প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৩ ফেব্রুয়ারি।। রাজ্যের দু’টি আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত। এবার ভোটের ব্যবধান বাড়ানোই লক্ষ্য। ৩৩৪৯ টি বুথে বিরোধীদের জামানত জব্দ করতে হবে। শুক্রবার বিশালগড় মন্ডল আয়োজিত কার্যকর্তা সম্মেলনে কথাগুলি বলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। শুক্রবার বিজেপির বিশালগড় মন্ডল কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। বিশালগড় টাউন বালিকা বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কনভেনশনে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত, যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, বিশালগড় পুর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, প্রবীণ নেতা শ্রীবাস ঘোষ, বরুণ কর্মকার প্রমুখ। মন্ডল সাধারণ সম্পাদক তপন দাস স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পৃষ্ঠা প্রমুখ, বুথ কমিটি, মন্ডল কমিটি, মোর্চা কমিটি সহ প্রায় ২ হাজার দুই শত কার্যকর্তা উপস্থিত ছিলেন। প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন আপনাদের নিরলস পরিশ্রমে বিশালগড় বাম মুক্ত হয়েছে। গত নির্বাচনে এই মন্ডলের ষাটটি বুথের মধ্যে ৩৬ টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এবার লোকসভা নির্বাচনে সবগুলো বুথে জয় সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে নিয়ে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে পৃষ্ঠা প্রমুখদের নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন রাজ্যের ৪২ হাজার পৃষ্ঠা প্রমুখ, ৩৪ জন বিধায়ক, ৩ জন সাংসদ, ৩৩৪৯ টি বুথ কমিটি কোন দলের নেই। তাই দু’টি লোকসভা আসন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দেয়া প্রায় নিশ্চিত। এবার আমাদের লক্ষ্য ভোটের ব্যবধান বাড়ানো। তিনি বলেন সকল সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। দলবাজি দুর্নীতি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে। সিপিএম গরিব মানুষের উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করেছে। আর এখন সকলের ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। প্রায় চার লাখ পরিবার পাকা ঘর পেয়েছে। মায়েদের জন্য উজ্জ্বলা যোজনা, শৌচালয়, মাতৃত্বকালীন পুষ্টি যোজনা বাস্তবায়ন হয়েছে। কৃষকরা পেয়েছে কৃষাণ সম্মান নিধি, ফসল বীমা যোজনার সুফল। সরকার সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে। একটি জাতীয় সড়ক ছিল। আজ নয়টি জাতীয় সড়ক দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সড়ক, রেল, বিমান সকল যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে পাঁচ বছরে। বিজেপি পাঁচ বছরে যা করেছে তা পঁচিশ বছরে করতে পারেনি সিপিএম। সামাজিক ভাতা ৭০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা করা হয়েছে। সকল রাজ্যবাসীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী জনআরোগ্য প্রকল্প চালু হয়েছে। পঁচিশ বছরে বঞ্চনার পাহাড় জমিয়েছে সিপিএম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিকাশের মূল স্রোতে ফিরে এসেছে রাজ্য৷ ভারতবর্ষ দুর্নীতি মুক্ত হয়েছে। জঙ্গি মুক্ত হয়েছে মোদিজীর নেতৃত্বে। শান্তি উন্নতি সহ উন্নত ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের জন্য আবার মোদিজীকে ভোট দেবে দেশের মানুষ। বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমরা লড়াই করবো। কিন্তু বিরোধী দলের মুখ কে তা কেউ জানেনা। তৃতীয় মোদি সরকার প্রতিষ্ঠা শুধু সময়ের অপেক্ষা। গত দশ বছরে রাষ্ট্রহীতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে সরকার। ৩৭০ ধারা বাতিল থেকে শুরু করে রাম মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠা, তিন তালাক বাতিল ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শক্তিশালী বিকশিত ভারত নির্মাণের কর্মধারা জারি রাখতে শুধু জয় সুনিশ্চিত করলে হবে না। ভোটের শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন গত নির্বাচনে সিপিএম কংগ্রেস মিলেমিশে একাকার হয়েছিল। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বিশালগড়ে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করেছে কার্যকর্তারা। বিশালগড়ের সকল মানুষের জন্য চব্বিশ ঘণ্টা আমার দরজা খোলা রয়েছে। যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে সারা রাজ্যে কাজ করলেও বিশালগড়ের মানুষের কোন অসুবিধা হবে না। আপনাদের আশীর্বাদে আমি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছি। বিশালগড়ের ৫০ হাজার ভোটার সহ সকল নাগরিকের সুখে দুঃখে আমি আছি এবং থাকবো। শেষে পুষ্প ছিটিয়ে কার্যকর্তাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন বিজেপির নেতৃবৃন্দ। শুরুতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব । ভারতমাতা, পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়, ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ। সমবেত রাষ্ট্রগীত গেয়েছেন সবাই।
90
previous post
হেজামারায় উন্নয়নমূলক কাজ খতিয়ে দেখলেন রাজ্যপাল
next post