- প্রতিনিধি , উদয়পুর : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার বিরুদ্ধে বিরোধীদলের অপপ্রচার তথা কুৎসার প্রতিবাদ জানিয়ে এক ধিক্কার মিছিল বের হয় ভারতীয় জনতা পার্টি ৩৩ কাকরাবন শালগড়া মন্ডলের উদ্যোগে । এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন , কাকড়াবন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার , মন্ডল সভাপতি সহ যুব মোর্চার কর্মীরা । দলীয় অফিস থেকে বের হয়ে কাকরাবনের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে । পরে এক পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। রাজ্য যখন ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারের ডাবল ইঞ্জিন চলছে তখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রাজ্যের জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । কখনো বন্যা নিয়ে আবার কখনো বিভ্রান্তিকর সংবাদ নিয়ে প্রতিনিয়ত ময়দানে নামছে। কিন্তু রাজ্য সরকার যেভাবে শহর থেকে গ্রাম প্রতিটি জায়গায় উন্নয়নের কাজ করছে তার সুবিধা ভোগ করছে রাজ্যের জনগণ । ইতিমধ্যে কাকড়াবনে নানা উন্নয়ন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে । দূর্গা পূজার প্রাক মুহূর্তে বিভিন্ন এলাকার শান্তি সম্প্রীতি নষ্ট করতে বিরোধীরা এই ধরনের মিছিল মিটিং সংগঠিত করছে। আগামী দিনে রাজ্যের মানুষ এই উন্নয়নের মধ্য দিয়েই যোগ্য জবাব দেবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। রাজ্যের ভোটাররা কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের ওপরে আস্থা ও ভরসা রাখছে। তার কারণ যেভাবে বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা কখনো বিগত দিনে দেখা যায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন । এদিন প্রতিবাদী মিছিলে বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় ।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, উদয়পুর : উদয়পুর রাজর্ষি কলা কেন্দ্রে গোমতী জেলা মহিলা মোর্চার উদ্যোগে সদস্যতা অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বনথী শ্রীনিবাসনের উপস্থিতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে তার শুভ উদ্বোধন করেন সর্বভারতীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বনথী শ্রীনিবাসন । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন , বিজেপি প্রদেশ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মিমি মজুমদার , বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার , রঞ্জিত দাস ও বিজেপি গোমতী জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় সহ প্রমূখ । এই সদস্যতা অভিযান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতৃত্বরা বলেন , ভারতীয় জনতা পার্টি সদস্যতা অভিযান কে কেন্দ্র করে দলের সমস্ত নেতৃত্বরা যেভাবে গোটা রাজ্য চষে বেড়াচ্ছে তাতে করে একদিকে যেমন সংগঠনের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে শক্তিশালীভাবে অন্যদিকে সদস্য সংখ্যাও বাড়ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা প্রত্যেকে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই সদস্যতা অভিযান সংগ্রহ করছে । মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা গ্রহণ করছে। সেই সাথে মহিলারা কিভাবে সারা ফেলেছে সদস্যতা অভিযানে গোটা গোমতী জেলা জুড়ে তা সব থেকেই নজিরবিহীন । একদিকে মহিলা মোর্চা নেতৃত্বরা যেভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছে অন্যদিকে সদস্যতা অভিযান তা ক্রমশই ধীরে ধীরে দলকে যেমন শক্তিশালী করছে তেমনি সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে মহিলাদের। মহিলা মোর্চা সব সময় দলের স্বার্থে কাজ করে চলেছে নিরলসভাবে। আগামী দিনে মহিলা মোর্চা গোটা গোমতী জেলায় এক বড় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে বক্তব্যে তুলে ধরেন নেতৃত্বরা। এ দিনের গোটা অনুষ্ঠানে ব্যাপক পরিমাণে মহিলা মোর্চার কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর : – ভারতীয় জনতা পার্টির সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা রাজ্যের সাথে উদয়পুরেও শুরু হয়েছে জোর কদমে সদস্যতা অভিযান কর্মসূচি । প্রতিদিন দলের বিভিন্ন ছোট বড় সকল স্তরের নেতৃত্বরা বিভিন্ন বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল অ্যাপের মধ্য দিয়ে সদস্যতা অভিযানে অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করেন । উল্লেখ্য যে , ভারতীয় জনতা