প্রতিনিধি মোহনপুর:-বাবুটিয়া বিধানসভার দুর্গাবাড়ি স্কুল মাঠে শক্তি বন্দন এবং চায় পে চর্চা কর্মসূচিকে সামনে রেখে বিজেপি বামুটিয়া মন্ডল কমিটির উদ্যোগে টিআরএলএমের মাধ্যমে স্ব-সহায়ক দল গুলোর সাথে একমত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এই সভাতে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও যে সমস্ত সহায়ক দলগুলো সরকারিভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হাসিল করেছে সেগুলোকে কেন্দ্র করেও আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মহিলা এবং স্বসহায়ক দলগুলোর যেভাবে উন্নতি হয়েছে তাকে কেন্দ্র করে আলোচনা করলেন বামুটিয়া কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস। সভাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন শিলা দাস সেন, বিজেপির রাজ্য সম্পাদক প্রথম ঘোষ এবং অন্যান্যরা।
রাজনীতি
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া।১২ই ফেব্রুয়ারী।সারা রাজ্যের সাথে খোয়াই জেলাতেও ভারতীয় জনতা পার্টির গ্রাম চলো কর্মসূচি সাংগঠনিকদিক দিয়ে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। নির্বাচন আসন্ন অথচ পুরো জেলা জুড়ে বিরোধী সিপিএম কংগ্রেসের কোথাও দেখা নেই। একাই পুরো মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শাসক বিজেপি দল। গ্রাম চলো অভিযানকে কেন্দ্র করে জেলার ৩০৭ টি বুথেই তিনশো সাত জন কার্যকর্তা দায়িত্ব নিয়ে কর্মীদের সাথে নিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এই কর্মসূচিরই অঙ্গ হিসেবে আজ তেলিয়ামুড়া মন্ডলের তুইচিনদ্রাই বাড়িতে ৩১ নম্বর বুথে রতন দাসের বাসভবনে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সন্ধ্যায় যোগদান সভায় ১০ পরিবারের ৩৩ জন ভোটার অন্যান্য দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে যোগ দেয়. নবাগতদের বিজেপি দলের পতাকা তুলে দেন বিজেপির খোয়াই জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা গ্রাম চলো অভিযানের খোয়াইজেলা ইনচার্জ জয়ন্ত কুমার সাহা. শ্রী সাহা 31 নম্বর বুথের গ্রাম চলো অভিযানে প্রবাস করেন এবং গত দুইদিন বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজকর্মে অংশ নেন। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টি সারা ত্রিপুরা রাজ্যেই বুথে বুথে গ্রাম চলো কর্মসূচি চলছে। খোয়াই জেলাতে ও ছয়টি মন্ডলের তিনশো সাতটি বুথেই এই কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। জেলার প্রত্যেকটি বুথেই একেক জন কার্যকর্তা বুথের কর্মীদের সাথে নিয়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযান, প্রবীণ এবং নবীন বিজেপি কর্মীদের সাথে মত বিনিময়, সহ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্মের সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের অবৈধ যেমন করা হয় তেমনি এলাকার মানুষের কার কি সমস্যা রয়েছে সে বিষয়েও অবগত হয়। কর্মসূচি গুলিতে খোয়াই জেলার সকল বিধায়ক সহদলের নেতৃবৃন্দরা অংশ নেয়।
শক্তিবন্দন উত্তর ত্রিপুরা জেলা কমিটির উদ্যোগে এস এইচ জি ও এন জি ও CLF & ALF পদাধিকারী দিদি,বোনদের নিয়ে জেলা স্তরীয় শক্তিসংবাদ চায়পেচর্চা আজ অনুষ্ঠিত হয়।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
মাতৃশক্তির আর্থসামাজিক উন্নয়নে আত্মনির্ভর মহিলা শক্তি নির্মাণের লক্ষ্যে ভারতবর্ষের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন প্রকল্প বিষয়ক আলোচনা, বোনদের সফলতার কাহিনী ও মতবিনিময় করা হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় নিজেদের উন্নত জীবন যাত্রার সফলতার কাহিনী তুলে ধরেন এস এইচ জির বোনেরা এবং লোকেল ফর ভোকেল এর উপর ভিত্তি করে তাদের তৈরি সামগ্রী বাজারজাত করা ও চাহিদা বৃদ্ধিতে উষ্মা প্রকাশ করেন।
