি সাহা প্রায় এককদম বাড়িয়ে রেখেছে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে টিকিট পাওয়ার জন্য । দলীয় সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে । গতকাল চন্দ্রপুরে যুব মোর্চার এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয় । সেখানেও সানি সাহা তার ভাব ভঙ্গিমায় অনেকটা নেতা টাইপের মনে হয়েছে একাংশের কাছে । বিভিন্ন মহলে দাবী করছে আগামী টিকিট পেতে পারে সে । এখন দেখার বিষয় দল কি ভাবছে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের টিকিট নিয়ে । সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সানি সাহা ।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে জগদীপ ধনখড় প্রথম দিনই বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আজ কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে সনিয়া গান্ধী অভিযোগ তুললেন, হিসেব কষে বিচারবিভাগের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে সাংবিধানিক পদে আসীন এক জন ব্যক্তিকে বিচারবিভাগকে নিশানা করার জন্য মাঠে নামানো হয়েছে।সনিয়া কারও সরাসরি নাম না করলেও রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, তিনি আসলে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন। কারণ, সংসদের চলতি অধিবেশনের প্রথম দিনেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসনে বসে ধনখড় বলেছিলেন, বিচারপতি নিয়োগের নতুন ব্যবস্থা তৈরিতে লোকসভা ও রাজ্যসভায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিচারবিভাগীয় কমিশন বিল পাশ হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। সংসদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস ও মানুষের রায়কে অস্বীকার করার এ এক জ্বলন্ত উদাহরণ। তার আগে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সামনেও কলেজিয়াম ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও সম্প্রতি নতুন করে সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা, বিচারপতিদের হাতেই বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ছেন।
বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে কদমতলা টাউন হলে মহিলা মোর্চার এক সভা অনুষ্ঠিত হয়
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
উত্তর ত্রিপুরা জেলা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে কদমতলা টাউন হলে মহিলা মোর্চার এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার দুপুর একটায় অনুষ্ঠিত মহিলা মোর্চার এই সভায় জনঢল লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ বিজেপি দল তার বিভিন্ন মোর্চার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। আজও তার ব্যতিক্রম ছিল না। উক্ত মহিলা মোর্চার এই সভায় রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি শাহ আলম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও উত্তর জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি হানিফ উদ্দিন চৌধুরী,কদমতলা মন্ডল সভাপতি রাজা ধর এবং উত্তর জেলার প্রভারী তথা মহিলা মোর্চার নেত্রী বিলকিস জাহান উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত বক্তারা সিপিএম ও কংগ্রেসকে একেবারে তুলোধুনো করেন। তাদের বক্তব্য সিপিএম এবং কংগ্রেস ধর্মের নামে রাজনীতি করে বিজেপি থেকে মুসলিম সমাজকে পৃথক করে রেখেছে। সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি উচ্চস্বরে বলেন রাজ্যের একশো শতাংশ মুসলিম ভোটের মধ্যে আশি শতাংশ ভোটই বিজেপির ঝুলিতে যাবে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে। এদিকে আজকের এই হল সভায় শত শত সংখ্যালঘু মহিলাদের উপস্থিতিতে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির জয় নিশ্চিত বলেন বক্তারা। হল সভা শেষে কদমতলা বাজারে এক রেলির মাধ্যমে সভার সমাপ্ত হয়।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
