Home » শেষ সাড়ে চার বছরে নতুন রূপে সজ্জিত হয়েছে উত্তর জেলা সদর ধর্মনগর বললেন উপাধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেন

শেষ সাড়ে চার বছরে নতুন রূপে সজ্জিত হয়েছে উত্তর জেলা সদর ধর্মনগর বললেন উপাধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেন

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
২০১৮ তে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর বিজেপি আইপিএফটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর উত্তর জেলা সদর ধর্মনগরে কি কি পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপাধাক্ষ বিশ্ব বিশ্ববন্ধু সেন এক এক করে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি জানান ধর্মনগরে উন্নয়ন হয়েছে চারটি ধারায়। প্রথমটি হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন দ্বিতীয়টি হচ্ছে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন তৃতীয়টি হচ্ছে স্থানীয় বিধায়কের দ্বারা উন্নয়ন এবং চতুর্থ তথা সর্বশেষটি হচ্ছে পুর পরিষদ বা গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারা সার্বিক মানুষের উন্নয়ন। জল বিদ্যুৎ ঘর চাউল প্রদান এগুলো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা উন্নয়ন। রাজ্য সরকার যা করেছে তা মানুষের মানসিকতার উন্নয়ন ঘটিয়েছে। মানুষের মধ্যে এখন আর নেগেটিভিটি জিনিসটা বহুলাংশে কমে গেছে। শহরকে সুন্দর্যতার রূপ দেওয়া সার্থক করেছে স্থানীয় বিধায়কের দ্বারা। নতুন রূপে সজ্জিত হয়েছে ধর্মনগর শহর। ধর্মসহ শহর এখন স্ট্যাচু শহর রূপে সুনাম অর্জন করতে চলেছে। ধর্মনগরে শ্যামবাজারে যেমন নেতাজির স্ট্যাচু রয়েছে একই ধরনের স্ট্যাচু বসেছে, বসেছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির স্ট্যাচু আগামী 25 শে ডিসেম্বর অটল বিহারি বাজপেয়ীর জন্মদিনে বাবুর বাজারে উন্মোচন হতে চলেছে অটলবিহারী বাজপেয়ির নির্মম প্রতিকৃতি তাছাড়া ধর্মনগরে বিখ্যাত বিজ্ঞানী এ পি জে কালাম এর প্রতিকৃতি এবং আদিম কবি বাল্মিকের স্ট্যাচু বসকে বলে জানান
উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এর নির্মম প্রতিকৃতি বসানো হয়েছে। মহাদেবের মূর্তি বানিয়ে স্থাপন করে কালি দিঘিকে সুসজ্জিত করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও ধর্মনগরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আগে অর্থাৎ বামফ্রন্ট আমলে মাত্র ২৫ টি সাংস্কৃতিক দল ধর্মনগরের ছিল যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৭৩ টি। সাংস্কৃতিক দলগুলির জন্য টাউন হল গুলি ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে । এখন আর ধর্মনগরে বন্যা হয় না মশার উপদ্রব নেই বললেই চলে। কারণ নদী নালাগুলির নব্যতা বাড়িয়ে পরিষ্কার করে রাখা হয় যাতে জল পরিবহন ব্যবস্থা সঠিকভাবে সহরের বজ্জ্য পদার্থ কে বাইরে বের করে দিতে পারে। শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। ১০০% গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা নিশ্চিন্তে পড়াশোনার কাজ করে চলেছে। মিছিল মিটিং চাঁদাবাজির জুলুম উঠে গেছে। মহিলারা নিশ্চিন্তে রাত্রে ঘোরাঘুরি করতে পারে। রাস্তাঘাট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে তাই ট্রাফিক জ্যাম খুব কম হয়। সুইমিং পুল এর পাশাপাশি ওয়াকিং পদ বানানো হচ্ছে যাতে সকাল বিকাল সাধারণ মানুষ হাঁটাহাঁটি করতে পারে। বাজারের হকারদের সু বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্বাজতী প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে তিনটি নতুন সিবিএসই স্কুল চালু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য চেষ্টা চলছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে বেশ পরিবর্তন এসেছে ২০১৮ তে ধর্মনগরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যেখানে ৭ থেকে ৮ জন ছিল এখন তা ২৫ থেকে ৩০ জন হয়েছে ট্রমা সেন্টার বানানোর কাজ চলছে। শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে পরি কাঠামো গত আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত অর্থ সমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকা সাইন্স ল্যাবরেটরি চালু হয়েছে। ক্ষেত্রে চন্দ্রপুরে একটি ইন্দোর স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য সাড়ে আট কানি জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে। একটা মুক্ত জিম রয়েছে আরেকটা মুক্ত জিম বানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগের সরকার ধর্মনগরের প্রতি ছিল বিমাতৃ সুলভ আর এখনকার সরকার হচ্ছে ধর্মনগরের প্রতি মাতৃসুলভ। ধর্মনগর সরকারি মহাবিদ্যালয় ইতিমধ্যে ইংরেজি এবং বাংলাতে এমএ করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। সার্বিক দিক দিয়ে ধর্মনগরে যে সাড়ে চার বছরে পরিবর্তন হয়েছে তা অভূতপূর্ব বলে বর্ণনা করেন উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন।

You may also like

Leave a Comment