উত্তর ত্রিপুরা জেলা অন্তর্গত বিভিন্ন ব্লক,পুরপরিষদ,নগর পঞ্চায়েত ও ভি সি থেকে দিদি বোনেরা অংশগ্রহণ করেন।সভাপতিত্ব করেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা সভানেত্রী মলিনা দেবনাথ, উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা সভাধিপতি ভবতোষ দাস , উত্তর ত্রিপুরা জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা শক্তিবন্দন উত্তর ত্রিপুরা জেলা ইনচার্জ কাজল দাস, উত্তর ত্রিপুরা জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তথা শক্তিবন্দন উত্তর ত্রিপুরা জেলা কর্ডিনেটর রূপালী অধিকারী, সহকারী সভাধিপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ , ধর্মনগর পুরপরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকার , কালাছড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান টিংকু শর্মা, কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট বিদ্যা ভূষণ দাস, প্রদেশ মহিলা মোর্চার সম্পাদিকা লিপিকা বরুয়া , যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ববৃন্দ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। লোকসভা নির্বাচনের মুখে বিরোধী দল ছাড়ার হিড়িক লেগেছে। পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্র জমি হারাচ্ছে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের একবার বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা করার আহবানে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বিজেপির কার্যকর্তারা। ত্রিপুরার দু’টি আসন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তির অন্ধগলি থেকে বেরিয়ে বিকাশ যাত্রায় সামিল হচ্ছে। বিজেপিকে আরও শক্তিশালী করতে দলে দলে সাধারণ মানুষ এবং বিরোধী দলের সমর্থকরা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার টাকারজলায় ৪১২ জন জনজাতি ভোটার বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন টাকারজলা বিধানসভার জম্পুইজলায় যুব মোর্চার উদ্যোগে যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তিপরা মথা এবং সিপিএম সহ বিভিন্ন দল ছেড়ে ৪১২ ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি সুশান্ত দেব, বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা , বিএসি চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ দেববর্মা, জেলা সম্পাদক নির্মল দেববর্মা, মন্ডল সভাপতি রবীন্দ্র দেববর্মা প্রমুখ। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দ নবাগতদের বরণ করেন । বুখুরুই হলে অনুষ্ঠিত যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, জম্পুইজলা ছিল সিপিএমের দুর্গ। এখান থেকে জনশিক্ষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে জনজাতিরা সিপিএমকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু জনজাতিদের কোন উন্নয়ন করতে পারেনি সিপিএমের সরকার। ২০১৮ সালে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর জনজাতিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনহিতকর প্রকল্প ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। জনজাতিদের উন্নয়ন চায় বিজেপি। তাই সারা রাজ্যে জনজাতিরা নরেন্দ্র মোদির বিকাশ মুখী সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে। টাকারজলার সার্বিক কল্যাণের জন্য বিজেপিকে শক্তিশালী করার আহবান জানান তিনি। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন আর বিভ্রান্তি নয়। বিভ্রান্তির রাজনীতি থেকে মুক্তি চাইছে জনজাতিরা। এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে সবাই মিলেমিশে কাজ করতে হবে। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমৃদ্ধির পথে এগোতে হবে ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-গাঁও চলো অভিযানের অঙ্গ হিসেবে এই কর্মসূচির রাজ্য কনভেনার ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস কৈলাসহর মন্ডল এর অন্তর্গত এক নং বুথে গাঁও চলো অভিযানের বিভিন্ন কর্মসূচিতে এক দিবসীয় প্রবাস করেছেন। প্রথমেই স্থানীয় কালী মন্দিরে স্বচ্ছ ভারত অভিযান এবং এলাকার মানুষের সাথে জনসম্পর্ক অভিযান করেছেন।এরপর প্রতিটি মোর্চার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে সাংগঠনিক আলোচনা এবং পৃষ্ঠা প্রমুখদের সাথে বিশেষ আলোচনা করেছেন বিধায়ক ভগবান দাস।তার পাশাপাশি গ্রামীণ মানুষের কল্যাণে বিজেপি সরকার কতটা কাজ করতে পেরেছে এবং সরকার থেকে কি কি ভাবে সুবিধা পেয়েছেন সেই বিষয়েও মানুষের সাথে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর থেকে শুরু করে হাঁস মোরগ এবং সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন গ্রামীণ মানুষ।