“উদ্ভাবনী ক্ষমতা বিকাশে সমবায়ের ভূমিকা, স্টার্ট-আপ এবং প্রযুক্তির উন্নয়নে উৎসাহ প্রদান” এই লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে সমবায় দপ্তর ও ত্রিপুরা রাজ্য সমবায় ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে ৬৯ -তম অখিল ভারত সমবায় সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে খোয়াই জেলাভিত্তিক মূল অনুষ্ঠানটি এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার দিন তেলিয়ামুড়া নেতাজিনগর স্থিত অশ্বিনীকুমার স্মৃতি কমিউনিটি অল গৃহে।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা কল্যাণী রায় সহ সমবায় দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা। এই সমবায় সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে এদিনের এই অনুষ্ঠানের প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা করেন রাজ্য বিধান সভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়।
রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়ের হাত ধরে উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,,,,, উদ্ভাবনী ক্ষমতা বিকাশে সমবায়ের ভূমিকা নিয়ে। পাশাপাশি তিনি প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য অনুষ্ঠানের উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন,,, আত্মনির্ভর ভারত গড়ার যে ডাক দেওয়া হয়েছে তার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানুষজনদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়।
admin
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৬ নভেম্বর।। বিশালগড় পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তথা বিজেপির বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব জাতীয় প্রেস দিবসে সাংবাদিকদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। বুধবার ভাইস চেয়ারম্যান সুশান্ত দেবের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বিশালগড় মহকুমার কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সম্মাননা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশালগড় পুর পরিষদ কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুশান্ত দেব, বিশালগড় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ভবতোষ ঘোষ, সহসভাপতি সমীর ভৌমিক, সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সহসম্পাদক খোকন ঘোষ, কার্যকরী সদস্য হারাধন দেবনাথ, প্রবীন সাংবাদিক সাধন দেবনাথ সহ মহকুমার কর্মরত সাংবাদিকেরা। ভাইস চেয়ারম্যান তথা মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব পুষ্পস্তবক এবং উপহার হাতে তুলে দিয়ে সংবর্ধিত করেন সাংবাদিকদের। সাংবাদিকদের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি । বিশালগড়ের সার্বিক উন্নয়ন এবং সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। সাংবাদিকেরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে এছাড়া ছিলেন বিজেপির বিশালগড় মন্ডল সহসভাপতি দীপক শীল, সাধারণ সম্পাদক তপন দাস, মিডিয়া ইনচার্জ বাপি সাহা।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৬ নভেম্বর।। বিশালগড়ে সিপিএম দলে ধ্বস অব্যাহত রয়েছে। বুধবার বুথ বিজয় অভিযানের সপ্তম দিনে বিশালগড় বিধানসভার চেলিখলা বাজারে বিজেপির পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৬৯ জন ভোটার সিপিএম দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাদের বরণ করেন বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব। পথসভায় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ডল প্রবারী অমল দেবনাথ, স্বল্পকালীন বিস্তারক দিলীপ কুমার দাস প্রমূখ। চেলিখলা মূলত কৃষিজীবী শ্রমজীবী মানুষের বসবাস। তারা দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম দলের হয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন কারা প্রকৃত গরিবের বন্ধু। কারণ এসব পরিবারের কাছেও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে। তাই তারা এদিন সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগদান করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব বলেন উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতি দলবাজি বিজেপি কখনোই করে না। একসময় গরিব মানুষেরকে নিয়ে উন্নয়নের নামে রাজনীতি হয়েছে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য সিপিএম দলের মিছিল মিটিংয়ে হাঁটতে হয়েছে। কিন্তু আজ সকল মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্প পৌঁছে যাচ্ছে। মন্ডল সভাপতি আরো বলেন বিরোধী দলগুলি ভোটের পাখির মত মাঠে নামার চেষ্টা করছে। যদিও তাদের জনসমর্থন নেই। কিন্তু অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে ঘোলা জলে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। সিপিএম বিধায়ক ভানুলাল সাহা গত সাড়ে চার বছরে মানুষের জন্য কোন কাজ করেনি। মানুষের পাশে থাকেন নি। তাই আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান রাখেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ডেতে ধর্মনগর প্রেস ক্লাবে অরক্তা দান শিবিরের আয়োজন করল সদস্য রা।
