প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ভারতীয় জনতা পার্টি ঊনকোটি জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলা এবং মন্ডল নেতৃত্বদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় জেলা কার্যালয়ে।আজকের এই সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য,প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ভগবান দাস,মন্ত্রী সুধাংশু দাস,ঊনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,প্রদেশ সহ সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য এবং উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি পবিত্র চন্দ্র দেবনাথ।রাষ্ট্রগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি।প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে ঊনকোটি এবং উত্তর জেলায় আজ এই সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।উক্ত সংগঠনিক বৈঠকে ঊনকোটি জেলার পাঁচটি মন্ডলের মণ্ডল সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন মোর্চার জেলা ও মন্ডল সভাপতি,চারটি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান,পুর পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা কমিটির ৪৩ জন সদস্য এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। মূলত আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।দুপুর ১২টা থেকে ২টা অব্দি চলতে থাকা এই সাংগঠনিক বৈঠকে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে দলের সংগঠন কে আরো মজবুত করতে প্রদেশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল কার্যকর্তা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েন।আগামী ৪ঠা জুন দেশের অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে।তার পূর্বে এই সাংগঠনিক বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজনীতি
প্রতিনিধি , উদয়পুর : – মাতাবাড়ি বিধানসভা এলাকার ৩০ নং বুথের অন্তর্গত মাতাবাড়ি রেল স্টেশন থেকে মূল সড়ক পথ হয়ে দক্ষিণ মাতারবাড়ি মহাশ্মশান পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার করা এবং অন্য আরেকটি রাস্তা নতুনভাবে তৈরি করা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সাধারণ মানুষের। এবার গ্রামবাসীদের কথা মাথায় রেখে স্থানীয় বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বুধবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করেন দলীয় নেতৃত্বদের সাথে নিয়ে এবং গ্রামবাসীদের বিভিন্ন কথার উপর দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী দিনে নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে এলাকায় । এদিন দিনভর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ফিতা ফেলে মাপা হয় । সাথে কিভাবে রাস্তাটিকে আরও বেশি করে চওড়া করা যায় সেই বিষয়ে কথা বলেন গ্রামবাসীদের সাথে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক বলেন ,
বিধানসভার দক্ষিণ মাতাবাড়ি স্থিত ৩০-নং বুথের অন্তর্গত মাতাবাড়ি রেলস্টেশন মেইন রোড হইতে দক্ষিণ মাতাবাড়ি মহাশ্মশান পর্যন্ত রাস্তাকে সংস্কার করে পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করা তৎসঙ্গে দক্ষিণ মাতাবাড়ি স্থিত রঞ্জিত কুমার দাসের বাড়ি হইতে মাতাবাড়ি রেলস্টেশন রোড পর্যন্ত রাস্তাটিকে সংস্কার করে পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করার জন্য এই এলাকার জনগণের একটি দাবি ছিল। আর এই দাবি কে মান্যতা দিয়ে আজ সংশ্লিষ্ট রাস্তাগুলিকে আরডি দপ্তরের আধিকারিক এবং এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ সরজমিনে পরিদর্শন করা হয় । তৎসঙ্গে এলাকাবাসীকে আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে খুব কম সময়ের মধ্যে এই রাস্তাগুলি কাজ করে দেওয়া হবে। নতুন ভাবে রাস্তার সংস্কার হওয়ার বিষয়টি গ্রামবাসীরা জানতে পেরে খুবই খুশি হয়েছেন এই দিন ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ মঙ্গলবার দুপুরে কৈলাসহর মহকুমা শাসকের চেম্বারে মহকুমার প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।সর্বদলীয় এই বৈঠকে মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা কাজল দে,রথীন্দ্র ভট্টাচার্য,কংগ্রেস নেতা মো: বদরুজ্জামান, আশীষ সেনগুপ্ত, সি.পি.আই.