- ধর্মনগর প্রতিনিধি।
কত্থক নৃত্য জাতীয় বৃত্তি অর্জন করেছে ধর্মনগরের প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী সমৃদ্ধি আচার্য্য।গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার আন্ডার এ জাতীয় বৃত্তি সি. সি. আর টি ন্যাশনাল স্কলারশিপ অর্জন করে ধর্মনগর সহ গোটা রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করল সমৃদ্ধি। সিসিআরটি এর ২০২৩-২৪ বর্ষের স্কলারশিপ পরীক্ষায় সমৃদ্ধি এই জাতীয় বৃত্তি অর্জন করেছে। ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে আগরতলার ভগৎ সিং যুব আবাস এ রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৩ই জুন ফল প্রকাশিত হয়। সেখানে সারা রাজ্যের শতাধিক পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সেরা পাঁচজনকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। এই সেরা পাঁচজনের মধ্যে সমৃদ্ধি আচার্য প্রথম র্যাঙ্ক অর্জন করে। গোটা উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ধর্মনগরের একমাত্র সমৃদ্ধি আচার্য যে কত্থক নৃত্য এই বৃত্তি অর্জন করতে পেরেছে। সমৃদ্ধির বাবা সুমন আচার্য্য এবং মা অন্নপূর্ণা আচার্য্য,উনাদের একমাত্র কন্যা সমৃদ্ধি আচার্য্য। বর্তমানে পানিসাগরের পি.এম শ্রী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে অষ্ঠম শ্রেণীতে পাঠরত সমৃদ্ধি, দীর্ঘ নয় বছর থেকে গুরুকুল মিউজিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন এবং পূর্ণশ্রী নৃত্যাশ্রম এর আওতাধীন জাতীয় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্বনামধন্য নৃত্যগুরু শ্রীমতী পূর্ণশ্রী ঘোষের কাছে নৃত্য চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে নিষ্ঠার সাথে। এই দীর্ঘ 9 বছরের অনুশাসন শৃঙ্খলা ও কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এই সাফল্য আনতে পেরেছে সমৃদ্ধি। সমৃদ্ধি আচার্য্য কলকাতা, বাংলাদেশ, আগরতলা সহ নানা জায়গায় তার নৃত্য প্রদর্শন করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।ইন্টারন্যাশনাল ড্যানস ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার পেয়েছে ২০২৪ সালে। এছাড়া বাংলা বলয় সংসকৃতি ২০২৩ সালে পুরস্কার পেয়েছে। তাছাড়া নজরুল রবীন্দ্র নূত্য বিভিন্ন জায়গার প্রদশন করে নানান পুরস্কার পেয়েছে সমৃদ্ধি । কত্থক নৃত্য কে নিয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে চায় সমৃদ্ধি আচার্য। নাচের পাশাপাশি আট ও গান শিখে সমৃদ্ধি। গানের স্কুল তমালিনীর ছায়া। সেখানে সংগীত গুরু সুয়েতা দেব কাছে গান শিখে। সমৃদ্ধি আচার্য বাবা সুমন আচার্য ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ মা অন্নপূর্ণা আচার্য। দাদু রিটায়াড ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ মনীষ মজুমদার দিদন কৃষা মজুমদার। তারই সাফল্যে আত্মীয় পরিজন সহ বন্ধু-বান্ধব এবং গোটা ধর্মনগর বাসীদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে।
বিনোদন
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৬ জুন:- রবিবার আগরতলা লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে ধলাই জেলা সালেমায় মেগা স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। এদিন সালেমা কমিউনিটি হলে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য শিবিরের শুভ সূচনা করেন এলাকার বিধায়িকা সপ্না দাস পাল। তাছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধলাই জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনাদি সরকার সহ বিশিষ্ট অতিথি বর্গ। স্বাস্থ্য শিবিরে চিকিৎসকরা এলাকার প্রায় ২০০ জন রোগীর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিনামূল্যে ওষুধপত্র প্রদান করেন। ক্লাবের এক কর্মকর্তা জানান তাদের এই উদ্যোগ আগামী দিনেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জারি থাকবে। এদিন মেগা স্বাস্থ্য শিবির’কে ঘিরে এলাকাবাসীদের মধ্যে ব্যাপক সারা লক্ষ্য করা যায়।
