
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ আজ থেকে প্রায় এক বছর পূর্বে ২৬ নভেম্বর ২০২১ইং রাত্র এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে খোয়াই থানা এলাকার উত্তর রামচন্দ্র ঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের শেওড়াতলী গ্রামে জনৈক ব্যক্তি প্রদীপ দেবরায় নিজের দুই সন্তান সহ খোয়াই থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর নিজের ভাই ও একজন পথচারী সহ মোট পাঁচজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ বেরিকেট তৈরি করে তাকে আটক করে। পরদিন বিভিন্ন ধারায় সেই হত্যাকারী প্রদীপ দেবরায় কে মননীয় আদালতে হাজির করে। সেই থেকে প্রদীপ দেব রায় আজও আদালতে। ঘাতক প্রদীপ দেব রায় কে জেল হেফাজতে রেখে এই মামলার শুনানি ও রায়দান করা হয়। দীর্ঘ শুনানির পর আজ জেলা ও দায়রা জজ শঙ্করী দাস মহোদয়া হত্যাকারী হিসেবে প্রদীপ দেব রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ঠিক এক ঘণ্টা পর রায় ঘোষণা করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩০৭ ধারা মোতাবেক প্রদীপ দেবরায় কে মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত করেন। প্রদীপ দেবরায় ঐদিন রাত্র এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে যে পাঁচজনকে হত্যা করেছিল তার মধ্যে তার দুই সন্তান অদিতি দেবরায় ও মন্দিরা দেবরায়, তার বড় ভাই অমলেশ দেব রায়। খোয়াই থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর সত্যজিৎ মল্লিক এবং একজন পথচারী কৃষ্ণ দাস। এই পাঁচজনকে হত্যা করেছিল। প্রথমে হত্যা করেছিল ছোট মেয়েকে, তারপর বড় মেয়ে, তারপর বড় ভাই, চতুর্থ নম্বর পুলিশ ইন্সপেক্টর, পঞ্চম পথচারী। উক্ত মামলায় দুইজন তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ হয়েছিল সাব ইন্সপেক্টর এল টি ডার্লং ও এস ডি পি ও রাজীব সূত্রধর। উক্ত মামলায় সরকার পক্ষে ভোট ২৮ জন সাক্ষী দিয়েছেন। এই মামলায় উনিশ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং তারিখে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। সরকার পক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী বিকাশ দেব। শেওড়াতলী গ্রামের একাধিক ব্যক্তি ফোন করে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে এই আদালতে জেলা জজ শংকরী দাস মহোদয়ার দ্বিতীয় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ। প্রথম মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছিলেন ২৯শে জুন ২০২২ইং। ৫ বৎসরের নাবালিকা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায়