প্রতিনিধি, বিশালগড় ।। জল জীবন মিশনে প্রতি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে দ্রুতলয়ে। প্রতি গ্রামে একাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন হচ্ছে। বিশালগড় বিধানসভার নবীনগর গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার নবনির্মিত দু’টি পানীয় জলের পাম্প হাউস উদ্বোধন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে জল জীবন মিশনে এই পাম্প হাউস নির্মাণ হয়েছে। বৃষ্টিস্নাত বিকালে ফিতা কেটে পাম্প হাউসের উদ্বোধন করে স্যুইচ টিপে পাম্প মোটর চালু করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে যাওয়ায় খুশি গ্রামের বাসিন্দারা। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন গ্রামীণ এলাকায় প্রতি বাড়িতে পাইপ লাইনে জল পৌঁছে গিয়েছে। বিশালগড়ে কোন বাড়ি বাদ যাবেনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংকল্প ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেয়া। সেই সংকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে সরকার। উল্লেখ্য গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশালগড়ের ১৩ টি পঞ্চায়েতে একদিন করে প্রবাস করছেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। ইতিমধ্যে দু’টি পঞ্চায়েতে প্রবাস সেরে নিয়েছেন। বুধবার নবীনগর গ্রামে প্রবাস করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। প্রবাসকালীন সময়ে দু’টি পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এছাড়া এদিন বিজেপির বুথ কমিটি, মোর্চা কমিটি, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে পৃথক পৃথক সভা করেন। মতবিনিময় করেন বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সঙ্গে। তিনি বলেন উন্নত গ্রাম হলে উন্নত ভারত হবে। সকলের সহযোগিতায় সরকারের গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই গ্রাম উন্নত গ্রাম হবে।
ত্রিপুরা
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
বাবার মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতে ছেলে নিজ ঘরের মধ্যে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত উত্তর দেওছড়া ১নং ওয়ার্ড এলাকায়। ২ মাস পূর্বে রেলের নিচে কাঁটা পড়ে প্রাণ হারান বাবা সেই রেশ কাটতে না কাটতেই
মৃত গোবিন্দ দেবনাথের মধ্যম ছেলে গৌতম দেবনাথ বয়স ২২ বছর নিজ বাড়ীতে ফাঁসি লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। যানা যায় গতকাল রাত অর্থাত ১৭ই জুন এই ঘটনাটি ঘটে।বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজ ঘরের মধ্যে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই যুবক। রাত আনুমানিক ৮টা নাগাত পরিবারের লোকজন মৃতদেহ দেখে। পর পর দুটি মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।১৮ই জুন। প্রবল বৃষ্টিতে আবারো স্তব্ধ হয়ে গেল জাতীয় সড়ক। অতি বৃষ্টির কারণে মুঙ্গিয়াকামি থানা এলাকার ৩৬ মাইলে জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের মাটি গাছ ভেঙ্গে পড়ে জাতীয় সড়কের উপর। দুপুর একটা থেকে রাজ্যের অন্যান্য স্থানের ন্যায় তেলিয়ামুড়া ও তার আশপাশ এলাকা গুলিতেও মুষলধারে বৃষ্টি হয়। দুপুর প্রায় দুইটা নাগাদ পাহাড়ের মাটি গাছ। থেমে যায় যানবাহন। খবর পৌঁছতেই তৎপর হয়ে উঠে প্রশাসন। খবর পৌঁছে দেওয়া হয় এনএসডিসিএলকে। তৎক্ষণাতই মাঠে নেমে পড়ে এনএসডিসি এল কর্তৃপক্ষ। শুরু হয়ে যায় জেসিবি দিয়ে মাটি সরানোর কাজ। বিকাল পাঁচটা নাগাদ দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি সংস্থা রাস্তার উপরে পড়া মাটি গাছ কিছুটা সরিয়ে যানবাহনকে সচল করে দেয়। দসের দুই দিকেই প্রচুর গাড়ি আটকে পড়াতে যানজটের ও সৃষ্টি হয়। মুঙ্গিয়া কামি থানার পুলিশের তৎপরতায় যানজট মুক্ত হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে পাহাড়ের ধসে পড়া মাটি সরানোর কাজ রাত্র আটটা নাগাদ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে আকাশে মেঘের ঘনঘটা অব্যাহত রয়েছে। যদি আগামীকালকেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকে তাহলে পুনরায় মাটি ধসে পড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে নজর রেখে প্রশাসন ও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- সোমবার দিনভর ঝড় বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের প্রভাবে ব্যাপক প্রভাবিত হয়েছে বামুটিয়া মোহনপুর এবং সিমনা বিধানসভা এলাকা। বিদ্যুৎ পরিসেবা,কৃষিজমি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ জনজীবনেও প্রভাব পড়েছে বৃষ্টিপাতের। বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। দিনভর গোটা মোহনপুর মহকুমা এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিষেবা বেহাল হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে কৃষি জমিগুলোতে জল জমে বহু ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন এলাকার কৃষকরা। রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। যার ফলে সাধারণ জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এইদিন।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৭ জুন।। রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্থা এন বি ইনস্টিটিউট ফর রুরাল টেকনোলজি আয়োজিত বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রবিবার সেকেরকোট স্থিত অর্কনীড়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সরকারী চারু ও কলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক ড: শান্তি পদ গণ চৌধুরী প্রমুখ । অর্কনীড়ের প্রজেক্ট অফিসার অনুপ দে প্রতিযোগিতার উদ্দ্যেশ্য এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করেন। অর্কনীড়ের সভাপতি ড: শান্তি পদ গন চৌধুরী কচিকাঁচা প্রতিযোগীদের বিজ্ঞান বিষয়ে উৎসাহিত করেন। অনুষ্ঠানে অর্কনীড় পরিচালিত
অর্ক গুরুকুলের ছাত্র ছাত্রীরা মনোমুগ্ধকর নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
প্রতিযোগিতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ৩৪০ জন কচিকাঁচা অংশ নিয়েছিলেন। তিনটি বিভাগে মোট ১৭ জন বিজয়ীদের হাতে শংসাপত্র, মেমেন্টো, মেডেল এবং আর্ট সামগ্রী তোলে দেন অতিথিবৃন্দ। অর্কনীড়ের সহ – সভাপতি কপিল বরণ ভৌমিকের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৭ জুন।। স্বচ্ছতা হি সেবা মিশন বাস্তবায়নে নয়া প্রকল্প স্মার্ট টয়লেট। ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সারা দেশে স্মার্ট কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমত সারা দেশে দশটি স্মার্ট টয়লেট নির্মাণ করা হবে। এরপর ব্যাপক হারে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এরমধ্যে সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্মার্ট টয়লেট নির্মাণ হয় ত্রিপুরা রাজ্যের সেকেরকোট সংলগ্ন ছনখলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। শিবপুরের আই আই ই এস টি এবং এন বি আই আর টি ( অর্কনীড়) সেকেরকোট যৌথ ভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করেছে। সহযোগিতায় ছিল অগ্নি গ্রিন পাওয়ার লিমিটেড। সোমবার রাজ্যের প্রথম স্মার্ট টয়লেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন এন বি আই আর টি এর সভাপতি ড: শান্তিপদ গন চৌধুরী, আই আই ই এস টি এর প্রজেক্ট ইনভেস্টিগেটর অধ্যাপক কনিকা দাস ভট্টাচার্য, সহ ইনভেস্টিগেটর চন্দন কুমার চন্দ, অধ্যাপক সমরজিৎ সেনগুপ্ত, গ্রাম প্রধান দিপ্তী দে, ছনখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুনিতা দেববর্মা প্রমুখ । বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বিশেষ কাজে ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেনি। এনবিআইআরটি এর সভাপতি ড: শান্তিপদ গন চৌধুরী জানান স্বচ্ছ ভারত মিশনে সারা দেশে বহু কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু টয়লেটে জল, বিদ্যুৎ ইত্যাদি ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু স্মার্ট টয়লেটে সৌরশক্তির মাধ্যমে জল উত্তোলন হবে। সর্বক্ষণ ট্যাঙ্কে জল থাকবে। টয়লেটের দরজা খোলা মাত্রই আলো জ্বলবে, পাখা চলবে। আবার দরজা বন্ধ করলেই এগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। টয়লেটের ট্যাঙ্কে জল উত্তোলন করার পরেও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে এই সৌরজল প্রকল্পের মাধ্যমে। তিনি জানান রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আরও এই স্মার্ট টয়লেট নির্মাণ হবে। প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন হলে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সারা দেশে গণহারে স্মার্ট টয়লেট নির্মাণে হাত দেবে। অনুষ্ঠানে ছনখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা সংগীত নৃত্য পরিবেশন করেন। শেষে স্কুল প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ করেন অতিথিরা।
বিধায়কের পরিকল্পনায় স্বপ্নের নার্সিং ইনস্টিটিউট খোলা হল বগাফা জনজাতি প্রত্যন্ত এলাকায়।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি : শিক্ষাব্যাবস্থায় আরেকধাপ এগিয়ে গেলো শান্তির বাজার মহকুমা। শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াংএর প্রচেষ্টায় বেকার যুবক যুবতিদের জন্য নার্সিং প্রশিক্ষনের বিশেষ ব্যাবস্থা করাহয়েছে। বর্তমানসময়ে নার্সিক প্রশিক্ষনের জন্য রাজ্যর বিভিন্ন যুবক যুবতিদের বহিঃ রাজ্যে অধিক অর্থ ব্যায়করে যেতেহয়। এখন থেকে বিধায়কের প্রচেষ্টায় রাজ্যের যুবক যুবতিরা স্বল্প অর্থব্যায় করে এখানেই প্রশিক্ষন নিতে পারবে। এই প্রশিক্ষনের জন্য বেশি পরিমানের অর্থের প্রয়োজন হবেনা। প্রশিক্ষন চলাকালিন স্কলারশিপের টাকা দিয়েই যুবক যুবতিরা প্রশিক্ষন নিতে পারবে। বিধায়কের উদ্দ্যোগে গরিবশ্রেনীর লোকজনদের আশাপূরনের লক্ষ্যে রাজ্যসরকারের অনুমোদিত এ এন এম ও জি এন এম নার্সিং ইনন্সিটিউট খোলাহয়েছে। শান্তির বাজার বগাফা আশ্রম দ্বাদশশ্রেনী বিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিং ৫ বছরের জন্য লিজে নিয়ে শুরু করাহচ্ছে এই প্রশিক্ষন কেন্দ্র। প্রশিক্ষন কেন্দ্রে প্রথন পর্যায়ে এন এন এম এ ৬০ জন ও জি এন এম এ ৬০ জন ছাত্র ছাত্রীকে ভর্তিকরানোহবে। তাদের জন্য থাকা ও যাতায়তের বিশেষ ব্যাবস্থা করাহবে বলে জানান। প্রথম বছরে কোনোপ্রকার বাছাই ছারা ভর্তি করানোহচ্ছে। জুলাই মাস পর্যন্ত চলবে ভর্তির প্রক্রিয়া। আজকে সাংবাদিক সন্মেলনের মধ্যদিয়ে নার্সিং ইনষ্টিটিউটের বিভিন্ন দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করেন শান্তির বাজার পৌর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অষ্ট লক্ষ্মী ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভানেত্রী জেনি রিয়াং, স্পোক পারসন দিব্যেন্দু চৌধুরী সহ অন্যান্য। এই প্রশিক্ষন কেন্দ্রথেকে যেসকল যুবক যুবতিরা উক্তিন্নহবে তাদেরজন্য ইনষ্টিটিউটের পক্ষথেকে কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করে দেওয়াহবে বলে জানান। শান্তির বাজার মহকুমায় এইধরনের ইনষ্টিটিউট খোলাহবে তা কোনোদিন ভাবতেপারেনি শান্তির বাজার মহকুমাবাসী। বর্তমান সময়ে বিধায়কের প্রচেষ্টায় সমগ্র রাজ্যের অনেক যুবক যুবতি এই প্রশিক্ষন কেন্দ্রথেকে প্রশিক্ষন নিয়ে আগামীদিনে নিজের পায়ে দারিয়ে আর্থিক দিকদিয়ে সাবলম্বী হবে বলে সকলে আশাবাদী।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। হাসপাতাল রোডে নবরাগ সংঘের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ই জুন সোমবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাসদর ধর্মনগর শহরের হাসপাতাল রোডে সকাল আনুমানিক ৮টা ৩০মিনিট নাগাত এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন ডাক দিয়েছেন ক্লিন ধর্মনগর গ্রীন ধর্মনগর লাভ ধর্মনগর। এই ডাকে সারা দিয়ে ধর্মনগরের সকল অংশের জনগণ এগিয়ে এসেছেন। একে কেন্দ্র করেই নবরাগ সংঘ ক্লাবের এই উদ্যোগ। দারুন উৎসাহের সাথে সকলে বৃষ্টিস্নাত সকালে এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। যেখানে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, যুব মোর্চার ধর্মনগর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি রাহুল কিশোর রায়,নবরাগ সংঘ ক্লাবের সভাপতি,সম্পাদক সহ ক্লাবের সকল সদস্যরা।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় অঝর বর্ষণ। বর্ষণে ধর্মনগরের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। শহরের জেল রোড, নয়াপাড়া রোড, বাবুর বাজার, রাজবাড়ি শুধু তাই নয় ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা জলের বর্ষণে প্লাবিত হয়ে যায়। মানুষের বাড়ি ঘরে জল ঢুকে পড়ে। শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ থাকায় অনেক লোকের ঘরের মধ্যে বৃষ্টির জল প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি করে। তাছাড়া আগে বিভিন্ন জায়গা খালি ছিল এখন সেই সব জায়গায় ঘন জনবসতির কারণে নতুন বাড়ি বানানো তে জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে তাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল দাঁড়িয়ে পড়ে। নোয়াগাঙ বাজারে জলের কারণে বাজার স্তব্ধ হয়ে পড়ে। বৃষ্টির কারণে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। দোকানপাট সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সকাল থেকে খোলেনি। সঙ্গে আজ ঈদের কারণে সরকারি অফিস কাছারি বন্ধ থাকায় শহর পুরোপুরি স্তব্ধ। বাজারের দোকানদারেরা দোকান খুলতে পারিনি এমন কি শহরতলীর লোকেরা দোকানপাট বন্ধ করে নিজের বাড়ির জল সামলাতে এবং নিজের বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। প্রশাসনিক উদ্যোগ কিছুটা লক্ষ্য করা যায়। বৃষ্টির জলে প্লাবিত ধর্মনগর কে দেখতে একটা শ্রেণীর মানুষ বের হয় কিন্তু জলের প্রকোপে তাদের উৎসাহ বিভ্রান্তিতে পরিণত হয়। বিকেলের দিকে বৃষ্টি কমে গেলেও বিভিন্ন এলাকায় জল দাঁড়িয়ে পড়ে। যেভাবে জলের নামার কথা সেভাবে জল নামতে পারছে না বলে এলাকাবাসীর অভিমত। এক কথায় জনবহুল ধর্মনগর বন্যার জলে প্লাবিত হয়ে মানুষের জীবনের আতঙ্কর রূপে দেখা দেয়।
কাঞ্চনজঙ্ঘা রেল পরিষেবা থেকে বঞ্চীত শান্তির বাজার মহকুমাবাসী চাইছেন রাজ্য সরকারের সহযোগিতা।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :শান্তির বাজার মহকুমাবাসী বিগত বাম আমলে বিভিন্ন পরিষেবাথেকে বঞ্চীত হয়েছে। বর্তমান সময়ে শান্তির বাজার মহকুমার দুইবিধানসভা কেন্দ্রর জনপ্রীয় বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং ও শুক্লাচরন নোয়াতিয়ার উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার মহকুমার বিভিন্ন দিকদিয়ে উন্নয়নহচ্ছে। বিগত বাম আমলে বামনেতা বাদল চৌঁধুরীর জন্য শান্তির বাজারের বিভিন্ন উন্নয়নের দিকদিয়ে পিছিয়েছিলো। যারমধ্যে রেল পরিষেবায় পিছিয়েরয়েছে শান্তির বাজার মহকুমায়। রাজ্যে বামেদের অপশাসন থেকে শান্তির বাজার মহকুমাবাসী মুক্তি পাবার পর বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং এর প্রচেষ্টায় পূর্ত দপ্তরের উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার থেকে শান্তিকলোনী রেল ষ্টেশনে যাতায়তের জন্য নতুনকরে রাস্তা নির্মান করাহয়। বর্তমানসময়ে রাজ্যসরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টায় সাব্রুম পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা রেল পরিষেবা শুরুহচ্ছে। কিন্তু দেখাযায় শান্তির বাজার মহকুমাবাসী এই রেল পরিষেবা থেকে বঞ্চীত থাকবে। শান্তির বাজার রেলষ্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা রেলের কোনোপ্রকার স্টপেজ নেই। তাই শান্তির বাজার মহকুমাবাসী চাইছে এই পরিষেবা যেন শান্তির বাজার মহকুমাবাসীকে প্রদানকরাহোক। সকলে আশাবাদী বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং ও মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়ার উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার মহকুমাবাসী রেল পরিষেবা পাবে। এইদিকে তাকিয়েআছে শান্তির বাজার মহকুমাবাসী।