প্রতিনিধি, বিশালগড়,
২১ জানুয়ারি।। গত নির্বাচনে কমলাসাগর বিজয় অধরা ছিল। এবার কমলাসাগর থেকে পবিত্র বিধানসভায় পদ্মফুল পাঠানোর সংকল্প নিয়েছে যুব মোর্চা। সেই লক্ষ্যে কমলাসাগর মন্ডলের মধুপুরে অনুষ্ঠিত হয় যুব সম্মেলন। বিজেপির যুব মোর্চার কমলাসাগর মন্ডল কমিটির উদ্যোগে মধুপুর মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির ত্রিপুরা প্রদেশের নির্বাচনী প্রভারী ডঃ মহেন্দ্র সিংহ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিজেপির সিপাহীজলা উত্তর জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক,যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি নবাদল বণিক, জেলা সভাপতি দীপ্তন দাস, বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন ছন্দা দেববর্মা, যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি চন্দন বণিক প্রমূখ। বিজেপি নির্বাচনী প্রবাহী মহেন্দ্র সিং বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরার মানুষকে সিপিএমের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিয়েছে। ত্রিপুরার মান সম্মান বাড়িয়েছে। ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ নির্মাণের কাজ করছে। ভারতবর্ষের সুপুত্র নরেন্দ্র মোদি আত্মনির্ভর ভারত গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করছে। আজ কোন প্রতিবেশী শক্তি আতঙ্কবাদী মাথা তোলার সাহস পাচ্ছে না। ৩৭০ ধারা ৩৫ এ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে কাউকে না খেয়ে মরতে হয়নি। বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে আমাদের বাঁচিয়েছে। আজও চীনে করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। আর ত্রিপুরায় আপনারা মাস্ক ছাড়া খুশ মেজাজে একসাথে বসে ভাষণ শুনছেন। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে। আজ ভারত বিশ্ব গুরু হওয়ার পথে। ভারত আজ শক্তিধর রাষ্ট্র। আমেরিকা ইজরায়েল এবং ভারত এই তিন রাষ্ট্র অন্য দেশের সীমানা পেরিয়ে শত্রুর বিনাশ করতে পারে। পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর ভারত তা করে দেখিয়েছে। এ রাজ্যের তিন লক্ষ মানুষের পাকা বাড়ি দিয়েছে। ২০০০ টাকা করে সামাজিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপন হয়েছে। ৭০ বছরে একটি মাত্র জাতীয় সড়ক ছিল। আজ সাতটি জাতীয় সড়ক হয়েছে। তাই ত্রিপুরাকে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে বিজেপিকে জয়ী করার আহবান জানান তিনি। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য বলেন ২৫ বছরে কমলাসাগরে কংগ্রেসের কর্মীরা খুন হয়েছে। কংগ্রেসের আমলে সিপিএমের কর্মী খুন হয়েছে। কংগ্রেসের পূর্ণ দাস, গোলক বিশ্বাস, সিপিএমের সুভাষ সাহা কেন খুন হলেন এর জবাব কংগ্রেস সিপিএম নেতাদের দিতে হবে। শুধু তা-ই নয় এই সিপিএম বিজেপির কার্যকর্তা বীরলাল সরকারকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে। তাদের হাতে রক্ত লেগে রয়েছে। আর এখন আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলছে। তাদের লজ্জা থাকা দরকার। সিপিএমের বিধায়ক পাঁচ বছর কোথায় ছিলেন? জিজ্ঞেস করুন। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে কোন সিপিএমের কর্মী মানুষের পাশে ছিল না। বিজেপির কার্যকর তারা মানুষের সেবা করেছে। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কমলাসাগর থেকেও বিধানসভায় পদ্মফুল পাঠানোর আবেদন জানান তিনি। যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি নবদল বনিক বলেন দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসন উপহার দিয়েছে বিজেপি যুব সমাজ নয়া উদ্ভাবনী ভাবনায় সরকারের সহযোগিতা নিয়ে নিজেরা স্বউদ্যোগী হচ্ছে। চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ নিয়োগ নীতি লাঘু হয়েছে। বিগত সরকার ক্যাডারদের বেছে বেছে চাকরি দিয়েছে। পঁচিশ বছর খুন সন্ত্রাস করে মানুষের অধিকার হরণ করে রাজনীতি করেছে সিপিএম। তাদের আমলে বিধায়ক মন্ত্রী খুন হয়েছে। কাজেই সেই অন্ধকার রাজত্ব ফিরিয়ে আনা যাবে না। কমলাসাগরে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করতে হবে। এরজন্য যুব মোর্চা থেকে শুরু করে সকল কার্যকর্তা প্রস্তুত থাকতে হবে। এদিনের যুব সম্মেলন জনসমুদ্রের রূপ নেয়। কার্যকর্তাদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল লক্ষনীয়। গণসংগীত শিল্পী রাজেশ ঘোষ প্রথম ধাপে আসর মাতিয়ে তুলেন।
রাজনীতি
৪৪ রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে রইস্যাবাড়ী বাজারে এক প্রচার সভা অনুষ্ঠিত হয়
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ২১ জানুয়ারি:- আসন্ন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার ৪৪ রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে রইস্যাবাড়ী বাজারে এক প্রচার সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিশাল এক রেলি রইস্যাবাড়ী বাজার সহ তার আশপাশ এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। শেষে রইস্যাবাড়ী বাজারে এক পথ সভায় মিলিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা, রইস্যাবাড়ী ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান কসরঞ্জন ত্রিপুরা,কিষান মোর্চা ধলাই জেলা কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন ত্রিপুরা প্রমুখ। এদিনের পথসভায় বিরোধী দল ত্যাগ করে ১ পরিবারের ৪ ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেন। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি বলেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের জোট রাজ্যের মানুষ কোন অবস্থাতেই মেনে নেবে না। কারণ এই দুই দলের শাসনের সময় কালে গোটা রাজ্য জুড়ে এক অরাজকতা দেখা দেয়। দিকে দিকে খুন খারাবি থেকে শুরু করে নারি নির্যাতন ছিল নিত্য দিনের ঘটনা। এই সময় শাসনের নামে শোষন করা হত। মানুষ শান্তিতে দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারত না। এক বেলা খেলে অন্য বেলা উপোস করে থাকতে হত। এরকম একটা পরিস্থিতি থেকে অবশেষে বিজেপি ২০১৮ সালে রাজ্যের মানুষকে মুক্তি দেয়। বর্তমানে গোটা রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। মানুষের কর্মসংস্থান কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এমতাবস্থায় মন্ডল সভাপতি উন্নয়নের ধারা এবং শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দিকে দিকে বিজেপি প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান।
সম্প্রতি তিনি মেঘালয়ে ভোটপ্রচার সেরে এসেছেন। এ বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যাবেন ত্রিপুরায়। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সে রাজ্যে ভোট। তার আগে মমতা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই সেখানে যাবেন ভোটের প্রচারে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সব ঠিক থাকলে আগামী ৬ এবং ৭ ফেব্রুয়ারি দু’দিনের সফরে ত্রিপুরায় যাবেন তৃণমূলনেত্রী। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, মেঘালয় ভোটের দলীয় ইস্তাহারও প্রকাশ হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। মেঘালয়ে ভোট তার তিন দিন পরেই, অর্থাৎ ২৭ তারিখ।আগামী ফেব্রুয়ারিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুই রাজ্য ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। গত ১৮ জানুয়ারি মমতা এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মেঘালয় গিয়েছিলেন। মমতা সেখানে জনসভাও করেন। এ বার তিনি যাবেন ত্রিপুরায়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে বিমানে আগরতলা পৌঁছনোর কথা মমতার। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজোও দিতে যাবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাতে আগরতলায় থেকে পরের দিন রাজধানী ওই শহরে তিনি একটি ‘রোড শো’ করবেন। তার পর তিনি ফিরে আসবেন কলকাতায়।তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা পৌঁছনোর আগেই ত্রিপুরায় দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভার সব আসনেই প্রার্থী হতে চেয়ে একাধিক আবেদনও জমা পড়েছে দলীয় নেতৃত্বের কাছে। গোটা বিষয়টি বিবেচনা করেই শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন বলে শুক্রবারের বৈঠক শেষে জানানো হয়। ত্রিপুরার পাশাপাশি ভোট রয়েছে মেঘালয়েও। সেখানে ভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি। তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই রাজ্যে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। মেঘালয়ে গিয়ে ইস্তাহার উদ্বোধন করবেন অভিষেক। ইতিমধ্যে ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় বিধানসভার ৫২টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা প্রচারেও নেমে পড়েছেন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
২৫ বছরের বাম শাসনকে ত্রিপুরা রাজ্যের ক্ষমতার মসনদে থেকে সরিয়ে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকার ক্ষমতায় আসে । জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনজাতি মহিলাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য কাজ করেছে । গর্জি মৌসুম পাথর ৬০ নং বুথে উঠান সভার মধ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বলেন বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ । বিধায়ক বলেন , রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে জনজাতি অংশের সাধারণ মানুষের জন্য সরকার বহু কাজ করেছে । তার সুফল পেয়েছে ত্রিপুরার উপজাতিরা । সরকার সমতল থেকে শুরু করে পাহাড় সর্বোচ্চ উন্নয়ন করে গিয়েছে । শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য , পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক আলো সমস্ত কিছুই সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে বিনামূল্যে । দেখতে দেখতে পাঁচটি বছর শেষ হয়ে দৌর গোড়ায় রয়েছে বর্তমান ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন । বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দল তার প্রচার শুরু করে দিয়েছে । প্রতিটি পাড়ার মোড়ে শুরু হয়েছে পথসভা । জনজাতি এলাকায় শুরু হয়েছে উঠোনসভা । বিধায়ক বলেন ভারতীয় জনতা পার্টি সব সময় বছরের ৩৬৫ দিন কাজ করে যায় মানুষের কল্যাণে । নতুন ভাবে কাজের প্রমাণ দিতে হয় না ভারতীয় জনতা পার্টিকে । বিধায়ক বলেন বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই রাজ্যে একটি অশুভ জোট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে । এই অশুভ শক্তিকে রোখার জন্য রাজ্যের শুভবুদ্ধি সম্পূন্ন জনগণ এগিয়ে আসতে হবে । তারা চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি যেভাবে কাজ করছে এই কাজের উন্নয়নকে থমকে দিতে । এদিন বিধায়ক বলেন বর্তমান সরকারের আমলে যে সকল সুযোগ সুবিধে রাজ্যের মানুষ পেয়েছে তা কখনো বিগত দিনে পায়নি এই রাজ্যের জনগণ । এদিন মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের গর্জি মৌসুম পাথর ৬০ নং বুথে জনজাতি মহিলাদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
গত ১০ জানুয়ারি জোর জল্পনা ছিল, তিনি ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সে দিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতৃত্বের অনেককে ‘ট্যাগ’ করে খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি মধ্যপ্রদেশে এক সম্মেলনে যোগ দিয়ে এসেছেন। ঠিক দশ দিন পরে, শুক্রবার তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির সঙ্গে হিরণের একটি ছবি ‘ভাইরাল’ হল। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে, সেটি তৃণমূলের কোনও দফতরে বসে তোলা হতেই পারে। এই ছবি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে।
ছবিটির সত্যতা অজিত মেনে নিয়েছেন। তবে তা ১০ তারিখেই তোলা কি না, তা স্পষ্ট নয়। এ দিকে, শুক্রবার থেকে দুর্গাপুরে বিজেপির যে রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠক শুরু হয়েছে, সেখানে হিরণ হাজির ছিলেন না। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য বলেছেন, ‘‘এটি পদাধিকারীদের বৈঠক। হিরণের এখানে থাকার কথা নয়।’’ দলের মুখপাত্র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘হিরণ বিদেশে যাবেন। তাই শনিবারের বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।’’
তবু এই অনুপস্থিতি নিয়ে সংশয় যাচ্ছে না। এর আগে বিজেপির এমনই এক বৈঠকে গরহাজির ছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী-সহ একাধিক বিধায়ক। পরে কৃষ্ণ কল্যাণী দলবদল করেন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা ৩১ রাধাকিশোরপুর মন্ডলের উদ্যোগে যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার বিকেল চারটায় উদয়পুর জামতলা টাউন হলে । এই যুব সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন , কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, যুব মোর্চার গোমতী জেলা সভাপতি সুকান্ত সাহা , ৩১ আর কে পুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস ও ৩১ আর কে পুর মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি রাকেশ শীল , পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার সহ প্রমূখ । সেদিনের যুব সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গোমতী জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুকান্ত সাহা বলেন , সিপি আইএমের সন্ত্রাসের সামনে গত ২৫ টি বছর বহু কংগ্রেস কর্মীর রক্ত ঝরেছে । এবার সেই কংগ্রেস সিপিআইএমের সাথে আঁতাত করে জোটে আবদ্ধ হয়েছে। রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এই জোটের জবাব তাদেরকে দিতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে । একের পর এক বাক্য বানে আক্রমণ শানান সুকান্ত ।এদিন কৃষিমন্ত্রী যুব সম্মেলনে ভাষণ রাখতে গিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান সিপিআইএম ও কংগ্রেসের জোটকে । এদিন কৃষিমন্ত্রী বলেন সিপিআইএম ও কংগ্রেসের এই জোট রাজ্যের বুকে এক অশান্তির বাতাবরণ বয়ে আনবে । কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের এই জোটের বার্তা ব্যক্তিগত লাভা লাভের কারণেই জোট করেছে সিপিআইএমের সাথে । বিগত দিনে সিপিআইএমের হাতে কংগ্রেসের বহু পরিবার ধর্ষিত, লাঞ্ছিত ,রক্তাক্ত এবং হামলার শিকার হয়েছে । রাজ্যের মানুষ দুই দলের জোটকে কোনদিন মেনে নেবে না । গত পাঁচ বছর এই রাজ্যে বিজেপি সরকার এক শান্তির পরিবেশ নিয়ে এসেছিলো । সে শান্তির পরিবেশ কে নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সকলে । এইদিন যুব সম্মেলন শেষে যুব কর্মীদের সাথে নিয়ে উদয়পুর জগন্নাথ দীঘির চারদিকে মিছিল করে যুব মোর্চার কর্মীরা । মিছিল থেকে বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে জয়যুক্ত করার জন্য আহ্বান জানান কর্মীরা । এদিনের মিছিল কে কেন্দ্র করে যুব মোর্চার কর্মীদের উপস্থিতি ছিলো সাড়া জাগানো ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২০ জানুয়ারি।। বামেদের একনিষ্ঠ কর্মীরাই কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত মেনে নিতে পারছেনা। বুথে বুথে বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করছে। ক্ষোভে অভিমানে লালঝাণ্ডা ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। শুক্রবার বিকাল বিধানসভায় দু’টি পৃথক সভায় ৮৪ জন সিপিএম সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন সন্ধ্যা রাতে বিশালগড়ের তথাকথিত লালদুর্গ শীতলটিলায় বড়ো ধাক্কা খায় বামেরা৷ সেখানকার সিপিএম নেতা নারায়ণ রবি দাস সহ ৩২ জন সিপিএম সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের বরণ করেন মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। দীর্ঘদিনের সিপিএমের নেতা নারায়ণ রবি দাস দলত্যাগ করে ক্ষোভ ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন গরিবের জন্য লড়াই। বুর্জোয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই। এগুলি ছিল সিপিএমের নীতি। আজ কোথায় গেল সেই নীতি ? তিনি বলেন মানুষ এগুলি বরদাস্ত করবেনা। এদিকে একই মন্ডলের গৌতম কলোনিতে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। বহুদিনের সিপিএমের একনিষ্ঠ কর্মী জয় কিশোর দাস সহ ৫২ জন সিপিএম সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। কংগ্রেস জোট জামানায় গৌতম কলোনিতে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। আজ শান্তি বিরাজ করছে। সকলের ঘরে সরকারি সহায়তা পৌঁছে যাচ্ছে। তাই দল ছাড়েন বলে জানান তারা। বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব বলেন আগরতলায় নেতারা জোট বেঁধেছে। আর সারা রাজ্যে মানুষ জোট বাঁধছে। অশুভ শক্তির জামানত জব্দ করতে প্রস্তুত হচ্ছে মানুষ।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২০ জানুয়ারি:- ভারতীয় জনতা পার্টি রাইমাভ্যালী মন্ডলের কৃষাণ মোর্চার উদ্যোগে শুক্রবার এক দিবসীয় কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই দিন রামনগর বাজার কমিউনিটি হলে প্রদীপ প্রজ্জালনের মাধ্যমে সম্মেলনের শুভ সূচনা করেন রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা। সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, জেলা সম্পাদিকা সতী চাকমা, মন্ডলের সহ-সভাপতি ধন্য মানিক ত্রিপুরা, কৃষান মোর্চা রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার, মোর্চার মণ্ডল সভাপতি দরবাছা চাকমা প্রমুখ। এদিন সম্মেলন শুরুর আগে দলীয় কর্মী সমর্থকরা বিশাল এক রেলির মাধ্যমে রামনগর বাজার এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা জানান কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নানা রকম সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। কৃষক সম্মান নিধির মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে বছরে ৬ হাজার টাকা করে আর্থিক ভাবে সাহায্য করছে। এতে করে কৃষকরা দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছেন। মন্ডল সভাপতি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে দিকে দিকে বিজেপি প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৯ জানুয়ারি।। ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়েছে মহিলা মোর্চা। বৃহস্পতিবার মোর্চার বিশালগড় মন্ডল কমিটির উদ্যোগে অফিসটিলা কালিবাড়ি মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। বিশালগড় মন্ডলের ষাটটি বুথের মহিলা মোর্চার কার্যকর্তারা সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সিপাহীজলা (উত্তর) জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক,বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব,মন্ডল প্রভারি অমল দেবনাথ,মহিলা মোর্চার মন্ডল সভানেত্রী পিংকী মন্ডল প্রমুখ। ভাষণে জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক বলেন মাতৃশক্তিকে শান্তি উন্নতি এবং সম্মান দিয়েছে বিজেপি। বিগত কংগ্রেস সিপিএম জামানায় নারীদের সম্মান ছিল না। খুন সন্ত্রাস রাহাজানি ছিল। ভয়ের পরিবেশ ছিল। আজ মহিলাদের সম্মান এবং স্বনির্ভরতার কাজ করছে সরকার। বিশালগর মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব বলেন মহিলাদের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ, বিনামূল্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ, শৌচাগার দিয়েছে সরকার। বিজেপি মহিলা সশক্তিকরণের দিশা দেখিয়েছে। বিগত পঁচিশ বছরের অশুভ শক্তিকে ত্রিপুরা থেকে অপসারিত করতে মা বোনদের অগ্রণী ভুমিকা ছিল। এবার উন্নয়ন বিরোধী অশুভ শক্তি জোট বেঁধেছে। অসুর দমনে নারীশক্তিকে আরও বেশি সংগঠিত ভাবে কাজ করার কথা বলেন তিনি। সমাবেশ শেষে বিশালগড়ের বিজেপি প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে এক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশালগড় কালি বাড়ি মাঠ থেকে বের হয়ে সুবিশাল মিছিলটি অফিসটিলা বাজার এলাকা পরিক্রমা করে ব্রীজ চৌমুহনীতে গিয়ে শেষ হয়।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।১৮ই জানুয়ারি।
নির্বাচন ঘোষণার দিনেই তেলিয়ামুড়ায় নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করল বিজেপির যুব সংগঠন যুব মোর্চা। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি নবা দুল বনিক, প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায়, রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী রায়ের নেতৃত্বে আজ সন্ধ্যায় তেলিয়ামুড়ায় বিশাল যুব মিছিল বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। । এর আগে বিকাল চারটায় ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা তেলিয়ামুড়া মন্ডল যুব মোর্চার সম্মেলন সংঘটিত হয় তেলিয়ামুড়া টাউন ফল চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্রে । যুব সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি নবাদল বনিক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন যুবমোর্চার সভাপতি তথা বিজেপি প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায় , বিধায়িকা কল্যানী রায়, যুব মৌর্চার খোয়াই জেলা সভাপতি মানিক দেব নাথ তেলিয়ামুড়া মন্ডল যুব মোর্চার সভাপতি কিংকর দেবনাথ সহ অন্যান্যরা। সম্মেলন শুরুর আগে তেলিয়ামুড়া মন্ডলের বিভিন্ন এলাকা থেকে যুব মোর্চার কর্মিরা মিছিল করে টাউন হলে আসে।
এদিকে সম্মেলনে আলোচনা করতে গিয়ে নাবাদল বনীক বলেন এখনো যারা বিজেপি দলে সামিল হয়নি তাদের কে দলে যুক্ত করতে হবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সকল অংশের মানুষকে নিয়ে সব কা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্র কে সাথে করে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা করতে একজোট হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আরও একবার রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে ।
তিনি সকলের কাছে আহ্বান রাখেন,, ১৬ তারিখ যতক্ষণ না পর্যন্ত ভোট শেষ হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুব মোর্চা বাড়িতে যাবে না এবং আগামী দুই তারিখে সিপিএম-কংগ্রেসকে আবার ডাবল জিরো করে বাড়িতে পাঠিয়ে, গেরুয়া আবিরের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারকে রাজ্যে ক্ষমতায় বসানোর আহ্বান রাখেণ তিনি সম্মেলনে উপস্থিত যুব মোর্চার কর্মীদের উদ্দেশ্যে
অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক টংকু রায় তার আলোচনায় বিগত বামফ্রন্ট সরকারের তিব্র সমালোচনা করেন। আলোচনায় বর্তমান সরকারের ত্রিপুরা রাজ্যের চা শ্রমিকদের জন্য গৃহিত সিদ্ধান্ত গুলো তুলে ধরেন।
বিধায়িকা কল্যানী রায় উনার আলোচনায় এক দিকে যেমন বিগত সরকারের সমালোচনা করেন অন্যদিকে বিজেপি আই পি এফ টি জোট সরকার দ্বারা গৃহীত উন্নয়ন মুলক কাজের বৃত্তান্ত তুলে ধরেন।
এদিকে সম্মেলন শেষে তেলিয়ামুড়া শহরে এক মিছিল সংঘটিত হয়। উক্ত মিছিলেও উপস্থিত ছিলেন নেতৃত্ব সহ যুব মোর্চার সদস্য রা।