প্রতিনিধি , উদয়পুর :-ভাতিজি জমাইয়ের দায়ের কোপে খুন হল কাকা শশুর । মৃত ব্যক্তির নাম নারায়ন দাস বয়স ৬৫ বছর । ঘটনা উদয়পুর টেপানিয়া পালপাড়া এলাকায় । ঘটনার বিবরণে জানা যায় , বুধবার রাতে নারায়ন দাসের সাথে তার বসতঘরে ঘুমানোর জন্য আসে যুধিষ্ঠি সরকার নামে ভাতিজির জামাই । কিন্তু রাত তিনটা নাগাদ যুধিষ্ঠি সরকার তার কাকা শশুরকে ২৪ টি দায়ের কোপ দিয়ে মার্ডার করে নেই । কিন্তু ঘটনার কিছু সময়ের পর অভিযুক্ত যুধিষ্ঠির সরকার চিৎকার করতে শুরু করে তার কাকা শ্বশুরকে সে নিজে মেরে ফেলেছে এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনার পর নারায়ন দাসের ভাই থেকে শুরু করে তার বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ঘুম থেকে ওঠে ভোরের অন্ধকারে দেখতে পায় যুধিষ্ঠির সরকার দা নিয়ে উঠানের মধ্যে বসে রয়েছে কাকা শ্বশুরের মৃতদেহের সামনে । জানা যায় , যুধিষ্ঠি সরকারের বাড়ি মেলাঘর থানার অন্তর্গত পশ্চিম নলছর এলাকায় । দীর্ঘদিন ধরে কাকা শ্বশুরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করে আসছে । পারিবারিক সূত্রে জানা যায় , যুধিষ্ঠি সরকারকে চিকিৎসার জন্য আগরতলা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল, তার কারণ সে অসুস্থ ছিল দীর্ঘদিন। কিন্তু আজ থেকে গত কয়েক মাস আগেই সে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে আসে। পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায় , নারায়ন দাসের সাথে যুধিষ্ঠি সরকার প্রায়শই রাতে তার নিজ বসতঘরে মদ্যপানের আসর বসিয়ে থাকে। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করে এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমত বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আজ থেকে দীর্ঘ অনেক বছর আগেই বিয়ে করেছিল নারায়ণ দাস ।কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যায় । শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল নারায়ণ। এদিন নারায়ণ দাসের খুনের ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে রাধা কিশোরপুর থানার পুলিশ থেকে শুরু করে গোমতী জেলা পুলিশ সুপার নমিত পাঠক ও উদয়পুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অজয় দেববর্মা ছুটে যায় ঘটনাস্থলে । পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত যুধিষ্ঠি সরকারকে গ্রেফতার করে এবং উদ্ধার করে তার কাছ থেকে একটি দা। পরে পুলিশ মৃতদেহটিকে টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্ত করার জন্য । বৃহস্পতিবার ভোরে উদয়পুর টেপানিয়ায় এই খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ।
127
next post