প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৭ ফেব্রুয়ারি।। জম্পুইজলা মহকুমায় নারী পাচার সহ নেশা সামগ্রী পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একাংশ মহিলা। সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলাদের বিপথগামী করার পেছনে রয়েছে বৃহত্তর চক্র। শুক্রবার নারী পাচারকারীদের অন্যতম সহযোগী শাবানা বিবিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা । পাথালিয়াঘাট এডিসি ভিলেজের লুঙতাংছড়ায় তাকে আটক করে স্থানীয় জনতা। শাবানার বাড়ি জম্পুইজলার নবসর্দার পাড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে নারী পাচার কান্ডে জড়িত। প্রথমত নারীদের ফুসলিয়ে স্থানীয় ভাবে নেশা কারবারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। প্রলোভনে পা বাড়ায় জনজাতি এবং সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলারা। এমনকি নাবালিকা মেয়েদের এই কাজে যুক্ত করা হয়। এরপর অতিরিক্ত অর্থের লোভ দেখিয়ে ভিন রাজ্যে এমনকি ভিনদেশে দেখিয়ে পাচার করা হচ্ছে। জম্পুইজলা এবং বিশালগড় মহকুমার জনজাতি ও সংখ্যালঘু পরিবারের নাবালিকা সহ যুবতী গৃহ বধূদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করছে শাবানা বিবি সহ একটি মানব পাচারকারী চক্র। জানা যায়, গত শনিবার বিশ্রামগঞ্জের লুংতাংছড়ার এক পঞ্চদশী নাবালিকাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় উদয়পুরে। যার হাতে নাবালিকাকে তুলে দেয়ার কথা ছিল তাকে না পেয়ে পাচারকান্ডের মূল পান্ডা বাবুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে শাবানা। যথারীতি উদয়পুর থেকে নাবালিকাকে এনে বাবুল মিয়ার হাতে তুলে দেয়ার সময় ধরা পড়ে শাবানা। তাকে উত্তমমধ্যম দিয়ে বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় জনতা। নাবালিকাকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অপর অভিযুক্ত বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। বিশ্রামগঞ্জ থেকে জম্পুইজলা পর্যন্ত নানা অপরাধের করিডর বানিয়ে ফেলেছে একাংশ সমাজবিরোধী। বাংলাদেশী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা এসে বিয়ে করে সংসার পেতে সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল করে বসতি স্থাপন করছে। এরপর নেশা কারবার সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপে নেমে পড়ছে। জনজাতি পরিবারের যুবকদের নেশার অন্ধগলির দিকে টেনে নিয়ে ধ্বংস করছে। আর মহিলাদের বিপথগামী করছে। এদের কারণেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় চুরি ছিনতাই নেশা কারবারি ইত্যাদি অপরাধ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এ-সব অপরাধ দমনে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ জরুরি।
রাজনীতি
শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন ত্রিপুরা রাজ্যের ত্রয়োদশ তম বিধানসভা ভোট গ্রহন ২৭ কল্যানপুর প্রমোদনগ, ২৮তেলিয়ামুড়া এবং ২৯ কৃষ্ণপুর কেন্দ্র এলাকায়।
তেলিয়ামুড়াপ্রতিনিধি-
শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন ত্রিপুরা রাজ্যের ত্রয়োদশ তম বিধানসভা ভোট গ্রহন ২৭ কল্যানপুর প্রমোদনগ, ২৮তেলিয়ামুড়া এবং ২৯ কৃষ্ণপুর কেন্দ্র এলাকায়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে চলছে ভোট গ্রহন। বেশ কয়েকটি বুথ কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে ভোট অনেকটাই বিলম্বে শুরু হয়। এমনকি কিছু কিছু বুথ সেন্টারে প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা পর শুর হয় ভোট গ্রহন। এতে ভোটাররা ক্ষোভ উগরে দেয়। কিন্তু সার্বিক ভাবে এখন পর্যন্ত শান্তিশৃঙ্খলা ভাবে ভোট গ্রহন চলছে।কোথাও কোন অপৃতিকর ঘটনার খবর পাওয়াযায়নি।সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন ধরে উৎসবের মেজাজে ভোট দিতে দেখাগেল। শুরুর দিকে বেশ কিছু বুথ সেন্টারে যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে দেরী হলেও বেশির ভাগ বুথ সেন্টারেই সময়ের মধ্যেই শুরু হয় ভোট গ্রহন। কিছু কিছু বুথ সেন্টারে বিকেল ৪ টাত পরও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটচপ্রদান করার দৃশ্য লক্ষ করাযায় এদিন। সন্ধ্যার পরেও লাইনে দাঁড়িয়ে গনতত্রের উৎসবে মানুষকে শতঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহন করতে দেখাযায়। এদিকে বহিঃরাজ্যের নিরাপত্তা রক্ষিরা কিছু কিছু বুথ সেন্টারে সংবাদ মাধ্যমের কর্মিদের সাথে অসহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে। যদিও সাংবাদিকেরা তাদের কর্তব্য পালনে পিছপা না হয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের অপৃতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হল তেলিয়ামুড়া মহকুমার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র তথা ২৭ কল্যানপুর প্রমোদনগর, ২৮ তেলিয়ামুড়া এবং ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
৬০ আসনে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার । এদিন সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় ভোট দান প্রক্রিয়া । এদিন সকালে উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব । মায়ের মন্দিরে পুজো অর্চনা শেষ করে এদিন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব উদয়পুর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে গিয়ে নিজের ভোট দেন তিনি । এদিন সকালে ৩১ রাধা কিশোর পুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তথা কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ভোট দেন উদয়পুর পৌর পরিষদে । ভোট দিয়ে বাইরে বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী বলে তিনি জানান । সেই সাথে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিষেক দেবরায় ভোট দিয়ে নিজের জয়ের ব্যাপার ১০০ শতাংশ আশাবাদী বলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্ন উত্তরে জানান । এদিন সকাল থেকেই উদয়পুর মহকুমার অন্তর্গত ৩৩ কাঁকড়াবন শালগড়া, ৩১ আরকেপুর বিধানসভা কেন্দ্র , ৩২ মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র ও ৩০ বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোরের আকাশে সূর্য উদয় হতেই ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে । পুরুষ ও মহিলাদের ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা যায় এদিন । সেই সাথে নতুন ভোটাররা ব্যাপক উদ্যমমের সাথে এদিন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা যায় বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে । এক উৎসাহ উদ্দীপনা মধ্যে দিয়ে ভোটাররা এদিন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে । একই সাথে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যাপক করা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রগুলিতে । যেভাবে ভোটাররা ভোট দান করার জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসে ভোট দিয়েছে তা ছিল একেবারেই লক্ষণীয় । সেই সাথে বয়স্ক ভোটাররাও এদিন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা যায় । ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থীরা এই আত্মবিশ্বাস রেখে আগামীর পথ সুন্দর হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী প্রত্যেক প্রার্থী । পাহাড় থেকে সমতল শহর থেকে গ্রাম , উৎসবের মেজাজে যুবক যুবতীরা যেভাবে ভোট দিয়েছে তা এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে গোমতী জেলায় । গণদেবতাদের রায় বাক্সবন্দী হয়ে এবার স্ট্রংরুমে সুরক্ষিত রয়েছে । আগামী ২রা মার্চ ফলাফল ঘোষণা হলেই নতুন ভাবে আবারো ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে এক নতুন সরকার গঠন হবে রাজ্যের বুকে এমনটাই আশাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির সমস্ত প্রার্থীদের।
মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রচারে সুদীপ রায় বর্মন ঝড় তুললেন
