প্রতিনিধি , উদয়পুর : রাজ্য সরকার গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন করার জন্য কাজ করে চলেছে নিরলসভাবে । প্রতিটি ব্লক এলাকায় মৎস্যজীবীদের জন্য বহু প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার । পঞ্চায়েতস্তরে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা । এবার গোমতী জেলার মাতাবাড়ি এলাকায় মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে মাতাবাড়ি আর ডি ব্লকে ব্লক এলাকার বেনি ফিসারিদের মধ্যে দপ্তরের অ্যাকশন প্ল্যান প্রকল্পের আওতায় ৩৬ জন বেনি ফিসারিকে দেওয়া হয় কুনি জাল এবং ১৭ জন বেনি ফিসারিকে দেওয়া হয় বরফের বক্স । এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা প্রকল্পের আওতায় ৯ জনকে বরফের বক্স সহ তিন চাকার অটোরিক্সা প্রদান করা হয় । এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, সহ- সভাধিপতি সুজন কুমার সেন ও পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শিল্পী দাস এবং ব্লকের বিডিও ও মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক সহ প্রমূখ। মাতারবাড়ি ব্লক প্রাঙ্গণে এই গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায় বেনি ফিসারিদের মধ্যে ।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার :শান্তির বাজার মৎস্য তত্ত্বাবধায়কের উদ্যোগে আজ বোকাফা ব্লকের মৎস্য জ্ঞান অর্জন কেন্দ্রে একটি জল ও মাটির পরীক্ষা শিবির করা হয়। এতে ৩৫ জন মৎস্য চাষী উনাদের জলাশয়ের জল ও মাটি নিয়ে আসেন পরীক্ষা করার জন্য। মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক শ্রীমতি মৃন্ময়ী দত্ত জানান বন্যায় শান্তিরবাজার মহাকুমার প্রায় ৭৫ শতাংশ জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই কারণে বর্তমানে জলাশয়ের জল ও মাটির পরীক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। বন্যায় বাইরের জল ঢোকার ফলে জলাশয়ের জল গুলি দূষিত হয়ে গেছে। এই জল ও মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে মৎস্য চাষীদেরকে প্রয়োজনীয় উপদেশ দেওয়া হচ্ছে যাতে করে জলের গুণগত মান বজায় থাকে। তিনি আরো জানান এই ধরনের শিবির ইতিমধ্যেই বকাফা ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত করা হচ্ছে এবং এটি দপ্তরের বার্ষিক পরিকল্পনার অঙ্গ। আজকের শিবিরে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য দপ্তরের অফিসার অজয় দেবনাথ সহ অন্যান্য। মৎস্য চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারাও মৎস্য দপ্তরের এই ধরনের উদ্যোগের ফলে ভীষণ খুশি। এই ধরনের পরীক্ষার ফলে পুকুরে মাছের রোগ এবং অন্যান্য সমস্যার প্রতিকার করা সম্ভব এবং এর জন্য উনারা মৎস্য দপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- আসন্ন কালীপুজোকে সামনে রেখে গন্ডাছড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গন্ডাছড়া মহকুমা শাসক অফিসের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গন্ডাছড়া মহকুমা শাসক চন্দ্রজয় রিয়াং,মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বাপি দেববর্মা সহ একঝাঁক সমাজসেবী এবং বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকগণ। বৈঠকে কালীপুজোর দিনগুলো যাতে শান্তিপূর্ণভাবে কাটে তার বিভিন্ন রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করা হয়। মহকুমা শাসক দূর্গা মায়ের পূজোর মতো কালীপুজোও যাতে নির্বিঘ্নে কাটে তার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান রাখেন। উল্লেখ্য এবছর গন্ডাছড়া থানা সহ গোটা মহকুমা এলাকায় ১০ খানা কালী মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- গোটা দেশের সাথে ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায় পশু গণনা শুরু হয়েছে । একই সাথে গোমতী জেলায় শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ উদয়পুর পৌর পরিষদ এলাকার ২১ নং ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে পশু গণনা কর্মসূচি । ছিলেন গোমতী জেলার প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সহ অধিকর্তা ডক্টর বিল্লু দেববর্মা , ওয়ার্ড কমিশনার মান্নান হোসেন সহ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা । পশু গণনায় প্রথমে আলমগীর হোসেন নামে এক পশুপালকের খামার ঘর পরিদর্শন করেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিকরা । ডক্টর বিল্লু দেববর্মা জানান , প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর পশু গণনা করা হয় গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে । সেই সাথে ত্রিপুরাতে প্রতিটি জেলায় এই ধরনের কর্মসূচি হয়ে থাকে । কিন্তু সাধারণ মানুষ যারা বাড়িঘরে পশুপালন করে অথবা বিভিন্ন খামারে এই ধরনের পশু পালিত হয় তাদের সঠিক তথ্য না দেওয়ার কারণে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয় সরকারকে। তিনি আবেদন রাখেন যে সকল বাড়ি ঘরে পশুপালিত হয়ে থাকে তারা যেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরকে প্রতিটি জেলা এবং মহকুমা স্তরে থাকা সেসকল অফিসে এবং গণনা কাজে নিযুক্ত আধিকারিকদের যেন সঠিক তথ্য দেয় সে আবেদন করেন তিনি ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- রাতের আঁধারে কৃষকের জমির ফসল এবং গাছ কেটে নষ্ট করে দিল দুষ্কৃতী। মর্মান্তিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অর্থের প্রতি সম্মুখীন কৃষক অমল সিংহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কৃষকের উৎপাদিত ফসল নষ্ট করার পাশাপাশি কেটে দেওয়া হয়েছে ফসলের গাছ। এতে সরাসরি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষক।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অমল সিংহ অভিযোগ করেন নাশকতার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কৃষকের জমির বেগুন এবং লাউ গাছ নষ্ট করে দিয়েছে দুষ্টুদেরা। সবে মাত্র ফলন শুরু হয়েছিল। কৃষকের এই ক্ষতির পেছনে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা যুক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের দাবি এই ঘটনার পেছনে যে বা যারা যুক্ত রয়েছে তাঁদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক পুলিশ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ও কুমারঘাট মহকুমা হাসপাতালের সহায়তায় মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান প্রকল্পের আজ জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারঘাট এর মানসী হলে। জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস প্রদীপ প্রজ্জালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সহকারি সভাধিপতি সন্তোষ ধর,মহকুমা শাসক এনএস চাকমা,ভারপ্রাপ্ত সিএমও ডঃ শঙ্খ শুভ্র দেবনাথ,বিদ্যালয় পরিদর্শক কুমারঘাট ও সিডিপিও সঞ্জয় দে এবং এই অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সাব ডিভিশনাল মেডিকেল অফিসার ডঃ শুচরিত চাকমা।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমারঘাট পুর পরিষদের চেয়ারপারসন বিশ্বজিৎ দাস।স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএমও ইনচার্জ ডঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ।আজ রাজ্য ভিত্তিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়েছে ধলাই জেলার আমবাসায় এবং জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠান ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১২টি শিশুকে কৃমিনাশক ঔষধ,জিংক,ওআর এস এবং টিডি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।এই অনুষ্ঠানে আশা কর্মী থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ২৪শে অক্টোবর থেকে ৬ই নভেম্বর অব্দি শূন্য থেকে নয় বছর বয়সের শিশুদের রোগ মুক্ত রাখার লক্ষ্যে শহর এবং গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বিদ্যালয়,অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার,নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইত্যাদি স্থানে ০-১৯ বছরের শিশুদের যথাযথ বিকাশ এবং সম্পূর্ণভাবে রোগ মুক্ত রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সুপরামর্শ এবং ঔষধ খাওয়ানো হবে।স্বাগত বক্তব্যে ডাঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ জানান টিটেনাস ও ডিপথেরিয়া টিকাকরণ কর্মসূচি,আয়রন ও ফলিক এসিড পরিপূরক, মাতৃদুগ্ধপান বিষয়ে সচেতনতা,এইচ বি এন সি এবং এইচবি ওয়াইসি, ভিটামিন এ পরিপূরক,পোষন অভিযান,কৃমিনাশক কর্মসূচি,হাম-রুবেলা কর্মসূচি,এএফপি নজরদারি, কিশোরী বিবাহ ও গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ,নিমোনিয়া সংক্রান্ত সমস্যার সনাক্তকরণ, আইডিসিএফ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ওআরএস ও জিংক ঔষধ এবং এনসিডি স্ক্রিনিং কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগের সনাক্তকরণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান ৭.০ এর সফল বাস্তবায়ন এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনের অঙ্গীকারে ২৪শে অক্টোবর থেকে ৬ই নভেম্বর অব্দি এই কর্মসূচি চলবে গোটা জেলায়।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব , সুস্থ কৈশোর অভিযান ২৪ শে অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে । বৃহস্পতিবার গোমতী জেলা ভিত্তিক শুভ সূচনা করেন উদয়পুর জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায় । এছাড়া ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার ও জেলার স্বাস্থ্য অধিকারীক কমল রিয়াং এবং মহকুমা স্বাস্থ্য অধিকারিক জয়দ্বীপ দেববর্মা সহ প্রমুখ । অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন মহকুমা স্বাস্থ্য অধিকারিক জয়দ্বীপ দেববর্মা । পরে বিধায়ক ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন , মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব ও সুস্থ কৈশোর অভিযানে ২৪ শে অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর গোমতী জেলায় ১৮ টি হাসপাতাল , ১৪৪ টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র , ৬২৭টি স্কুল ও তিনটি কলেজ এবং ১ হাজার ৩২৮ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পরিষেবা দেওয়া হবে । গোমতী জেলার স্বাস্থ্যকর্মী , চিকিৎসক , স্বাস্থ্য মিশনের কর্মী সহ ১০৫০ জন দিদিমণিরা এই কাজে যুক্ত থাকবেন । পরে জিলা সভাধিপতি ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন , মাতৃদুগ্ধ পান বিষয়ের সচেতনতা , এইচ বি এন সি এবং এইচ বি ওয়াইসি , ভিটামিন এ পরিপূরক , পোষন অভিযান, কিশোরী বিবাহ ও গর্ব অবস্থায় প্রতিরোধ নিমোনিয়া সংক্রান্ত সমস্যার সনাক্তকরণ আই ডি সিএফ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ওআরএস ও জিংক ওষুধ এবং এনসিডি স্ক্যানিং কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৩০ বছরের উর্ধে ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগের সনাক্তকরণ করা হবে । এর সকল বাস্তবায়ন এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনের এক বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন জিলা সভাধিপতি । পরে ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে পুষ্টি জাতীয় ঔষধ খাওয়ানো হয় অতিথিদের হাত ধরে । গোটা অনুষ্ঠানে উদয়পুর টাউনহলে আশা কর্মী থেকে শুরু করে জিএনএম ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- গ্রামীন এলাকার আয়ের উৎসব বৃদ্ধি করতে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে বামুটিয়া ব্লক এলাকার সুবিধা ভোগিদের মধ্যে দেওয়া হয়েছে উন্নত মানের মোরগ ছানা সহ খাদ্য সামগ্রী। যার মাধ্যমে বিকল্প আয় বৃদ্ধি পেতে পারে গ্রামবাসীর। বামুটিয়া ব্লকের অন্তর্গত মোট ২০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১০০ জন সুবিধাভোগীদের মধ্যে এই মোরগ ছানাগুলো বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার মোরগ ছানা বিতরণের পাশাপাশি একদিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে সুবিধাভোগীদের। মাথাপিছু ১৩০০০ হাজার টাকার মোরগ ছানা সহ বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। এদিনের এই কর্মসূচিতে উদ্বোধনী পর্বে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী আহ্বান করেন যাদেরকে এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে তারা যাতে আগামী দিনে এই মোরগ প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যান। এই কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামুনিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক সিংহ, বামুটিয়া ব্লকের বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর ডঃ সম্রাট চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- সোমবার গোটা দেশ তথা রাজ্যের সাথে গন্ডাছড়া মহকুমাতেও পুলিশ স্মৃতি দিবস উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষে এদিন গন্ডাছড়া থানা এলাকার অন্তর্গত শহীদ সমীর চৌধুরী, প্রদীপ বর্ধন, অভিজিৎ বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে বীর শহীদদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান গন্ডাছড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বাপি দেববর্মা, গন্ডাছড়া থানার ওসি অসীম সরকার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানে পুলিশ আধিকারিকরা শহীদ পরিবারের মধ্যে ফল ,মিষ্টি বিতরণ করেন এবং পরিজনদের সাথে কথা বলে তাদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এদিন পুলিশ আধিকারিকদের সামনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পরে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বলেন শহীদদের ভুলে যাওয়া অসম্ভব, তাদের মনে রাখতে হবে। গোটা দেশে যারা আত্ম বলিদান করছেন তাদেরকে স্মরণ করা হচ্ছে। পুলিশ আধিকারিক বলেন নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদানে পুলিশ দিনরাত কাজ করে চলছে এবং আগামী দিনেও জারি থাকবে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে সাথে সামাজিক কর্মকাণ্ডের দায়বদ্ধতা থেকে আজ স্বস্তি হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে মেগা রক্তদান শিবির। রক্তদান শিবিরে স্বস্তি হেলথ কেয়ারের স্বাস্থ্য কর্মী থেকে শুরু করে শহরের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকরা রক্তদান করেন।স্বস্তি হেলথ কেয়ারের সিইও ডাঃ সুমিত দাস জানান প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর এই হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে রক্ত দান শিবির অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।গত জুলাই মাসে প্রথম রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়।আগামী দিনেও এই হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়াও এই হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে আগামী দিনেও বিনামূল্যে বিভিন্ন অপারেশন শিবির অনুষ্ঠিত হবে।রক্তদান শিবিরে ডাঃ সুমিত দাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হেলথ কেয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত দাস,সুজয় দে সহ অন্যান্যরা। রক্তদান শিবিরে মোট পঁচিশ জনের অধিক রক্তদান করেন।যার মধ্যে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।কৈলাসহর ব্লাড ব্যাংকের রক্ত স্বল্পতা কমিয়ে আনতে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যায়।