প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২০ ডিসেম্বর:- বিজেপি রাইমাভ্যালী মন্ডলের ওবিসি মোর্চার সভাপতি তথা ডুম্বুর নগর আরডি ব্লক ওবিসি ওয়েলফেয়ার সাব কমিটির চেয়ারম্যান নির্মল সরকারকে সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে দশটা নাগাদ কোন এক অজ্ঞাত পরিচয় লোক মোবাইলে কল করে প্রাননাশের হুমকি দেয়। নির্মল সরকার অজ্ঞাত পরিচিত ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে সে পরিচয় দেয়নি উল্টো চেয়ারম্যানকে অকথ্য নোংরা ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। শুধু তাই না বাড়ি থেকে যাতে বাহির না হয় তার হুলিয়া জারি করে। এহেন পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যানের গোটা পরিবার খুবই চিন্তিত। এমত অবস্থায় মঙ্গলবার রাইমাভ্যালী মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি সজল মল্লিক, লিটন দেবনাথদের সাথে নিয়ে চেয়ারম্যান নির্মল সরকার গন্ডাছড়া থানায় একটি এফআইআর করে। চেয়ারম্যানকে হুমকি দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা মহকুমা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
সোমবার বিকেল চারটায় কাকরাবন বিধানসভা কেন্দ্রে নেতাজি চৌহমুনী বাজারে কাকড়াবন – মন্ডলের ভারতীয় জনতা পার্টির অটল ভবনের ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা । এদিন দলীয় অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য , প্রদেশের সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায় , বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ , পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, গোমতী জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় সহ দলের এক ঝাঁক নেতৃত্ব । এই দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দলীয় সভায় যোগদান দেন মুখ্যমন্ত্রী । মুখ্যমন্ত্রী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে , রাজ্যের বাম ও কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন । একই সাথে নাম না করে কংগ্রেসের বর্তমান বিধায়ককে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি । এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন এই রাজ্যের বুকে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার থাকার কারণে কাকড়াবনে উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে । আগামী দিন এই কাঁকড়াবনকে শক্তিশালী করতে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে দলীয় প্রার্থীকে । একই সাথে তিনি বলেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কাকড়াবন শালগড়া মন্ডলের সমস্ত দলীয় কাজকর্ম করা হবে বর্তমান নতুন দলীয় মন্ডল অফিস থেকে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন ইতিমধ্যে চারটি জেলায় বিজেপি দলীয় অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে । তা দেখে তিনি অত্যন্ত খুশি । এছাড়া তিনি আরো বলেন , এখনো যারা ভুল বুঝে কংগ্রেসের পথে হাঁটতে শুরু করেছেন তাদেরকে ফিরে আসার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী । তার কারণ কংগ্রেসের কোন ভবিষ্যৎ নেই আগামী দিনে । এমনটাই বক্তব্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা । এদিন কাকরাবনে মন্ডল অফিস উদ্বোধন ও বিজেপি দলীয় সমাবেশ কে ঘিরে ভারতীয় জনতা পার্টির মহিলা মোর্চার কর্মী ও যুব মোর্চার কর্মীদের উপস্থিতি ছিলো বিপুল সাড়া ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৯ ডিসেম্বর।। ভোটের মুখে বিশালগড়ে ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তছনছ হয়ে যাচ্ছে তথাকথিত লালদুর্গ। চার বছর অন্তরালে কাটিয়ে ভোটের মুখে হঠাৎ করে আন্দোলনের নামে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। কিন্তু সাধারণ মানুষ শান্তি এবং উন্নতির পক্ষে। তাই প্রতিদিন বিজেপিতে যোগদান পর্ব চলছে বিশালগড়ে। সোমবার বিশালগড় মন্ডলের মুড়াবাড়িতে সিপিএম এবং কংগ্রেস ছাড়লেন ৭৫ জন ভোটার। তারা যোগদান করেন বিজেপিতে। বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব সহ স্থানীয় কার্যকর্তারা নবাগতদের বরণ করেন। মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব বলেন বিজেপি চব্বিশ ঘণ্টা মানুষের পাশে থেকে কাজ করে। আর সিপিএম নেতারা হঠাৎ ভোটের পাখির মতো মাঠে নামতে চাইছে। কিন্তু এদের পাশে মানুষ নেই। তাই অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে ঘোলাজলে মাছ শিকার করতে চাইছে। মানুষ সিপিএম এবং তাদের দোসর কংগ্রেসের জামানত জব্দ করার জন্য তৈরি হচ্ছে। করোনা মহামারী পরিস্থিতি কিংবা প্রাকৃতিক দুর্জোগে সিপিএমের নেতারা মানুষের পাশে ছিল না। তাই এদের উচিৎ জবাব দিতে মানুষ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। উন্নতি আর শান্তির জন্য তারা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছে।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৯ ডিসেম্বর।। দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। অবশেষে বিজেপির সিপাহীজলা জেলার স্থায়ী কার্যালয় হলো। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী উপমুখ্যমন্ত্রী প্রদেশ সভাপতি সহ একঝাঁক প্রদেশ এবং জেলা স্তরের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় নবনির্মিত জেলা কার্যালয় তথা অটল ভবনের। বিশালগড় রঘুনাথপুরে সর্বসুবিধাযুক্ত এই কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। সোমবার কার্যালয়ের দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন, বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায়, সম্পাদক তাপস মজুমদার, জসিম উদ্দিন,মৌসুমি দাস, আগরতলার মেয়র দীপক মজুমদার, সংগঠন মহামন্ত্রী ফণীন্দ্র নাথ শর্মা, যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি নবাদল বণিক, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা,সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, সিপাহীজলা (উত্তর) জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, (দক্ষণ) জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য প্রমুখ। এছাড়া সিপাহীজলার দুটি সাংগঠনিক জেলার কার্যকর্তা, পুর পরিষদ, নগর পঞ্চায়েত, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি সহ কয়েক হাজার কার্যকর্তা ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সাক্ষী ছিলেন। ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন কার্যালয় এবং কার্যকর্তা কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কার্যালয়ে কার্যক্রম তৈরি হবে জনগণের স্বার্থে। বিজেপি পার্টিতে ১৭ কোটি সদস্য রয়েছে। একাত্মমানববাদ আমাদের দর্শন। কাজেই এ কার্যালয় সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমরা সেবাহি সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করি। কাজেই এ কার্যালয় থেকেও সংগঠনের পাশাপাশি সেবামূলক কার্যক্রম জারি থাকবে। কার্যালয়টি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারি বাজপেয়ির নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর কর্মজীবনের নানা দিকগুলি মার্গদশন হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন রাজধানীর আস্তাবল ময়দানে সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ত্রিপুরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু এত জনজোয়ার আমি জীবনে কখনো দেখিনি। যাদের চোখের পর্দা সরছে না, তারা ঠান্ডা ঘরে বসে অপপ্রচার করছে। সিপিএমের কাছে আর কিছু নেই। তারা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। আর তাদের দোসর কংগ্রেস উশৃংখল পার্টি। কংগ্রেস এবং সিপিএমের আমল আমরা দেখেছি বিশলগড় সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর ছিল। বিশালগড় কেমন ছিল সবাই জানে। এই দিশাহীন উশৃংখলদের পেছনে পেছনে কিছু যুবক কেন ঘুরছে বুঝতে পারছি না। তাদেরকে বুঝিয়ে আমাদের সঙ্গে আনতে হবে। আজ সন্ত্রাস অস্ত্রের ঝংকার নেই বিশালগড়ে। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কোন প্ররোচনায় ফাঁদে না দেওয়ার জন্য কার্যকর্তাদের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য বলেন গতকালকের আস্তাবলের জনসভায় মানুষের উচ্ছ্বাস স্পষ্ট জানান দিয়েছে তেইশের নির্বাচনে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত। কার্যকর্তারা ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছে। ঘরে ঘরে বিজেপি পৌঁছে গিয়েছে। আর ২৩ এর নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর গেরুয়া আবিরে বিজয় মিছিল করে ঘরে ফিরবে কার্যকর্তারা। গতকালকের জনসভা দেখে কংগ্রেস এবং সিপিএম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। রাজিব ভট্টাচার্য আরো বলেন এই একটি পরিবারের সংস্পর্শে যারা আসবে তারা পাগল হয়ে ঘুরবে। এর প্রমানও রয়েছে। একেবারে কালীঘাটে গিয়ে মাথা নেড়া করে পাগল হয়ে ঘুরতে হচ্ছে। সন্ত্রাস খুন রাহাজানি ছিল সিপিএমের পুঁজি। বিশালগড়ে বহু মানুষ বাড়ি ছাড়া হয়েছে। বিশালগড়ের দুই বিধায়ক খুন হয়েছে। আবারও সন্ত্রাস শুরু করেছে। এসব সন্ত্রাসের উচিত জবাব দেওয়ার জন্য কার্যকর্তারা প্রস্তুত রয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন বলেন প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের পর কংগ্রেস এবং সিপিএম পাগলের প্রলাপ বকতে শুরু করেছে। সিপিএম সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং কংগ্রেসের সুদীপ বর্মন একই সুরে কথা বলতে শুরু করেছে। আর আরেকজন বিশালগড়ের বিধায়ক শ্রীযুক্ত সাহা এলাকায় গোলমাল সৃষ্টি করে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। কংগ্রেসের এক নেতা তার ভাইকে বিশালগড়ে গোলমাল পাকানোর দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন সিপিএম ঘরে ঘরে চাঁদার রশিদ পৌঁছে দিত। আর বিজেপি ঘরে ঘরে সুশাসন পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন আগামী নির্বাচনে একটি আসনও পাবে না সিপিএম। সেই ব্যবস্থা হচ্ছে। যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি নবদল বণিক বলেন এই কার্যালয় একটি মন্দির। এই মন্দিরের ভগবান কার্যকর্তারা। এদিন ১০ হাজার নর নারীর মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। নতুন জেলা কার্যালয় পেয়ে অত্যন্ত খুশি জেলার সকল স্তরের কার্যকর্তারা। উদ্বোধনকে ঘিরে কার্যকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় শিশু শিল্পীরা।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-সহকার ভারতীর কার্যকর্তাদের নিয়ে একটি সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। দুর্গাবাড়ির চা বাগান কমিউনিটি হলে এই বৈঠকে এদিন সংগঠনের রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়। সহকার ভারতী গোটা ভারতবর্ষের পাশাপাশি রাজ্যে কো-অপারেটিভ সোসাইটি গঠন এবং তার প্রসার নিয়ে কাজ করছে।
কো-অপারছটিভ সোসাইটির মাধ্যমে আর্থিক বিকাশ এবং রাজ্যের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সারা দেশের মধ্যে গুজরাট এক বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। একইভাবে অন্যান্য রাজ্যেও এই কো-অপারেটিভ মুভমেন্ট ব্যাপকভাবে শুরু করার ক্ষেত্রে সহকার ভারতী মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, কো-অপারেটিভ গঠন, ব্যবসার প্রসার এবং মানুষদের সংঘটিত করার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা নিচ্ছে। রবিবার সহকার ভারতীর রাজ্য শাখার কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।। আলোচনা সভাতে উপস্থিত ছিলেন সরকার ভারতীর অখিল ভারতীয় সংগঠন মন্ত্রী সঞ্জয় বাসফোর, সরকার ভারতীর ক্ষেত্র সংগঠন মন্ত্রী ভরত কুমার, সহকার ভারতীর অখিল ভারতীয় উপাধ্যক্ষ প্রশান্ত বজোর বরোয়া এবং অন্যান্যরা। এদিন নবগঠিত রাজ্য কমিটির সভাপতি গোপাল চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি অপূর্ব রায়, সাধারণ সম্পাদক পরিমল সূত্রধর, সম্পাদক সুব্রত দাস এবং সংগঠন মন্ত্রী হিসেবে মান্না রায়কে ঘোষণা করা হয়। মোট ২০ সদস্যের রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে এদিন।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৭ ডিসেম্বর।। আইনকে সহজভাবে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করছে বিশালগড় আইন সেবা কমিটি । গ্রামীণ এলাকায় প্রতিনিধি সচেতনতা মূলক শিবিরের আয়োজন করে মানুষকে আইনি বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছে। শনিবার বিশালগড় আইন সেবা কমিটির উদ্যোগে পুরাথল গ্রাম পঞ্চায়েতে আইনি সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শিবিরে আইনি বিষয়ে আলোচনা করেন আইনজীবী দেবাশীষ চৌধুরী। বর্তমান সময়ে সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে অনেকে কষ্টার্জিত টাকা খোয়াচ্ছে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। উপস্থিত নাগরিকদের তিনি বলেন মানুষের জন্য আইন। সমাজকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে আইন। কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত আইন লঙ্ঘন করি। মানুষের অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করি।এগুলো থেকে বিরত থেকে সবাইকে নিয়ে সুন্দর সমাজ গঠনে কাজ করতে হবে। মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ দমন করতে সবাইকে কাজ করতে হবে।
প্রতিনিধি কমলাসাগর ১৭ ডিসেম্বর :-
কমলাসাগর মন্ডলের অন্তর্গত ৩২ নং বুথ তথা বিক্রমনগর পঞ্চায়েতে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। যোগদান সভায় পাঁচ পরিবারের ১৫ ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করেন। সিপিএম ছেড়ে বিজেপি দলে নবাগতদের বরণ করে নেন কমলাসাগর মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন কমলা সাগর মন্ডল সহ-সভাপতি পার্থ সরকার, দুলাল সরকার জেনারেল সেক্রেটারি বিজনকান্তি আচার্য সহ বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব গন। অন্যদিকে কমলাসাগর মন্ডলের অন্তর্গত মধুপুর বাজারে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী আগমনকে কেন্দ্র করে সুবিশাল মিছিল বের করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। সেই মিছিলে শেষ কে লগ্নে পঞ্চায়েত সদস্য সীমা সরকার সিপিএম ত্যাগ করে বিজিবি দলের যোগদান করেন। উনার পরিবারে রয়েছেন তিন ভোটার। তাদের বিজেপি দলে বরণ করে নেন বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন ছন্দা দেববর্মা। বিজিবি ২০২৩ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিনিয়ত কমলা শাখা মন্ডলের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের যোগদান সভা। বর্তমান রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞের দিকে দিকে সিপিএম কংগ্রেস ছেড়ে বিজিবি দলের যোগদান করছেন বলে জানান কমলা সাগর মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৬ ডিসেম্বর।। যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য সফরকে কেন্দ্র করে বিশালগড়ে বিজেপির কার্যকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগামী রবিবার আস্তাবল ময়দানে বেনিফিসিয়ারীদের সম্বোধন করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশালগড় বিধানসভা থেকেও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বেনিফিসিয়ারী সহ বিজেপির কার্যকর্তারা সমাবেশে অংশ নেবেন। সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে বিশালগড়েও। প্রধানমন্ত্রী সফরকে কেন্দ্র করে স্বচ্ছতা অভিযানে হাত লাগিয়েছে বিজেপির কার্যকর্তারা। বাজারহাট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা অভিযান চলছে। এছাড়া বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামী, মনীষী এবং ভারত মাতার সুপুত্রদের মর্মর মূর্তি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে। শুক্রবার বিশালগড় মোটর স্ট্যান্ড প্রাঙ্গণে ভারত কেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মর্মর মূর্তি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন বিজেপির কার্যকর্তারা।স্বচ্ছতা অভিযানের পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে। শুভদীপ মিলনায়তনে বিশালগড় মন্ডল কমিটির সকল সদস্য, মোর্চার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, পুর পরিষদের কাউন্সিলর, পঞ্চায়েতের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব সহ কার্যকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বুথ ভিত্তিক এবং পঞ্চায়েত ভিত্তিক সভা চলছে। প্রতিটি বুথে স্কোয়ার্ডিং করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে যুব সমাজের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশ্বের জনপ্রিয় নেতা তথা প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে আস্তাবল মুখী হচ্ছেন বিশালগড়ের যুবসমাজ। এছাড়া বিশালগড় বিধানসভা থেকে প্রায় ৩০০০ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের বেনিফিসিয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে আস্তাবল ময়দানে উপস্থিত থাকবেন।
২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ক্ষমতা নিয়ে সরকারে ফিরছে বিজেপি , বললেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