ত্রিপুরা রাজ্যের ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার উদ্যোগে যুব বিজয় সংকল্প রেলি অনুষ্ঠিত হয় মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ময়দানে । এই সংকল্প রেলিতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সর্ব ভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য্য । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন , বিজেপির সাধারণ সম্পাদক টিঙ্কু রায় , রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি নবাদল বণিক, বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ, রঞ্জিত দাস , সুভাষ দাস ও জেলা যুব মোর্চা সভাপতি সহ আরো অনেকে । রেলিতে স্বাগত ভাষণ রাখেন , গোমতী জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুকান্ত সাহা । এদিনের যুব বিজয় সংকল্প রেলিতে ভাষণ রাখতে গিয়ে সর্বভারতীয় যুব মোর্চা সভাপতি তেজস্বী সূর্য্য বলেন , আগামী ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যুব মোর্চার কর্মীরা যতবার নির্বাচনী প্রচারে ডাক দেবে আসার জন্য। সেই এক ডাকে এই রাজ্যের বুকে যুব মোর্চার কর্মীদের পাশে থাকার জন্য এবং প্রচারে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রতিটা সময় ছুটে আসবেন । এছাড়া তিনি বলেন এই বিগত দিনে এই রাজ্যের বুকে বহু ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনার ক্ষেত্রে অথবা কর্মসংস্থান খোঁজার জন্য ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে সেখানে নিজের ভবিষ্যৎ তৈরি করার জন্য দিনের পর দিন ওই জায়গায় বসবাস করে কাজকর্ম করছেও এবং একই সাথে পড়াশোনা চালাচ্ছে। কিছুই রাজ্যে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তনের পর যুবক শ্রেণীদের জন্য বর্তমান রাজ্য সরকার কর্মসংস্থানের এক নতুন দিশা নিয়ে এসেছে । তিনি আরো বলেন বিগত ২৫ বছরের বাম শাসনে এই রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা সেরকমভাবে উন্নত ছিল না । প্রায়শই দেখা যেত ১৬ থেকে ১৭ ঘন্টা সড়কপথে যাতায়াত করে গৌহাটিতে গিয়ে রেল স্টেশনে পৌঁছাতে হতো ত্রিপুরা রাজ্যের সাধারণ মানুষকে । কিন্তু কেন্দ্রে মোদি সরকার আসার পর এই রাজ্যের বুকে ব্রডগেজ রেললাইন তৈরি করা হয়েছে । জাতীয় সড়ক ইতিমধ্যেই বেশ অনেকগুলি তৈরি করেছে বর্তমান সরকার । তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিনের সরকার থাকার কারণে । এদিন সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি তার ভাষণের মধ্য দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল সিপিআইএমকে তীব্র আক্রমণ শানান । যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যুব মোর্চা এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং দ্বিতীয়বারের জন্য ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের মুখ্য ভূমিকা প্রতিটা বিধানসভায় নিজ দায়িত্বে পালন করবে যুব মোর্চার কর্মীরা। সেই সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে? দ্বিতীয়বার সরকার আসার বিষয়ে নিশ্চিত করবে যুব মোর্চার পক্ষ থেকে । একই সাথে রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে কংগ্রেস বিধায়ক কে তীব্র আক্রমণের নিশানায় নেয় । এই নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা কটাক্ষের সুরে কংগ্রেস বিধায়ককে ফেরিওয়ালার সাথে তুলনা করে তীব্র আক্রমণ । তিনি বলেন রাজ্যের বুকে গড়ে ওঠা আঞ্চলিক দলগুলি সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যাবে এই রাজ্যের বুক থেকে। শুধুমাত্র এক রাজনীতির ময়দানে রাজ্যের বুকে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রতিষ্ঠিত হবে আবার দ্বিতীয়বারের ক্ষমতা নিয়ে । একই সাথে তিনি সিপিআইএমকে তীব্র কটাক্ষ করে শুনে বলেন গত ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১৬ টি আসন পেয়েছিলো বামেরা । কিন্তু আগামী ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা শূন্য হয়ে যাবে গোটা রাজ্য জুড়ে । এদিন যুব মোর্চার পক্ষ থেকে সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতিকে তার নিজের মায়ের একটি ছবি সহ রাজ্যের উপজাতিদের নিজ হাতে তৈরি করা উপহার দেওয়া হয় যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য্যকে । যুব বিজয় সংকল্প রেলি কে কেন্দ্র করে যুব মোর্চার কর্মী থেকে শুরু করে মহিলা মোর্চার কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
দক্ষিণ তারানগরে যোগদান সভায় রাজ্যের সার্বিক বিকাশে সকলের সহযোগিতা চাইলেন মন্ত্রী
