প্রতিনিধি মোহনপুর:-বামুটিয়া বিধানসভা এলাকায় সিপিআইএমের ঘরে ভাঙ্গন অব্যাহত রাখল বিজেপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় জলিলপুর গ্রামে এক যোগদান সভাতে ১৩ পরিবারের ৪৬ জন ভোটার সিপিআইএম দল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করেন। এই যোগদান সভাতে উপস্থিত ছিলেন বামুটিয়ার বিধায়ক কৃষ্ণধন ধন দাস, মন্ডল সভাপতি বিজু পাল এবং অন্যান্যরা। নবাগতদের হাতে গেরুয়া ঝান্ডা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নিলেন বিধায়ক এবং অন্যান্য নেতৃত্ব। আগামী দিনে রাজ্যের ব্যাপক উন্নয়নে সরকারের পাশে থাকার জন্য নবাগতদের পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য জনগণ কেউ আহবান করলেন বিধায়ক।
রাজনীতি
রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তিতে ২১ ‘সমমনস্ক’ দলকে আমন্ত্রণ, তালিকায় তৃণমূল,
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে আগামী ৩০ জানুয়ারি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি কর্মসূচি। তাতে যোগ দেওয়ার জন্য ২১টি অ-বিজেপি দলের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানাল কংগ্রেস।দলের নেতা জয়রাম রমেশ এ কথা জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘‘সম্প্রীতি ও সাম্যের বার্তাকে শক্তিশালী করতে মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু দিবসে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি কর্মসূচিতে ২১টি সহযোগী এবং সমমনোভাবাপন্ন দলের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে।’’আমন্ত্রিতদের তালিকায়, কংগ্রেসের সহযোগী শিবসেনা, আরজেডি, জেডি(ইউ), বাম দলগুলির পাশাপাশি রয়েছে , তৃণমূল, তেলুগু দেশম, ভারত রাষ্ট্র সমিতি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র মতো দল। কিন্তু ডাকা হয়নি আম আদমি পার্টি (আপ)-কে। খড়্গে বুধবার বলেন, ‘‘৩০ জানুয়ারি ভারত জোড়ো যাত্রার সমাবেশে বিপুল জনসমাগম হবে। বিজেপি বিরোধী অনেক দল যোগ দেবে এই কর্মসূচিতে।’’
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১১ জানুয়ারি।। সকাল আটটায় কাঞ্চনমালায় মাঙ্গলিক ক্রিয়ায় জন বিশ্বাস রথের পূজা হয়। এরপর জনস্রোতে ভেসে যাত্রা শুরু করে রথ। বুধবার বিজেপির জন বিশ্বাস রথযাত্রা গোলাঘাটির বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। রথে ছিলেন জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদিকা মৌসুমি দাস, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ। কাঞ্চনমালায় জনসমুদ্রে রথ থামিয়ে বক্তব্য রাখেন জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া। তিনি বলেন বিজেপি সরকার ঘরে ঘরে সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দিয়েছে। আবাসন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা, কৃষাণ সম্মান নিধি, ফসল বিমা যোজনা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে সমাজের সকল মানুষের কাছে। সিপিএম কয়েকদশক রাজ্যের জাতি জনজাতি সকলকে শোষণ করেছে। খুন সন্ত্রাস দুর্নীতি ছিল সিপিএমের শাসনে। আজ শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন চলছে। তাই গোলাঘাটিতে পুনরায় বিজেপির প্রার্থীকে জয়ী করার আহবান জানান তিনি। এরপর ধীরে ধীরে রথযাত্রা এগিয়ে যায় গাবর্দী বাজারে। জনজাতি কার্যকর্তা এবং সাধারণ মানুষ জন বিশ্বাস রথযাত্রাকে পুষ্পবৃষ্টিতে স্বাগত জানান। ভাষণ রাখেন বিজেপির নেতৃবৃন্দ। হাজারো যুব মোর্চার কার্যকর্তা এবং যুবক বাইক মিছিল করে রথযাত্রা এগিয়ে নিয়ে যান মোহনপুর, পেকুয়ারজলা, গোলাঘাটি বাজারে। গোলাঘাটি বাজারে কয়েক হাজার মানুষ ঐতিহাসিক রথযাত্রাকে স্বাগত জানান। জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া ভাষণে বলেন শান্তি সম্প্রীতি এবং উন্নয়ন বজায় রাখতে বিজেপি দরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের উন্নয়ন এবং জনজাতিদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি রক্ষায় কাজ করছে। এরপর দয়ারামপাড়া মধ্যঘনিয়ামারা হয়ে রথ ছুটে যায় টাকারজলায়। টাকারজলা চৌমুহনী, জম্পুইজলা, বেলবাড়িতে জনজাতি কার্যকর্তাদের সম্বোধন করেন নেতৃবৃন্দ। বিকালে জন বিশ্বাস রথযাত্রা মজলিস পুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
