Home » জন উচ্ছ্বাসে মেলাঘর পৌঁছল জন বিশ্বাস রথযাত্রা

জন উচ্ছ্বাসে মেলাঘর পৌঁছল জন বিশ্বাস রথযাত্রা

by admin

প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৭ জানুয়ারি।। গত ৫ জানুয়ারি সাব্রুমে জন বিশ্বাস রথযাত্রা শুভারম্ভ করেছিলেন কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রী অমিত শাহ। দক্ষিণ ত্রিপুরার বিভিন্ন বিধানসভা সফর করে শনিবার সিপাহীজলা জেলায় পৌঁছল জন বিশ্বাস রথযাত্রা। সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার ধনপুর মন্ডলে কয়েক হাজার কার্যকর্তা এবং সাধারণ মানুষ জন বিশ্বাস রথযাত্রাকে স্বাগত জানান। ভবানীপুর থেকে শুরু হয় সিপাহীজলা সফর। হাজারো যুব মোর্চার কার্যকর্তা বাইক মিছিল করে জন বিশ্বাস রথ এগিয়ে নিয়ে যান নিদয়া, কাঁঠালিয়া, ধনপুর, বাঁশ পুকুর, মাছিমায়। প্রতিটি বাজার এবং মোড়ে এসে দাঁড়ায় জন বিশ্বাস রথ। পুষ্প বৃষ্টি বর্ষিত হয় রথ থেকে। মহিলারা উলুধ্বনি শাখ বাজিয়ে বরণ করেন রথ। সেখানকার সংখ্যালঘু অভিভাবক, যুব সম্প্রদায়ের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। উদ্বেলিত মানুষ রাস্তার মধ্যে নেচে গেয়ে হাততালি দিয়ে রথ বরণ করেন। রথে ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মণ, জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য প্রমুখ। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক উপস্থিত নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন গত নির্বাচনে ধনপুরবাসীকে বিভ্রান্ত করেছিলো সিপিএম। বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ধনপুরে হিন্দু মুসলমান জাতি জনজাতি সকলের উন্নতি হয়েছে। ধনপুরে কলেজ হয়েছে। সামাজিক ভাতা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য মিছিলে হাঁটতে হয়না। তাই আগামী নির্বাচনে ধনপুরে পদ্মফুল ফুটবে। জন বিশ্বাস রথযাত্রা ধনপুর থেকে সোনামুড়া পরিক্রমা করে মেলাঘরে পৌঁছে। সেখানে রথের সওয়ারী ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মন, সম্পাদক তাপস মজুমদার, প্রদেশ সদস্য অঞ্জন পুরকায়স্থ, জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য, বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস প্রমুখ। সন্ধায় জন বিশ্বাস রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে মেলাঘরে জনসমুদ্র সৃষ্টি হয়। আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন পঁচিশ বছর যারা মানুষের জন্য কাজ করেনি, তারা আবার ভাঁওতাবাজি শুরু করেছে। উন্নতির কথা নেই তাদের মুখে। শুধু কিভাবে জোট করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় সেই চিন্তা করছে। তিনি বলেন আসলে এটা জোট নয়, এটা ঝুট। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই হয়েছে। পঁচিশ বছর মা বোনদের উন্নয়নের ভাষণ শুনেছি। বিজেপি ভাষণে নয়, কাজে বিশ্বাস করে। তাই মা বোনদের উন্নয়নের জন্য ৩৮ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে। পঁচিশ বছরে মাত্র চার হাজার স্বনির্ভর দল ছিল। উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন রুটি কাপড়া মকান দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিনামূল্যে খাবার দিয়ে আশি কোটি মানুষকে রক্ষা করেছে। বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের বিরোধীতা করেছিলো সিপিএম। আজীবন শুধু বিরোধিতা করে গিয়েছে ওরা। তিনি বলেন করোনায় দুই বছর নষ্ট হয়েছে। এর পরেও বিজেপি সরকার যে কাজ করেছে তা পঁচিশ বছরে হয়নি। তাই আগামী নির্বাচনে আর ভুল করলে চলবেনা। ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য সোনামুড়ায় বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করতে হবে।

You may also like

Leave a Comment