৩১ রাধা কিশোরপুর মন্ডলের উদ্যোগে বিজয় সংকল্প রেলী করা হয় উদয়পুর খিলপাড়া স্কুল ময়দানে । প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এই রেলির শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিজেপি জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায়, ৩১ আর কি পুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস ও পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার সহ প্রমুখ । রেলিতে স্বাগত ভাষণ রাখেন মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস। এই দিনের রেলিতে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ রাখতে গিয়ে তিনি বলেন , রাজ্য একটি সন্ত্রাসের পার্টি দীর্ঘদিন রাজত্ব করে গিয়েছে । রাজনৈতিক দলটিকে মানুষ ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিদায় দিয়েছে । এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসনকে সরিয়ে ক্ষমতা এনেছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে । কিন্তু দেখা গিয়েছে সেখানেও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । এদিন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানান । গরিব মেহনতী মানুষের জন্য কোন কাজ করেনি বিগত সরকার । বর্তমানে রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার থাকার কারণে এক অভূতপূর্ব উন্নয়ন গোটা রাজ্যে হয়েছে । কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার থাকার কারণে এই রাজ্যের বুকে ধর্মনগর থেকে সাব্রুম পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন খুব সহসায় তৈরি হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের বুকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিদিন কুড়ি থেকে বাইশটি বিমান বিভিন্ন রাজ্যের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে চলেছে । এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের সমস্ত টেট উত্তীর্ণদের চাকুরী দেওয়া হয়েছে গোটা রাজ্যের মধ্যে । এর মধ্যে রাজ্যে একটি ডেন্টাল কলেজ তৈরি করা হবে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয় আগামী দিনে রাজ্য সরকার এই রাজ্যের বুকে আরো জাতীয় সড়ক গড়ে তুলছে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য । এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন , আগামী ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ক্ষমতা নিয়ে সরকারে ফিরছে ভারতীয় জনতা পার্টি । এদিন খিলপাড়ার ময়দানে বিজয় সংকল্প রেলিতে ভারতীয় জনতা পার্টির মহিলা মোর্চার কর্মীদের বিপুল সারা লক্ষ্য করা যায় ।
বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রমেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাগুলো বাড়ছে। এবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে রক্তাক্ত এবং আহত হয়ে শাসকদলের এক যুবকর্মী হাসপাতালে ভর্তি হলেন, ঘটনা ঘিরে এলাকায় সাময়িক কালের জন্য উত্তেজনা তৈরি হলেও বর্তমানে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অবস্থা থমথমে বলা চলে।
ঘটনা কল্যাণপুর থানাধীন বাগান বাজারের তাতিপাড়া এলাকাতে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় আজ স্থানীয় বিজেপি দলের যুব মোর্চার সক্রিয় সদস্য কাজল দেব ব্যক্তিগত কাজে তাতিপাড়া এলাকায় গেলে অভিযোগ বিরোধী সিপিআইএম দলের কয়েকজন কর্মী সমর্থক কাজলের উপর আক্রমণ করে। এর জেরে কাজল রক্তাক্ত এবং আহত হয়ে রাস্তার পাশে প্রায় সঙ্গাহীন হয়ে লুটিয়ে পড়ে বলেও জানা গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে কাজলের পিতা কালিদাস দাস ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে ওনার উপরেও আক্রমণ করা হয় বলে কাজলের এক নিকট আত্মীয় দাবি করেছে।
এর পরবর্তী সময়ে স্থানীয় মানুষদের সহায়তায় রক্তাক্ত আহত এবং প্রায় সঙ্গাহীন কাজলকে কল্যাণপুর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়, তার মাথায় আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসনকান্তি ত্রিপুরার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে, যদিও প্রথম অবস্থায় সাময়িক ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি দলের বক্তব্য হচ্ছে বিরোধী সিপিআইএম দলের একদল কর্মী সমর্থকরা পরিকল্পনা মাফিক বিজেপি দলের সক্রিয় কর্মী কাজল এবং তার বাবার উপর আক্রমণ সংঘটিত করে, এই গোটা ঘটনাকে বিজেপি দল তীব্র ভাষায় নিন্দা করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কল্যাণপুর বিজেপি দলের পক্ষ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে তার মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে। কল্যাণপুর থানায় লিপিবদ্ধ হওয়া মামলার নাম্বার ৫৩, ধারা- ৩৪১/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/৩৪ আই পি সি। চারজনকে বিকাল তিনটায় খোয়াই আদালতে পাঠায়
আপাতত গোটা এলাকায় রয়েছে পুলিশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পরিস্থিতি রয়েছে স্বাভাবিক