৩০ বাগমা মন্ডলের উদ্যোগে বিজয় সংকল্প জনসভা অনুষ্ঠিত হয় বাগমা বাজার এলাকায়। এই বিজয় সংকল্প সভার প্রথমে জনবিশ্বাস যাএা অনুষ্ঠিত হয় বাগমা মন্ডলের উদ্যোগে বাগমা বাজারে। জনবিশ্বাস যাএা শেষে বাগমা বাজারে হয় বিজয় সংকল্প জনসভা। বিজয় সংকল্প জনসভা উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষি পরিবহন ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া, ভারতীয় জনতা পার্টির গোমতী জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় সহ বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা। মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন , আজকের এই বিজয় রথে কর্মীদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে আগামী ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে জয় হবেন । এছাড়া ২০২৪ সালে পুনরায় কেন্দ্রেতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার ক্ষমতায় আসবেন বলে রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া বক্তব্যে তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিরোধীদের অশুভ শক্তি কোন কাজে আসবেন না এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ।বিরোধীদলের অশুভ শক্তিকে পরাজয় করে রাজ্যে পুনরায় ক্ষমতায় আসবে শাসক দল বিজেপি । এই দিনের বাজার সভায় বিজেপি কর্মীদের উপস্থিতি ছিলো ব্যাপক সাড়া ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১০ জানুয়ারি।। বিশালগড় মহকুমার সিপাহীজলা দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ক্লাস শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার কম্পিউটার হলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা। ছিলেন সমাজসেবক অভিজিৎ ঘোষ, সঞ্জিত দাস, এসএমসি চেয়ারম্যান শচীন্দ্র দত্ত সহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাগন। বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা বলেন ছাত্র ছাত্রীদের কম্পিউটার শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি। কম্পিউটার ছাড়া আধুনিক শিক্ষা অসম্ভব। তাই ছাত্র ছাত্রীদের দাবি মেনে আধুনিক কম্পিউটার শিক্ষা চালু করা হয়েছে। গ্রামের ছেলে মেয়েরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে আর্থিক অস্বচ্ছতা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এখন থেকে স্কুলেই শিখতে পারবে কম্পিউটার। ক্লাস করার জন্য কম্পিউটার ছাড়াও প্রজেক্টার দেয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১০ জানুয়ারি:- রাইমাভ্যালীতে ত্রিপ্রা মথা ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই রাইমাভ্যালী বিধানসভা এলাকার কোন না কোন জায়গায় উঠানসভা, গরুয়াসভা, জনসভার মধ্য দিয়ে যোগদান পর্ব চলছে। এখন মন্ডল কার্যালয়ে পর্যন্ত এসে তিপ্রা মথার কর্মীরা বিজেপি দলে যোগদান করছে। মঙ্গলবার দেখা যায় এমনই একটি ঘটনা। এদিন রাইমাভ্যালী মন্ডল কার্যালয়ে এসে তিপ্রা মথা দলের সমর্থক মির্গাচরন চাকমা তার গোটা পরিবার নিয়ে বিজেপি দলে যোগদান করেন। সেখানে নবগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা। এছাড়া যোগদান পর্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, জেলা সম্পাদিকা সতী চাকমা সহ ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য নেতৃত্বরা। যোগদান পর্ব শেষে মন্ডল সভাপতি জানান আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে রাইমাভ্যালীতে বিরোধী দলে ফাটল দেখা দিচ্ছে। এলাকার মানুষ বুঝতে পারছে ভারতীয় জনতা পার্টি ছাড়া রাজ্যের উন্নয়ন কোন অবস্থাতেই সম্ভব না। তিনি জানান গত পাঁচ বছর গোটা রাজ্য জুড়ে শান্তির পরিবেশ বিরাজ করছে। একদিকে শান্তি অন্যদিকে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এমত অবস্থায় রাজ্যের মানুষ চাইছে ২০২৩ এ আবার বিজেপি সরকার।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৯ জানুয়ারি:- আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টি রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে সোমবার বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযান সংঘটিত করা হয়। এদিন রাইমাভ্যালী বিধানসভা এলাকার ৩৭ নং বুথে ছিল বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক কর্মসূচি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং, বিজেপি ধলাইজেলা কমিটির সহ-সভাপতি তথা ডুম্বুরনগর আর ডি ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ চাকমা, জেলা কমিটির সম্পাদিকা সতী চাকমা, মন্ডলের মহিলা মোর্চা সভানেত্রী বর্না দাস মন্ডল, রাইমাভ্যালী মন্ডলের কোষাধ্যক্ষ তপন চৌধুরী সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযান শেষে জেলা সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা জানান ৩৭ নং বুথ এলাকার ৯৯ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছে। এতে করে এলাকার মানুষ দারুনভাবে খুশি। এমত অবস্থায় তাদের একটাই বক্তব্য ২০২৩ এ আবার বিজেপি সরকার চায়। এদিনের জন সম্পর্ক অভিযানকে ঘিরে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৯ জানুয়ারি:- আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার রাইমাভ্যালী মন্ডলের সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিন গন্ডাছড়া টাউন হলে মন্ডলের অফিস বেয়ারার, মোর্চার কার্যকর্তা, বুথ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ধলাই জেলা প্রভারী সুব্রত নাথ, রাইমাভ্যালী মন্ডলের প্রভারী কমল দেববর্মা, মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা, মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক আদিত্য সরকার, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং, ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, জেলা সম্পাদিকা সতী চাকমা,কৃষাণ মোর্চা রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার প্রমুখ। এদিনের সাংগঠনিক বৈঠকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রণ কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
সোমবার জনবিশ্বাস যাত্রার পঞ্চম দিনে ৩১ রাধাকিশোর পুর বিধানসভা কেন্দ্রে এসে পৌঁছলো । এদিন ছনবন নেতাজী সুভাষ ব্রীজ থেকে বিজেপির রথ শুরু হয় । উপস্থিত ছিলেন , আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা , পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া ও বিজেপি প্রদের সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য সহ প্রমুখ । এদিন বিজেপি রথযাত্রাটি ছনবন , রাধা কিশোরপুর থানা রোড, সেন্ট্রাল রোড, মহাদেব বাড়ি রোড , হয়ে গোটা উদয়পুর শহর পরিক্রমা করে । ভারতীয় জনতা পার্টির রথযাত্রা টি দেখার জন্য দলীয় কর্মীরা ভীড় জমান গোটা শহরজুড়ে । একে একে হাজারো বাইক মিছিলের মধ্য দিয়ে শহরে প্রবেশ করতে থাকে। একই সাথে বিভিন্ন ধরনের নাচ গান ও আলোকসজ্জায় এক মিছিল বের করা হয় । সেই সাথে মহিলা মোর্চার কর্মীরা হাতে পুষ্প, মোমবাতি জ্বালিয়ে স্বাগত জানান আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের মন্ত্রীদের । একে একে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড: মানিক সাহা থেকে শুরু করে সকলে রথের উপর থেকে পুষ্প ছিটিয়ে সকলের অভিবাদন গ্রহণ করেন । পাশাপাশি উদয়পুর শহরের ব্যবসায়ীরা শীতের মৌরসুমে শরীরে চাদর জড়িয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির রথ যাত্রার মিছিল দেখার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে এইদিন । রথ যত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল ততো যুব মোর্চার কর্মীদের স্লোগানে কম্পিত হচ্ছিলো গোটা শহর । ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ক্ষমতা নিয়ে দ্বিতীয় বারে জন্য রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গড়ছে এই শ্লোগানে মোহর মোহর আওয়াজে ধনী উঠতে থাকে ২৩ শে আবার ভাজপা সরকার। গোটা রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশি নিরাপত্তা ছিলো আঁটোসাঁটো ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
রবিবার জনবিশ্বাস যাত্রার চতুর্থ দিনে সোনামুড়া থেকে বিজেপির রথ আসে কাঁকড়াবনে । এদিন কাকরাবনে উপস্থিত ছিলেন , রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ , বিজেপি জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় , গোমতী জেলা প্রভারী রতন ঘোষ ও ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান টিংকু রায় সহ প্রমুখ । এদিন বিজেপির রথ কাকরাবন হয়ে পালাটানা ও রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জামজুরী বাজারে আসে । জামজুরি বাজারে দলীয় কর্মী ও বাজার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন , বিগত দিনে ২৫ বছরে রাজ্যে খুন ও সন্ত্রাসের একটি সরকার রাজত্ব করে গিয়েছে । ২০১৮ সালে তাকে বিদায় দিয়েছে রাজ্যের জনগণ । এই রাজ্যে বর্তমান সরকার শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সমস্ত জায়গায় উন্নয়ন করেছে। এছাড়া এক স্বচ্ছ প্রশাসন এই রাজ্যে গড়ে তুলেছে বর্তমান বিজেপি সরকার । কোথাও এই সরকারের কোন দুর্নীতি পর্যন্ত নেই । আগামী দিনে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই ত্রিপুরা রাজ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে ভারতীয় জনতা পার্টি । এদিন রথযাত্রা থেকে মুখ্যমন্ত্রী তার ভাষণে জনসাধারণের জন্য এই বার্তা দেন । এদিন জামজুরী হয়ে রথ যাত্রার গাড়িটি মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মুড়াপাড়া, জয়ন্তী বাজার হয়ে মাতার বাড়িতে যায় জনবিশ্বাস যাত্রা। এদিন এই রথযাত্রার গাড়ির সামনে সারিবদ্ধ ভাবে যুব মোর্চার কর্মীরা এক সুসজ্জিত বাইক মিছিল করে । একই সাথে মহিলা মোর্চার কর্মীরা উলুরধ্বনি ও ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে । জনবিশ্বাস যাত্রা কে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীদের ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা যায় সমস্ত রাস্তা জুড়ে।