প্রতিনিধি , উদয়পুর :- ২০২৩ সালের বিধানসভার নির্বাচনী ভোট প্রচারে বের হয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা সামনে উঠে আসে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়ের কাছে । তেমনি উদয়পুর পৌর পরিষদের ২১ নং ওয়ার্ডের সোনামুড়া এলাকার করোনা বাজার থেকে ক্যানেল পর্যন্ত ইট সলিং রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে রয়েছে। এই বিষয়ে এলাকাবাসীরা মন্ত্রীর কাছে দাবী করেন এলাকার রাস্তাটিকে যেন পাকা করে দেওয়া হয়। সেই সাথে পার্শ্ববর্তী জল নিকাশি ব্যবস্থার ড্রেনটি কংক্রিটের করে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীরা দাবি তুলে। তখন অর্থমন্ত্রী এলাকা বাসীদের কে আশ্বস্ত করেন সরকার ক্ষমতায় ফিরে আসলে এই সকল সমস্যাগুলি মিটিয়ে দেওয়া হবে । সেইমতো পূর্ত দপ্তর রাস্তা এবং ড্রেনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই নিয়েছে । আজ মন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয় কাউন্সিলার মান্নান মিঞা সরকার সহ দলীয় নেতৃত্বরা প্রস্তাবিত রাস্তাটি পরিদর্শন করার এবং দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে অতিসত্বর কাজ শুরু করার জন্য উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন। যারা গিয়েছে আগামী কিছুদিনের মধ্যে এই এলাকার রাস্তাটি নতুন ভাবে তৈরি করা হবে । অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় যেভাবে মানুষের সমস্যা সমাধানে নিজ থেকে এগিয়ে এসে কথা রেখে চলেছেন তাতে করে আগামীদিনে এই রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি নতুন ভাবে আরো সাজিয়ে উঠবে বলে মনে করছে উদয়পুরের রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ
রাজনীতি
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১২ জুন।। বিশালগড়ের নির্মাণ এবং অসংগঠিত শ্রমিকদের সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। শ্রমিকদের সমস্যা গুলো জানতে বুধবার সকালে বিশালগড় ব্রীজ চৌমুহনীতে শ্রমিকদের সাথে চায়ের আড্ডায় সামিল হন বিধায়ক। দিনের কাজে যোগ দেয়ার আগে বিধায়কের সাথে ঘন্টা খানেকের চায়ের আড্ডায় সামিল হন শতাধিক শ্রমিক। চায়ের কাপে চুমু দিতে দিতে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন শ্রমিকরা। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন আজকে আপনাদের সমস্যা শুনে তার সমাধানের পথ খুঁজতে এখানে এসেছি। ইতিমধ্যে শ্রমিকদের অফিস ঘরের ব্যবস্থা করেছেন বিধায়ক। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ক্যাম্প করে শ্রমিক কার্ড প্রদানের আশ্বাস দেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এছাড়া ভিন রাজ্য কিংবা অন্য জেলা থেকে আসা ঠিকেদারি সংস্থার সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন বলে জানান বিধায়ক। শ্রমিকদের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখতে পরামর্শ দেন তিনি। সবশেষে শ্রমিকদের গলায় গামছা পড়িয়ে সম্মানিত করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১১ জুন ।। ক্ষমতার অধিকারী মানুষ । মানুষের জন্যই ক্ষমতা। মানুষের জন্য কাজ করতে দরকার পরামর্শ এবং সহযোগিতা। মানুষের আশীর্বাদ এবং সহযোগিতা থাকলে সরকারি প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে বদলে যেতে পারে গ্রাম থেকে শহর। সকলের পক্ষে নেতা মন্ত্রী বিধায়কের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়না। তা সময়ের অভাব বা অন্য কোন কারণে। কিন্তু বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব কাজ করতে চায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। মানুষের আশীর্বাদ পরামর্শে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একের পর এক অভিনব কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে বিশালগড়ের তরুণ বিধায়ক সুশান্ত দেব। মানুষের আরও কাছে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রতি পাড়ায় সুশান্ত কার্যক্রম চলছে বিশালগড়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে বিশালগড়ের ৫৬ নং বুথ নদীলাগ এলাকার প্রবীণ নাগরিক আশু পালের বাড়িতে বসে প্রতি পাড়ায় সুশান্ত কার্যক্রম। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। ছিলেন গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা। সেখানে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল না। ছিল মতবিনিময়। গ্রামের নানা সমস্যার কথা শুনেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এলাকাটিতে মূলত কৃষিজীবী শ্রমজীবীদের বসবাস। কৃষি ক্ষেত্রে সামগ্রিক বিকাশের মাধ্যমে গ্রামের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ রচনায় প্রবীণদের পরামর্শ লিপিবদ্ধ করেছে বিধায়ক সুশান্ত দেব। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন সকলের পরামর্শ নিয়েই তিনি বিশালগড়ের সামগ্রিক বিকাশ করতে চান। তিনি বলেন একসময় এখানে বিজেপির কার্যকর্তা ছিল না। কিন্তু আপনারা কথা রেখেছেন। এই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথে ৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে বিশালগড় বিধানসভায় চল্লিশ হাজার ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। এরমধ্যে ৩৩৮০০ ভোট পায় বিজেপি। এই বিধানসভার হিন্দু মুসলমান সবাই নরেন্দ্র মোদির পক্ষে ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন আর কিছু দিন পর পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত গঠন করতে হবে। তাহলেই ডাবল ইঞ্জিন সরকারের জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিকাশের স্রোতপ্রবাহে মিশে আরও এগিয়ে যাবে এই গ্রাম।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-সদ্য সমাপ্ত দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন এক গুরুত্বপূর্ণ জনাদেশ দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন যা ইতিহাসের পাতায় একটি স্বর্ণখছিত অধ্যায়।দেশের ২৮ টি রাজনৈতিক দল একজোট হয় লড়াই করেও এনডিএ জুটকে হারাতে পারেনি।বরঞ্চ ২৮টি রাজনৈতিক দল সব মিলিয়ে যে সংখ্যা পেয়েছে তার থেকে একক ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির সংখ্যা অনেক বেশি।বিজেপি দলের নেতৃত্বে এনডিএ জোটের অষ্টাদশ লোকসভা ভোটে বিপুল জয় এবং পর পর তৃতীয় বারের মতো মোদিজীর নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রীসভাকে অভিনন্দন জানিয়ে ১০ই জুন সোমবার সন্ধ্যায় কৈলাসহরের রাজপথে ধন্যবাদ র্যালী করেছে ত্রিপুরা রাস্ট্রীয় কর্মচারী সংঘ অর্থাৎ টি.আর.কে.এস কৈলাসহর মহকুমা কমিটি এবং বি.এম.এস মহকুমা কমিটি। ধন্যবাদ র্যালীটি কৈলাসহরের ঊনকোটি কলাক্ষেত্র প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে শহরের পিডব্লিউডি রোড,সেন্ট্রাল রোড,নেতাজী কর্নার,গার্লস স্কুল রোড থেকে থানা রোড হয়ে পুনরায় একই রাজপথ পরিক্রমা করে শহরের পুরাতন মোটরস্ট্যান্ডে এসে দলীয় এক সভায় মিলিত হয়।মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কর্মচারী সংগঠনের সুপরিচিত শিক্ষক তথা কর্মচারী নেতা পার্থ সারথী দত্ত,কর্মচারী নেতা বিপ্লব সরকার,গোপাল মল্লিক,প্রসেনজিত সিনহা, উত্তম সিনহা সহ আরও অন্যান্য রাস্ট্রবাদী নেতৃত্বরা। পুরাতন মোটরস্ট্যান্ডে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্থ সারথী দত্ত বলেন যে, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের পূর্বে দেশের জাতীয়তাবাদী নামধারী কংগ্রেস দলের বড় মিঞা আর উত্তর প্রদেশের ছোটো মিঞা আর পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত পিশি ভাইপোরা অনেক রাস্ট্র বিরোধী কাজ করেও নরেন্দ্র মোদীর সরকারের জয় আটকাতে পারেন নি।ওদের লজ্জা থাকা উচিত।মোদি ওদের মুখে জামা ঘষে দিয়ে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন বলেও পার্থ বাবু দাবী করেন। তাছাড়াও পার্থ সারথী দত্ত বলেন যে,লোকসভা ভোটে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি দল এগিয়ে থাকলেও শুধুমাত্র ৫৩-কৈলাসহর কেন্দ্র বিগত ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে দশ হাজার ভোটের ব্যবধান ছিল।সেই ব্যবধান আড়াই হাজারে এসেছে।আগামী দিনে বিজেপি দলের প্রার্থীদের জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করেন নেতৃত্বরা।তবে কিছুদিন বাদেই অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বর্তমানে লোকসভা নির্বাচনে কৈলাসহরে ফলাফল যা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল কতটা মাইলেজ নিতে পারবে তা সময়ই জবাব দেবে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ভারতীয় জনতা পার্টি ৩১ আরকেপুর মন্ডলের ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি – এনডিআই জোটের বিপুল জয়কে কেন্দ্র করে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয় রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় উদয়পুর শহরে। এদিন প্রথমে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত হয় জামতলা টাউন হলের সামনে । পরে মোদি প্লে কার্ড সামনে নিয়ে মহিলা শক্তিকে এগিয়ে দিয়ে বিজয় মিছিলে মেতে ওঠে । বিজয় মিছিলে দলীয় গান বাজিয়ে কর্মীরা গোটা রাস্তা ধরে উল্লাসে মেতে ওঠে । তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি । এই জয়ের আনন্দে নিজেদেরকে সামিল করার জন্য ৩১ রাধাকিশোরপুর মন্ডলের বিজেপি কর্মীরা ঢাকঢোল নিয়ে বিজয় মিছিলে সারা জাগিয়ে উদয়পুর শহর কাঁপিয়ে তোলে । বিজয় মিছিলে অংশ নেন ৩১ রাধা কিশোরপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস, পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার, বিজেপির রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য সমীর চক্রবর্তী সহ প্রমূখ । এদিনের মিছিলে পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাঁটো ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৮ জুন।। টানা তৃতীয়বার বিজেপির নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। বিকশিত ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলছে। বিজয়ের আনন্দে মেতেছে সারা দেশের বিজেপির কার্যকর্তারা। শনিবার গোলাঘাটি বিধানসভার বিজেপির কার্যকর্তারা বিজয় মিছিল করে । লোকসভা নির্বাচনে গোলাঘাটি বিধানসভায় ২৬৯৭৬ টি ভোট পেয়েছে বিজেপি। বিরোধী জোট পেয়েছে ৫৭৫৯ টি ভোট। দলের বিপুল জয়ে উল্লসিত নেতা কর্মীরা। শনিবার বিকালে এক বিজয় মিছিল এবং সভা অনুষ্ঠিত হয় গোলাঘাটি বিধানসভার শ্যামনগরে। সেখানকার গাঙঠাকুর বাজারে আয়োজিত মিছিলে অংশ নেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা সহ জেলা মন্ডল বুথ স্তরের কার্যকর্তারা। প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মার তত্ত্বাবধানে এই বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়। ব্যান্ডের তালে গেরুয়া আবির মাখিয়ে আনন্দ উল্লাস করেন জাতি জনজাতি কার্যকর্তারা। আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক বলেন বিজেপি একা যে আসন পেয়েছে তার ধারেকাছেও নেই বিরোধী জোট। প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা বলেন গোলাঘাটি বিধানসভার সকল কার্যকর্তা একজোট হয়ে কাজ করেছে লোকসভা নির্বাচনে। তাই ২১২২৭ ভোটে বিরোধী দলকে হারানো সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর বিশ্বাস রেখেছে গোলাঘাটির জাতি জনজাতি ভোটাররা।
রাজ্যের পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিজেপি প্রার্থীর বিপুল জয় এবং মোদীজির নেতৃত্বে দেশে পুনরায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পশ্চিম ত্রিপুরার বিভিন্ন বিধানসভা ভিত্তিক চলছে অভিনন্দন রেলি এবং বিজয় সমাবেশ। এর ব্যতিক্রম ঘটেনি খোয়াই মহাকুমাতেও। খোয়াই মহকুমার রামচন্দ্র ঘাট, খোয়াই এবং আশারাম বাড়ি তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে অভিনন্দন রেলি ও বিজয় উৎসব সম্পন্ন করে নিয়েছে দলের নেতৃত্ব এবং কার্য কর্তাগণ। শুক্রবার রামচন্দ্র ঘাট মণ্ডল কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক বিজয় উৎসব। দলের বিপুল জয়ে দলীয় কার্য কত্তাগণ গেরোয়া আবির মেখে, বাজি ফটকা পুড়িয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। এবছর দেশের অষ্টার্দশ লোকসভা নির্বাচন ছিল এক ঐতিহাসিক নির্বাচন। এই নির্বাচনে একদিকে বাজপা নেতৃত্বাধীন জোট, অপরদিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেশের সমস্ত বিরোধী দল ইন্ডিয়া জুট নামে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে দেশের শাসন ক্ষমতায় তৃতীয়বার বাজপা সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এই বিশাল জয়ের দৌলতে বৃহস্পতিবার সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে খোয়াই মন্ডলের উদ্যোগে এক ধন্যবাদ রেলি আয়োজিত হয় খোয়াই শহরে। রেলিটি বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা নাগাদ খোয়াই অফিসটিলা রোড স্থিত মন্ডল কার্যালয়ের সম্মুখ থেকে শুরু হয়ে সুভাষ পার্ক, নিপেন চৌমুহনী, বনকর, কবিগুরু পার্ক, পুরান বাজার, দুর্গানগর, লাল ছাড়া, জি এ বি চৌমুহনী এবং পুনরায় সুভাষ পার্ক হয়ে মন্ডল কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এদিন রেলির অগ্রভাগে ছিলেন খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার, বিজেপি খোয়াই জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস, খোয়াই পৌর পরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক তাপস কান্তি দাস, সম্পাদক প্রণব দেবনাথ এবং মন্ডলের সহ-সভাপতি প্রণব বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। এদিন রেলি উপলক্ষে বাজি ফটকা পুড়িয়ে,গেরুয়া আবিরে রঞ্জিত হয়ে, ঢাকের তালে নেচে নেচে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে দলীয় কার্যকর্তাগণ। রেলি শেষে মন্ডল কার্যালয়ের সামনে দলীয় কার্য কর্তাদের সম্মোধন করতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার বলেন, এই জয় এক ঐতিহাসিক জয়। দেশবাসীর সার্বিক কল্যাণ সাধন সহ বিশ্ব দরবারে ভারতকে সর্বোচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সমগ্র ভারতবাসীর পক্ষ থেকে। তবে আমরা আশাবাদী ছিলাম আরো অধিক আসন পাব। যাই হোক তৃতীয়বার মোদীজির নেতৃত্বে দেশে বাজপা নেতৃত্বাধীন সরকার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এর জন্য তিনি সমগ্র খোয়াইবাসীকে হার্দিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি এখনো যারা বিভ্রান্ত হয়ে বিরোধী শিবিরে অবস্থান করছেন তারা ভাজপা দলে সামিল হয়ে দেশের সার্বিক বিকাশে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি। এদিকে শুক্রবার রামচন্দ্র ঘাট মণ্ডল কার্যালয়ের সম্মুখে আয়োজিত বিজয় সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা,মন্ডল সভাপতি সঞ্জীব দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৭ জুন।। সমারোপ কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের আসাম ক্ষেত্রের কার্যকর্তা বিকাশ বর্গ প্রথম ( সামান্য )। গত ১৯ মে আগরতলার পূর্ব চাম্পামুড়া স্থিত সেবাধামে এই বিকাশ বর্গ শুরু হয়। টানা একুশ দিন শারীরিক বৌদ্ধিক প্রশিক্ষণ শেষে শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয় সমারোপ কার্যক্রম। উত্তর পূর্ব ভারতের পাঁচটি প্রান্ত থেকে ১৫১ জন শিক্ষার্থী বিকাশ বর্গে অংশ নেন। ২৩ জন শিক্ষক, ৪১ জন প্রবন্ধক এই বর্গ পরিচালনা করেন। এরমধ্যে পাঁচ দিন সেবাধামে অবস্থান করে মার্গ দর্শন করেন সরসঙ্ঘচালক ড: মোহন ভাগবত। বর্গে একদিন মাতৃহস্তে ভোজন পর্ব অনুষ্ঠিত হয় । শুক্রবার সমারোপ কার্যক্রমের শুরুতে গৈরিক ধ্বজ উত্তোলন, ধ্বজ প্রণাম শেষে প্রার্থণা পর্বে অংশ নেন স্বয়ং সেবক সহ উপস্থিত নাগরিকরা। শিক্ষার্থীরা ব্যায়াম যোগ, ভারতীয় রচনায় ব্যান্ডের তালে সঞ্চালন, সমতা, নিযুদ্ধ, দন্ডযুদ্ধ ইত্যাদি প্রদর্শন করেন। অমৃতবচন, একক গীত, সামুহিক গীত পরিবেশন করেন স্বয়ং সেবকরা। বর্গ কার্যবহ সঞ্জয় দাস পরিচয় পর্ব সম্পন্ন করেন। মুখ্য বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সঙ্ঘের আসাম ক্ষেত্র প্রচারক বশিষ্ঠ বুজরবরুয়া। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রতন দেবনাথ এবং বর্গ সর্বাধিকারী প্রদীপ শাইকিয়া। মুখ্য বক্তা বশিষ্ঠ বুজরবরুয়া বলেন সংগঠিত সমাজ বৈভবশালী ভারত গড়ার সংকল্প নিয়ে নিরন্তর কাজ করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। জীবনে যে পেশাতে যুক্ত থাকিনা কেন সেবার ভাবনা নিয়ে সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে সবাইকে। ভারত বিশ্বগুরু ছিল। আবার ভারতবর্ষকে বিশ্বগুরুর আসনে দেখতে চাই আমরা। বৃষ্টিস্নাত বিকালে সমারোপ কার্যক্রম উপভোগ করতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নাগরিক এবং স্বয়ং সেবকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। বিরোধীদের প্রলোভনে কেউ পা দেয়নি। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিকাশ মুখী সরকার দেশের বংশের কল্যাণে আরো কাজ করবে। বুধবার বিজয় মিছিলে অংশ নিয়ে কথাগুলি বলেন প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন। বুধবার চড়িলামে বিজেপির বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন ছাড়াও মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ সহ বিজেপির কার্যকর্তারা গেরুয়া আবির মাখিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিজয় মিছিলটি চড়িলামের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। মঙ্গলবার অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গড়তে চলছে এনডিএ। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার আগামী পাঁচ বছর দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা অখন্ডতা রক্ষা এবং বৈভবশালী ভারত গড়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। তিনি বলেন বিকাশ মুখী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সবগুলি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ বিজেপির নেতৃত্বেদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার কুৎসা রটিয়েছিল । মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর উপর বিশ্বাস রেখেছে ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৬ জুন।। ইন্ডি জোটের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন বিপ্লব কুমার দেব। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের নবনির্বাচিত সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব দুই দিন ধরে কার্যকর্তাদের সঙ্গে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন । বৃহস্পতিবার চড়িলাম নলছড় বক্সনগর মন্তলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। নলছড়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক কিশোর বর্মন । বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিপ্লব কুমার দেব বলেন সিপিএম কংগ্রেস জোট মেনে নেয়নি রাজ্যের মানুষ। তাই সিপিএম কংগ্রেসের অনেক ভোটার বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। বিরোধী দলের লোকেরা ভোট না দিলে ৭৫ শতাংশ ভোট পাওয়া সম্ভব নয়। তাই এই ভোট ধরে রাখতে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পরামর্শ দেন তিনি। অন্যদিকে চড়িলামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সম্পাদিকা মৌসুমি দাস, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ প্রমুখ। নবনির্বাচিত সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন এ রাজ্যের মানুষের আশীর্বাদ আমার সঙ্গে রয়েছে। এই বিপুল জয়ের মূল কান্ডারী দেবতুল্য কার্যকর্তারা। কার্যকর্তারা দলের সম্পদ। সকলের কঠোর পরিশ্রমে রেকর্ড ভোট পেয়েছে বিজেপি। তাই আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এসেছি। আমি এই রাজ্যের কল্যাণে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাব। এছাড়া এদিন বক্সনগর মন্ডলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নবনির্বাচিত সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন, সংখ্যালঘু মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিল্লাল মিয়া, মন্ডল সভাপতি সুভাষ সাহা প্রমুখ। বিপ্লব কুমার দেব বলেন তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। কয়েকটি আসন কমেছে। কিন্তু সরকার গড়ছে বিজেপি। অথচ বিরোধীরা লাফালাফি করছে। বামফ্রন্ট মাত্র চারটি আসন পেয়েছে সারা দেশে। ২৮ টি দল মিলে ২৩০ টি আসন পেয়েছে। আর বিজেপি একা পেয়েছে ২৪২ টি আসন। এনডিএ সরকার টানা তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। এতে বিরোধীদের উল্লসিত হওয়ার কারণ নেই।