এম নেতা বিশু দাস,নীলকান্ত সিনহা সহ অতিরিক্ত মহকুমা শাসক নব কুমার জমাতিয়া,ডেপুটি মাজিস্ট্রেট বিশ্বজিৎ দাস, সঞ্জীব দেববর্মা সহ আরও অন্যান্য আধিকারিকরা। আগামী ৪ঠা জুন আসন্ন লোকসভা ভোটের গননা হবে। কৈলাসহর মহকুমার অধীনে থাকা ৫৩-কৈলাসহর এবং ৫২-চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের গননা হবে আর.কে.আই স্কুলে।ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন মেনেই গননা কেন্দ্রের সমস্ত কাজ হবে।গননা কেন্দ্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তেরো জন কাউন্টিং এজেন্ট থাকবে এবং দুইজন অতিরিক্ত এজেন্ট বাইরে থাকবে।মূল তেরোজন কাউন্টিং এজেন্টের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে দুইজন অতিরিক্ত এজেন্টদের মধ্যে কেউ এসে কাজ সম্পন্ন করবে।তাছাড়া কাউন্টিং এজেন্টরা গননা কেন্দ্রে যাবার সময় নির্বাচন কমিশনের যে গাইড লাইন রয়েছে সেটা মেনেই প্রবেশ করতে হবে বলে জানান মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার।তাছাড়া আগামীকাল ঊনত্রিশ মে বুধবার ঊনকোটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলাশাসক অফিসে ঊনকোটি জেলা ভিত্তিক প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার জানান।
নিজস্ব প্রতিনিধি , সাব্রুম :- ২৩মে বৃহস্পতিবার রাতে হালকা বাতাসে ঝুলে পড়া বিদ্যুৎ পরিবাহী তারে প্রান গেল সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের ০৬-নং ওয়ার্ডের আনন্দ পাড়ার ৩২ বছরের যুবক পূর্ণেন্দু বিকাশ দত্ত ওরফে বিল্টু। আনন্দ পাড়ার বাসিন্দার শিবু রঞ্জন দত্তের একমাত্র ছেলে মৃত পূর্ণেন্দু বিকাশ দও ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরে ভেহিক্যালস ইনস্পেক্টর এবং টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পদে আগরতলা গুর্খাবস্তি রাজ্য সদর দপ্তরে কাজ করতো। বুদ্ধ পুর্নিমার ছুটিতে বাড়ি এসেছিল। রাতে সাব্রুম বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুৎকৃষ্ট হয়ে মারা যায়। আজ রাজ্যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী মৃত পূর্ণেন্দু বিকাশ দত্তের বাড়িতে যান এবং কথা বলেন মৃত পূর্ণেন্দু বিকাশ দত্ত এর পরিবারের সাথে, এছাড়াও সাথে ছিলেন সিপিআইএম দলের সাবরুম মহকুমা কমিটির অন্যান্য নেতৃত্বরা।
বিদ্যুতের সমস্যার সমাধানের জন্য অবশেষে ময়দানে নামলেন গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন
সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না যার ফলে দীর্ঘদিন যাবত গোটা কমলাসাগর বিধানসভা এলাকার জনগণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বারবার বিদ্যুৎ দপ্তরে জানানোর পরেও আজ পর্যন্ত কোন সূরাহা হয়নি। অথচ সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন বিদ্যুৎ শাটডাউন দিয়ে লাইনের কাজ মেরামতি করে যাচ্ছে কিন্তু তারপরেও এলাকায় বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অবশেষে মাঠে নামলেন মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ভারতীয় গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন বিশালগড় বিভাগীয় কমিটির অন্তর্গত কমলাসাগর অঞ্চল কমিটি। ঐ দিন কমলাসাগর বিধানসভার মধুপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে সিনিয়র ম্যানেজারের নিকট সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পাঁচদফা দাবির উপর ভিত্তি করে এক ডেপুটেশনে মিলিত হয়। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন বিশালগড় বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক হিরন্ময় নারায়ণ দেবনাথ, কমলাসাগর অঞ্চল কমিটির সম্পাদক রাজেশ দত্ত, অঞ্চল কমিটির সদস্য উত্তম দত্ত সহ TYF নেতা মধু দেববর্মা।ঐদিন সিনিয়র ম্যানেজারের নিকট নেতৃত্বরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরলে তিনি সকল সমস্যার যুক্তিযুক্তকতা স্বীকার করে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে সেই সমস্যা সমাধান করা হবে। এদিকে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো প্রায় 25 কিলোমিটার এরিয়া নিয়ে মধুপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিস রয়েছে কিন্তু মাত্র দুজন কর্মী দিয়ে কিভাবে কাজ করা হয় তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন নেতৃত্বরা। এদিকে নেতৃত্বরা তাদের পাঁচদফা দাবির উপর ডেপুটেশন মিলিত হয়ে অতি দ্রুত বিদ্যুতের সমস্যা দূর করার জন্য দাবী জানান নতুবা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসেন নেতৃত্বরা।