প্রতিনিধি, বিশালগড়,
২১ জানুয়ারি।। গত নির্বাচনে কমলাসাগর বিজয় অধরা ছিল। এবার কমলাসাগর থেকে পবিত্র বিধানসভায় পদ্মফুল পাঠানোর সংকল্প নিয়েছে যুব মোর্চা। সেই লক্ষ্যে কমলাসাগর মন্ডলের মধুপুরে অনুষ্ঠিত হয় যুব সম্মেলন। বিজেপির যুব মোর্চার কমলাসাগর মন্ডল কমিটির উদ্যোগে মধুপুর মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির ত্রিপুরা প্রদেশের নির্বাচনী প্রভারী ডঃ মহেন্দ্র সিংহ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিজেপির সিপাহীজলা উত্তর জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক,যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি নবাদল বণিক, জেলা সভাপতি দীপ্তন দাস, বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন ছন্দা দেববর্মা, যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি চন্দন বণিক প্রমূখ। বিজেপি নির্বাচনী প্রবাহী মহেন্দ্র সিং বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরার মানুষকে সিপিএমের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিয়েছে। ত্রিপুরার মান সম্মান বাড়িয়েছে। ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ নির্মাণের কাজ করছে। ভারতবর্ষের সুপুত্র নরেন্দ্র মোদি আত্মনির্ভর ভারত গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করছে। আজ কোন প্রতিবেশী শক্তি আতঙ্কবাদী মাথা তোলার সাহস পাচ্ছে না। ৩৭০ ধারা ৩৫ এ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে কাউকে না খেয়ে মরতে হয়নি। বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে আমাদের বাঁচিয়েছে। আজও চীনে করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। আর ত্রিপুরায় আপনারা মাস্ক ছাড়া খুশ মেজাজে একসাথে বসে ভাষণ শুনছেন। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে। আজ ভারত বিশ্ব গুরু হওয়ার পথে। ভারত আজ শক্তিধর রাষ্ট্র। আমেরিকা ইজরায়েল এবং ভারত এই তিন রাষ্ট্র অন্য দেশের সীমানা পেরিয়ে শত্রুর বিনাশ করতে পারে। পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর ভারত তা করে দেখিয়েছে। এ রাজ্যের তিন লক্ষ মানুষের পাকা বাড়ি দিয়েছে। ২০০০ টাকা করে সামাজিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপন হয়েছে। ৭০ বছরে একটি মাত্র জাতীয় সড়ক ছিল। আজ সাতটি জাতীয় সড়ক হয়েছে। তাই ত্রিপুরাকে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে বিজেপিকে জয়ী করার আহবান জানান তিনি। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য বলেন ২৫ বছরে কমলাসাগরে কংগ্রেসের কর্মীরা খুন হয়েছে। কংগ্রেসের আমলে সিপিএমের কর্মী খুন হয়েছে। কংগ্রেসের পূর্ণ দাস, গোলক বিশ্বাস, সিপিএমের সুভাষ সাহা কেন খুন হলেন এর জবাব কংগ্রেস সিপিএম নেতাদের দিতে হবে। শুধু তা-ই নয় এই সিপিএম বিজেপির কার্যকর্তা বীরলাল সরকারকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে। তাদের হাতে রক্ত লেগে রয়েছে। আর এখন আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলছে। তাদের লজ্জা থাকা দরকার। সিপিএমের বিধায়ক পাঁচ বছর কোথায় ছিলেন? জিজ্ঞেস করুন। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে কোন সিপিএমের কর্মী মানুষের পাশে ছিল না। বিজেপির কার্যকর তারা মানুষের সেবা করেছে। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কমলাসাগর থেকেও বিধানসভায় পদ্মফুল পাঠানোর আবেদন জানান তিনি। যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি নবদল বনিক বলেন দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসন উপহার দিয়েছে বিজেপি যুব সমাজ নয়া উদ্ভাবনী ভাবনায় সরকারের সহযোগিতা নিয়ে নিজেরা স্বউদ্যোগী হচ্ছে। চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ নিয়োগ নীতি লাঘু হয়েছে। বিগত সরকার ক্যাডারদের বেছে বেছে চাকরি দিয়েছে। পঁচিশ বছর খুন সন্ত্রাস করে মানুষের অধিকার হরণ করে রাজনীতি করেছে সিপিএম। তাদের আমলে বিধায়ক মন্ত্রী খুন হয়েছে। কাজেই সেই অন্ধকার রাজত্ব ফিরিয়ে আনা যাবে না। কমলাসাগরে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করতে হবে। এরজন্য যুব মোর্চা থেকে শুরু করে সকল কার্যকর্তা প্রস্তুত থাকতে হবে। এদিনের যুব সম্মেলন জনসমুদ্রের রূপ নেয়। কার্যকর্তাদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল লক্ষনীয়। গণসংগীত শিল্পী রাজেশ ঘোষ প্রথম ধাপে আসর মাতিয়ে তুলেন।
যুব সম্মেলনে কমলাসাগর বিজয়ের সংকল্প
103