২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি এখন থেকেই নিজেদের ঘর গোছাতে ব্যস্ত। । প্রতিদিন জেলায় বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভাঙছে বিরোধীরা । আর তাতে করে শাসকের লাভ দ্বিগুণ হারে বাড়ছে প্রতিদিন । ৩২ মাতার বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৯ ও কুড়ি নং বুথে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে গোমতী জেলার বিজেপির সভাপতি অভিষেক দেবরায় বলেন , রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরার জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালু করেছে । তাতে করে রাজ্যের জনগণ উপকৃত হচ্ছে । সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, পানীয় জল থেকে শুরু করে সরকারি ঘর। শিক্ষা থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক আলো সমস্ত কিছু বর্তমান রাজ্য সরকার বিনামূল্যে প্রদান করছে রাজ্যের জনগণকে । কিন্তু বিরোধীরা তা দেখে সহ্য করতে পারছে না । কিভাবে বর্তমান জনদরদী সরকারকে বদনাম করা যায় রাত দিন এই সকল খারাপ মানসিকতা নিয়ে চলছে বিরোধীরা । কিন্তু রাজ্যের জনগণ রাজ্য সরকারের উন্নয়নের সাথেই চলার মানসিকতা ঠিক করেছেন । এর ফলে সরকারের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ দেখতে পেয়ে ১৩ পরিবারের ৪৩ জন ভোটার বিভিন্ন বিরোধী দল ত্যাগ করে শাসক দল বিজেপিতে যোগ দেয় । তাদেরকে দলীয় পতাকা দিয়ে দলে বরণ করে নেন বিজেপি গোমতী জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় । এই যোগদান সভায় দুটি বুথের জনগণের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
admin
০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করতে চলেছে কংগ্রেস।রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা নেতৃত্বে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ৩৫০০ কিলোমিটার পদযাত্রা সম্পন্ন করা হবে দেড়শ দিনে। মূল্য বৃদ্ধির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গণতন্ত্র রক্ষা এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করে বিরোধী নেতা সমাজ কর্মীদের হেনস্থা করার ইস্যুগুলি নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি। কেন্দ্রের মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদিকে হটাতে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করতে চলেছে কংগ্রেস। তারই অঙ্গ হিসেবে ২০২৩ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়েছে খোয়াইতেও। খোয়াই ব্লক কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে শনিবার সকাল ৯ টা খোয়াই কংগ্রেস ভবন থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়। ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হওয়ার পর্বে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী সমর্থকরা কংগ্রেস ভবনে জড়ু হয়। কংগ্রেস ভবন থেকে সুসজ্জিত এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বেড় হয়। এই পদযাত্রার মূল ব্যানারের পেছনেই ছিলেন খোয়াই ব্লক কংগ্রেস সভাপতি যতীন্দ্র গোপ, কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কর্মচারী নেতা প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য, সহ প্রমূখরা। এদিনের এই পদযাত্রাটি হাসপাতাল চৌমুন, মহারাজগঞ্জ বাজার, উত্তর দুর্গানগর, সিঙ্গিছড়া, বারবিল হয়ে জাম্বুরা দিকে যায়।কাঠ ফাটা রৌদ্রের তপ্ত দিনেও পদযাত্রীরা চার ঘন্টায় পরিক্রমা করেন ১৫ কিলোমিটারের মতো পথ।বিভিন্ন পাড়া আর জনপদ ঘুরে আবার পদযাত্রার মিছিল অফিস টিলা, সুভাষপার্ক শহর হয়ে পুনরায় কংগ্রেস ভবনে এসে সমাপ্ত হয়।
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন দৌড় গড়াই l এই বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতি মধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছে শাসক থেকে বিরোধী সকলেই। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিরোধী দল সিপিআইএম দলও ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছে । শনিবার দুপুরে উদয়পুর খিলপাড়া বাজারে রাজ্যে নারীদের উপর অত্যাচার, ধর্ষণ সহ গনতন্ত পুনঃরূধারের দাবিতে বিক্ষোভ সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রতন ভৌমিক,প্রাক্তন বিধায়ক মাধব সাহা, কৃষক নেতা নিতাই বিশ্বাস সহ সিপিআইএম এর অন্যান্য নেতৃত্বেরা এই দিন উপস্থিত ছিল। নেতৃত্বরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্যের শাসকদলকে । বামেদের এই সমাবেশ ঘিরে এই দিন পুলিশি ব্যবস্থা ছিল বেশ আঁটো সাঁটো ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৮ নভেম্বর।।