উদয়পুর বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রাক-প্রাথমিক বিভাগ ২০২৪-এর প্রথম বার্ষিকী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
- প্রতিনিধি, উদয়পুর :- শুক্রবার উদয়পুর জামতলাস্থিত টাউন হল বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইংলিশ মিডিয়াম প্রাক-প্রাথমিক বিভাগ ২০২৪-এর প্রথম বার্ষিকী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শুভ সূচনা করেন গোমতী জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায় এই ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌরপিতা শীতলচন্দ্র মজুমদার, কাউন্সিলর অয়ন গোপ, বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সম্পাদক বিমল চক্রবর্তী, পরিচালন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বিষ্ণুপদ ভৌমিক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর দত্ত, শিক্ষক সঞ্জীব ভট্টাচার্য সহ আরো অনেকে । এই অনুষ্ঠানে প্রাক প্রাথমিক বিভাগের দৌড় প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন প্রাক প্রাথমিক স্কুল হল ছোট বাচ্চাদের স্কুলের প্রস্তুতির সাথে সজ্জিত করার একটি মূল কৌশল। প্রাথমিক শৈশব শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য বিভাগ দ্বারা বিশেষ প্রচেষ্টা করা হয়।” এর উদ্যোগের লক্ষ্য হল শিক্ষাগত সাফল্য এবং আজীবন শেখার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, জ্ঞান এবং মনোভাব প্রদান করে স্কুলের প্রস্তুতির গুরুত্ব প্রদর্শন করা। আগামীদিনের প্রাক প্রাথমিক ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার জন্য উজ্জল ভবিষ্যৎ সাফল্যের কামনা করেন । এই দিন ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক অভিভাবিকা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৪ জুন।। বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের নিয়ে শক্তিপীঠ দর্শনে গেলেন বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব। শুক্রবার নিজ বিধানসভার বিভিন্ন এলাকার আড়াইশো প্রবীণ নাগরিকদের নিয়ে শক্তিপীঠ তথা মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে যান বিধায়ক। একান্ন পীঠের অন্যতম পীঠ হলো ত্রিপুরাসুন্দরীর মায়ের পূন্যভূমি। সরকারের সদিচ্ছায় নবরূপে সেজে ওঠছে মাতা ত্রিপুরাসুন্দরীর মন্দির প্রাঙ্গণ। সেখানে মায়ের আশীর্বাদ নিতে প্রায়ই ছুটে যান বিধায়ক সুশান্ত দেব। এবার নিজ বিধানসভার বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের নিয়ে মায়ের আশীর্বাদ নিতে যান। ব্যাক্তিগত বাতানুকূল গাড়িতে নয়, বাস গাড়িতে বয়োজ্যেষ্ঠ অভিভাবকদের সঙ্গে বসে উদয়পুর যান বিধায়ক। সকল অভিভাবকদের নিয়ে মায়ের মন্দিরে পূজা দেন তিনি। দুপুরে মিলিত ভোজন পর্বে অংশ নেন বয়োজ্যেষ্ঠরা। বিধায়কের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে অভিভাবকরা জানান বিধানসভার বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকরা কোনদিন একসঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাইনি। সেই সুযোগ হয়নি কখনো। কিন্তু আজ বিধায়ক সুশান্ত দেব সকল প্রবীণদের মায়ের চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের সুযোগ করে দিয়েছেন। সকল অভিভাবকরা ত্রিপুরাসুন্দরী মায়ের কাছে বিধায়ক সুশান্ত দেবের জন্য আশীর্বাদ প্রার্থণা করেন। শ্রেষ্ঠ বিশালগড় গড়ার বিধায়কের স্বপ্ন পূরণ হোক এই কামনা করেন সবাই। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান বয়োজ্যেষ্ঠদের আশীর্বাদ এবং পরামর্শ নিয়ে আমি কাজ করি। অনেকদিন ধরে বিশালগড়ের অভিভাবকদের নিয়ে কোথাও একদিন সময় কাটানোর ইচ্ছে ছিল। আজ তা পূরণ হয়েছে। সকল অভিভাবকরা যাতে সুস্থ সুন্দর জীবন কাটান সেই প্রার্থণা ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের কাছে করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব।
- প্রতিনিধি, উদয়পুর :- আবারো দেশের মধ্যে ত্রিপুরার মেয়ে উদয়পুরের নাম গর্বিত করলো ক্ষুদে সংগীতশিল্পী পরিণীতা দেবনাথ । প্রতি বছরই সাংস্কৃতিক সংস্থান কেন্দ্র এবং প্রশিক্ষণ আয়োজিত শাস্ত্রীয় সংগীত, তবলা, লোকগীতি, শাস্ত্রীয় নৃত্য ইত্যাদির বিষয়ের উপর সর্বভারতীয় স্তরে পরীক্ষা হয় । এই বছরের ২০২৪ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং তার ফলাফল ঘোষণ হয় ১৩ই জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় । অনেকটা প্রত্যাশিতভাবেই সমগ্র গোমতী জেলার মধ্যে একমাত্র শাস্ত্রীয় সংগীতে সর্বভারতীয় স্তরে ২০২৪ সালে এই বৃত্তি লাভ করে ক্ষুদে শিল্পী পরিণীতা দেবনাথ । শিল্পী পরিণীতা বরাবরই সঙ্গীতে গোমতী জেলা সহ আগরতলা এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইতিমধ্যেই বহু পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে তার ছোঁয়া রাখছে । সাংস্কৃতিক ঘরোয়া পরিবারের জন্ম নেওয়া পরীনিতার সংগীতে হাতে খড়ি এবং প্রাথমিক শিক্ষা মা সংগীতশিল্পী প্রিয়াঙ্কা ভৌমিকের হাত ধরে, বাবা বিশিষ্ট তবলা বাদক রামকৃষ্ণ দেবনাথ । বর্তমানে পরিনীতা রাজ্যের সঙ্গীত গুরু পদ্ম মৌলীশ্বর আদিত্যের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিচ্ছে । পরিনীতার সাথে কথা বললে, সে জানায় তার এই সাফল্যের পেছনে রাজ্যের বিশিষ্ট তবলা বাদক সুরজিৎ আচার্য্যের ভূমিকা রয়েছে অনেকটা । ক্ষুদে শিল্পী পরিনীতা দেবনাথ বর্তমানে উদয়পুর বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পাঠরত । তার এই সাফল্যে খুশি তার পরিবারসহ সমগ্র জেলাবাসী ।
বিশালগড় , ১২ জুন।। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বুনিয়াদি শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে এবং বিধান শিশু উদ্যান মেধা অন্বেষার সহযোগিতায় সদর মহাকুমার অন্তর্গত আমতলী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে এক বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । বুধবার আয়োজিত এই কর্মসূচিতে আমতলী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা ফল ও ফুলের চারা রোপণ করেন । বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শেষে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আলোচনা সভায় আলোচনা করতে গিয়ে বুনিয়াদি শিক্ষা দপ্তরের কিচেন গার্ডেন এর দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক মনোজ রায় বলেছেন শুধু গাছ লাগালেই হবে না, গাছ লাগানোর পাশাপাশি গাছটিকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে । নির্বিচারে বনজঙ্গল ধ্বংস হওয়ার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। আমরা এক কঠিন পরিস্থিতির মুখে। বিশ্ব উষ্ণায়ণের কুফল ভোগ করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই পথ বৃক্ষ রোপণ।
জেলায় ক্রমবর্ধমান দূষণ এবং তা প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলাশাসকের নিকট ডেপুটেশন বিএমএস এর
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- পরিবেশ দূষণের সমস্যা শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। দূষণের কারণে মানুষকে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। বর্তমানে গাছ কাটা অনেক বেড়ে গেলেও সেই তুলনায় আবাদ কমছে, যার কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়েছে, যার কারণে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সঠিক জল সংরক্ষণের অভাবে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নিচে নামতে শুরু করেছে। এ কারণে অনেক জায়গায় জলের সমস্যা বাড়তে শুরু করেছে। তাই ভারতীয় মজদুর সংঘ এই স্মারকলিপির মাধ্যমে গোমতী জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমার কাছে দাবি করে যে, জেলায় যে সকল প্রকার দূষণ ঘটছে তার প্রতি বিশেষ নজর দিয়ে অবিলম্বে তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং নিম্নলিখিত বিষয়গুলির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হোক।
দাবি গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি ছিল বায়ু দূষণের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া , এবং এটি হ্রাস করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা , যাতে এটি মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব না ফেলে, এছাড়াও, সমস্ত বড় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইলেকট্রনিক বোর্ড স্থাপন করা। নদী ও নালার পানিকে দূষিত হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।অপ্রয়োজনীয় গাছ কাটা নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বৃক্ষরোপণে বিশেষ নজর দিতে হবে। একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক থেকে তৈরি জিনিস বিক্রির উপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা থাকা ইত্যাদি। এই দিনের ডেপুটেশানে উপস্থিত ছিলেন , বিএমএসএর গোমতী জেলা সভাপতি গৌতম দাস,ত্রিপুরা প্রদেশের মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দ্বিগবিজয় ভাওয়াল , ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘের গোমতী জেলার সম্পাদক বিপ্লব বিজয় দে , রাজকুমার নোয়াতিয়া, স্বপন মন্ডল ও কৃষ্ণ বৈদ্য সহ প্রমূখ ।
ধর্মনগরে এক জোটে নাট্য চর্চার উদ্বোধন হলো ধর্মনগর অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতি ভবনে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। ধর্মনগরে শনিবার সন্ধ্যায় অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতিভবনে উদ্বোধন হলো এক জোটে নাট্য চর্চার প্রথম নাটক। উদ্বোধন করেন বিশেষ নাটক ব্যক্তিত্ব তথা ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন। উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক সময় চক্রবর্তী , আব্বায়ক সুমিত নাথ চৌধুরী, নাট্য ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ চক্রবর্তী তাছাড়া ও বিভিন্ন নাট্য সংস্থার পক্ষ থেকে শিল্পীরা। প্রত্যেক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্থাৎ দ্বিতীয় শনিবার এই নাটক পরিবেশন করা হবে। অতিথি হিসেবে বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনকে বরণ করে নেওয়া হয় এক জোটে নাট্য চর্চার সংস্থার পক্ষ থেকে। উদ্বোধন করে বিধায়ক বলেন ধর্মনগর নাটক এবং যাত্রার শিল্পীদের একটি সম্পূরক স্থান। আগেকার দিনে যখন প্রত্যেকটা জিনিস নিখুঁতভাবে বের করে নাটকে প্রতিস্থাপন করা হতো এখন এই প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে মানুষের মধ্যে যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে তার পরিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব এই নাটক এবং যাত্রা প্রতিযোগিতায়। তার জন্য প্রচুর রিহার্সেল দরকার। অর্থাৎ অভ্যাসের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা আসে। তাই শিল্পী কে ছোট করে না দেখে তাকে মহান শৈল্পিক মর্যাদা দেওয়া দরকার। প্রায় বছরখানে ধরে চলবে এই নাটক প্রতিযোগিতা তার জন্য 15 থেকে 16 টি দল ইতিমধ্যে তাদের নাম নথিভুক্ত করে নিয়েছে। তিনি সাধুবাদ জানান ধর্মনগরের মানুষকে এবং তাদের শৈল্পিক নিদর্শন প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
অষ্টাদশ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে রবিবার এক বৃক্ষ রোপন উৎসবে শামিল হল খোয়াই এর সুরাঞ্জলি কালচারাল কেম্পিনের সকল সদস্য এবং সদস্যাগণ। এই দিনের এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বৃক্ষ রোপনে শামিল হন বিজেপি খোয়াই মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার, মন্ডল সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারপারসন তাপস কান্তি দাস সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। বৃক্ষরোপণ উৎসবে শামিল হয়ে খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার বলেন, প্রতিদিন পৃথিবী তার ভারসাম্য হারাচ্ছে, উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত দিনে এত উষ্ণতা আমরা কখনো প্রত্যক্ষ করিনি। পরিবেশের এই ভারসাম্যতা নষ্ট হবার পেছনে আমরাই দায়ী। সরকার এবং প্রশাসন পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের অভিযান এবং সচেতনতা বৃদ্ধি সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। অতপর ও নিজেদেরকে শুধরানোর চেষ্টা করছি না আমরা। তিনি বলেন পরিবেশ সুরক্ষিত না থাকলে মানব সভ্যতা ও সুরক্ষিত থাকবে না, ধ্বংসের পথে চলে যাবে। মানবজাতিকে সুরক্ষিত রাখতে হলে আমাদেরকে পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হবে। এবং আরো বেশি করে বৃক্ষরোপনে শামিল হতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সুরাঞ্জলি কালচারাল ক্যাম্পেনের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন সংস্থা এই ধরনের সামাজিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি আশা মত ব্যক্ত করেন।
কিষান মল্লিক চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি।৬ জুন।।
ইদানিংকালে ঘন ঘন বৃষ্টিপাতের ফলে চুড়াইবাড়ি গেট থেকে শনিছড়া পর্যন্ত আসাম আগরতলা ৮ নং জাতীয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে টিলার মাটি পড়ে ভগ্ন দশায় পরিণত হয়ে রয়েছে।ফলে যান চলাচলে যেমন ব্যাঘাত ঘটছে তেমনি পায়ে হেঁটে চলাচল ও কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় জনসাধারণের।বিশেষ করে খেরেংজুরি চাঁন্দপুর এলাকায় দুই তিনটা পাথর ভাঙার েত্রুসারের মাটি এসে রাস্তার পাশের ড্রেন বন্ধ করে দেয় ফলে জল জমে পুকুর সমান গর্তে পরিণত হয়ে রয়েছে।এতে হাটু সমান বালুমাটি জাতীয় সড়কের উপর আটকে পড়ে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার সকাল দশ ঘটিকা থেকে আসাম আগরতলা আট নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসে।এতে জাতীয় সড়কের দুপাশে শত শত ছোট বড় যানবাহন আঁটকে পড়ে।প্রায় দুই ঘন্টা পর্যন্ত চলে অবরোধ ও বিক্ষোভ।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ডিসিএম জিনিয়াস দেববর্মা,স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষিন্দর সিং ,চুরাইবাড়ি থানার ওসি সমরেশ দাস সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং ক্রেসার মালিকদের পক্ষে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিলন নাথ,সম্পাদক ছয়াব আলী লস্কর সহ অন্যান্যরা। তারা সকলেই অবরোধকারীদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেন।প্রথমে তারা রাজি না হলেও পরবর্তী সময়ে আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আগামী রবিবার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনায় বসা হবে সমস্যা স্হায়ী নিরসনের জন্য।এই আশ্বাস পেয়ে প্রায় দুই ঘন্টা পর অবরোধকারীরা তাদের পথ অবরোধ তুলে নেয়।পাশাপাশি দুটি জেসিবি মেশিন লাগিয়ে সাথে সাথেই রাস্তার ড্রেন পরিষ্কার করে দেওয়া সহ রাস্তায় পড়ে থাকা বালু মাটি তুলে দেওয়া হয় পাথর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।ফলে স্বাভাবিক হয় আসাম আগরতলা আট নং জাতীয় সড়কের যান চলাচল।স্থানীয়দের মতে জাতীয় সড়কের দুপাশের ড্রেন কালভার্ট দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ভারী বৃষ্টিপাত হলেই এই সমস্যা দেখা দেয়।তাই স্থায়ী সমাধান চাইছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগন।