প্রতিনিধি তেলিয়ামুড়া।৯ই ডিসেম্বর।
আবারো আসতেই হবে বিজেপি সরকার। রাজ্যের প্রত্যেকটি মানুষের উন্নয়নের জন্য দরকার বিজেপি সরকার। পেয়েছি জল। পেয়েছি রেশনে দুই টাকা কিলো চাল। ডাল।এমনকি চাপাতো আমরা এখন পাচ্ছি রেশনে। এ কথাগুলি অত্যন্ত হাসিমুখে বলছিলেন তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের পৌর পরিষদের পাচ নম্বর ওয়ার্ডের কল্পনা সূত্রধর। রাজ্যের অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রের মতো তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রেও ভারতীয় জনতা পার্টির ঘর ঘর বিজেপি কর্মসূচি চলছে। তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ৫৪টি বুথেই রোজই কোনো না কোনো পাড়ায় তেলিয়ামুড়া বিধায়িকা কল্যাণী রায়ের নেতৃত্বে মন্ডল নেতৃত্ব সহ শাখা সংগঠনের কার্যকর্তারা বাড়ি বাড়ি মানুষের সুবিধা অসুবিধা শুনছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের বিজেপি সরকারের নানান প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেন কিনা সেগুলিও জেনে নিচ্ছেন। আরো কি করা যায় সেই বিষয়গুলিও সাধারণ মানুষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুনছেন বিধায়িকা কল্যাণী রায়। সেরকমই কর্মসূচি আজ ছিল পৌরপরিষদ এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মনগর এলাকা।রাজ্য সরকারের ঘোষিত নানান প্রকল্পগুলি সুবিধা প্রতিটি বাড়িতেই পৌঁছে গেছে। কল্পনা সূত্র ধরের মতো অন্যান্য বাড়িতেও বিশেষ করে মহিলারা এগিয়ে এসে নিজে থেকেই বলছেন এত সহজে আমরা ঘর পাব তা আগে কোনদিন ভাবতেও পারিনি। ঘরে ঘরে আমরা জল পাবো তাও আগে ভাবতে পারিনি. রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের জন্যই আরো বেশি ভোটে বিজেপি সরকারকে পুন প্রতিষ্ঠা করার আশ্বস্ত করেন স্থানীয় নাগরিকরা। স্বভাবতই আজকের ঘর ঘর বিজেপি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এলাকার বিধায়িকার চোখে মুখে নিশ্চিন্তের ছাপ।তবে প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন যে সকল কাজগুলি এখনো করা সম্ভব হয়নি সেগুলি আগামী দিনে তেলিয়ামুড়া বাসির সহযোগিতায় সম্পূর্ণ করার। সকাল থেকে ঘর ঘর কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিকালে কার্যকর্তাদের বাড়িতেই চলে ভোজ। সেখানেই আগামী কালের ঘর ঘর বিজেপি কর্মসূচির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আজকের কর্মসূচিতে বিধায়িকা শ্রীমতি কল্যাণী রায় ছাড়াও তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের সহ চেয়ারম্যান মধুসূদন রায় পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিমল রক্ষিত সহ স্থানীয় কার্যকর্তারা অংশ নেন।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, আগরতলা, 8 ডিসেম্বরঃ রাজ্যের প্রতিটি মানুষ বিজেপি সরকারের কাজে সন্তুষ্ট। রাজ্যের প্রত্যেক মানুষের মুখে একটাই কথা ২০২৩-এ বিজেপিকেই চাই। এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে আজ নিজ বিধানসভা কেন্দ্র ১৪ বাধারঘাটের ৩৮নং বুথ-তে ঘরে ঘরে বিজেপি অভিযানে আসেন বিধায়িকা মিমি মজুমদার। তিনি ৩৮ বুথের প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবার সঙ্গে মত বিনিময় করেন এবং সঙ্গে ছিলেন দলীয কার্যকর্তারাও। ভাজপা সরকারের নেতৃত্বে বিগত সাড়ে চার বছরে সরকারের যে উন্নয়নমূলক ও বিকাশমূলক কাজের যে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়ে বিধায়িকা কার্যকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে জনসাধারণের বাড়ি বাড়ি অভিযানে যান এবং জনতার হাতে তুলে দেন রিপোর্ট কার্ড। বিধায়িকা মিমি মজুমদার করজোরে আহ্বান জানান যে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য। ঘর ঘর অভিযান কর্মসূচির সময়কালে বিধায়িকা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজের হাতে ভারতীয় জনতা পার্টির স্টিকার ওয়ালে লাগিয়ে দেন। এই ঘরে ঘরে অভিযানে বিয়াধিকা মিমি মজুমদারকে পেয়ে ৩৮নং বুথের সাধারণ জনগণ খুবই আনন্দিত। তারা বিজেপি সরকার আসার পর কতটুকু উপকৃত হয়েছে ও কি কি সুযোগ সুবিধা পেয়েছে সবই বিধায়িকার কাছে তুলে ধরেন। সঙ্গে কিছু কিছু সমস্যার কথাও বলেন। বিধায়িকা সেই সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতিও দেন। তিনি বলেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সুযোগ সুবিধাগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার প্রধান লক্ষ্য। বিধায়িকার সঙ্গে এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি মাননীয় সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্য, সদর (শহরাঞ্চল) জেলা কমিটির সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য্য ও সংশ্লিষ্ট এলাকার কার্যকর্তাগণ।
এদিকে, এলাকার প্রবীণ নাগরিক জিতেন্দ্র দাসের বাড়ির গলির রাস্তাটি সংস্কারের দাবী ছিল দীর্ঘদিনের। ২৫ বছরের বাম জামানায় দেমু দিচ্ছি ছাড়া সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে আর পাওয়া হয় নি কিছুই। কিন্তু দাবী পূরণ করেছেন এলাকার বিধায়িকা মিমি মজুমদার। সভাবতই এদিন ঘরে ঘরে বিজেপি অভিযানে নিজের বাড়ির সামনে পাকা সিড়ি বাধানো রাস্তা ডিঙিয়ে জনপ্রিয় বিধায়িকা এসেছেন তার বাড়িতে। তার খুশির অভিব্যক্তি ছিল চোখে পরার মতো।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
আসন্ন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রদেশ বিজেপি কিষান মোর্চার মাসব্যাপী কার্যক্রমের অঙ্গ হিসাবে আজ উত্তর ত্রিপুরা কিষান মোর্চার কার্যক্রমের শুভ সূচনা হয়। বাগপাশা মন্ডলের পূর্ব হরুয়া গ্রামের ২৬ নং বুথে বিজেপি উঃ ত্রিপুরা কিষান মোর্চার ঘর ঘর জনসম্পর্ক অভিযান হয়। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দুই শতাধিক কিষাণ মোর্চার ভ্রাতা ভগ্নিগণ এই ঘর জনসম্পর্ক অভিযানের সামিল হন।
এই জনসম্পর্ক অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি কিষান মোর্চার প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রদীপ বরণ রায়, বিজেপি কিষান মোর্চার রাষ্ট্রীয় কমিটির কার্যকারী সদস্য শ্রী বীরেন্দ্র দাস, উত্তর ত্রিপুরা বিজেপি কিষান মোর্চার সম্মানিত সভাপতি শ্রী বৃন্দাবন নাথ উত্তর হুরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীমতি বেলা ঘোষ ধর্মনগর মিউনিসিপালটির কাউন্সিলর শ্রীমতি তপতী দাস প্রমূখ। নেতৃত্বগণ প্রতি ঘরে ঘরে রাজ্যের বিজেপি সরকারের গত চার বৎসর নয় মাসের উন্নয়নের তালিকা তুলে ধরেন এবং নাগরিকদের জিজ্ঞেস করেন এই সরকারের আমলে উনারা কি কি উপকার পেয়েছেন প্রত্যুত্তরে অনেকেই বলেছেন এই সরকারের আমলে
শৌচালয়,রান্নার গ্যাস,২০০০ টাকা সামাজিক ভাতা কিষাণ সম্মান নিধি ২০০০ টাকা করে ১২ কিস্তি, বসবাস করার জন্য পাকা ঘর, বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জলের সংযোজন, আয়ুষ্মান কার্ড মাতৃকালীন ভাতা সহ অনেক কিছুই পেয়েছেন তাই উনারা ভারতীয় জনতা পার্টির এই সরকারকে বারবার এই ত্রিপুরাতে পেতে চান। অনেক মায়েরা অশ্রুসিক্ত নয়নে ত্রিপুরার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের যশস্বী
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি করজুড়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
আমরা নেগেটিভ ভোট চাই না। আমরা চাই পজিটিভ ভোট। সরকার মানুষের জন্য যে কাজ করেছে সে কাজের রিপোর্ট কার্ডের উপর ভিত্তি করে আমরা ভোট চাইছি। আর তার সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটবে ভোট বাক্সে’। বৃহস্পতিবার মোহনপুর বিধানসভা এলাকার হরিনাখোলা গ্রামে ঘর ঘর বিজেপির কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে এই কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লালনাথ।
ইতিমধ্যেই ঘর ঘর বিজেপি কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বিজেপি স্থানীয় নেতৃত্ব এবং মণ্ডল নেতৃত্বরা মানুষের বাড়িতে গিয়ে সরকার যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ করেছে তার দলিল তুলে দিচ্ছেন ভোটারদের হাতে। মোহনপুর বিধানসভায় এই কর্মসূচিতে বাড়তি অক্সিজেন যোগালেন এলাকার বিধায়ক তথা শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ। নিজ নির্বাচনী এলাকায় মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের চাহিদা পাওয়া না পাওয়ার বিষয়ে অবগত হন। এদিন এলাকার মানুষ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্মকে ঘিরে অত্যন্ত সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন। বেশিরভাগ বাড়িতেই জল বিদ্যুৎ ঘর সরকারি চাল সহ বিভিন্ন সরকার সুযোগ সুবিধা পৌঁছে যাওয়ার ব্যাপারে অবগত হলেন শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়াও যেখানে যেখানে ছোটখাটো সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানের জন্য ওই স্থানে দাঁড়িয়ে উদ্যোগ নিলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন অন্য বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা মানুষের এই মৌলিক অধিকারগুলো থেকে দীর্ঘদিন যাবত একটা বৃহৎ অংশের মানুষ বঞ্চিত ছিল। বিজেপি সরকার আসার পর এই জায়গাটা পূরণ করতে ১০০ শতাংশ না হলেও ৯০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করেই আগামী দিনে পুনরায় এই রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করবে বলে আশা ব্যক্ত করলেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতে নতুন রেকর্ড গড়ে ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি। ১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় এইবার বিজেপির আসন ১৫৭ ছুঁয়েছে । ভেঙে গিয়েছে ১৯৮৫-র বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ১৪৯টি আসনে জেতার রেকর্ড। ১৯৬০ সালে বম্বে রাজ্য ভেঙে তৈরি হওয়া ওই রাজ্যে কখনওই এমন বিপুল ব্যবধানে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়নি। যা এই প্রথম গুজরাতে । গুজরাতে বিপুল ব্যবধানে জয়ের পর টুইট করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাতবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আর এই জয় একেবারেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায় এক বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে । বিপুল ব্যবধানে গুজরাত জয়ের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজয় মিছিল বের হয় মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে । এদিন বিজেপি বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ , ভারতীয় জনতা পার্টি গোমতী জেলা সভাপতি অভিষেক দেব রায় , ৩২ মাতারবাড়ি মন্ডলের মন্ডল সভাপতি মিন্টু চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা বিজয় মিছিল অংশ নেন । প্রত্যেকের কপালে রাজ তিলক ও গেরুয়া উত্তরীয় পড়ে কর্মী সমর্থকরা ব্যান্ড বাজনার তালে তালে মাতারবাড়ি থেকে এক বিজয় মিছিল বের করে । মিছিল থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে ধন্যবাদ জানান বিজেপি নেতৃত্বরা । এই দিনের মিছিলে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকদের বিজয়ী উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো ।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৭ ডিসেম্বর:- আগামী ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘর ঘর বিজেপি অভিযানের অঙ্গ হিসেবে বুধবার রাইমাভ্যালী মন্ডলের ৪৪ এর ৪১ নং বুথে জন সম্পর্ক অভিযান সংঘটিত করা হয়। এই দিন ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা রাইমাভ্যালী মন্ডলের ধলাঝাড়ি এডিসি ভিলেজের দেবেন্দ্র পাড়া, তরুণী পাড়া, এবং বাঙ্গাল্যে পাড়ার জনগণের সাথে মতবিনিময়ে মিলিত হয়। কার্যকর্তারা বর্তমান সরকারের শাসনে এলাকার জনগণ কি কি সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন এবং কি কি অসুবিধা রয়েছে এগুলি জনগণের কাছ থেকে শুনেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাইমাভ্যালী মন্ডলের কৃষাণ মোর্চার সভাপতি দরবাছা চাকমা, বিরজিৎ চাকমা প্রমুখরা। কৃষাণ মোর্চা সভাপতি দরবাছা চাকমা জানান এদিন সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে তিনি ভালো সাড়া পেয়েছেন এবং তারেই নিরিখে ২০২৩ এ বিজেপি আরো ভালো ফলাফল করবে বলে কৃষাণ মোর্চা সভাপতি জানান।