চড়িলাম বিধানসভার প্রতিটি বুথে আরও শক্তিশালী হচ্ছে বিজেপি। ভোটের মুখে সিপিএম ছাড়ার হিড়িক লেগেছে বলা যায়। শুক্রবার চড়িলামের কড়ুইমুড়ায় সিপিএম ত্যাগ করে ৭৩ জন ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেন । এদিন বিকালে চড়িলাম মন্ডলের ২৭ নং বুথ করুইমুড়ায় বিজেপির দলত্যাগ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৭৩ জন ভোটার সিপিআইএম দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে যোগদান করেন। নবাগতদের গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে দিয়ে বরণ করেন চড়িলাম মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ, চড়িলাম মন্ডলের প্রভারী বিশ্বজিৎ সাহা, চড়িলাম মন্ডলের বিস্তারক অপূর্ব দেবনাথ, এসি মোর্চার সভাপতি রাজেশ দাস, চড়িলাম মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত দাস সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ভাষণে মন্ডলের প্রভারী বিশ্বজিৎ সাহা বলেন গত সাড়ে চার বছরে সেজে উঠেছে চড়িলাম। রাস্তা পানীয় জল বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে প্রত্যন্ত গ্রামে। চড়িলামের প্রতিটি গলিতে স্ট্রিট লাইট লাগানো হয়েছে। আধুনিক খেলার মাঠ হয়েছে। তাই উন্নয়ন আরও তরান্বিত করতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আরো বেশি ভোটে বিজেপিকে জয়ী করার আহবান জানান তিনি।
১৫ থেকে ২০ দিন পরেই টাওয়ার লাইনের মাধ্যমে আমবাসা থেকে গন্ডাছড়া বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হতে যাচ্ছে।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৮ নভেম্বর:- দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে গন্ডাছড়াবাসীর। আর মাত্র হাতে গোনা ১৫ থেকে ২০ দিন পরেই টাওয়ার লাইনের মাধ্যমে আমবাসা থেকে গন্ডাছড়া বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হতে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর বর্তমান রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় মহকুমাবাসী টাওয়ার লাইনে বিদ্যুৎ পরিষেবা পেতে চলেছে। এতকাল পর্যন্ত আমবাসা থেকে গন্ডাছড়া ৫৪ কিলোমিটার বন-জঙ্গল, পাহাড় পথ ডিঙিয়ে মহকুমাবাসীদের ১১ কেবি এবং ৩৩ কেবি বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হত। তাতে প্রায় সময় দেখা যেত অল্প বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে কোথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে তাহা খুঁজে বের করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যেত। আবার কোন কোন সময় লাইন সারাই করতে একদিন, এমনকি দুইদিন সময় লেগে যায়। বর্তমানে টাওয়ার লাইনে বিদ্যুৎ পরিষেবা পেতে চলেছে শুনে খুশি গোটা মহকুমাবাসী। এই বিষয়ে উক্ত কাজের এজেন্সির প্রজেক্ট ম্যানেজার জানান শুরুতে টাওয়ার লাইনের কাজ করতে গিয়ে গাছ কাটা নিয়ে আইনি ভাবে বনদপ্তরের অনেক বাধা-বিপত্তির কারণে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে বনদপ্তরের সাথে আইনি জটিলতা কাটিয়ে ২০২১ সালে পুনরায় কাজ শুরু হয়। এজেন্সির প্রজেক্ট ম্যানেজার আরো জানান আগামী ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়ে এগোচ্ছে । ১৩২ কেবি টাওয়ারের মাধ্যমে ৩৩ কেবি পুরানো লাইনটাকে স্থানান্তরিত করা হবে। এতকাল ঝড় বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যা দেখা দিত। টাওয়ার লাইনের ফলে এ বিষয়গুলো আর থাকবে না। টাওয়ার লাইন মানুষের জন্য ভালো কাজ করবে বলে তিনি জানান। একটা পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানান আমবাসা থেকে গন্ডাছড়া পর্যন্ত ১৪৭টি টাওয়ার রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমবাসা থেকে গঙ্গানগর পর্যন্ত টাওয়ার লাইনের কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন গঙ্গানগর থেকে গন্ডাছড়া পর্যন্ত ৭৭টি টাওয়ার লাইনের কাজ চলছে। তিনি এও জানান তিনটি টাওয়ার বসানোর কাজ এবং ৩০টি টাওয়ারে তার টানার কাজ বাকি রয়েছে। তিনি জানান কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে বনদপ্তরের প্রায় ৬০০ যাতি গাছ কাটা পড়েছে। এছাড়াও অনেকের পাট্টা জমির উপর কলা গাছ এবং সুপারি গাছের ক্ষতি হয়। সরকার এই সব ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দিচ্ছে। ম্যানেজার বাবু আরো জানান আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে গিয়ে সপ্তাহে চার দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গোটা গন্ডাছড়া মহকুমা পাওয়ার শাটডাউন করে রাখা হচ্ছে। এই কাজে এলাকাবাসীরা তাদের সহযোগিতা করছেন এবং আগামীদিন গুলিতেও এলাকাবাসীরা এভাবে সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে বসত ঘরে আগুন ধরালো দুষ্কৃতিকারীরা । ঘটনা বাগমা ফোটামাটি গ্রামে ।