ধর্মনগর প্রতিনিধি।
কাঞ্চনপুর মন্ডলের প্রত্যন্ত এলাকা আনন্দবাজার বাজারে কিষান মোর্চার আহবানে এক বাজার সভা ও যৌথ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কিষান মোর্চার প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ বরণ রায় প্রদেশ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল গফফার প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র চন্দ্র দাস প্রদেশ সম্পাদক তথা হর্টিকালচার কর্পোরেশনের বোর্ড ডিরেক্টর ভাগ্যমোহন ত্রিপুরা কাঞ্চনপুরের সম্মানিত বিধায়ক ফিলিপ রিয়াং বিজেপি প্রদেশ কমিটির সদস্য সনজিত রিয়াং বিজেপি কাঞ্চনপুর মন্ডল সহ-সভাপতি ক্ষুদিরাম রিয়াং ত্রিপরা মথা স্থানীয় নেতৃত্ব সুরেশ রিয়াং এবং আইপিএফটি নেতৃত্ব উদরাম রিয়াং। প্রথমে তিন দলের পতাকা সমৃদ্ মিছিল আনন্দবাজার বাজার প্রদক্ষিণ করে, পরবর্তী সময় বাজার সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাজারসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক সিপিএমের আমলে মানুষের উপর যে জুলুম হয়েছে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং বর্তমানে রাজ্যে যে শান্তি সম্প্রীতির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে তার উল্লেখ করে এবং জাতির জনজাতির উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখার জন্য আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মহারানী কৃতি সিং দেববর্মা কে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান।অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সনজিৎ রিয়াং ও উদরাম রিয়াং।
উভয় বক্তা সিপিএম এবং কংগ্রেসের আমলের বিভিন্ন কীর্তিকলাপের বিস্তৃত আলোচনা করেন এবং বর্তমান সরকারের আমলে যেসব সুযোগ সুবিধা পাওয়া গেছে তার জন্য আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী মহারানী কৃতি সিং দেববর্মা কে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান। প্রধান অতিথির ভাষণে বিজেপি কিষান মোর্চা প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ বরণ রায় ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী মোদিজীর শাসনকালে উত্তর পূর্বাঞ্চল তথা ত্রিপুরার জাতি জনজাতি বই অংশের মানুষের যে উপকার হয়েছে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন ২০১৪ থেকে সবচাইতে বেশি উপকৃত হয়েছেন ভারতের কৃষক সমাজ এবং ত্রিপুরার কৃষকের কি কি উপকার হয়েছে? তার পরিসংখ্যান দিয়ে আলোচনা করেন । সিপিএম এবং কংগ্রেস জুম চাষীদের কে নিয়ে শুধু আলোচনা করেছে উপকার করেনি ডবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে প্রথমবারের মতো ত্রিপুরায় জুম চাষীদের কে উচ্চ ফলনশীল জুম ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে বর্তমানে জুমে ধানের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা পানীয় জল স্বাস্থ্য পর্যটন শিক্ষা কৃষি সবকিছুতে উন্নয়নের জোয়ার চলছে, এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান।
রাজনীতি
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
গোমতী ত্রিপুরা অটো রিক্সা মজদুর সংঘের উদ্যোগে সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক অটো র্যালি বের হয় গোটা উদয়পুর মহকুমা। এদিন সকাল থেকে গোমতী ত্রিপুরা অটো রিক্সা মজদুর সংঘের আওতাধীন ১৫ টি ব্রাঞ্চের দুই হাজারের উপর অটো রিক্সা প্রথমে জমায়েত হয় উদয়পুর কেবিআই ময়দানে । পরে বিএমএসএর পতাকা নাড়িয়ে অটো রিক্সা র্যালির শুভ সূচনা করেন ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলা সভাপতি গৌতম দাস । এছাড়া র্যালিতে অংশ নেন গোমতী ত্রিপুরা অটো রিক্সা মজদুর সংঘের সভাপতি মুকতুল হোসেন , সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার ও টিআরকেএসএর জেলা সম্পাদক বিপ্লব বিজয় দে ও রাজ্য মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দিগ্বিজয় ভাওয়াল সহ প্রমূখ। এদিন অটো র্যালিতে ভাষণ রাখতে গিয়ে বিএমএস এর জেলা সভাপতি বলেন , বর্তমান রাষ্ট্রবাদী সরকারের উন্নয়নের সাথে রয়েছে গোমতী জেলা বিএমএস। তিনি বলেন , ১৯শে এপ্রিল লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এই পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে। এই কেন্দ্রে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে আজকের এই অটো র্যালি। পাশাপাশি বর্তমান রাজ্য সরকার যে সকল উন্নয়ন করেছে সে সকল উন্নয়নকে মানুষের সামনে নিয়ে যাওয়া এবং এই বার্তা অটো রিক্সা র্যালির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই র্যালি বের করা হয়েছে উদয়পুর শহরে । এদিন দুপুরে র্যালিটি উদয়পুর শহরসহ , মাতাবাড়ি , কাঁকড়াবন ও বাগমা এলাকায় র্যালিটি পরিক্রমা করে পুনরায় উদয়পুর কেবিআই ময়দানে এসে সমাপ্তি হয় । এদিন যেভাবে ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে র্যালি সংগঠিত করেছিল গোমতী জেলা অটো রিক্সা মজদুর সংঘ । ঠিক একই ভাবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই অটো রিক্সা র্যালি সংগঠিত করা হয়েছে গোমতী জেলা অটো রিক্সা মজলুর সংঘের উদ্যোগে । এই র্যালিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে গোটা উদয়পুর জুড়ে ।
বিধায়কের হাত ধরে সিপিএমের অঞ্চল নেতা সহ ৮ পরিবারের ৩২ ভোটের গেরুয়া শিবিরে।
শান্তির বাজার প্রতিনিধি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব কে আরো বেশি ভোটে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে ৩৬ শান্তির বাজার মন্ডলের অন্তর্গত মনু এডিসি ভিলেজের ২৫ নং বুথে মিঠুন চক্রবর্তীর বাড়িতে এক উঠান সভার মধ্যে দিয়ে এসি মোর্চার শান্তিরবাজার মন্ডল সহসভাপতি প্রদীপ দাসের নেতৃত্বে সিপিআইএম দলের মনু অঞ্চলের সামনের সারির নেতা সহ ৮ পরিবারের ৩২ ভোটার যোগ দিলেন পদ্মের গেরুয়া শিবিরে । নবাগতদের বিজেপি গেরুয়া ঝান্ডা হাতে তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন ৩৬ শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, বকাফা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীদাম দাস, ৩৬ শান্তির বাজার মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক মম্বু মগ, ৩৬ শান্তির বাজার মন্ডলের সহ-সভাপতি রমেশ রিয়াং, মনু ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য অমল দাস, সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই যোগদান সভার সভাপতির আসন অলংকৃত করেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী নিমাই চক্রবর্তী। সিপিএম দল থেকে আসা যোগদানকারীরা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন এই উন্নয়নের নিরিখে এবং এই উন্নয়নকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ধারাবাহিক উন্নয়নের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপি দলে যোগদান করেছেন। পাশাপাশি আজকের এই যোগদান সভায় বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং আলোচনা করতে গিয়ে বলেন আন্দোলন ছাড়াই মানুষ পাবে নিজেদের অধিকার এ হয়েছে বিজেপি সরকার এবং সরকারের একাধিক উন্নয়নে পরিকল্পনা গুলি এই উঠান সভার জন সম্মুখে তুলে ধরেন সাধারণ লোকজনদের মধ্যে। শ্রী বিধায়ক আরো বলেন এই সরকার জনগণের সরকার , জাতির জনজাতি গরিব সাধারণ মানুষের মান উন্নয়ন করায় এই সরকারের লক্ষ্য, বিভ্রান্ত না হয়ে আগামী ১৯ শে এপ্রি পদ্ম চিহ্নে ভোট দিয়ে বিপ্লব কুমার দেব কে বিপুল ভোটে জয় করে বিজেপির হাতকে শক্ত এবং মজবুত করুন সকলে এগিয়ে আসুন উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৮ এপ্রিল।। বসন্তের তপ্ত দুপুরে চড়িলামে আছড়ে পড়ে জনঢল। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে নয়া রেকর্ড গড়েছে বিজেপির কার্যকর্তারা। রীতিমতো জনসমুদ্রের রূপ নেয় জাতীয় সড়ক। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মনের উপস্থিতিতে চড়িলামে অনুষ্ঠিত হয় সুবিশাল রোড শো । আয়োজিত রোড শো তে জনঢল আছড়ে পড়ে। নবনির্মিত মোটরস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয় রোড শো। হুড খোলা গাড়িতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন। এছাড়া র্যালিতে ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ভগবান দাস, শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক, বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ প্রমুখ। ব্যান্ডের তালে বেলুনের ঝাঁক নিয়ে মিছিলে হাঁটেন কয়েক হাজার নরনারী । জাতি জনজাতি সকল অংশের কার্যকর্তার উপস্থিতি এবং উচ্ছ্বাস লোকসভা নির্বাচনে নয়া ইতিহাস গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে । মহিলা কার্যকর্তাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। রোড শো শেষে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা সাংবাদিকদের বলেন রাজ্যের দু’টি আসনে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত। চড়িলামে এমন জনঢল আছড়ে পড়বে ভাবিনি। চড়িলামের জনতা উন্নয়নের পক্ষে রয়েছে। গত পাঁচ বছরে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন চড়িলামের উন্নয়নে কাজ করেছে। গ্রামীণ রাস্তা বিদ্যুৎ পানীয় জল পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটেছে। এই উন্নয়নের ফসল আজকের জনসমাগম। তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আবার বিজেপির সরকার হবে। বৈভবশালী ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে দেশ। এ রাজ্যে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে উন্নয়ন বিরোধী বাম কংগ্রেস জোট।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
গোমতী ত্রিপুরা অটো রিক্সা মজদুর সংঘ জামতলা , শালগড়া ও গর্জনমুড়া লাইন কমিটি ও ভারতীয় মজদুর সংঘ গোমতী জেলা যৌথ উদ্যোগে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয় হদ্রা চৌহমুনী বাজারে । এই পথসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন , বিজেপি বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার । এছাড়া ছিলেন , বিএমএস এর জেলা সভাপতি গৌতম দাস, হদ্রা গ্রাম প্রধান সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা । পথসভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার বলেন , দেশ ও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য এই বারের ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে পুনরায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে বড় মাত্রায় আসন সংখ্যা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য লোকসভায় পাঠাতে হবে। তাহলে এই দেশ আগামী দিনে আরো দ্রুত উন্নয়নশীল থেকে উন্নততর রাষ্ট্র তৈরি হবে । বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর জম্মু-কাশ্মীরের শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে তিন তালাক বাতিল ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । উত্তর-পূর্ব ভারতের বিকাশে জোর দিয়েছে সরকার । এছাড়া এই দিন বিধায়ক বাম ও কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানান । সেইসাথে ১৯-শে এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব কে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান রাখেন বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার ।এই পথ সভা কে কেন্দ্র করে হদ্রা চৌহমুনী বাজারে প্রচুর সংখ্যায় কর্মচারী মহল থেকে শুরু করে গ্রামবাসী ও বাজারে আসা ক্রেতাদের ভিড় ব্যাপক পরিমাণে দেখা যায় ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৮ এপ্রিল।। একই দিনে বিশালগড়ে ৪৮৩ ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিশালগড়ের নদীলাগ মূলত বামদুর্গ হিসাবে পরিচিত। ২০১৮ সালে সেখানে প্রচার করতে পারেনি বিজেপির প্রার্থী। ২০২৩ সালেও বামেদের সঙ্গে ছিল নদীলাগ। এবার ভাঙন ধরেছে তথাকথিত লালদুর্গে। লোকসভা নির্বাচনে বামগ্রেস প্রার্থীকে মেনে নিতে পারছেনা তারা। তাই এবার নতুন দিশায় হাঁটতে চলছে নদীলাগ। বিশেষ করে বিধায়ক সুশান্ত দেবের কাজে খুশি তারা। তাছাড়া বিজেপির সবকা সাথ সবকা বিকাশ নীতিতে নদীলাগ এলাকায় ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। তাই এবার সরাসরি উন্নয়নের শিবিরে মিশে যেতে চাইছে তারা। সোমবার ২৩৩ ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের বরন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন উন্নয়ন আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবাসন প্রকল্পের ঘর থেকে শুরু করে সকল সরকারি প্রকল্পের সুবিধা রাম রহিম বিচার করে দেয়া হয়নি। একসময় সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দল সিপিএমের নেতারা সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করেছে। ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছে। সিপিএমের ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। সিপিএম উন্নয়ন বিরোধী। ওরা রাষ্ট্রের মঙ্গল চায়না। কাজেই আর ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতে। উন্নত ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই নদীলাগের সব ভোট নরেন্দ্র মোদিকে দেয়ার আবেদন জানান তিনি। অন্যদিকে এদিন বিশালগড় বিধানসভার ধ্বজনগরে ২৫০ জন ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। নবাগতদের বরণ করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। ধ্বজনগর এবং নদীলাগ এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের সঙ্গে ছিল। গত দুই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হলেও ধ্বজনগর এবং নদীলাগ হাঁটে উল্টো পথে। এবারের লোকসভা নির্বাচনের মুখে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সেখানকার সংখ্যালঘুরা দলে দলে ভিড়ছে বিজেপিতে।
বাড়ি বাড়ি প্রচারে যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী মহারানী কীর্তি সিং দেববর্মা।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
৫৫ বাগ বাসা বিধানসভা কেন্দ্রের কমিউনিটি হলে একটি সাংগঠনিক বৈঠক সম্পন্ন করে পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী মহারানী কীর্তি সিং দেববর্মা সোজা চলে আসেন যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রের হাফলং এর চিন্তা লোহার ভবনে। সেখানে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থীর সাথে সঙ্গী হিসেবে ছিলেন যুব কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী টিংকু রায়, প্রদেশ ওবিসি মোর্চার সহানেত্রী মলিনা দেবনাথ, উত্তর জেলা বিজেপির সভাপতি কাজল দাস সহ জেলার এবং মন্ডলের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীবৃন্দ। হাফলং চিন্তা লোহার ভবনে সাংগঠনিক বৈঠকের পর হাফলংয়ের চা বাগানের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিলিত হন পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী এবং মানুষের সম্মতি ক্রমে মোদীজির স্টিকার বিতরণ করেন। মন্ত্রী টিংকু রায় জানান শনিবার ধর্মনগর যেভাবে জনটল পরিলক্ষিত হয় তাতে বিজেপি এই আসনে যে বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করছে তার নিশ্চিত। তবে ব্যবধানটা আরো কত বেশি বাড়ানো যায় তাই হচ্ছে আমাদের মূল্ উদ্দেশ্য। শুধুমাত্র ধর্মনগর নয় যুবরাজনগর এর ক্ষেত্রেও ব্যবধানটা যাতে আরো বেড়ে যায় তার জন্য পার্টি কার্যকর্তারা মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে। এখানেও নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নই হচ্ছে এই লোকসভা নির্বাচনে ভোটের মূল ইস্যু। সবাইকে দলে দলে ভোট প্রদান করে বিজেপির জয়ের ব্যবধানটা আরো বাড়িয়ে তুলতে মন্ত্রী সবাইকে আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
আগামী দিনে রাজ্যে উন্নয়নের প্রবাহ ধরে রাখতে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে হবে । প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরাসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন । তাই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে গণদেবতার কাছে প্রতিদিন আহ্বান রাখছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। একই সাথে দেশকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আর্থিক শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে । তার জন্য কেন্দ্রে শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন । প্রতিদিন নিজ রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কখনো বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযান , আবার কখনো পথসভা , কখনো আবার ছোট ছোট আকারে জনসভা । প্রতিদিন সকাল থেকে রাত রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে খামতি রাখতে চাইছে না অর্থমন্ত্রী। যত ভোটের দিন এগিয়ে আসছে সামনের দিকে তত তেজি বাড়ছে প্রচারে । একের পর এক প্রচার অভিযানকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা এক প্রকার অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ এর কাছে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে । বিরোধীরা কোনভাবেই প্রচারে নিজেদেরকে ধরে রাখতে পারছে না । শনিবার সকালে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১৭ এবং ১৮ নং বুথে নির্বাচনী প্রচার করেন তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এদিন প্রচারে বের হয়ে গণদেবতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদী ভারতের জনগণের সেবক। ১৪০ কোটি জনগনের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে নরেন্দ্র মোদিকে। তাই মোদি কা গ্যারান্টি-র উপর ভরসা রাখুন । যেভাবে তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় প্রচারের দিনের পর দিন ঝড় তুলতে শুরু করেছে নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে তাতে করে এক প্রকার চিন্তার ভাঁজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- রাজ্য একটা সময় জাতি জনজাতির মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করেছে বামফ্রন্ট । উন্নয়নের নাম করে আত্মসাৎ করেছে বহু টাকা । কখনো পাহাড়ি এলাকায় উন্নয়ন পৌঁছে দেয়নি বামেরা। শুধুমাত্র নিজেদের রাজনীতির লাভের অংক চিন্তা করে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় জনজাতি ভোটারদের দিয়ে রাজনীতি করে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস অস্থির পরিস্থিতির মাধ্যমে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল । তাদের অপশাসনের দরুন অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে গিয়েছিল ত্রিপুরা । কিন্তু ২০১৮ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর এগিয়েছে পাহাড়। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সময় তাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাঠিয়েছেন বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শন করার জন্য। সে সমস্ত রিপোর্ট রাজ্যে এবং কেন্দ্রে জমা পড়েছে। কিভাবে তাদেরকে উন্নত করা যায়। সেসব বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করেছে প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে গণদেবতাদের কাছে বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযানের মধ্য দিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া । যেভাবে প্রতিদিন কখনো গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে আবার কখনো পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন জনজাতি পরিবারের মধ্যে মিশে গিয়ে দলীয় প্রচার করে চলেছেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া তাতে করে কিল্লা এলাকার বিভিন্ন জনজাতি এলাকায় বামেদের সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছে। মানুষ বিকাশমুখী সরকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। রাজ্যে যে উন্নয়ন করেছে বর্তমানে বিজেপি সরকার তা কখনো গত ২৫ বছরে এই পাহাড় বাসী দেখেনি । কৃষি যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবা ,রাস্তাঘাট বিদ্যুৎ ,পানীয় জল ও বেকারদের বিভিন্ন কর্মসংস্থান করে দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে এবার বর্তমান বিজেপি সরকার রাজ্যের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করার কারণে বর্তমানে প্রতিদিন এই লোকসভা ভোটের মুখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ত্যাগ করে শাসক দলে যোগ দিচ্ছে ভোটাররা । এমনটাই মনে পড়ছে বাগমার সচেতন রাজনৈতিক মহল ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলার উদ্যোগ উদয়পুর মহকুমার অন্তর্গত মহারানী হাসপাতাল চৌমুহনীতে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয় । এই পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন , ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলা সভাপতি গৌতম দাস ,টিআর কে এস এর উদয়পুর মহকুমার সাধারণ সম্পাদক অনুপ সরকার , বিএম এস এর রাজ্য মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দ্বিগবিজয় ভাওয়াল , টি আরকেএসএর মহারানী ইউনিটের সভাপতি ফরিদ আহমেদ ও অটো মজদুর সংঘের জেলা সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার সহ প্রমুখ । এদিনের পথ সভায় জেলা সভাপতি গৌতম দাস ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন , বিগত দিনে বামেরা কর্মচারীদেরকে যখনই মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করার ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হতো তখনই সমিতি অফিসে চাঁদা দেওয়ার জন্য নির্দেশ চলে আসতো । এছাড়া বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মচারী সমর্থককে সেই সময় বহুদূরান্তে বদলি করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এই ধরনের কোন নির্দেশিকা বর্তমান সরকার এখনো পর্যন্ত দেয়নি শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মচারীরা তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজ করে চলেছে। ভারতীয় মজদুর সংঘ কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে সরকারের সাথে বিভিন্ন সময় বৈঠক করে থাকে । আগামী দিনে ১৯ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব কে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য এদিন আহ্বান রাখেন বিএমএস-র জেলা সভাপতি গৌতম দাস সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এদিন ভারতীয় মজদুর সংঘের উদ্যোগে মহারানী হাসপাতাল চৌহমুনীতে যে পথসভা করা হয়েছে তাতে কর্মচারী থেকে শুরু করে বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা যায় ।