16 নভেম্বর অর্থাৎ বুধবার ছিল জাতীয় প্রেস ডে। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ধর্মনগর প্রেস ক্লাবের সদস্য সদস্যরা এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলো। বর্তমানে ধর্মনগর ব্লাড ব্যাংক রক্তশূন্যতায় ভুগছিল। অবস্থায় যতটুকু রক্তের যোগান দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করল ধর্মনগর প্রেসক্লাব। মোট ১৮ ইউনিট রক্ত দিয়ে আপাতত রক্তশূন্যতার যে ঘাটতি চলছিল তা এক দুই দিনের জন্য পূরণ করল। উল্লেখ্য ধর্মনগরে গড়ে প্রত্যেকদিন প্রায় 15 ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। এই রক্তদানে প্রেসক্লাবকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ধর্মনগর ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশন। শুধুমাত্র এই রক্তশূন্যতার যোগান দেওয়া নয় যখনই কারোর রক্তের প্রয়োজন হয় তখনই ধর্মনগর প্রেসক্লাবের সদস্যরা রক্ত দিয়ে সাহায্য করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যে ১৮ জন রক্তদাতা তাদের মহাত রক্ত দান করে তার মধ্যে এমন নয়জন রক্ত আদা ছিল যারা জীবনের প্রথমবার আজ তাদের রক্তদান করে সমাজের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতা স্বীকার করে দিল। ধর্মনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি পলাশ সেন এবং সম্পাদক পান্না ঘোষ ক্লাব সদস্যদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
রাজনীতির পাশাপাশি মানুষের সেবা করার এক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি গোমতী জেলা মহিলা মোর্চার কর্মীরা । মাতাবাড়ি মন্ডল মহিলা মোর্চার সহযোগিতায় গর্জি এলাকায় এক কৃষকের ধানি জমিতে প্রচুর পরিমাণে ধান এই বছর ভালো ফসলের মুখ দেখতে পেয়েছে এক উপজাতি কৃষক । এই উপজাতি কৃষকের জমিতে ধান কেটে দিয়ে মহিলা মোর্চার কর্মীরা পাশে দাঁড়াবার এক বার্তা দিয়েছে এই দিন । সকাল আটটা থেকে গোমতী জেলার মহিলা মোর্চার কর্মীরা জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শুক্লা মজুমদারকে সাথে নিয়ে সেই উপজাতি কৃষকের জমিতে ধানের ফসল কেটে দিয়ে পাশে দাঁড়াবার বার্তা দিয়েছে। মহিলা মোর্চার সকল কর্মীরা ধান কেটে সে সকল ধান গুলিকে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। আর তাতে করে কৃষক অনেকটাই উপকৃত হয়েছে তার কারণ ধানি জমি তে কাজ করা শ্রমিকের টাকা অনেকটাই বেঁচে গিয়েছে। এর ফলে খুবই খুশি উপজাতি কৃষকের গোটা পরিবার । সেবা ই সংগঠন এই মন্ত্রকে সামনে নিয়ে গোমতী জেলার মহিলা মোর্চারকর্মীরা ধানের ফসল ঘরে চলতে এদিন যে সাহায্য করেছে উপজাতি ব্যক্তিটিকে তাতে খুবই খুশি গর্জি এলাকার সাধারণ মানুষ
সাবরুমের মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অভারহেড পানীয় জলের ট্যাংক দীর্ঘদিন ধরে অকেজো
সাবরুমের মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অভারহেড পানীয় জলের ট্যাংক দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়েছিল পরবর্তী সময়ে আজ তা ভাঙ্গার জন্য লোক নিয়োগ করা হয় । নিয়ে আসা হয় জেসিবি ও চেইন ড্রজার। মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয় সেটি ভাঙার কাজ কিন্তু মেশিনের সাহায্যে কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না ওই উচ্চতা সম্পন্ন ওভারহেড পানীয় জলের ট্যাঙ্কটি । যার মধ্যে ছিল আটটি পিলার। জেসিবি মেসিন চেইন ড্রজার এর মাধ্যমে দড়ি বেঁধ ওভারহেড ট্যাংকে থাকা কিছু পিলারের মাঝ বরাবর কাটার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই পিলারগুলি কাটার কাজ করছিল একাকী মিঠুন দাস নামে সাব্রুম দমদম এলাকার এক যুবক হঠাৎই তিনটি পিলার কাটার পর ৪ নাম্বার পিলার কাটতে গিয়ে আচমকাই এই ওভারহেড ট্যাংকটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মিঠুন দাসের উপর কিন্তু তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সে কোনভাবে ওই ওভারহেড ট্যাংকের নিচে শুয়ে পড়ায় প্রাণে বেঁচে গেলেও তার পিঠে মাথায় এবং হাতে প্রচন্ড চোট লাগে ও রক্তাক্ত হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করতে গিয়ে আজ ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেল মিঠুন দাস নামে ওই যুবক। বেলা প্রায় বারোটা থেকে সাবরুম আগরতলা ৮ নং জাতীয় সড়কের সাব্রুমের মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয় তা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন সেখানে উপস্থিত হয় কিন্তু সন্ধ্যায় এই দৃশ্য দেখার পরে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং ওই ছেলেটিকে দেখার জন্য কৌতূহল সৃষ্টি হয় ছেলেটি কি বেঁচে আছে না মরে গেছে তা দেখার জন্য কিন্তু ভেঙে পড়া প্রায় দশ মিনিট পর ওই ছেলেটি কে জীবিত অবস্থায় দেখতে পেয়ে সকলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে
কৃষি কাজে এগিয়ে এলেন গন্ডাছড়া লক্ষ্মীপুর লাইপদ পাড়ার বাসিন্দা শিক্ষিত যুবক প্রসেনজিৎ চাকমা
কৃষি কাজে এগিয়ে এলেন গন্ডাছড়া লক্ষ্মীপুর লাইপদ পাড়ার বাসিন্দা শিক্ষিত যুবক প্রসেনজিৎ চাকমা। তিনি গ্রামের একজন সাধারণ কৃষক। প্রসেনজিৎ জানান গত বছরের তুলনায় এ বছর ধান চাষ করে তার ফসল ভালই হয়েছে। চিত্রাং’র ঘূর্ণিঝড় না হলে ফসল আরো ভালো হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তিনি বেকার যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন চাকরি আশায় না থেকে যার যার জমিতে যদি কৃষিকাজ করেন তাহলে লাভের মুখ দেখতে পাবে। তিনি মাস্টার ডিগ্রী পাস করার পরও বেকার অবস্থায় না থেকে কৃষি কাজে যুক্ত হয়েছেন বলে জানান। প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষক পরিবারকে বছরে ৬ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। তিনি বলেন তাতে কৃষকরা দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছেন। জনজাতি পরিবারের শিক্ষিত এই চাষীর মতে কিষাণ সম্মান নিধির মতো সরকার যদি আরও কিছু স্কিমের মাধ্যমে কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা করে দেয় তাহলে কৃষিক্ষেত্রে ভারতবর্ষ আরো এগিয়ে যাবে। এছাড়াও সোনাধন চাকমা নামে গ্রামের আরো এক কৃষক জানান ধান চাষ করতে গিয়ে সরকারি কৃষি দপ্তরের মাধ্যমে সার, ঔষুধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। এর জন্য তিনি বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান চিত্রাং’র ঘূর্ণিঝড় না হলে এবছর ধানের ফসল আরো ভালো হতো। তবুও কানি প্রতি ২০ মন করে ধান পেয়েছেন। তিনি এও জানান প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে বছরে ৬০০০ টাকা করে পাচ্ছেন। এর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো জানান তিনি একজন গরীব কৃষক, কৃষি কাজের ক্ষেত্রে সরকার যদি তাকে সাহায্য না করতেন তাহলে উনার পক্ষে এত ফসল উৎপাদন করা সম্ভব ছিল না। এদিকে শিক্ষিত যুবক প্রসেনজিৎ চাকমার কৃষিকাজের প্রতি এই ধরনের মানসিকতা এবং বেকার যুবক-যুবতীদের এ কাজে উৎসাহিত করতে দেখে গোটা মহকুমাবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মধুপুর প্রাথমিক হাসপাতালে দ্বিতল ভবন ২৪ নভেম্বর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরে দার উদ্ঘাটন হবে। কমলা সাগর বিধানসভার মধুপুর প্রাথমিক হাসপাতালটির দীর্ঘদিন ধরে অনুন্নত অবস্থায় পড়েছিল। যদিও কমলা সাগর বিধানসভায় একমাত্র প্রাথমিক হাসপাতাল মধুপুর হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল অত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষ। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর মধুপুর প্রাথমিক হাসপাতাল কে উন্নতি করার প্রচেষ্টায় এবং আধুনিকভাবে ও প্রযুক্তি বিদ্যার ব্যবহার করে খুব চিকিৎসার দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে বর্তমান শাসক দল ও তার আধিকারিক। পরবর্তী সময়ে গড়ে ওঠে মধুপুর প্রাথমিক হাসপাতালে অত আধুনিক ও প্রযুক্তির মাধ্যমে 20 সিট বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন। যার মধ্যে রয়েছে রোগীদের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য সন্তান প্রসব করার সুব্যবস্থা যা বর্তমান মধুপুর প্রাথমিক হাসপাতালে এক প্রকার নেই বললেই চলে। বর্তমান অবস্থায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মেজে শয্যা শায়িত ভয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা করানো হয়। বর্তমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে গড়ে ওঠা মধুপুর প্রাথমিক হাসপাতালের দ্বিতল ভবনের শুভ উদ্বোধন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড: মানিক সাহার হাত ধরে ২৪ শে নভেম্বর উদ্বোধন হতে চলেছে। সেই উপলক্ষে ১৫ নভেম্বর বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন ছন্দা দেববর্মা সহ বিশালগড় ব্লক আধিকারিগণ শর জমিনে খাতিয়ে দেখেন এবং পরিপূর্ণভাবে গঠন করা হয়েছে কিনা তাতেও সুদৃষ্টি দিয়েছেন আধিকারিগণ। ২৪ শে নভেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরে তার উদঘাটনের সকল প্রয়োজনের ব্যবস্থা সরজমিনে খাতিয়ে দেখেন বিশালগড় ব্লক চেয়ারপারসন ছন্দা দেববর্মা। দ্বিতল ভবনের দ্বার উদ্ঘাটনের পরবর্তী পর্যায়ে চিকিৎসা পেতে চলেছে মধুপুর বাসি তা বলা বাহুল্য।
রাইমাভ্যালী মন্ডলের বুথবিজয় অভিযানের অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার রইস্যাবাড়ি শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে রেলি এবং জনজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়
রাইমাভ্যালী মন্ডলের বুথবিজয় অভিযানের অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার রইস্যাবাড়ি শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে রেলি এবং জনজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এদিন রইস্যাবাড়িস্হিত দলীয় কার্যালয় থেকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিশাল একটা রেলি রইস্যাবাড়ি বাজারসহ তার আশপাশ এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে, শেষে রইস্যাবাড়ি কমিউনিটি হলের সামনে জনজমায়েতে মিলিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি মোর্চা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সমীর ওরাং,জনজাতি মোর্চা ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি বিকাশ দেববর্মা, সহ-সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা, বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা প্রমুখ। উক্ত জনজমায়েতে সিপিআইএম এবং তিপ্রা মথা দল ত্যাগ করে দশ পরিবারের বাইশ ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টি পতাকা তলে সামিল হয়। দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন জনজাতি মোর্চা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সমীর ওরাং। এদিনের জন জমায়েতকে ঘিরে কর্মী সমর্থকদের বিশাল মাত্রা উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
সোমবার বিকেল চারটায় উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে আসেন আসাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা
সোমবার বিকেল চারটায় উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে আসেন আসাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা । তাকে মাতার বাড়িতে স্বাগত জানান মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ । এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ও বিজেপির গোমতী জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় সহ আরো অনেকে। এইদিন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা মাতার বাড়িতে পৌঁছে প্রথমে ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পৌঁছেই ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের উদ্দেশ্যে পুজো অর্চনা করেন । পূজো অর্চনা শেষ করে একবার মন্দির প্রদক্ষিণ করেন তিনি । পরে মায়ের মন্দিরের পাশে থাকা মহাদেব মন্দিরেও পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা । শিবের মাথায় নিজ হাতে জল ঢেলে তিনি পুজো দেন পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে । মহাদেব মন্দিরে পূজো অর্চনা শেষ করে ঘুরে দেখেন মাতার বাড়িতে প্রসাদ প্রকল্পের কাজকর্ম । গোটা মাতারবাড়ি প্রসাদ প্রকল্পের কাজকর্ম কেমন চলছে এবং কতটুকু বর্তমানে কাজ হয়েছে সেই বিষয়ে কথা বলেন মাতারবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষের সাথে । পরবর্তী সময় সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর তিনি জানান যেভাবে বর্তমান সরকার ত্রিপুরেশ্বরী মাকে প্রসাদ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে শুরু করেছে তা দেখে আগামী দিনে দর্শনার্থীদের ভিড় জমবে উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে । দেশ ও বিদেশের বহু পর্যটক ভিড় জমাবে উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের । এদিন তিনি সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নোত্তরে আরো বলেন, রাজ্যের সিপিআইএম ও কংগ্রেসের মধ্যে যে গোপন বোঝা পড়া হচ্ছে তা আগামী কিছুদিন পর একেবারে সামনে চলে আসবে বলে তিনি কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন । পরে মায়ের মন্দিরের সাথে দাঁড়িয়ে তিনি একান্তেই কিছু ছবি তুলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাকে । কিন্তু মায়ের মন্দিরের উপরে ছবি তুলে সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে পা পিছলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বা শর্মা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সে সময় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছ থেকে প্রায় ১০ হাত দূরত্বে দাঁড়িয়েছিল তার নিরাপত্তা রক্ষীরা । কেন এতটা দূরত্বে দাঁড়িয়েছিল নিরাপত্তারক্ষীরা সে নিয়ে উড়ছে প্রশ্ন ? মুখ্যমন্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়ার মুহূর্তের মধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় মাতারবাড়িতে আশা অন্যান্য মন্ত্রী ও বিধায়কদের মধ্যে । ঘটনার সাথে সাথেই দৌড়ে ছুটে আসে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা । তার কিছু মুহূর্তের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে আবারো ছবি তুলতে শুরু করে । পরবর্তী সময় নিরাপত্তা রক্ষীরা নিরাপত্তা বলের মধ্য দিয়ে তাকে গাড়িতে করে নিয়ে যায় । গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়ে এইদিন