উদয়পুর প্রতিনিধি
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন । হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে প্রচারের । তাই সময় নষ্ট না করে প্রচারে খামতি রাখতে নারাজ সর্বভারতীয় কংগ্রেসের মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রণজিৎ রায় । ৩২ মাথার বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী প্রণজিৎ রায় প্রচারের ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছে । শাসকদলকে পেছনে ফেলে কংগ্রেস প্রার্থী প্রণজিৎ রায় অনেকটাই এগিয়ে । সমতল থেকে পাহাড় ছোট বাজার থেকে শুরু করে পাহাড়ি বাজার সর্বত্র প্রণজিৎ রায় দলীয় পতাকাকে কাঁধে নিয়ে কর্মীদের সাথে পা মিলিয়ে প্রচারের ঝড় তুলেছে গোটা মাতার বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে । তার দলীয় প্রচারে একের পর এক দিল্লী কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে নেতৃত্বরা মাতার বাড়িতে আসতে শুরু করেছে । গ্রামীণ সভা থেকে শুরু করে পথসভা বড়সভা থেকে শুরু করে ঘরোয়াসভা সর্বোচ্চ সব জায়গায় উপচে পড়া ভীড় । কংগ্রেস প্রার্থী প্রণজিৎ রায় এর এই ঝড়ো প্রচারে এক প্রকার শাসক দল অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে । রাজনৈতিক মহলের ধারণা মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী প্রণজিৎ এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই নিয়ে যেতে চলেছে গোটা বিধানসভা নির্বাচন টিকে । এই রবিবার সকাল ৯ টায় মাতার বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে এক বাইক মিছিল সংঘটিত করে বাম কংগ্রেস কর্মীরা । উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন । প্রার্থীকে সাথে নিয়ে এদিন মাতারবাড়ি দিয়ে বাইক মিছিল করে এক অভিনব প্রচারে সাড়া ফেলেছে এদিন । সব মিলিয়ে কংগ্রেসের প্রচারে ব্যাপক ঝড় উঠেছে এদিন ।
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের পক্ষে ভোটের প্রচার
ধর্মনগর,
রবিবার দুপুর দেড় ঘটিকায় ধর্মনগরের পাওয়ার হাউসের সামনে বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের পক্ষে ভোটের প্রচার করার প্রয়োজন তিনি মনে করেননি। কারণ কোভিডে র মহামারীতে যাকে কোনদিন দেখতে পাওয়া যায়নি, যাকে কোনদিন জনগণের সমস্যায় পাসে দাঁড়াতে দেখা যায়নি তিনি হয়েছেন সিপিআইএম কংগ্রেস জুটের প্রার্থী । তিনি হলেন জামা পাল্টানো নেতা চয়ন ভট্টাচার্য। কোভিড পরিস্থিতিতে যাকে সবাই পাশে পেয়েছে, দীর্ঘদিনের মানুষের সমস্যায় যাকে কাছে পেয়েছে তিনি হলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন। তিনি বুথে বুথে নেতৃত্ব তৈরি করেছেন ,পৃষ্ঠা প্রমুখ তৈরি করেছেন । কাজেই মানুষ স্বাভাবিকভাবেই তাকে ভোট দেবে। তিনি বলেন ১৬ তারিখে গণতন্ত্রের মহোৎসব হবে কেউ যেন ডাবল ইঞ্জিন ছাড়া সিঙ্গেল ইঞ্জিনের উপর ভিত্তি না করে তার পরামর্শ দেন ।তিনি বলেন ত্রিপুরাতে ৩০ বছরের সিপিএমের রাজত্ব, পাঁচ বছরের কংগ্রেস জোট সরকারের রাজত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করলেই বুঝা যাবে পাঁচ বছরের ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের গুরুত্ব । কংগ্রেস সিপিআইএমের দীর্ঘ রাজত্বে বাঙালি – অবাঙালির লড়াই, সম্প্রদায়ের – সম্প্রদায়ের লড়াই, হিন্দু – মুসলিমের লড়াই, জঙ্গলের রাজত্ব ও ত্রিপুরা ভাগের লড়াই এসব ছাড়া ত্রিপুরার মানুষ আর কিছুই পায়নি ।এসবের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির পাঁচ বছর কার্যকালের মূল্যায়নের জন্য তিনি পরামর্শ দেন। তিনি বলেন ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্বকালে একটিমাত্র জাতীয় সড়ক ছিল। বর্তমানে ত্রিপুরা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার অর্থাৎ ডাবল ইঞ্জিনিয়ার সরকার একসঙ্গে কাজ করছে যার ফলে একাধিক জাতীয় সড়ক হচ্ছে । ত্রিপুরার উন্নয়নের জন্য একদিকে মানিক সরকার অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদির সরকার কাজ করে যাচ্ছেন রেলসহ সামগ্রিক উন্নয়নে। এইম সের মতো হাসপাতাল নির্মাণ উদ্যোগ নিচ্ছে, এমন কি হয়ে গেল কংগ্রেস দলের যেখানে সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলাতে হল। যেখানে সিপিআইএম ইন্দিরা গান্ধীকে ডাইনি বলতো। সুদীপ রায় বর্মনের প্রসঙ্গ এনে বলেন তিনি ছয় মাসে পাঁচবার দল ত্যাগ করেছেন ।সিপিআইএম কংগ্রেসের জোটকে ও অশুভ বলে আখ্যা দেন । সিপিআইএম এই জোট কে জোট বলছে না, বলছে আসন সমঝোতা ।২৩২৩ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন বেআইনিভাবে সিপিআইএম তাদের চাকরি দিয়েছিল ,যার ফলে চাকরি চলে গেছে। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে মমতা আর ভাইপো ৫৮ হাজার চাকুরী বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জিকে হারাতে চেয়েছিলেন এবং হারিয়েও দিয়েছেন । একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার গঠন করে এরপর ত্রিপুরা, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ মিলে একসঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার কাজ করার কথা বলেন। তিনি বলেন সিপিআইএম কংগ্রেসের এই জোট অশুভ সংকেত। এদের ভোট দেওয়া মানে আবার রাজ্যে সন্ত্রাস ,পার্টি তন্ত্র ,বিভিন্ন সংগঠনের নামে স্বৈরাচারিতাকে ফিরিয়ে আনা ।সেই অন্ধকারময় দিনগুলিকে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছে অশুভ জোট। কাজেই পদ্ম ফুলের বিকল্প নেই।তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদী শুধু আমাদের দেশের নেতা নন , তিনি আন্তর্জাতিক নেতা , মোদিজী সবকা সাথ সবকা বিকাশ সব বিশ্বাস নিয়ে কাজ করছেন, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার চায় সন্ত্রাসবাদ ,পরিবার তন্ত্রবাদ নিপাত যাক- এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা । প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনা ,অটল জলধারা প্রকল্প, পি এম কৃষাণ বিকাশ প্রকল্প, গরিব কল্যাণ যোজনা, যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের নতুন প্রকল্প ,স্বাস্থ্য ,শিল্প, আয়ুষ্মান প্রকল্প সহ নানা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জি এই আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করতে দেয়নি ।যেখানে গরিব পরিবারের মানুষেরা ৫ লক্ষ টাকার বিনা মূল্যে চিকিৎসা করতে পারে । এসব ব্যবস্থা সবই করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার। এরপর তিনি ত্রিপুরা সরকারের সংকল্প পত্র ২০২৩ এর প্রসঙ্গ এনে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি উৎসবের সাথে রাষ্ট্রবাদের পক্ষে ভোট দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনতা পার্টির প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার দাবি করেন। তিনি আরো বলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার জাতপাতে বিশ্বাস করে না, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার সংখ্যালঘু এপিজে আবদুল কালাম কে শ্রেষ্ঠ আসনে বসিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার জনজাতিদের মধ্য থেকে মহিলা নেতৃত্বকে সবার উপরে বসিয়েছে । ত্রিপরা মথা প্রসঙ্গে বলেন ত্রিপরা মথা নেতৃত্ব ত্রিপুরাকে ভাগ করতে চাইছেন । কাজেই বিজেপি ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সবাইকে বারবার ডাবল ইঞ্জিনে বিশ্বাস রাখতে, সিঙ্গেল ইঞ্জিন কে বিশ্বাস না করার পরামর্শ দেন। কংগ্রেস আজ লুপ্ত প্রায়, সিপিএমের নিচুস্তরের লোক এই জুটকে মেনে নেয়নি বলে, সব শেষে ধর্মনগরবাসীর কাছে আবেদন রাখেন ১৫ থেকে 20 হাজার ভোটের ব্যবধানে বিশ্ববন্ধুকে জয়যুক্ত করার জন্য।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রবাদী সরকারকে পুনরায় ত্রিপুরা রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করার আহবানে এক সুবিশাল সুসজ্জিত অটো রিক্সারেলি বের হয় গোমতী জেলা ভারতীয় মজদুর সংঘের উদ্যোগে রবিবার দুপুর বারোটায় উদয়পুর রমেশ ময়দান থেকে । রেলিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই রমেশ ময়দানে গোমতী জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্র তথা ৩১ রাধাকিশোরপুর,৩২ মাতাবাড়ি ,৩৩শালগড়া কাঁকড়াবন ও ৩০ বাগমা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অটো রিক্সা এসে জমায়েত হয় । পরে রমেশ চৌহমুনী হয়ে অটো রিক্সার মিছিলটি চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে । এদিনের মিছিলে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন , দ্বিতীয়বারের জন্য রাষ্ট্রবাদী সরকারকে এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করা ও গত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রবাদী সরকারের উন্নয়নের যে কাজ কর্মের সুফল রাজ্যের মানুষ পেয়েছে তা দ্বিতীয়বার যেন এই রাজ্যের মানুষ আবারও সেই উন্নয়নের সুফল পেতে পারে তার জন্য ভারতীয় মজদুর সংঘের অটো রিক্সা শ্রমিকরা এই মিছিলটি সংগঠিত করেছে আজকের এই দিনে । মিছিলটি শহর ও গ্রামকে একই কেন্দ্রবিন্দুতে এনে এক অভিনব প্রচার চালিয়েছে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে । এদিনের মিছিলে প্রায় ১৮০০ অটো রিক্সা অংশগ্রহণ করে । রেলিকে কেন্দ্র করে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক দল বিজেপি ঝাঁপিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে । প্রতিদিন দিল্লি থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে আসছেন নির্বাচনী প্রচারে । শনিবার রাতে বিশেষ বিমানে রাজ্যে আসেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । রাজ্যে এসে রবিবার সকাল ১১ টায় উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে আসেন পুজো দেওয়ার জন্য অমিত শাহ । এই দিন তিনি ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছে সোজা চলে যান মায়ের মন্দিরে । ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পৌঁছে মায়ের উদ্দেশ্যে পুজো দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । পুজো অর্চনা শেষ করে ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরের চারদিক প্রদক্ষিণ করেন তিনি । পরে মায়ের মন্দিরে পাশে থাকা মহাদেব মন্দিরেও পুজো দেন । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরের সফরকে কেন্দ্র করে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিষেক দেবরায় বলেন , আজ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দুইটি জনসভা রয়েছে রাজ্যের বুকে । জনসভায় যাওয়ার আগে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে আসেন মায়ের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য । সাথে তাকেও আশীর্বাদ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । সেই সাথে আশ্বস্ত করেন এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তিনি জয়লাভ করবেন বলে জানান অমিত শাহ । দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে সফরকে কেন্দ্র করে গোটা মন্দির চত্বর এলাকায় ও ভিআইপি রোডে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয় । এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে মাতারবাড়িতে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা, বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ সহ প্রমুখ ।
চন্ডীপুরে দাঁড়িয়ে কৈলাসহর বিমান বন্দর চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ দুপুরে বিজয় সংকল্প জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে চন্ডীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ডলুগাঁও মাঠে।উক্ত জনসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়া সমাবেশ মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা,উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রভারি তথা রাষ্ট্রীয় প্রবক্তা সম্বিত পাত্রা,চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী টিঙ্কু রায়, ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুধাংশু দাস এবং কৈলাসহর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মবশ্বর আলী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঞ্চে আসার পূর্বে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক সুধাংশু দাস এবং চন্ডিপুরের প্রার্থী টিঙ্কু রায়। প্রার্থী টিংকু রায় তার বক্তব্যে বলেন,করোনাকালীন সময়ে এবং বন্যার সময়ে একমাত্র বিজেপি দলই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।সে সময়ে চন্ডিপুরের বিধায়ক তপন চক্রবর্তীকে দেখা যায়নি।প্রায় ৪৫ বছর যাবৎ চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্র বামপন্থীদের দখলে থাকলেও চা শ্রমিকদের উন্নয়নে কোন কাজই করতে পারেনি সেই সরকার।ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে,ভূমিহীন বাগিচা শ্রমিকদের জমির এলটমেন্ট দেওয়া হয়েছে এবং সর্বোপরি বাগিচা শ্রমিকদেরকে যোগ্য সম্মান প্রদান করা হয়েছে।তিনি বলেন গনদেবতাদের ভোটে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়ার পর বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনেই মনিপুরী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল গঠনের জন্য বিধানসভায় তিনি দাবি তুলবেন।পূর্বতন বিধায়ক তপন চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি প্রার্থী টিঙ্কর রায় বলেন,তপনবাবু একটা সময় শিল্প দপ্তরের চেয়ারম্যান ছিলেন।কিন্তু চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কোন শিল্প স্থাপন করতে পারেননি।এমনকি ত্রিপুরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অবস্থায়ও চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের আর্থ সামাজিক এমন কোন উন্নয়ন চোখে পড়েনি।উলটো ১০৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছেন। তথ্য দিয়ে তিনি বলেন,একটা সময় দেখা যেত কৃষকদের ফসল নষ্ট হলে তাদের মাথায় হাত পড়তো।আর এখন শুধুমাত্র চন্ডীপুরেই প্রায় ৮ হাজার কৃষক ফসল বীমা যোজনার মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে কৃষিকাজ করছেন।যেখানে ফসল নষ্ট হলেও তার ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা তার বক্তব্যে বলেন বিজেপি মানেই ডেভেলপমেন্ট।মোদি সরকার লোক ইস্ট পলিসির মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যকে অষ্টলক্ষী বলে ঘোষণা করেছেন।যেখানে মোদীজি বলেছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের যদি ডেভেলপমেন্ট না হয় তাহলে গোটা ভারতের ডেভেলপমেন্ট সম্ভব নয়। বর্তমানে ছয়টি ন্যাশনাল হাইওয়ের কাজ চলছে ত্রিপুরায় এবং আরো ৭টি ন্যাশনাল হাইওয়ের জন্য ১০ হাজার ২২২ কোটি টাকা এখন অব্দি বরাদ্দ হয়ে গেছে। বিজেপির হাত ধরে এয়ারওয়েজ থেকে রেলওয়েজ থেকে ইন্টারনেট সমস্ত ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা।আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে বাগিচা শ্রমিকদের ছুপি পড়িয়ে তাঁকে সম্মানিত করা হয়।বক্তব্যের শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঊনকোটি,কালীশাসন মন্দির, কালীবাড়ি এবং ছিন্নমস্তা মন্দিরের নাম উল্লেখ করে তিনি পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে সকলের উদ্দেশ্যে প্রণাম নিবেদন করেন।তিনি বলেন চা বাগানের উন্নয়নে ব্যাপক মাত্রায় কাজ করেছে বিজেপি সরকার।এরপর তিনি বলেন,ডাবল ইঞ্জিনের সুফল হিসাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রদত্ত আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকার বীমা যোজনা,জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি ঘরে পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত, উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ, গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর, শৌচালয়,বিনামূল্যে চাল এবং সর্বোপরি করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে কোভিডের টিকা দেওয়া হয়েছে।যা,কেন্দ্র এবং রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার থাকাতেই এটা সম্ভব হয়েছে।তিনি বলেন ত্রিপুরার মানুষ ৭০ বছর কংগ্রেসের শাসন দেখেছে,ত্রিপুরায় ২৫ বছরের সিপিএমের শাসন দেখেছে।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিকাশ হয়েছে বিজেপি সরকারের এই পাঁচ বছরের সময়কালে।যে দল গরিব, মহিলা,যুবা,জনজাতি আদিবাসী সবার কথা চিন্তা করে।তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন,সিপিএম কিংবা কংগ্রেস একা বিজেপির বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না জেনে সমস্ত আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে সিপিএম কংগ্রেস এক হয়েছে।তাই সিপিএম কংগ্রেস এবং ত্রিপুরা মথা প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করে পুন…
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি –
নির্বাচনি প্রচারের দোরগোড়ায় এসে তৃনমূল কংগ্রেস দল ২৮ তেলিয়ামুড়া প্রার্থীর সমর্থনে এক সাড়াজাগানো সভা করে শনিবার বিকালে মোহরছড়া বাজারে । এই সভাতে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা তথা পশ্চিমবংগের দলের মুখপাত্র সুপ্রিয় চন্দ্র, তৃনমূল কংগ্রেসের খোয়াই জেলা কমিটির সভাপতি অশোক দাশগুপ্ত, প্রার্থী রবি চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এই সভায় পশ্চিম বাংলা থেকে আগত সুপ্রিয় চন্দ্র উপস্থিত জনতার উদ্যেশ্যে ভাষন রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখরিত হয়ে উঠেন। তিনি এটাও বলেন ত্রিপুরা রাজ্যের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য তৃনমুল কংগ্রেসের প্রয়োজন। তৃনমূল কংগ্রেস দলই গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারে। মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা করে দিতে পারে একমাত্র তৃনমূল কংগ্রেস। তাই উপস্থিত জনতার প্রতি তিনি আহন্বান জানান আগামি ১৬ ই ফেব্রুয়ারি পবিত্র ভোট তৃনমূল দলের প্রার্থী কেই দেওয়ার জম্য।
শান্তির বাজার থানাঘেরাওকরে বিক্ষোভ কর্মসূচী করলো সি পি আই এম ও কংগ্রেস সমর্থীত কর্মীসমর্থকরা।
শান্তির বাজার থানাঘেরাওকরে বিক্ষোভ কর্মসূচী করলো সি পি আই এম ও কংগ্রেস সমর্থীত কর্মীসমর্থকরা।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রাকমুহুর্তে প্রচারে গিয়ে, দলীয় কার্যালয় খুলতেগিয়ে ও বিভিন্ন কর্মসূচীতে গিয়ে প্রতিনিয়নত আক্রান্ত হচ্ছে সি পি আই এম ও কংগ্রেস সমর্থীত কর্মীসমর্থকরা এমনটাই অভিযোগ। এরইমধ্যে শনিবার শান্তির বাজার সি পি আই পার্টি অফিসে গিয়ে ও শান্তির বাজার মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হয়েছে সি পি আই এম কর্মীরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রসাশনকে সুষ্ঠভাবে কাজ করারজন্য এবং ঘটনার সাথে জরিতদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবিতে রবিবার শান্তির বাজার থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করলো সি পি আই এম ও কংগ্রেস কর্মীসমর্থকরা। সি পি আই এম কর্মীসমর্থকরা সন্ত্রাস দমনে প্রসাশনকে কাজকরার জন্য আবেদন জানান। পরবর্তী সময় শান্তির বাজার থানাথেকে সি পি আই এম কর্মীসমর্থকদের আশস্ত করায় সকলে থানাথেকে ফিরেআসে। থানায় বিক্ষোভকর্মসূচী শেষে শান্তির বাজার শহরের বিভিন্ন জায়গায় সি পি আই মনোনিত প্রার্থী সত্যজিৎ রিয়াংকে সঙ্গেনিয়ে অনুষ্ঠীত করাহয় জনসংযোগ কর্মসূচী। আজকের এই কর্মসূচীর মাধ্যমে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে ও গনতন্ত্র পুনরোদ্ধারের লক্ষ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রে সি পি আই মনোনিত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার বিশেষ আহব্বান জানানোহয়। আজকের এই কর্মসূচীতে উপস্থিত সি পি আই এম ও কংগ্রেস কর্মীসমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্যকরাযায়।