প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৪ মে।। বিশালগড় আনন্দ মার্গ স্কুল এবং স্কুলের চেয়ারম্যানকে নিয়ে অপপ্রচারের জবাব দিলেন স্কুল কতৃপক্ষ। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কুৎসার জবাব দিলেন স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্যরা। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল প্রাণগোপাল আচার্য, পরিচালন কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান রবীন্দ্র দাস, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বিপ্লব দাস প্রমুখ। প্রিন্সিপাল প্রাণগোপাল আচার্য বলেন সুস্থ মানব সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করছে আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘ। রাজ্যে আনন্দ মার্গ পরিচালিত ৭৩ টি স্কুল রয়েছে । গত চল্লিশ বছর ধরে বিশালগড় আনন্দ মার্গ স্কুল চলছে। বর্তমানে দ্বাদশ মানে উন্নীত করার কাজ শুরু হতেই স্কুলের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এমনকি স্কুলের চেয়ারম্যান ননীগোপাল দেবনাথকে ব্যাক্তিগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে একাংশ । বিভিন্ন সামাজিক এবং সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রিন্সিপাল প্রাণ গোপাল আচার্য বলেন এই স্কুল কোন ব্যাক্তির নয়। এটা আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘের স্কুল। স্কুল পরিচালনার জন্য কমিটি রয়েছে। চেয়ারম্যান কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে স্কুল পরিচালনা করেন। এর আগে অনেকে চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান ননীগোপাল দেবনাথের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্কুলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। পাকাবাড়ি, টয়লেট, বাউন্ডারি, পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে। চেয়ারম্যান ননীগোপাল দেবনাথ নিজের সম্পদ মরগেজ রেখে ঋণ নিয়ে স্কুলের উন্নয়ন সাধন করেছেন। কিন্তু এই ননীগোপাল দেবনাথের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রাক্তন চেয়ারম্যান রবীন্দ্র দাস বলেন স্কুল তদারকি করেন আনন্দ মার্গ সন্ন্যাসীরা। বছরে দুই বার অডিট হয়। কাজেই অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ ভিত্তিহীন। না জেনেই স্কুলের আভ্যন্তরিন বিষয় নিয়ে কুৎসা রটানো হচ্ছে। এছাড়া প্রাক্তন চেয়ারম্যান রবীন্দ্র দাসকে স্কুল থেকে তাড়ানোর অভিযোগ খারিজ করেন খোদ রবীন্দ্র দাস । উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বিপ্লব দাস বলেন সঙ্গীত শিক্ষক বিপ্লব সাহা স্কুলটি টিবিএসই পরিচালিত থাকাকালীন শিক্ষকতা করতেন। সিবিএসই তে রূপান্তরিত হওয়ার পর গাইডলাইন মোতাবেক বিপ্লব সাহাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। বর্তমানে বিপ্লব সাহা স্কুলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। স্কুল পরিচালন কমিটি আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘের নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করছে। মিথ্যাচার, মিথ্যা মামলা দিয়ে স্কুলের সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চলছে। এখানে ব্যক্তি ননীগোপাল দেবনাথ কে জড়িয়ে মিথ্যাচার কাম্য নয়। তাই অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান কতৃপক্ষ। অন্যথায় আগামীদিনে আনন্দ মার্গ কতৃপক্ষ আইনি লড়াই এবং আন্দোলনের পথে পা দেবেন বলে হুশিয়ারি দেন। সারাদেশে আনন্দ মার্গের সন্ন্যাসীরা প্রতিবাদ জানাবে।
ত্রিপুরা
অপি দেবনাথ এবারের ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় দশম স্থান পায় ।
ধর্মনগর
অপি দেবনাথ এবারের ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় দশম স্থান পায় । অপি দেবনাথ উত্তর ত্রিপুরা জেলার কৃষ্ণপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর কলা বিভাগের ছাত্রী । তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৭১। উচ্চ মাধ্যমিকে তার বিষয় ছিল বাংলা ,ইংলিশ ,এডুকেশন, ফিলোসফি এবং সংস্কৃত । অপি জানায় সে তার এই ফলাফলে অত্যন্ত খুশি । সে জানায় তার দুইজন গৃহ শিক্ষক ছিল । তার বাবার নাম রুপম দেবনাথ। একজন সবজি চাষী । মা গীতা দেবনাথ গৃহিণী। অপির দুই বোন, সে বড় ছোট বোন এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে। অপি ভবিষ্যতে ধর্মনগর মহাবিদ্যালয় থেকে ইংলিশ অনার্স নিয়ে পড়তে চায় এবং ভবিষ্যতে সেই ইংলিশ নিয়ে এগোতে চায় । তার পড়াশোনা নির্দিষ্ট কোন সময় ছিল না তবে সে প্রতিদিন ৫-৬ ঘন্টা পড়তে বলে জানায় । তার এই সাফল্যে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলে অত্যন্ত খুশি এবং তার বন্ধু-বান্ধবীর সহ এলাকায় সকলেই তার সাফল্য তাকে অভিনন্দন জানায় ।
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া।২৪মে।ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত এ বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় ফলাফলে কৃতির তালিকায় তেলিয়ামুড়ার নাম পুণরায় উজ্জ্বল করলো ছাত্র-ছাত্রীরা।
সংবাদে জানা যায়,, ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিকের ফলাফলে এ বছর তেলিয়ামুড়ার আনন্দমার্গ হাই স্কুলের ছাত্র দীপ্তনু ঘোষ ৪৮৪ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য অষ্টম স্থান অধিকার করেছে যুগ্মভাবে।
এছাড়া এ বিদ্যালয়ের ই ছাত্রী জয়শ্রী পাল ৪৮১ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য দশম স্থান অধিকার করেছে। এছাড়া
উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে তুইসিন্দ্রাই বাড়ি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের ছাত্র মানিক দেবনাথ এবং ঈশিতা দাস সম্ভাব্য যুগ্মভাবে অষ্টম হয়েছে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সর্বত্র খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে। এই খুশির খবর ছড়িয়ে পড়তে সাংবাদিকরা দীপ্তনু ঘোষের বাড়িতে গেলে সে জানায়,, গৃহ শিক্ষক, স্কুল শিক্ষক,মা-বাবা ছাড়াও তার কাকা পড়াশোনায় সহযোগিতা করেছে এর ফলে এই ফলাফল তার। সে আগামী দিনে অংক নিয়ে পড়তে চায় । পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে সে ভালবাসে।
অপরদিকে জয়শ্রী পাল জানায়,, পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ এবং আর্ট করতে তার খুব ভালো লাগে, ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে মানুষের জন্য সেবা করতে চায়। জয়শ্রী’র বাবা, ব্যাবসায়ী হলেও দীপ্তনুর বাবা একটি দোকানে কর্মরত। তবে ছেলে মেয়ের এত ভালো ফলাফলে খুশি পরিবার-পরিজন সহ আত্মীয় প্রয়োজন এবং শিক্ষানুরাগী মহল।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৪ মে।। বিশালগড়ের মুখউজ্জ্বল করেছে রামজয় সাহা এবং সৌম্যদীপ ভৌমিক। টিবিএসই পরিচালিত মাধ্যমিক পরিক্ষায় সেরা দশের সম্ভাব্য মেধা তালিকায় স্থান করে নেয় বিশালগড়ের বিবেকানন্দ শিশু নিকেতনের এই দুই ছাত্র। এ বছর মাধ্যমিকের সম্ভাব্য মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থান দখল করে রামজয় সাহা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১ । পিতা তপন সাহা পেশায় সব্জি ব্যবসায়ী এবং মাতা রাখি দাস সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। পড়াশোনার পাশাপাশি অঙ্কন শিক্ষা, আবৃত্তি এবং ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসে সে। ভবিষ্যতে আইআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় এই মেধাবী ছাত্র। অন্যদিকে একই বিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় সম্ভাব্য নবম স্থান দখল করে সৌম্যদীপ ভৌমিক। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮২, পিতা খোকন ভৌমিক পেশায় গৃহ শিক্ষক, মাতা শিখা ভৌমিক গৃহিণী । বড় হয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হতে চায় সৌম্যদীপ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উদয়পুর টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে দুটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীর মধ্যে ব্যাপক মারপিট । জখম হয়েছে সিটি স্ক্যান বিভাগের টেকনিশিয়ান কর্মী দ্বৈপায়ন রুদ্র পাল । ঘটনা বুধবার দুপুরে । হাসপাতালের ঘটনা সূত্রে জানা যায় , বুধবার দুপুরে এক মুমূর্ষ রোগী সিটি স্ক্যান করানোর জন্য টেপানিয়া হাসপাতালের ভেতরে থাকা সিটি স্ক্যান বিভাগে যান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য । কিন্তু তখন হঠাৎ করে মুমূর্ষ রোগীটি অসুস্থ হয়ে মল , মূত্র ত্যাগ করে । এই বিষয়টি নিয়ে সাফাই করার জন্য হাসপাতালের ভেতর থাকা সুলভের সুপারভাইজার ইন্দ্রজিৎ শর্মাকে বলা হয় তা পরিষ্কার করার জন্য । কিন্তু তিনি বলে উঠেন সিটি স্ক্যান বিভাগটি তাদের টেন্ডারে ধারা না থাকায় তারা এই বিভাগে সাফাই করতে পারবে না। এই নিয়ে শুরু হয় বাক বিতন্ডা । একে অপরের উপর হামলার অভিযোগ তুলে । মাঝপথে বন্ধ হয়ে পড়ে সিটি স্ক্যান বিভাগ । সরকারি হাসপাতালে মারপিটের ঘটনা জানতে পেরে হাসপাতালে মেডিকেল সুপার কাজল দাস ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং কথা বলেন দুইটি বেসরকারি বিভাগের দুই কর্মীর সাথে। জানা যায় তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। সিটি স্ক্যান যেন বন্ধ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য। দীর্ঘ দুই ঘন্টার উপর সিটি স্ক্যান বন্ধ রাখার পরে পরবর্তী সময় শুরু হয় পুনরায় সিটি স্ক্যানের পরীক্ষা নিরীক্ষা । উভয়পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা নিয়ে তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং বিচারের দাবি তুলেন । জানা যায় , হাসপাতালের মেডিকেল সুপার গোটা বিষয়টি তদারকি করছেন এবং নিজেদের মধ্যে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার সমাধান করার জন্য তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এদিন দুপুরে এই ধরনের ঘটনা অন্যান্য রোগীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করে দিয়েছে ।
প্রতিনিধি তেলিয়ামুড়া।২২মে।ত্রিপুরা বায়োডাইভারসিটি বোর্ড এর উদ্যোগে তেলিয়ামুড়ার অন্যতম সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা নবচিন্তন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় তেলিয়ামুড়া কবি নজরুল দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর হল ঘরে বুধবার অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক জৈব বৈচিত্র্য দিবস,2028.
মঙ্গল প্রদীপ প্রচলন করে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর এর চিকিৎসকতথা অভিষেক পাল, কবি নজরুল বিদ্যাভবন দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় অধ্যক্ষ বিশুরায় দেববর্মা, সিনিয়র বিজ্ঞান শিক্ষক গৌতম সরকার, প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত চন্দ্র দাস, বিজ্ঞান শিক্ষক অলক সাহা সহ প্রমুখরা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন নব চিন্তন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সম্পাদক চিরঞ্জীব দেব।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা জৈব বৈচিত্র্য রক্ষার্থে কি কি করণীয় সে সম্পর্কিত বিশদে আলোচনা রাখেন।, উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই সম্পর্কিত একটি কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন অতিথীরা। বাস্তুতন্ত্র রক্ষার্থে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সমাপ্ত হয় একদিন ব্যাপী এই সেমিনারের।
মূলত ত্রিপুরা বায়োডাইভারসিটি বোর্ড এই দিনটিকে বিভিন্ন ভাবে পালন করে থাকেন এরই অঙ্গ হিসেবে তেলিয়ামুড়া নব চিন্তন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাথে যৌথ উদ্যোগে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।এছাড়া এই দিনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-অর্থ কষ্টের টাকা ফেরতের দাবিতে উদয়পুর অমর সাগর দক্ষিণ পাড় স্থিত রিস্তা ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কোম্পানিতে এসে হাজির হয় আগরতলার মধুবন কাঠালতলী এলাকার বাসিন্দা রেশমা লোধ নামে এক মহিলা । ঘটনার বিবরণে জানা যায় , ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর রিস্তা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনে প্রথম দফায় পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কোম্পানিতে জয়েন করে পরবর্তী সময় ৩০ শে ডিসেম্বর আরো কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হয় কোম্পানিকে । সেখানে আর পি গ্রুপ করে অন্যান্য মানুষকে লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সেই প্রলোভন দেখিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে এই ধরনের টাকা কোম্পানিতে গিয়েছে বলে জানা যায়। পরবর্তী সময় , সাত দিনের একটি ট্রেনিং দেওয়া হয় । সেখানে কোন প্রকার ট্রেনিং নিতে ইচ্ছুক হননি রেশমা লোধ নামে এই মহিলা । নিজের টাকা ফেরত এর দাবিতে সোচ্চার হলে কোম্পানি তালবাহানা শুরু করে । পরে বাধ্য হয়ে মাসের পর মাস চলে গেলে এবার উদয়পুরে কোম্পানির সেই অফিসের খুঁজ পেয়ে আগরতলা থেকে ছুটে আসে, রেশমা লোধের গোটা পরিবার । পরবর্তী সময় অফিসের কর্মীদের সাথে কথা বললে তারা গোটা বিষয়টি কিছুটা চেপে যেতে চেষ্টা করে। পরে রাধাকিশোরপুর থানায় গোটা ঘটনায় খবর দেওয়া হলে বড় মাত্রায় পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং কথা বলে উদয়পুরের দায়িত্বে থাকা সেই কোম্পানির কর্মীদের সাথে । কিন্তু সঠিকভাবে কোন ধরনের সদুত্তর দিতে পারছিলো না কর্মীরা। পরে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ জানায় , অফিসের কিছু নথিপত্র থানায় নিয়ে যায় এবং গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে । গোটা ঘটনায় উদয়পুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয় ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। কাঞ্চনপুর মহকুমার দশদা পোস্ট অফিসে গ্রাহক পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। আজ সকাল ১১ টায় তা দিয়ে যে মহিলা পোস্টমাস্টার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি চলে যান। উনার বক্তব্য হচ্ছে ৩-৪ দিন যাবত এই পোস্ট অফিসের মেশিন নষ্ট থাকায় কোন ধরনের টাকা জমা হচ্ছে না। এদিকে আজকে মাসের বাইশ তারিখ অর্থাৎ টাকা জমা দেওয়ার শেষ সপ্তাহ চলে আসায় এজেন্টরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। মহিলা পোস্টমাস্টার জানান যে এই মেশিন নষ্ট অবস্থায় টাকা জমা নিয়ে জমা দেওয়া যাচ্ছে না। তার থেকে জমা না নিলে ভালো বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে এজেন্টরা টাকা জমা দিতে না পারায় কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ হচ্ছে বলে জানানো হয় এজেন্টদের পক্ষ থেকে। স্মল সেভিংস এ টাকা রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নানা রকম বিজ্ঞাপন বের হয়েছে এবং তা কেন্দ্রীয় সরকারের একটি রোজগারের বিশাল বড় মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। এই টাকা যদি জমা না হয় তাহলে অর্থনৈতিক পঙ্গুতা পরিলক্ষিত হবে বলে সাধারণ মানুষের অভিমত। মহিলা পোস্টমাস্টার নাকি উত্তর জেলার এসপি অফিসে জানিয়ে দিয়েছেন যে মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে মেশিন ঠিক না করলে সঠিক জমা এবং তোলা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই দশদা পোস্ট অফিস থেকে কয়েক কোটি টাকা জমাকৃত হয় বলে অর্থনৈতিক পঙ্গুতা পরিলক্ষিত হবে বলে মানুষ আশা করছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই মেশিন সঠিক করে জমাকৃত টাকা যাতে সঠিক অ্যাকাউন্টে সঠিক সময়ে জমা হয় তার ব্যবস্থা করে নেওয়া একান্ত জরুরী ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে ছনতৈল মুসলিম পল্লী ২ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দারা বুধবার দুপুরে কৈলাসহর মহকুমা শাসকের অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।উনারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,গত ২৭শে এপ্রিল গভীর রাতে প্রবল ঝড় বৃষ্টির কারণে ওদের বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।সাথে সাথেই প্রশাসনের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।এতে তারা খুশি নন। তাদের অভিযোগ এত ক্ষতি হওয়ার পরও উনাদেরকে পঁচিশ শতাংশ আর্থিক সাহায্য করেছে কৈলাসহর মহকুমা প্রশাসন।পাশাপাশি ওই এলাকায় যাদের কোন ক্ষতি হয় নাই তাদেরকে নাকি ১০০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য করেছে মহকুমা প্রশাসন।সে ক্ষেত্রে কতটা সত্যতা রয়েছে সেটা তদন্ত করলেই বোঝা যাবে।তাই ওদের দাবি কৈলাসহর মহকুমা প্রশাসন যাতে উক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।এলাকাবাসীরা উক্ত বিষয় নিয়ে বুধবার দুপুরে কৈলাসহর মহকুমা শাসক কার্যালয়ে মহকুমা শাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জানায়।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-প্রদেশ যুব মোর্চার কার্যক্রমের অঙ্গ হিসাবে চন্ডিপুর মন্ডল যুব মোর্চার উদ্যোগে আজ পথচারীদের মধ্যে ঠান্ডা জল ও ফল বিতরণ করা হয়।প্রখর দাবদাহে পথচারীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে যুব মোর্চার উদ্যোগে চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের চিড়াকুটিতে এই কর্মসূচি সংঘঠিত করা হয়েছে।কিছুদিন পূর্বেও চন্ডিপুর মন্ডল যুব মোর্চার উদ্যোগে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে থাকা রোগীদের মধ্যে ঠান্ডা পানীও এবং ফল মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল। আজকের এই কর্মসূচিতে প্রায় ৬ শতাধিক পথচারী ঠান্ডা পানীয় এবং ফল সেবন করেছেন।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুর মন্ডল যুব মোর্চার সভাপতি বাবলু দেব এবং বিজেপি জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ডঃ সুশান্ত সিনহা ও অন্যান্য কর্মীগন।