প্রতিনিধি,বিশালগড়, ৭ ডিসেম্বর ।। ঘরে ঘরে বিজেপি অভিযানে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়েছে। এবার প্রতিটি মোর্চা পৃথকভাবে জনসম্পর্ক অভিযান শুরু করেছে। রাজ্যের সকল চাষীদের কাছে পৌঁছে যাবে কৃষাণ মোর্চার কার্যকর্তারা। বুধবার বিশালগড় মন্ডলে রাজ্য ব্যাপি কর্মসূচির শুভারম্ভ হয়। এদিন সকাল ৮ টায় বিশালগড় মন্ডলের বিশালগড় পৌর পরিষদের ১১ নং ওয়ার্ডে জন সম্পর্ক অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা কৃষাণ মোর্চার প্রদেশ সভাপতি জহর সাহা, প্রদেশ সম্পাদক রাজন সাহা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা (উত্তর) জেলা কৃষাণ মোর্চার সভাপতি মনীষ সরকার, বিশালগড় মন্ডল কৃষাণ মোর্চার সভাপতি বিপ্লব সাহা, বিশালগড় পৌর পরিষদের ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রতন দেব, বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য লিটন সাহা প্রমূখ। কৃষাণ মোর্চার প্রদেশ সভাপতি জহর সাহা সাংবাদিকদের জানান রাজ্য ব্যাপি কৃষাণ মোর্চার জনসম্পর্ক অভিযান শুরু হয়েছে। আজ বিশালগড় মন্ডলে এই কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে জনসম্পর্ক অভিযান । কৃষাণ মোর্চার কার্যকর্তারা রাজ্যের প্রত্যেকটি কৃষকের বাড়িতে গিয়ে জনসম্পর্ক অভিযান করবেন। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার কৃষকদের কল্যাণে যে সকল উন্নয়নমূলক কাজ করেছে সেগুলি নিয়ে চাষীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তিনি বলেন কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে বিজেপি। কৃষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে বছরে ছয় হাজার টাকা করে পেয়েছে। ফসল বিমা যোজনায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা সুবিধা পেয়েছে। কেসিসি লোন দেওয়া হচ্ছে স্বল্প সুদে। রাজ্য সরকার সহায়ক মূল্যে ধান কিনছে। সার ঔষধ কৃষি যন্ত্রপাতি বিনামূল্যে বিতরণ করছে। রাজ্যের চাষীরা সিপিএমের চাঁদার জুলুম থেকে মুক্তি পেয়েছে। কৃষকদের সংগঠিত করে তেইশে আবার বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তিনি জানান। কারণ বিজেপি একমাত্র কৃষকদের বন্ধু।
সবগুলি বুথফেরত সমীক্ষার ফলই বলছে, দিল্লির পুরভোটে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টির কাছে হারতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি। আর দেশের রাজধানীর শহরে ভোটগণনার মধ্যেই বুধবার সকালে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। চলবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বুধবারের পুরভোটের গণনার পর দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতের বিধানসভা ভোটের গণনা। সেই সঙ্গে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার রাজ্য হিমাচলেরও। সব ক’টি বুথফেরত সমীক্ষায় গুজরাতে বিজেপিকে অনেকটা এগিয়ে রাখা হলেও হিমাচলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে কয়েকটি আসনে। দেশের রাজধানী শহরের পর হিমাচল হাতছাড়া হলে সরকারের উপর বিরোধীদের চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।সাধারণত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয় নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। ডিসেম্বরে বড়দিনের ঠিক আগেই তা শেষ করা হয়। গত বছর যেমন ২৯ নভেম্বর থেকে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছিল। শেষ হয়েছিল ২৩ ডিসেম্বর। শুধু পিছিয়ে দেওয়াই নয়, মোদী-শাহের রাজ্যে ভোটের কারণেই এ বার অধিবেশনের সময়সীমাও সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হল বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, কেন খ্রিস্টানদের উৎসব বড়দিনের মরসুমে অধিবেশনের দিন রাখা হল, সে প্রশ্নও উঠেছে।