এক্ষেত্রে সংখ্যালঘু অংশের সকলেই সরকারের প্রতি খুশি প্রকাশ করেছেন।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৭ ফেব্রুয়ারি:- আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গোটা রাজ্যের সাথে রাইমাভ্যালী মন্ডলেও প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন জায়গায় যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ গঙ্গানগরে বিজেপির আরো একটি যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিপিআইএম এবং তিপ্রা মথা দল ত্যাগ করে ২০পরিবারের ৫৬ ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সম্পাদক তথা এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং সহ দলীয় অন্যান্য কার্যকর্তাগন। দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন এমডিসি। সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে প্রদেশ কমিটির সম্পাদক কেন্দ্র এবং রাজ্য বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য তুলে ধরেন।
রাঁচী পৌঁছেই গ্রেফতার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের স্ত্রী কল্পনার সঙ্গে দেখা করলেন রাহুল
‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় ঝাড়খণ্ডে গিয়ে ইডির হাতে গ্রেফতার সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনার সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সোমবার রাঁচীতে হেমন্তের বাড়িতে ওই সাক্ষাৎ হয় বলে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন। কল্পনার সঙ্গে সাক্ষাতের পরে রাঁচীতে পূর্বনির্ধারিত জনসভা করেন রাহুল।জমি জালিয়াতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্তের নাম জড়িয়েছে। ৬০০ কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই তদন্তের সূত্রে গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে জেএমএম নেতা হেমন্তের রাঁচীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশির পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ৩০ জানুয়ারি তল্লাশি অভিযান চলেছিল তাঁর দিল্লির বাড়িতেও। ৩১ জানুয়ারি রাতে গ্রেফতারির আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত। ঝাড়খণ্ডের শাসকদল জেএমএম জানায়, বিধানসভায় হেমন্তের বদলে তাঁরা দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত করছেন রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী চম্পই সোরেনকে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
আগামী এপ্রিল মাসেই লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে গোটা দেশজুড়ে । তার আগে রাজ্যের শাসক দল নিজেদের সংগঠন গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে । বর্তমানে শাসক বিজেপির বিভিন্ন সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করা এবং বর্তমান সময়ে সংগঠনকে সাজিয়ে তোলার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জেলাভিত্তিক সাংগঠনিক বৈঠক । সোমবার বিকেলে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দাতারাম মায়াপুরী শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই যোগদান সভায় অংশ নেন রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এছাড়া ছিলেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুজন সেন ও মন্ডল সভাপতি সহ প্রমূখ । যোগদান সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ও বিশ্বাস এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা সহ রাজ্য সরকারের একটি পুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা ভাবনার সদর্থক বাস্তবায়নে খুশি রাজ্যের সর্বসাধারণ । এরই ফলস্বরূপ সিপিআইএম, কংগ্রেস ও তিপ্রা মথার রাজনৈতিক দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে ৫০ পরিবারের ১৬২ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করে। এদিন পড়ন্ত বিকেলে দলীয় পতাকা দলত্যাগীদের হাতে তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন অর্থমন্ত্রী সহ মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক । এ যোগদান সভা কে কেন্দ্র করে বিজেপির স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায় ।
সংবাদ প্রতিনিধি খোয়াই।
আজ খোয়াই জেলা পরিষদের কনফারেন্স হলে জেলা সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় জেলার অন্তর্গত ৯ টা ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশনের কর্মী দের নিয়ে বিশেষ বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের মাননীয়া মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, সহকারী সভাধিপতি হরিশংকর পাল, খোয়াই জেলা শক্তি বন্ধনা কমিটির কনভেনার সমীর কুমার দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। মুলত খোয়াই জেলায় নয়টি ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশন আছে প্রত্যেক টা ফেডারেশনে পাঁচ জন করে সদস্যা আছে মোট পঁয়তাল্লিশ জন আজকের এই সেমিনারে অংশ গ্রহণ করে। জেলায় মোট ৫৬ হাজারেরও বেশি
স্ব সহায়ক দল আছে যেগুলিকে প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে এই ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশন, এরাই মুল ক্যাডার বলা যায় এস এইচ জি (সেল্ফ হেল্প গ্রুপ)এবং ভি ও (ভিলেজে অর্গানাইজেশন) গুলির। কিভাবে আরো বেশি স্ব সহায়ক দল তৈরি করা যায় এবং বর্তমান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যে স্লোগান লক্ষ্যপতি দিদি তৈরি করা সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা এবং সকল এর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই আজ এই মতবিনিময় সভা হয়। ভারতীয় জনতা পার্টি রাষ্ট্রীয় স্তরে ৯ জনের কমিটি রাজ্য স্তরে পাঁচজনের কমিটি জেলাস্তরে ১৫ জনের কমিটি এবং বিধানসভার স্তরে ২৫ জনের কমিটি গঠন করেছে, লক্ষ্য সি এল এফ এবং,সি এস পি, সি আর পি,এস এইচ জি জয় পরিকল্পনা মাফিক মতবিনিময় করবে এবং সরকারি সাহায্য কেন্দ্র এবং রাজ্যের টি আর এল এম এবং ব্যাংক লোন এর মধ্য দিয়ে সুবিধা প্রদান করে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র পরিবার গুলি সংস্কৃতিতে ঋণ নিয়ে একদিকে যেমন ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে পারবে অন্যদিকে ছোট ছোট ক্ষুদ্র শিল্প তৈরি করতে পারবে এবং এভাবেই তার আত্মনির্ভর হবে । আজ এই মতবিনিময় সভায় আলোচনা করেন সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, জেলা কনভেনার সমীর কুমার দাস, সহকারি সভাধিপতি হরিশংকর পাল এবং মুখ্য আলোচক ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের মাননীয় চিফ হুইপ কল্যাণী রায়।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া:- দক্ষিণ জেলা কিষান মোর্চার সাংগঠনিক সভা সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ভারতীয় জনতা পার্টি কৃষান মোর্চার নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বরন রায় বিজেপি দক্ষিণ জেলা অফিস বিলোনিয়াতে পৌঁছলে বিজেপি দক্ষিণ জেলা ও কিষান মোর্চা দক্ষিণ জেলার পক্ষ থেকে তাকে বিপুল সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কিষান মোর্চার দক্ষিণ জেলা সভাপতি সত্যব্রত সাহা, বিজেপি দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদকদ্বয় দীপায়ন চৌধুরী ও বিশ্বজিৎ দাস। কিষান মোর্চার সবকটি মন্ডল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ জেলা কিষান মোর্চার সকল কার্যকর্তাগণ। মূখ্য অতিথি কিষান মোর্চা রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বরণ রায় বলেন দক্ষিণ জেলা কৃষি কাজে রাজ্যের সর্বোৎকৃষ্ট জেলা এবং সংগঠনের দিক থেকে দক্ষিণ জেলায় কিষান মোর্চার এক মজবুত সংগঠন রয়েছে। এর জন্য তিনি উপস্থিত সকল মন্ডল এবং জেলা নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন এর কোন বিকল্প নেই। তথাপি আমরা ত্রিপুরাবাসী ডবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে যেভাবে সুখে শান্তিতে ত্রিপুরাতে বসবাস করছি এবং সর্বোপরি কৃষক সমাজের যে উন্নতি সাধিত হয়েছে এর জন্য রাজ্যের আপামর জনগণ ত্রিপুরার দুটি লোকসভা আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী করানোর মাধ্যমে মোদিজীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিষান মোর্চা দক্ষিণ জেলা সভাপতি সত্যব্রত সাহা বিজেপি দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপায়ন চৌধুরী, বিশ্বজিৎ দাস এবং কিষান মোর্চা রাজ্য সদস্য দুলাল রুদ্রপাল প্রমূখ।