প্রতিনিধি মোহনপুর:-মোহনপুর বিধানসভা এলাকার দক্ষিণ তারনগরে ভারতীয় জনতা পার্টি উদ্যোগে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার। এই যোগদান সভাতে ১৬ পরিবারের ৫৬ জন ভোটার সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপি দলের যোগদান করেন। দলত্যাগীদের হাতে দলিয় পতাকা তুলে দিয়ে বিজেপি দলে বরণ করে নেন মোহনপুরের বিধায়ক তথা শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ।
২ নং মোহনপুর বিধানসভা এলাকায় আসছে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদিন দলত্যা সভা জারি রয়েছে।দক্ষিণ তারানগর এলাকায় যে সমস্ত মানুষ দীর্ঘদিন যাবত সিপিআইএম দলের সাথে যুক্ত ছিলেন উনারা বিজেপি আইপিএফটি সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে যোগদান করেছেন বলে জানালেন দল ত্যাগিরা।এইদিন এলাকার বিধায়ক তথা শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ যোগদান সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যারা এদিন যোগদান করেছেন উনারা নিজেদেরকে বিজেপি দলে নতুন ভাবার কোন কারণ নেই। কারণ বিজেপি দল সবাইকে নিয়ে সবাইকে সমান মর্যাদা দিয়ে কাজ করে। ফলে এলাকার এবং রাজ্যের উন্নয়নে সরকার যে সমস্ত উন্নয়নমুখী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করছে সেগুলো সবাই মিলে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান করেন তিনি।শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেন যেখানে পূর্বের সরকারের আমলে গোটা মোহনপুর বিধানসভা এলাকার ৫০০ থেকে ৭০০ সরকারি ঘর প্রদান করা হয়েছিল। সেই জায়গায় বর্তমানে ১২ হাজারেরও বেশি পাকা ঘর প্রদান করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ চলছে আগরতলা খোয়ায় জাতীয় সড়কে। ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে পানীয় জল। শিক্ষার ক্ষেত্রে আনা হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন মুখি পরিবর্তন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আগামী দিনে রাজ্যের সার্বিক বিকাশে সবার সহযোগিতা চাইলেন মন্ত্রী।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
বুধবার রাজ্যে আসছেন সর্বভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সুরিয়া । সকাল সাড়ে দশটায় আগরতলা বিমানবন্দরে তার বিমান অবতরণ করবে । গোটা বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় ভারতীয় জনতা পার্টি গোমতী জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুকান্ত সাহা এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন উদয়পুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে । সংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান , সকাল সাড়ে দশটায় ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সুরিয়া বিমানবন্দরে নামার পর তাকে স্বাগত জানানোর জন্য যুব মোর্চার হাজার বাইক রেলি করে আগরতলা রবীন্দ্রভবনের সামনে এক বিশাল মিছিলের মধ্য দিয়ে তাকে স্বাগত জানাবে । সেখানে রবীন্দ্রভবনের সামনে যুব মোর্চার সম্বোধন করবেন সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি । পরে রাজ্য কমিটির সাথে এক বৈঠকে বসবেন তিনি । পরবর্তী সময়ে দুপুর ২:৩০ মিনিট নাগাদ মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চন্দ্রপুর ময়দানে এক জনসভায় ভাষন রাখবেন তিনি । জনসভা শেষে বুধবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে সন্ধ্যা আরতিতে তিনি অংশগ্রহণ করবেন । পরবর্তী সময় গোমতীর জেলা যুব মোর্চার কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বদের সাথে এক বৈঠকে বসবেন স্বল্প সময়ের জন্য । এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে গোমতী জেলা যুব মোর্চা সভাপতি সুকান্ত সাহা আরো জানান বুধবারের জনসভায় দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী ত্রিপুরা ও সিপাহীজলা জেলা থেকে যুব মোর্চার কর্মীরা এক বড় মাত্রায় জনসভায় যোগ দেবে চন্দ্রপুর ময়দানে । তিনি আবেদন রাখেন যুব মোর্চার সকল কর্মীদেরকে সকলের যেন বুধবারের যুব মোর্চার জনসভায় অংশগ্রহণ করে । এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক সত্যজিৎ মজুমদার, গোমতি জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সানি সাহা সহ আরো অনেকে ।