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৬ ডিসেম্বর।। গোলাঘাটি মন্ডলে ঘরে ঘরে বিজেপি অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। এবার বুথে বুথে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সাংগঠনিক কাজে ঝাঁপাতে চলেছে কার্যকর্তারা। হাতে সময় মাত্র দুই মাস। এই সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক বিস্তারের মাধ্যমে দলকে বুথে বুথে মজবুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার গোলাঘাটি মন্ডলের সকল কার্যকর্তাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গোপীনগর কমিউনিটি হলে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সম্পাদক রতন ঘোষ, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, মন্ডল সভাপতি রামকৃষ্ণ সাহা প্রমূখ। বৈঠকে মন্ডল কমিটির সকল সদস্য, মোর্চার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, শক্তি ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন। বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা বলেন সকল কার্যকর্তা উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ঘরে ঘরে বিজেপি অভিযানে অংশ নিয়েছে। সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। প্রতিটি পরিবার কোন না কোন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। বিজেপির প্রদেশ সম্পাদক রতন ঘোষ বলেন এতো দিন আমরা কাজ করেছি। আগামী দুই মাস আমাদের পরিক্ষা। তেইশের লড়াইয়ে জিততে হবে। সরকার পরিবর্তন হয়েছে বলেই গোলাঘাটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। একসময় এই এলাকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ভয়ের পরিবেশ কায়েম হয়েছিল। সিপিএমের শোষণ অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। তাই শান্তি শৃঙ্খলা এবং উন্নতির জন্য আবার বিজেপির প্রার্থীকে জয়ী করতে সবাইকে সংঘবদ্ধ কাজ করতে হবে। জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক বলেন বিরোধিতা উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না। তাই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কোন প্ররোচনায় পা দেয়া চলবে না। গণতান্ত্রিক উপায়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করা হবে।
১৮ এর নির্বাচন লাল থেকে গেরুয়া হওয়ার পর, বিরোধী দল সিপিআইএম তেমন কোন আন্দোলনের কর্মসুচি নিতে পারে নি । যত বার আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করেছে কোথাও পুলিশের বাধা আবার কোথাও বা আক্রান্ত হতে হয়েছে শাসক দলের বাইক বাহিনীর হাতে আক্রান্ত সিপিআইএম নেতা কর্মী সমর্থকরা। রাজ্যের অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রের সাথে এই আক্রমনের হাত থেকে বাদ যায় বিলোনিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথ এলাকার সিপিআইএম নেতা কর্মী সমর্থকরা । আর এই জনকল্যাণ বিরোধী বর্তমান জোট সরকারের উৎখাতের ডাক দিয়ে জন স্বার্থ সম্বলিত বিভিন্ন দাবিতে সিপিআইএম বিলোনিয়া বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে সংগঠিত হয় নির্বাচনী পদযাত্রা। পদযাত্রা শেষে হয় সভা । নির্বাচন এখনো ঘোষণা হয়নি বর্তমান জোট সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দল ২৩ এর নির্বাচনকে সামনে রেখে আদা জল খেয়ে নেমে পরলো মাঠে। লক্ষ্য যেন ২৩ এর নির্বাচন । সব সন্ত্রাশ,ভয়,ভীতিকে উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার বিকেলে পদযাত্রায় সামিল হয় সিপিআইএম নেতা কর্মী সমর্থকরা। বনকর ব্রীজ চৌমুহনী থেকে শুরু হয় পদযাত্রা ।
বিলোনিয়া পৌর পরিষদের নাগরিক পরিষেবা, উন্নয়ন মূলক কাজ, টুয়েপের কাজ, বেকারদের কর্মসংস্থান ,বর্ধিত জলকর, সম্পদ কর বাতিল সহ আরো অন্যান্য দাবির স্লোগান তুলে পদযাত্রাটি ভারত চন্দ্র নগর পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে গেরেজ টিলা হয়ে পুনরায় এসে শেষ হয় বনকর সভা স্থলে । পদযাত্রা ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম দক্ষিন জেলার সম্পাদক বাসুদেব মজুমদার, পাটির বিলোনিয়া বিভাগীয় সম্পাদক তাপস দত্ত, রাজ্য নেতৃত্ব দীপঙ্কর সেন, শ্রমিক নেতা ত্রিলোকেশ সিনহা সহ অন্যান্য নেতা কর্মী সমর্থকরা। সভায় আলোচনা রাখতে গিয়ে বর্তমান জোট সরকারের তীব্র সমালোচনা করে, উৎখাতের ডাক দিয়ে রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা সহ আইনের শাসন গড়ে তুলতে বামফ্রন্টের আন্দোলনে সামিল হয়ে সমর্থন জানানোর জন্য আহ্বান রাখেন সভার বক্তা সিপিআইএম বিলোনিয়া বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক তাপস দত্ত।