পার্টির সংবিধান অনুযায়ী প্রতি ছয় বছর অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির সদস্য পদ অভিযান , এই অভিযানে বর্তমান সদস্যপদ গুলো পুনঃ নবীকরণ করা সহ নতুন সদস্যদের তালিকাভুক্ত করা হয় । প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রীয় সভাপতি সদস্যপদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে । এই ” সদস্যতা অভিযান -২০২৪ ” কার্যক্রমকে সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টি উদয়পুর জেলা কার্যালয়ে প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মার উপস্থিতিতে জেলার সকল বিধায়কগণ , জেলার সমস্ত মন্ডল সভাপতিগণ এবং জেলার অন্তর্গত প্রত্যেকটি মন্ডলের সদস্যতা অভিযানের কনভেনার , কো-কনভেনারগণ সহ এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ছিলেন বিজেপি গোমতির জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় ।
পালাটানা ওটিপিসি পাওয়ার প্লান্ট এমপ্লইয়ার এসোসিয়েশানের শ্রমিক ও কর্মচারীদের নিয়ে নতুন এডহক কমিটি গঠিত
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- ভারতীয় মজদুর সংঘ পালাটানা ওটিপিসি পাওয়ার প্লান্ট এমপ্লইয়ার এসোসিয়েশানের সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় রবিবার বিকেল পাঁচটায় উদয়পুর রাজর্ষি কলা কেন্দ্রে । মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ভারত মাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলা সভাপতি গৌতম দাস। এছাড়া ছিলেন , বিএমএসের জেলা সম্পাদক পার্থসারথি ঘোষ , বিএমএসের সদস্য প্রদীপ মজুমদার ও কৃষ্ণ বৈদ্য । এদিনের সভায় সভাপতিত্ব করেন তপন দত্ত । আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএমএসের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন , সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হলে কর্মী এবং কর্মচারীকে একসাথে মিলে কাজ করতে হবে । তাহলে এই প্ল্যান্টের উন্নয়ন আরো সামনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাবে শ্রমিকদের নানা সমস্যা নিয়ে আধিকারিকদের সাথে কথা বলতে সুবিধা হবে। ছন্নছাড়া মনোভাব নিয়ে কাজ করলে কখনো সফল হবে না । ওটিপিসি প্ল্যান্টের ভেতর বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। সে সকল সমস্যাগুলি যৌথভাবে সমস্যা সমাধান করতে হবে । তাই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ১৫ জনের এডহক কমিটি তৈরি করা হয়েছে । এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে লিটন মজুমদার এবং সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুব্রত সেন কে । এই দিনের আলোচনা সভায় পালাটানা ওটিপিসি পাওয়ার প্লান্ট এমপ্লইয়ার এসোসিয়েশানের সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। বিজেপি কিষান মোর্চার উদ্যোগে এবং কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র ঊনকোটি জেলার ব্যবস্থাপনায় ভারত সরকারের নর্থইস্ট কম্পনেন্ট প্রজেক্ট এর সহায়তায় পেচারথল মন্ডলের উগলছড়া বাজারেএক মেগা বীজ বিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রদীপ প্রজ্বলন করে বীজ বিতরণ সভার উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা সরকারের মাননীয়া মন্ত্রী শ্রীমতি সান্তনা চাকমা মহাশয়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কিষান মোর্চা রাজ্য সভাপতি শ্রী প্রদীপ বরণ রায় ঊনকোটি জেলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যান বিশেষজ্ঞ ডঃ রতন দাস ঊনকোটি জেলা পরিষদ কৃষি কমিটির চেয়ারম্যান শুভেন্দু দাস ঊনকোটি জেলা ফারমার্স ক্লাবসের কো-অর্ডিনেটর তথা কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মিলন দে প্রাক্তন কৃষি তত্ত্বাবধায়ক প্রতাপ চন্দ্র দাস প্রমূখ। সভায় স্বাগত ভাষণ রাখেন উদ্যান বিজ্ঞানী ডঃ রতন দাস ডঃ দাস তার ভাষনে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র কি এবং কেন তার বিস্তৃত আলোচনা করেন এবং কৃষকের সহায়তায় কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র ঊনকোটি নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাবে বলে তিনি কথা দেন। কিষান মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা অল ত্রিপুরা ফারমার্স ক্লাবসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পর্ষদ এর সংস্থান ব্যবস্থাপনা সদস্য শ্রী প্রদীপ বরণ রায় উনার ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জির ত্রিপুরার কৃষকের প্রতি যে অবদান তার বিস্তৃত আলোচনা করেন। প্রধান অতিথির ভাষণে মাননীয়া মন্ত্রী শ্রী মতি সান্তনা চাকমা বলেন সরকার কৃষকের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল এবং প্রতিনিয়ত গ্রামের উন্নয়নে সরকার কাজ করে চলেছে আগামী দিনে কোন কৃষকের কোন অসুবিধা হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তর তথা মাননীয় মন্ত্রী সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। সভায় প্রায় পাঁচশত কৃষক কে ৮ প্রজাতি করে বর্ষাকালী সবজি বীজ বিতরণ করা হয়। সভায় মহিলা কৃষকের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। পরবর্তী বীজ বিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় পাবিয়াছড়া মন্ডলের মাছমারা কমিউনিটি হলে সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিষান মোর্চার রাজ্য সভাপতি শ্রী প্রদীপ বরণ রায় , কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র ঊনকোটি জেলার উদ্যান বিশেষজ্ঞ ডঃ রতন দাস প্রাক্তন কৃষি তত্ত্বাবধায়ক প্রতাপ চন্দ্র দাস ঊনকোটি জেলা ফারমার্স ক্লাবসের কো-অর্ডিনেটর মিলন কান্তিতে প্রমুখ। সেখানে চারশত কৃষকের মধ্যে প্রত্যেক কৃষককে আট প্রজাতির বর্ষাকালীন সবজি বীজ বিতরণ করা হয়।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- ভারতীয় জনতা পার্টি গোমতী জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায়ের সভাপতিত্বে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা ও আগামী দিনের কর্মসূচি সফল করতে অনুষ্ঠিত হয় জেলা কমিটির এক বৈঠক । এই বৈঠকে ছিলেন , বিজেপি প্রদেশ কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি বিমল চাকমা , বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার , জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি দেবল দেবরায় ও জেলা মোর্চার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ এবং মন্ডল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ। এছাড়াও ছিলেন অমরপুর নগর পঞ্চায়েত ,উদয়পুর পৌর পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন গণ সহ প্রমূখ । এই দিনের বৈঠকে গোমতী জেলার সাথে বিধানসভা কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আলোচনা হয় এবং আগামী দিনে দলের পক্ষ থেকে যে সকল কর্মসূচি গুলি দেওয়া হবে সেই সকল কর্মসূচি গুলি যেন প্রতিটি মন্ডল স্তরে সফল করা হয় সেদিকে নজর দিতে হবে মন্ডল সভাপতিদের । পাশাপাশি আগামী দিনে দলীয় প্রচারকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। ছোট থেকে বড় সমস্ত অংশের নেতৃত্বদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে প্রতিটি এলাকায়। এই সকল সভা গুলি যেন জোরদার ভাবে প্রচার করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এদিন জেলা সভাপতি বলেন পৌর এলাকাগুলি ও নগর পঞ্চায়েত এলাকাতে আরো বেশি করে উন্নয়নের কাজ করতে হবে। গোটা সভায় দলীয় কর্মসূচির উপর জোর দেয় নেতৃত্বরা ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ দুপুর ১২টা নাগাদ ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা চন্ডিপুর মন্ডলের উদ্যোগে চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল উত্তীর্ণ প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রীরামপুর স্বামী বিবেকানন্দ হলে সংবর্ধিত করা হয়েছে।নব স্বপ্নের উড়ান শীর্ষক ভাবনায় গোটা রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই যুব মোর্চার তরফ থেকে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধিত করা হচ্ছে।আজকের এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুরের বিধায়ক তথা ত্রিপুরা সরকারের সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।সভাপতিত্ব করেন যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি বাবলু দেব।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি শ্যাম কুমার সিনহা,রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর,জেলা সাধারণ সম্পাদক পিন্টু ঘোষ, যুব মোর্চার প্রদেশ মুখপাত্র তথা ঊনকোটি জেলা প্রভারী অম্লান মুখার্জি,আইনজীবী সন্দীপ দেব রায় ও মণ্ডল সহ-সভাপতি হিমাংশু দাস। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়েছে।উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করে গীতবিতান সংগীত সংস্থার শিল্পীবৃন্দ।মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ফার্স্ট ডিভিশন এবং সেকেন্ড ডিভিশন পেয়েছে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা তাদেরকেই এই মঞ্চ থেকে সংবর্ধিত করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন,এখন থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।কলেজ বাছাই এর ক্ষেত্রে সরকারি কলেজ ব্যতীত বেসরকারী ক্ষেত্রে জেনে শুনে খোঁজখবর নিয়ে পছন্দের বিষয় রয়েছে কিনা সে সবগুলো জানার পর কলেজ স্তরে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।তিনি বলেন সরকারি চাকরির আশায় বসে না থেকে এখন থেকেই ইনকামের টার্গেট নিয়ে এগিয়ে চলার প্রয়োজন। চিরসবুজ শ্যামলী ত্রিপুরায় অনেক কিছুর উৎস রয়েছে। যেখানটায় পর্যটন যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবেই ভারতবর্ষের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা।যেখানে এক লক্ষ মেট্রিকটন রাবার উৎপাদন হয় এবং কেরলে গিয়ে তার ভেলু এডিশন হয়। যার প্রাপ্তি মূল্য প্রায় ১৫শ কোটি টাকা।এছাড়াও ত্রিপুরা রাজ্যে ব্যাম্বু প্রজেক্ট,গ্যাস উৎপাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক ধরনের ইনকাম সোর্স রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলতে গিয়ে তিনি বলেন পরিশ্রমই হচ্ছে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। পৃথিবীর সকল সফল ব্যক্তিরা ধৈর্য এবং পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই সফলতার চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছুতে পেরেছেন।
উদয়পুর প্রতিনিধি : বুধবার ছিল সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধীর জন্মদিন । ৫৪ বছরের পা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী । এদিন দুপুরে রাহুল গান্ধীর জন্মদিন পালন করা হয় দিল্লি কংগ্রেসের সদর দপ্তরে। ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকা অর্জুন খারগে সহ প্রথম সারির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। জন্মদিন কে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার উদয়পুর জেলা যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে জন্মদিন কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উদয়পুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি টিটন পাল , উদয়পুর ,কাকারা বন ও বাগমা ব্লক কংগ্রেসের সভাপতিসহ ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতিরাও এদিন ছিলেন বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে । গোটা বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানটি ভারী বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই এদিন রাহুল গান্ধীর জন্মদিন কে এক পরিবেশ প্রেমী রূপ হিসেবে তুলে ধরা হয় যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-সারা রাজ্যের সাথে কৈলাসহরেও প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন সাধারণ মানুষ।তিন চার দিনের টানা বৃষ্টিতে মনু নদীর জল যেভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে এর ফলে আতঙ্কগ্রস্ত নদী এলাকার পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী নাগরিকরা।কৈলাসহর পুর এলাকা সহ উত্তরাঞ্চল, সমরুরপাড়,শ্রীরামপুর,ভটেরবাজার,ছনতৈল সহ হাওড়র বাজার এলাকা জুড়ে বাড়ীঘর ও কৃষির অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।বুধবার সকালে পুর এলাকার লক্ষীছড়া সহ মনু নদীর জল বাড়তে শুরু করলে নূতন করে মনু নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়।আর তাতে পুর পরিষদের ১০নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোবিন্দপুরের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সংলগ্ন মূল বাধেঁর ভেতরে ৩০-৩৫ পরিবারের মধ্যে অধিকাংশ পরিবারের ঘরবাড়ী নদীর জলে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।এই পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বরা। জেলা সম্পাদক অরুন সাহার নেতৃত্বে যুব মোর্চা সংগঠনের কার্যকর্তারা বন্যায় আক্রান্ত পরিবারের পাশে থেকে সর্বতোভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অরুণ বাবু।গোবিন্দপুরের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সংলগ্ন মনু নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে বসত ঘর।গত দুদিনে ভারী বর্ষণে যৌবন রুপ ধারণ করেছে মনু নদী।আর তাতে কৈলাসহর পুর পরিষদের ১০নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর এলাকার বসত ঘর চলে গেছে নদী গর্ভে।মনু নদীর ভাঙ্গন রুখতে ও বসত বাড়িগুলো রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের এখন পর্যন্ত কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে।অসহায় পরিবার গুলোর অবস্থা খুবই করুন।চিন্তায় কাটাচ্ছেন প্রতি মুহূর্ত।পুনরায় জমি ক্রয় করে নতুন বাড়ি নির্মান করার মত ক্ষমতা তাদের নেই।আর তাই বর্তমানে খোলা আকাশই তাদের বসবাসের স্থান।কৈলাসহর পুর পরিষদ এলাকার গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা মায়া রানী সরকার,দিলীপ সরকার, মানিক সরকার একই পরিবারের সদস্য।গতকাল গভীর রাত থেকে নদীর জল বাড়তে থাকলে তাদের বাড়ির বিশাল একটা অংশ ভেঙে নদীর তলায় তলিয়ে যায়। আর ঠিক একই অবস্থা মায়া রানী সরকারের।নদীর জল কমতে থাকলে এক সময় উনার বাড়ির একটি অংশ সহ শৌচালয় চলে যায় নদী গর্ভে। বর্ষা আসলেই নদীর প্রলয়ংকরী রুদ্ররুপ নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।আর এই অসহায় পরিবারের সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে দাবী করেন তাদের সমস্যা দ্রুত নিরসনের জন্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,পুর পরিষদের অন্তর্গত ১৫ ও ১৬ নং ওয়ার্ডের দুর্গাপুর সোনামারা এলাকায় মনুনদীর বাঁধের উপর বালির খাদান থেকে লরি ভর্তি বালি নিয়ে আসা যাওয়া করতে গিয়ে প্রতিদিন বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে।কোন কোন জায়গায় গর্ত তৈরী হওয়ায়ও বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে।একই অবস্থা ১৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব দুর্গাপুর এয়ারপোর্ট সংলগ্ন মনুনদীর বাঁধের।এই বাঁধের উপর দিয়ে প্রতিদিন যানবাহন চলাচলের ফলে ক্ষতি হচ্ছে বাঁধের।প্রশাসনের কাছে দ্রুত বাঁধ সারাইয়ের দাবী করেছেন মহকুমাবাসী।২০১৮ সালের বন্যার পর এখন অব্দি তেমন ভাবে বাঁধের কোন কাজ-ই করা হয় নি।এই বিষয়ে ওয়াটার রিসোর্স দপ্তর একেবারেই নির্বিকার।তবে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সংলগ্ন বাঁধের যে জায়গায় মানুষের ঘর ভেঙে পড়েছে সেখানটায় কিছু সংখ্যক ইটের কেটস ফেলে দায়িত্ব সেরে নিয়েছে দপ্তর।আরো অধিক মাত্রায় ইট ফেললে হয়তো বা বসত ঘরটি বেঁচে যেত।
প্রতিনিধি, বিশালগড় । সম্পন্ন হলো চারদিন ব্যাপি অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ত্রিপুরা প্রদেশ অভ্যাস বর্গ । এবছর সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় নগর শাখার অন্তর্গত অফিসটিলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় অভ্যাস বর্গ। গত ১৫ থেকে ১৮ জুন প্রদেশ অভ্যাস বর্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। অভ্যাস বর্গে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ত্রিপুরা প্রান্ত প্রচারক নিখিল শংকর নিবাসকর , পরিষদের ত্রিপুরা প্রদেশ সংগঠন মন্ত্রী শুভম শ্রীবাস্তব, ত্রিপুরার প্রদেশ মন্ত্রী সঞ্জিত সাহা সহ অন্যান্য জেলার কার্যকর্তারা। অভ্যাস বর্গে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কার্যকর্তাদের ছাত্র স্বার্থে , রাষ্ট্রস্বার্থে কাজ করার দৃঢ় মানসিকতা গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিদ্যার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের বিকাশ , চরিত্র গঠন এবং একতাবদ্ধ ছাত্র সমাজ গড়ার মাধ্যমে বৈভবশালী ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের জন্য উৎসাহিত করা হয়। তাছাড়া ভারতীয় সংস্কৃতির আধারে সুষ্ঠু সুন্দর সমাজ গঠনের ওপর আলোচনা হয় । অভ্যাস বর্গের অন্তিম দিনে অফিসটিলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন অফিসটিলা স্কুলের এন এস এস ইউনিট সহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা, বিভিন্ন সমাজ সেবীগণ, জনপ্রতিনিধি এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কার্যকর্তারা। এদিকে অভ্যাস বর্গকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানান বিদ্যার্থী পরিষদের কার্যকর্তারা। অভ্যাস বর্গের কারণে স্কুল বন্ধ ছিল বলে অপপ্রচার করছে একাংশ। অপপ্রচারের জবাবে তারা জানান ছুটির দিনেই অভ্যাস বর্গ হয়েছে। তিনদিন স্কুল ছুটি ছিল। বাম জামানায় ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনের নামে স্কুল বন্ধ রেখে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে রোদ বৃষ্টিতে মিছিল মিটিং হয়েছে। ছাত্রদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। এগুলো রাজ্যের মানুষ দেখেছে। কিন্তু অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ কখনো সেই পথে পা দেয়না। রাষ্ট্র এবং সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করে এবিভিপি।