কৃষি কাজে এগিয়ে এলেন গন্ডাছড়া লক্ষ্মীপুর লাইপদ পাড়ার বাসিন্দা শিক্ষিত যুবক প্রসেনজিৎ চাকমা। তিনি গ্রামের একজন সাধারণ কৃষক। প্রসেনজিৎ জানান গত বছরের তুলনায় এ বছর ধান চাষ করে তার ফসল ভালই হয়েছে। চিত্রাং’র ঘূর্ণিঝড় না হলে ফসল আরো ভালো হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তিনি বেকার যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন চাকরি আশায় না থেকে যার যার জমিতে যদি কৃষিকাজ করেন তাহলে লাভের মুখ দেখতে পাবে। তিনি মাস্টার ডিগ্রী পাস করার পরও বেকার অবস্থায় না থেকে কৃষি কাজে যুক্ত হয়েছেন বলে জানান। প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষক পরিবারকে বছরে ৬ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। তিনি বলেন তাতে কৃষকরা দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছেন। জনজাতি পরিবারের শিক্ষিত এই চাষীর মতে কিষাণ সম্মান নিধির মতো সরকার যদি আরও কিছু স্কিমের মাধ্যমে কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা করে দেয় তাহলে কৃষিক্ষেত্রে ভারতবর্ষ আরো এগিয়ে যাবে। এছাড়াও সোনাধন চাকমা নামে গ্রামের আরো এক কৃষক জানান ধান চাষ করতে গিয়ে সরকারি কৃষি দপ্তরের মাধ্যমে সার, ঔষুধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। এর জন্য তিনি বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান চিত্রাং’র ঘূর্ণিঝড় না হলে এবছর ধানের ফসল আরো ভালো হতো। তবুও কানি প্রতি ২০ মন করে ধান পেয়েছেন। তিনি এও জানান প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে বছরে ৬০০০ টাকা করে পাচ্ছেন। এর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো জানান তিনি একজন গরীব কৃষক, কৃষি কাজের ক্ষেত্রে সরকার যদি তাকে সাহায্য না করতেন তাহলে উনার পক্ষে এত ফসল উৎপাদন করা সম্ভব ছিল না। এদিকে শিক্ষিত যুবক প্রসেনজিৎ চাকমার কৃষিকাজের প্রতি এই ধরনের মানসিকতা এবং বেকার যুবক-যুবতীদের এ কাজে উৎসাহিত করতে দেখে গোটা মহকুমাবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কৃষি কাজে এগিয়ে এলেন গন্ডাছড়া লক্ষ্মীপুর লাইপদ পাড়ার বাসিন্দা শিক্ষিত যুবক প্রসেনজিৎ চাকমা
by admin
written by admin
83