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে , বাগমা ফাটাফাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলের উপ-প্রধান বিধান দাস ও তার পরিবার অন্যান্য দিনের মতো এদিন রাতেও খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ে । ঘড়ির কাঁটায় রাত আনুমানিক দেড়টা নাগাদ বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের রশ্মী গোটা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে এবং তার উত্তাপ শরীরে অনুভূত হওয়ার সাথে সাথেই ঘর থেকে বের হয়ে আসে বিধানের পরিবার । ততক্ষণে বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে । বসতঘর পুড়ে যেতে দেখে বিধানের ছেলে মিঠু দাস আগুন নেভানোর জন্য সামনে এগিয়ে গেলেই ঘটে যায় বড় ধরনের বিপত্তি । বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মিঠুনের দুটি হাত ও মুখমণ্ডল পুড়ে যায় । পরবর্তী সময়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ এই ঘটনা দেখতে পেয়ে দৌড়ে ছুটে আসে ঘটনাস্থলে সে সাথে খবর দেওয়া হয় উদয়পুর অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে । ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পরিদর্শন করেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া। কথা বলেন বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সাথে । সেই সাথে তিনি পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন অতিসত্বর যেন দুষ্কৃতিকারীদের ধরা হয় । একই সাথে নাম না করে বিরোধীদেরও তীব্র আক্রমণ শানান শিল্পমন্ত্রী । পরে অগ্নিকাণ্ডে আহত হওয়া মিঠু দাস কে দেখতে গোমতী জেলা টেপানিয়া হাসপাতালে ছুটে যান মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া । গোটা ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী ।
গোপন খবরের ভিত্তিতে 14 জন বাংলাদেশীকে ও দুজন ভারতীয় অটো গাড়িসহ চালককে আটক করে কামথানা বিএসএফ ।ঘটনার বিবরণে জানা যায় বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় অরবিন্দ নগর এলাকায় গোপন খবরের ভিত্তিতে কামথানা বিএসএফ ১৫০ নং বেটেলিয়ান দুটি অটো গাড়ি ও ড্রাইভার সহ ১৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করে। তার মধ্যে রয়েছে নয়জন পুরুষ, দুইজন মহিলা, এবং তিনজন ছোট শিশু। কামথানা বিএসএফ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা ত্রিশ মিনিটে মধুপুর থানায় হস্তান্তর করে। তাদের নাম হলো মহিদুল সানা, জনি কাজী, মোঃ বিল্লাল মিয়া, ইসলাম মিয়া, বুলবুল শিকদার, আবুল কাশেম, রুবেল শিকদার, রুবেল হোসেন, সারেয়ার হোসেন, মহিলা দুইজন আদরিকা খাতুন, রিক্তা বেগম, ছোট শিশু তিনজন রিপা আক্তার,রিপাদ হালদার, রেশমা, অটোর ড্রাইভার দুইজন জাহাঙ্গীর আলম, রমেশ দেবনাথ। বর্তমানে মধুপুর থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশ এবং ভারতীয় সমস্ত ব্যক্তিত্বরা। অটো চালকদের বাড়ি কামথানা এলাকায়। অটো চালক জানায় কামথানার হানিফ মিয়া দালাল এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। জানাযায় বাংলাদেশ থেকে এপারে থাকা কিছু দালাল চক্র বাংলাদেশ থেকে নাগরিকদের এনে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত করে তুলছেন। এক কথায় বলায় চলে পুলিশ প্রশাসন সে সমস্ত দালাল চক্রগুলির নাম জানা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোনরকম উদ্যোগ গ্রহণ করতেন না যার ফলে প্রতিনিয়ত এই দালাল চক্রের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে নাগরিকরা এবং বাংলাদেশ বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজ করে রাতারাতি নেমে পড়েন বাংলাদেশে। মধুপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকাতে প্রতিনিয়ত আটক হচ্ছে বাংলাদেশি থেকে শুরু করে নাইজেরিয়ান, রোহিঙ্গা, আর এই সমস্ত লোকেদের পারাপার করার পেছনে রয়েছে কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রে সীমান্ত এলাকায় অনেক দালাল চক্র। এই দালাল চক্রের প্রতি যদি প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আগামী দিনে কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের সীমান্ত এলাকার দিয়ে রাতারাতি বাংলাদেশ থেকে বহু নাগরিক ভারতে এসে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করে বাংলাদেশে চলে যাবে। রাজ্যে যতই নির্বাচন এগিয়ে আছেন ততই যেন সীমান্ত এলাকাতে বাংলাদেশীদের ভারতে ওঠার প্রবণতা ততই বেড়ে গেছে এই দালাল চক্রের। তাই কমলা সাগর বিধানসভা সহ রাজ্যের আপামর জনসাধারণ চাইছে সীমান্ত এলাকা দিয়ে দালাল চক্রের যেই লেনদেন রয়েছে সেটা যেন অতি দ্রুত প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে বন্ধ করেন সেটাই এখন সর্বদিকে আওয়াজ তুলছেন জনসাধারণ।
নাবালিকা নাতনি কে ধর্ষণের অভিযোগে দাদুকে গ্রেপ্তার করল মহিলা থানার পুলিশ। নাবালিকা ধর্ষণের মামলা দিয়ে যাত্রা শুরু হল খোয়াই মহিলা থানার কাজকর্ম ।আজ সকালের দিকে খোয়াই থানা এলাকার পূর্ব সোনাতলা গ্রামে এক বয়স্ক মহিলা ইট ভাঙ্গার কাজ করতে যায়। সঙ্গে যায় ঐমহিলার এক নাবালিকা নাতনি। দুপুরে খাওয়ার সময় মহিলা বাড়িতে চলে এলেও নাতনিকে খুঁজে পায়নি। পরবর্তী সময়ে এলাকারই দাদু পরিচিত বাসুদেব তাঁতির (৮০) বাড়ি থেকে নাবালিকা কান্না করতে করতে বেরিয়ে আসে । বাড়িতে এসে ঐ নাবালিকা পুরো ঘটনা তার মা-বাবা সহ আত্মীয় পরিজনদের জানায়। তারপরে গোটা পরিবার আইনের সাহায্য না পাওয়ার জন্য খোয়াই থানায় চলে আসে। খোয়াই থানা এই মামলাটি খোয়াই মহিলা থানায় রেফার করে দেয়। মহিলা থানা কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েই একটি মামলা গ্রহণ করে। Khowai Women P. S. Case No. 1/2022.U/S. 376(A)(B) IPC and 4 of Pocso Act. মহিলা থানা তদন্তে নামে এবং পূর্ব সোনাতলা নিজ বাড়ি থেকে বাসুদেব তাঁতি-কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে বাসুদেব তাঁতি সহ ঐ নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা হয় বলে জানা গেছে। ১৫ই নভেম্বর খোয়াই মহিলা থানা উদ্বোধন হওয়ার পর এই প্রথম ধর্ষণের মামলা দিয়ে মহিলা থানার কাজকর্ম শুরু হল
সারা ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমলা সাগর বিধানসভায় দলত্যাগ করে পৃথিবী দলে যোগদান করা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ নির্বাচনকে সামনে রেখে একমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় প্রতিনিয়ত সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করছেন। রাজ্য সরকারের কর্মযজ্ঞের উন্নয়নের ছোঁড়া সারা রাজ্যের সঙ্গে কমলাসাগর বিধানসভায় প্রতিটি অংশে পরিলক্ষিত হয়। এর ফলশ্রুতি হিসাবে সাধারণ জনগণ বিজেপির কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করতে সাধারণ মানুষ সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি দলের যোগদান করেন। এর ফলশ্রুতি হিসেবে কমলা সাগর বিধানসভা ১১ পরিবারের ৩৩ ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান কমলাসাগর বিধানসভার 38 নং বুথে হরিশনগর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন কমলাসাগর মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী সহ সভাপতি দুলাল সরকার ও সিপাহীজলার জেলা যুব মোর্চার সভাপতি দীপ্তনু দাস ও প্রধানসহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার জেলা ভিত্তিক বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠান করা হয় উদয়পুর চন্দ্রপুর কলোনী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ময়দানে
বৃহস্পতিবার জেলা ভিত্তিক বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠান করা হয় উদয়পুর চন্দ্রপুর কলোনী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ময়দানে । প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ, উদয়পুর পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার , গোমতি জেলা শিক্ষা অধিকারীক লক্ষণ চন্দ্র দাস ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সহ প্রমুখ । প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শেষে জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান । এদিন স্বাগত ভাষণ রাখেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক লক্ষণ চন্দ্র দাস। পরে শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পরিবর্তনের পর বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিদ্যালয় পড়ুয়া নবম শ্রেণীর সকল ছাত্রীকে বাইসাইকেল প্রদান করা হবে বিদ্যালয়ে আসার জন্য । গোটা অনুষ্ঠানে চন্দ্রপুর এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক শিক্ষক – শিক্ষিকা ও এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো