55
- প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া : – বর্তমান ডিজিটাল যুগে বাহারি ইলেকট্রনিক্স লাইটের বাজারে মাটির তৈরি প্রদীপের আলো খানিকটা ফিকে পড়ে গেছে। বর্তমান সময়কালে আগের মতো সারা বছর আর তেমন চাহিদা নেই মাটির তৈরি প্রদীপের, তবুও মৃৎশিল্পী’রা বুকে একরাশ আশা নিয়ে আজও তৈরি করে চলছে মাটির প্রদীপ।
বছরের একটাই দিন আলোর উৎসব দীপাবলি।মৃৎশিল্পীরা ব্যাবসা ভালো হবে এই আশা নিয়ে নাওয়া-খাওয়া ভুলে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যাস্ত। কিন্তু মন্দার বাজারে তাদের ব্যাবসা কতটুকু ভালো হবে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। তেলিয়ামুড়ার পৌর পরিষদ এলাকার দুই নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া। পালপাড়া তে রয়েছে ৩২ টি পরিবার। প্রতিটি পরিবারই মাটির সামগ্রি তৈরি করেই জীবন জীবিকা চালায়। সারা বছরই এই পরিবার গুলি শুকনো মাছের হাড়ি পাতিল, দইয়ের পাতিল সহ মেলার জন্য মাটির খেলনা বানায়। আর কয়েকটি রাত পোহালেই আলোর উৎসব দীপাবলি।
আলোর উৎসব দীপাবলি কে সামনে রেখে করিলং পাল পাড়াতে মৃৎশিল্পীরা এখন ব্যস্ত দীপাবলির জন্য মাটির প্রদীপ তৈরিতে। মৃৎশিল্পী স্বপন রুদ্র পালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পরিবারের অন্যান্যরাও
আপন মনে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যাস্ত।
কথা প্রসঙ্গে মৃৎশিল্পী স্বপন রুদ্রপাল জানিয়েছেন,,বর্তমানে চাইনিজ রং বাহারি লাইট, চাকচিক্য পূর্ণতার বাজারে আগের তুলনায় অনেকাংশই কমে গেছে মাটির তৈরি প্রদীপের চাহিদা। তাছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রদীপ তৈরির মূল উপকরণ মাটি সহ প্রদীপ তৈরির আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম। স্বপন রুদ্রপাল আরো জানান, প্রতিবছরই এই সময়টাতে মাটির প্রদীপ তেলিয়ামুড়া বাজার ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য জায়গা তে ও সরবরাহ করেন। এবছরও অন্যান্য বছর তুলনায় একটু বেশি হবে বলেই আশা ব্যক্ত করেন।
তবে বর্তমান ডটকম যুগে বাহারি লাইট’কে সামনে থেকে টক্কর দিতে প্রস্তুত মাটির তৈরি প্রদীপ। মৃৎশিল্পীদের আশা মাটির প্রদীপের মসৃণ আলো আলোকিত করুক জগত সংসার, ঘুছে যাক সমস্ত দুঃখ কষ্টের গ্লানি।