প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২৭ ডিসেম্বর:- রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ১২ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করায় রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে মঙ্গলবার গন্ডাছড়া বাজারে ধন্যবাদ রেলি এবং পথসভা করা হয়। এদিন রাইমাভ্যালী মন্ডল কমিটির উদ্যোগে ধন্যবাদ রেলিটি মন্ডল কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে গন্ডাছড়া বাজার এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শেষে বাজারের দূর্গাবাড়ি চৌমুহনীতে পথ সভায় মিলিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাইমাভ্যালী মন্ডল সম্পাদক সমীর দাস, মন্ডলের কোষাধ্যক্ষ তপন চৌধুরী, ওবিসি মোর্চার সভাপতি নির্মল সরকার, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বর্ণাদাস মন্ডল, যুব মোর্চার সভাপতি সজল মল্লিক, লিটন দেবনাথ প্রমুখরা। বিজেপি নেতৃত্বরা সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন ভারতীয় জনতা পার্টি মুখে যা বলে বাস্তবে তা করে দেখায়। নেতৃত্বরা বলেন বিজেপি সরকারের ৫ বছরের শাসনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা প্রথম দফায় ৩ শতাংশ, দ্বিতীয় দফায় ৫ শতাংশ, এবং মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় আরো ১২ শতাংশ ডিএ তথা মহার্ঘ ভাতা পেল। সব মিলিয়ে ২০ শতাংশ। রাজ্যের কর্মচারীরা এর আগে কোনদিন এত বড় ঘোষণার কথা শুনেননি। রাজ্যের বুকে আজকের দিনটি ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে। বিজেপি নেতৃত্বরা বলেন বর্তমান সরকারের শাসনে কর্মচারীরা শান্তিতে আছে। সিপিএমের রাজত্বে কর্মচারীদের চাঁদা দিতে হত। আর এখন তাদের চাঁদা দিতে হয় না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কর্মচারীদের বদলি হতে হয় না। কোন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় না। নেতৃত্বরা আরো বলেন আজকের ডিএ ঘোষণার ফলে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৬০০ জন নিয়মিত কর্মচারী এবং ৮০ হাজার ৮০০ জন পেনশনার উপকৃত হবেন।
রাজনীতি
উত্তর ত্রিপুরা জেলা অন্তর্গত পানিসাগর মণ্ডল মহিলা মোর্চার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
উত্তর ত্রিপুরা জেলা অন্তর্গত পানিসাগর মণ্ডল মহিলা মোর্চার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রৌয়া স্থিত সুরেন্দ্র দেবনাথ হলে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রূপালী অধিকারী, সাধারণ সম্পাদিকা নমিতা কর, পানিসাগর মণ্ডল মহিলা মোর্চার সভানেত্রী কল্পনা দেবনাথ, সম্পাদিকা পাপিয়া দাস সহ মহিলা মোর্চার কার্য্যকর্তাবৃন্দ।
মহিলা মোর্চার নিরন্তর সাংগঠনিক কর্মসূচীর অন্তর্গত এই কর্মসূচী ও অভিনব আর এক কর্মসূচী “চায়ের সাথে আড্ডা ” উত্তর ত্রিপুরা জেলার প্রতিটি মণ্ডলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মহিলা মোর্চার শক্তিকেন্দ্র ভিত্তিক এই কর্মসূচীতে প্রত্যেক মণ্ডল চষে বেড়াচ্ছেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রূপালী অধিকারী এবং জেলা মহিলা মোর্চার সহ-সভানেত্রী সাধারণ সম্পাদিকা,সম্পাদিকা সহ সম্পূর্ণ টিম। মহিলা মোর্চার সাংগঠনিক কার্যক্রম সারা বছর ব্যাপী চলতে থাকে। কিন্তু নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি মহিলা মোর্চা সূঁচাগ্র ভূমি ছাড়তে নারাজ।
উত্তর ত্রিপুরা জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রূপালী অধিকারী জানান যে প্রতি ঘরে সুশাসনের মাধ্যমে প্রতি ঘরে বিজেপি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে , এবং প্রচণ্ড বিজয় নিয়ে 2023 শে রাজ্যে বিজেপি সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে নিশ্চিত।
কল্যাণপুর প্রতিনিধি:
গোটা রাজ্যেই এই সময়ের মধ্যে প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর অঙ্গ হিসেবে আজ কল্যাণপুর আর ডি ব্লকের অন্তর্গত রাম বাবু সম্পাদক পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এক দিবসীয় ব্লক ভিত্তিক প্রতি ঘরে সুশাসন শীর্ষক বিশেষ শিবির অনুষ্ঠিত হয়।
এই শিবিরে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য পিনাকি দাস চৌধুরী, অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণপুর আর ডি ব্লকের চেয়ারম্যান সোমেন গোপ, ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব পাল, ডিসিএম অঞ্জন কুমার দাস, ব্লক সম্প্রসারণ আধিকারিক কৌশিক দেববর্মা সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
গোটা কর্মসূচির শুরুতেই প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর নিরানব্বই তম জন্ম জয়ন্তীতে উনার প্রতিকৃতিতে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিধায়ক সহ অন্যান্য অতিথিরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত ভাষণ রাখেন কল্যাণপুর ব্লক সম্প্রসারণ আধিকারিক কৌশিক দেববর্মা। শ্রী দেববর্মা আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন এই শিবির থেকে এলাকার মানুষ বিভিন্ন প্রকারের প্রশাসনিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
এই সুশাসন শিবিরে আলোচনা করতে গিয়ে ডিসিএম অঞ্জন কুমার দাস দাবি করেন বর্তমান সময়ে প্রশাসন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মানুষের দরজায় হাজির হচ্ছে, সাধারন মানুষকে প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করে বিভিন্ন প্রকারের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার জন্য সুশাসন শিবির থেকে আবেদন রাখেন অঞ্জন কুমার দাস।
সুশাসন শিবিরে আলোচনা করতে গিয়ে কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সোমেন গোপ দাবি করেন বিগত সতের সেপ্টেম্বর থেকে গোটা রাজ্যের সাথে সাথে কল্যাণপুর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় সুশাসনের কাজ এগিয়ে চলেছে নিজস্ব গতিতে। এই সময়ের মধ্যে সুশাসনের অঙ্গ হিসেবে গোটা কল্যাণপুর এর বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের সম্প্রসারণ সহ সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে বলে শ্রী গোপ দাবি করেন এবং আগামী দিনও এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে বলে সোমেন গোপ আশা প্রকাশ করেন। এই অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে উদ্বোধক পিনাকি দাস চৌধুরী দেশের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী নতুন ভারত তৈরীর অন্যতম রূপকার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সুশাসন নিয়ে বলতে গিয়ে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী বলেন বর্তমান সময়ে প্রকৃত অর্থেই সুশাসন চালু রয়েছে বলে এই ব্লক এলাকা এত তারা রাজ্যের মানুষের আর্থসামাজিক ব্যবস্থার মান পাল্টে গেছে। তিনি দাবি করেন অটল বিহারী বাজপেয়ীর দেখানো পথে বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার মান উন্নয়ন সহ সমস্ত অংশের মানুষের আর্থসামাজিক ব্যবস্থার মান উন্নয়নের নিরন্তর হবে কাজ করে চলেছে, এই মঞ্চে আলোচনা করতে গিয়ে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী দীর্ঘ আরাই দশকের বাম শাসন কে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেন আগেও মন্ত্রী ছিলেন আগেও বিধায়করা ছিলেন কিন্তু এলাকার মানুষের কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র লড়াই আন্দোলনের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করে গেছেন। প্রয়াত জননেতা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেইকে আজকের এই সুশাসন ক্যাম্পে দাঁড়িয়ে প্রকৃত গরিব মানুষের নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী।
এই সুশাসন কর্মসূচিতে এলেন দক্ষিণ গিলাতলী গাউসভার ৭৮ জনজাতি অংশের সুবিধা ভোগীর হাতে সুতা তুলে দেওয়া হয়, ৬৫০ জন রেগা শ্রমিকের হাতে গামলা তুলে দেওয়া হয় এবং এলাকার নির্বাচিত ১০ জন কৃষকের হাতে স্প্রে মেশিন তুলে দেওয়া হয়।
গোটা অনুষ্ঠান ঘিরে রামবাবু সম্পাদক পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চত্বরে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৫ ডিসেম্বর ।। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৯৬ তম মন কি বাত বিশালগড়ের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বসে শুনলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। রবিবার বিশালগড় টাউন হলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারি বাজপেয়ীর জন্মজয়ন্তী উদযাপন এবং প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। এছাড়া ছিলেন ছিলেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিশালগড় পুর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, বিশালগড় মণ্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব, বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, বিশালগড় মণ্ডলের প্রভারি অমল দেবনাথ প্রমুখ। হল ঘরে মন কি বাত অনুষ্ঠানে কার্যকর্তাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। শেষে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ির জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন উপস্থিত কার্যকর্তারা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন কি বাত শোনার জন্য একটা মাস অপেক্ষা করি। এই মন কি বাত আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আমরা কাজ করার শক্তি এবং সাহস পাই।
প্রতিনিধি কমলাসাগর ২৫ ডিসেম্বর :-
বিশালগড় রবিবার সকাল ১১ টা অনুষ্ঠিত হয় ব্লক ভিত্তিক কৌশল মেলা ও প্রতি ঘরে সুশাসন শিবির উপস্থিত ছিলেন গোলাঘাটি বিধানসভার বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন ছন্দা দেববর্মা, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, বিশালগড় ব্লক আধিকারিকসহ বিশালগড় মহকুমা অন্তর্গত বিভিন্ন SHG যে গ্রুপের বেনিফিশারী গণ, অনুষ্ঠানে প্রদীপ পর জ্বলের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা করেন উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিরা। চেয়ারপারসন আলোচনা করতে গিয়ে উল্লেখ করেন প্রতি ঘরে সুশাসনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে বিশালগড় আর ডি ব্লকের অন্তর্গত বেনিফিসারীদের মধ্যে নানার সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে চাম্পামুরা পঞ্চায়েতে পাচল্লিশ জন নাগরিককে পিআরটিসি প্রদান করা হয় এবং স্কুল ছাত্রদের স্কুল ব্যাগ ও মাদ্রাসা বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়। চেয়ারপারসন সহ সকল আধিকারিগণ প্রতিটি স্টলে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন। প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচি অঙ্গ হিসেবে বিশালগড় আরডি ব্লকের অন্তর্গত এসি ও এস টি, ওবিসি কতজন নাগরিককে সার্টিফিকেট প্রদান তার সম্পূর্ণ তুলে ধরেন চেয়ারপারসন তাছাড়া রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, বিশ্রাম কার থেকে শুরু করে সকল প্রকার যোজনার নতি জনসমক্ষে তুলে ধরেন।
শেষ সাড়ে চার বছরে নতুন রূপে সজ্জিত হয়েছে উত্তর জেলা সদর ধর্মনগর বললেন উপাধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেন
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
২০১৮ তে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর বিজেপি আইপিএফটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর উত্তর জেলা সদর ধর্মনগরে কি কি পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপাধাক্ষ বিশ্ব বিশ্ববন্ধু সেন এক এক করে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি জানান ধর্মনগরে উন্নয়ন হয়েছে চারটি ধারায়। প্রথমটি হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন দ্বিতীয়টি হচ্ছে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন তৃতীয়টি হচ্ছে স্থানীয় বিধায়কের দ্বারা উন্নয়ন এবং চতুর্থ তথা সর্বশেষটি হচ্ছে পুর পরিষদ বা গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারা সার্বিক মানুষের উন্নয়ন। জল বিদ্যুৎ ঘর চাউল প্রদান এগুলো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা উন্নয়ন। রাজ্য সরকার যা করেছে তা মানুষের মানসিকতার উন্নয়ন ঘটিয়েছে। মানুষের মধ্যে এখন আর নেগেটিভিটি জিনিসটা বহুলাংশে কমে গেছে। শহরকে সুন্দর্যতার রূপ দেওয়া সার্থক করেছে স্থানীয় বিধায়কের দ্বারা। নতুন রূপে সজ্জিত হয়েছে ধর্মনগর শহর। ধর্মসহ শহর এখন স্ট্যাচু শহর রূপে সুনাম অর্জন করতে চলেছে। ধর্মনগরে শ্যামবাজারে যেমন নেতাজির স্ট্যাচু রয়েছে একই ধরনের স্ট্যাচু বসেছে, বসেছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির স্ট্যাচু আগামী 25 শে ডিসেম্বর অটল বিহারি বাজপেয়ীর জন্মদিনে বাবুর বাজারে উন্মোচন হতে চলেছে অটলবিহারী বাজপেয়ির নির্মম প্রতিকৃতি তাছাড়া ধর্মনগরে বিখ্যাত বিজ্ঞানী এ পি জে কালাম এর প্রতিকৃতি এবং আদিম কবি বাল্মিকের স্ট্যাচু বসকে বলে জানান
উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এর নির্মম প্রতিকৃতি বসানো হয়েছে। মহাদেবের মূর্তি বানিয়ে স্থাপন করে কালি দিঘিকে সুসজ্জিত করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও ধর্মনগরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আগে অর্থাৎ বামফ্রন্ট আমলে মাত্র ২৫ টি সাংস্কৃতিক দল ধর্মনগরের ছিল যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৭৩ টি। সাংস্কৃতিক দলগুলির জন্য টাউন হল গুলি ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে । এখন আর ধর্মনগরে বন্যা হয় না মশার উপদ্রব নেই বললেই চলে। কারণ নদী নালাগুলির নব্যতা বাড়িয়ে পরিষ্কার করে রাখা হয় যাতে জল পরিবহন ব্যবস্থা সঠিকভাবে সহরের বজ্জ্য পদার্থ কে বাইরে বের করে দিতে পারে। শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। ১০০% গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা নিশ্চিন্তে পড়াশোনার কাজ করে চলেছে। মিছিল মিটিং চাঁদাবাজির জুলুম উঠে গেছে। মহিলারা নিশ্চিন্তে রাত্রে ঘোরাঘুরি করতে পারে। রাস্তাঘাট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে তাই ট্রাফিক জ্যাম খুব কম হয়। সুইমিং পুল এর পাশাপাশি ওয়াকিং পদ বানানো হচ্ছে যাতে সকাল বিকাল সাধারণ মানুষ হাঁটাহাঁটি করতে পারে। বাজারের হকারদের সু বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্বাজতী প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে তিনটি নতুন সিবিএসই স্কুল চালু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য চেষ্টা চলছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে বেশ পরিবর্তন এসেছে ২০১৮ তে ধর্মনগরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যেখানে ৭ থেকে ৮ জন ছিল এখন তা ২৫ থেকে ৩০ জন হয়েছে ট্রমা সেন্টার বানানোর কাজ চলছে। শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে পরি কাঠামো গত আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত অর্থ সমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকা সাইন্স ল্যাবরেটরি চালু হয়েছে। ক্ষেত্রে চন্দ্রপুরে একটি ইন্দোর স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য সাড়ে আট কানি জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে। একটা মুক্ত জিম রয়েছে আরেকটা মুক্ত জিম বানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগের সরকার ধর্মনগরের প্রতি ছিল বিমাতৃ সুলভ আর এখনকার সরকার হচ্ছে ধর্মনগরের প্রতি মাতৃসুলভ। ধর্মনগর সরকারি মহাবিদ্যালয় ইতিমধ্যে ইংরেজি এবং বাংলাতে এমএ করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। সার্বিক দিক দিয়ে ধর্মনগরে যে সাড়ে চার বছরে পরিবর্তন হয়েছে তা অভূতপূর্ব বলে বর্ণনা করেন উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন।
কংগ্রেসের মদতে রাজ্যে পঁচিশ বছর ক্ষমতায় ছিল সিপিএম।বললেন প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকংগ্রেসের মদতে রাজ্যে পঁচিশ বছর ক্ষমতায় ছিল সিপিএম।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৪ ডিসেম্বর।। কংগ্রেসের মদতে রাজ্যে পঁচিশ বছর ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। রাজ্যের পরিবর্তনকামী মানুষ সিপিএমের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে প্রতিটি নির্বাচনে লড়াই করেছে। কংগ্রেসের নেতারা শুধু আইয়া পরতাছি আইয়া পরতাছি বলে কর্মীদের মাঠে নামিয়ে দিতো। কিন্তু নির্বাচনের গননা শুরু হতেই কংগ্রেসের নেতারা মোবাইল ফোন সুইস অফ করে অন্তরালে চলে যেতেন। কারণ এই নেতারা ভালো করেই জানতেন দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজ্যটাকে সিপিএমের কাছে উপহার দিয়ে দিতেন। কংগ্রেস নেতারা আরামে আয়াসে থেকে সর্বসুবিধা ভোগ করতেন। আর কর্মীরা ক্যাডারদের নিষ্ঠুরতার শিকার হতেন। পঁচিশ বছরে কতো মায়ের বুক খালি হয়েছে, কতো বোনের সিঁথির সিঁদুর মুছে গিয়েছে তা রাজ্যবাসী ভুলে যায়নি। তাই এই অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে রাজ্যবাসী সংগঠিত হচ্ছে। তেইশের নির্বাচনে কংগ্রেস এবং সিপিএম একটি আসনেও জয়ী হবে না। কারণ মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। শনিবার বিশালগড়ে তপশিলি জাতি মোর্চার প্রকাশ্য সমাবেশে কথাগুলি বলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এদিন বিশালগড় লকডাউন বাজারে তপশিলি জাতি মোর্চার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তিনি আরও বলেন এই সমাবেশে প্রচুর সংখ্যক মাতৃশক্তি উপস্থিত হয়েছেন। অশুভ শক্তির বিনাশ করতে এই নারী শক্তি দুর্গতি নাশিনী রূপে মাঠে নামবে। তিনি বলেন এই রাজ্যের মহিলারা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। কারণ সরকার মহিলাদের সম্মান এবং রোজগার দেওয়ার ব্যাবস্থা করেছে। সরকারি চাকরিতে মহিলাদের সংরক্ষণ দেয়া হয়েছে। সাড়ে তিনলক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। এই সরকার ত্রিপুরায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। কংগ্রেস সিপিএমের জামানায় বিশালগড়ে অশান্তির আগুন জ্বলে থাকতো। দুই বিধায়ক খুন হয়েছে বিশালগড়ে। পঁচিশ বছর কংগ্রেস কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে। আর জোট জামানার পাঁচ বছরে সিপিএমের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে। আর আজ দুই দল একে অপরের সঙ্গে গলাগলি করে চলছে। তাই কংগ্রেস এবং সিপিএমের সাধারণ সমর্থকদের তিনি আহবান জানান অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপিকে শক্তিশালী করার জন্য । কারণ এই দুই দলের নেতারা স্বীকার করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে একা লড়াই করার শক্তি তাদের নেই। তাই উন্নয়ন বিরোধী অপশক্তির বিনাশ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার আহবান জানান তিনি। সমাবেশ এছাড়া বক্তব্য রাখেন তপশিলী জাতি মোর্চার প্রদেশ সভাপতি টুটন দাস, বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব প্রমুখ। সমাবেশে কার্যকর্তা এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতি এবং উচ্ছ্বাস ছিল লক্ষনীয়।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২৪ ডিসেম্বর:- বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চ গন্ডাছড়া ইউনিটের উদ্যোগে কোক কাম হেলপারদের নিয়ে শনিবার একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের বি আর সি হলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চ ধলাই জেলা নেতৃত্ব কুলেন্দ্র রিয়াং, সংগঠনের গন্ডাছড়া ইউনিটের নেতৃত্ব পাণ্ডব চাকমা, কৌশিক রায় প্রমুখরা। এদিনের কর্মশালা শেষে আগামী তিন বছরের জন্য ১৩ জনকে নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটির সভানেত্রী , সম্পাদিকা এবং কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করা হয় যথাক্রমে কহলিকা ত্রিপুরা, পুতুল রানী দাস এবং বিষ্ণুপ্রিয়া রায়। নতুন কমিটি গঠন শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চ গন্ডাছড়া ইউনিটের নেতৃত্ব কৌশিক রায় কর্মশালার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। তিনি বলেন কুকার মা-বোনদের দীর্ঘদিন ধরে আড়াল করে রাখা হয়েছিল। তাদের আড়াল থেকে বের করে আনার জন্যেই বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চ একদিনের কর্মশালার আয়োজন করে। গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন স্কুল থেকে কুক কাম হেল্পাররা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের বিভিন্ন দাবি যেমন সিএল, ইএল,বদলি, স্বল্প বেতন এইগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং তাদের দাবি গুলি নিয়ে আগামীদিন বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলে কৌশিক রায় জানান।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৪ ডিসেম্বর ।। ঘরে ঘরে সুশাসন কার্যক্রমের অঙ্গ হিসাবে চড়িলামের প্রতি গ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রাম দিবস। শনিবার চড়িলাম ব্লকের আড়ালিয়া এবং মধ্য ব্রজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গ্রাম দিবস উদযাপন করা হয়। শনিবার দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে গ্রাম দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলা পরিষদের সদস্য কাকলী দেব, আড়ালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সত্যম সরকার , সমাজসেবী আবুল হুসেন প্রমুখ । এদিন আড়ালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৭০ জন এবং মধ্য ব্রজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ জন প্রবীণ নাগরিককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া আড়ালিয়া স্কুলের ছাত্রীদের হাতে বাইসাইকেল তুলে দেওয়া হয়। ভাষণে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন বলেন উন্নত গ্রাম হলেই উন্নত ভারত হবে। তাই বর্তমান সরকার গ্রামের উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে গ্রামের মানুষের রোজগার বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করছে সরকার। গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছে সরকার। বিগত সরকার শুধু কিনতে হবে বলে স্লোগান দিয়েছে। আমরা স্লোগানে বিশ্বাস করিনা। কাজে বিশ্বাস করি। গ্রামীণ জীবিকা মিশনের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের রোজগারের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। গ্রামের সকলের প্রয়াসে গ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
ভারতীয় মজদুর সংঘ গোমতী জেলার উদ্যোগে রাজ্য শ্রমিক , শিক্ষক কর্মচারীর স্বার্থে ত্রিপুরায় রাজ্য সরকার দ্বারা গৃহীত ও সম্পূর্ণকিত কাজের আলোচনা বিষয় নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় উদয়পুর ব্রম্মাবাড়ী বিএমএসএর গোমতী জেলা কার্যালয়ে । এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন , গোমতী জেলার ভারতীয় মজদুর সংঘের জেলা সভাপতি গৌতম দাস, শ্রমিক নেতা স্বপন মন্ডল , ও বিএমএস নেতা দ্বিগবিজয় ভাওয়াল সহ আরো অনেকে । এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন , রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে ভারতীয় মজদুর সংঘ গোমতী জেলার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পথসভা অনুষ্ঠিত করবে । এই ছাড়া আগামী দিনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান এবং শ্রমিকদের সাথে যে সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং পথসভার মধ্য দিয়ে জনসাধারণের কাছে সে বার্তা পাঠানো হবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বলেন গোমতী জেলা ভারতীয় মজদুর সংঘের সভাপতি গৌতম দাস।