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৬ মে।। বিশালগড় বিধানসভার ১৩ টি পঞ্চায়েত গত পাঁচ বছরে মানুষের স্বার্থে কাজ করেছে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। এই পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধিদের সম্মাননা প্রদান করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। মূলত আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশালগড় বিধানসভার ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয় সুনিশ্চিত করতে কার্যকর্তা সম্মেলন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেয়া হয় শুভেচ্ছা স্মারক। রবিবার সন্ধ্যা রাতে বিশালগড়ের সূর্য কিরণ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, মন্ডল সহসভাপতি জিতেন্দ্র চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক তপন দাস, জেলা সহসভাপতি অমল দেবনাথ, প্রবীণ কার্যকর্তা বরুণ কর্মকার, শিক্ষাবিদ গণেশ ভৌমিক প্রমুখ। মন্ডল, বুথ, স্তরের কার্যকর্তা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ভাষণে বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন কার্যকর্তারা দলের শক্তি এবং সম্পদ। আপনাদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে আমি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছি। আমি যেখানেই যাই আমার প্রাণ বিশালগড়ে পড়ে থাকে। বেশ কয়েকদিন ভিন রাজ্যে সাংগঠনিক কাজ করেছি। তখন বারবার শুধু আপনাদের কথা মনে পড়েছে। তাই রাজ্যে ফিরে এসেই আপনাদের সকলের সঙ্গে সাংগঠনিক আলোচনা মতবিনিময় এবং নৈশভোজ করার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ১৩ টি পঞ্চায়েতে একদিন করে প্রবাস করবেন বলে তিনি ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা থাকে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের। কোন অহংকার নয়, বরং মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। প্রবীণ নবীন সকল কার্যকর্তাদের নিয়ে শ্রেষ্ঠ বিশালগড় গড়ার কথা বলেন তিনি। শেষে যুব মোর্চার প্রদেশ সদস্য তথা বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাজেশ ঘোষের সংগীতানুষ্ঠান মাতিয়ে তুলে সভাগৃহ। সবশেষে মিলিত ভোজন পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি অখিল ভারতীয় হিন্দু মহিলা সংগঠন। রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির দক্ষিণ আসাম প্রান্তের ধর্মনগর বিভাগের( উত্তর ত্রিপুরা, ঊনকোটি ও ধলাই ত্রিপুরা) প্রাথমিক শিবির ১৮ই মে ধর্মনগরের রাজবাড়ী ,দ্বাদশতম বালিকা বিদ্যালয় শুরু হয়েছিল, উদঘাটনের ছিলেন দক্ষিণ আসাম প্রান্তে প্রান্ত কার্যবাহিকা স্নিগ্ধা দাস,এই বর্গের বর্গাধিকারী রুমা দাসও প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মনগর কলেজের প্রফেসর ডক্টর উমা নমশূদ্র। বর্গে পুরা সময় উপস্থিত ছিলেন , ধর্মনগর বিভাগের বিভাগ কার্যবাহিকা লতিকা দাস, ও উত্তর ত্রিপুরা জেলা কার্যবাহিকা মীনাক্ষী নাথ।
এই শিবিরে তিন জেলা থেকে কিশোরী তরুণী ও গৃহিণী মিলে ৭৮ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন, প্রবন্ধিকা শিক্ষিকা ও অধিকারী ও অতিথি মিলে মোট ১২০ জনের মতো মোট ১২০ জনের মতো শিবিরে উপস্থিত ছিলেন।
তাছাড়া শিবিরে উপস্থিত ছিলেন প্রান্ত অধিকারী প্রান্ত সহকার্য সহায়িকা সুচরিতা সোম দেব ও ক্ষেত্র সহ কার্যবাহিকা কৃষ্ণা ভট্টাচার্য ও প্রান্ত প্রচারিকা তথা অখিল ভারতীয় সহ-সেবা প্রমুক মাননীয়া সুপর্ণা দে মহোদয়া। উনারা আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে বৌদ্ধিক, চর্চা ও বৈঠক নিয়ে আমাদের মার্গ দর্শন করেছেন।
রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির উদ্দেশ্য তেজস্বী হিন্দু রাষ্ট্রের পুনঃনির্মাণ আর কাজের মাধ্যম হচ্ছে শাখা। শাখার মাধ্যমে আমাদের শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ হয়।
শাখা হলো চরিত্র নির্মাণের বিশ্ববিদ্যালয়।এই শিবিরে সেবিকাদের দিনশূচি সাড়ে চারটায় জাগরণ সিটি,৫:১৫ থেকে শুরু ,প্রাতস্মরন ,যোগাসন ও শাখা।সাখাতে গুরু ভগবা ধ্বজের সামনে আমরা ভারত মাতার উদ্দেশ্যেআমরা প্রার্থনা করি ও বিভিন্ন শারীরিক অভ্যাস করি গণ সমতা,শাখা লাগানো আচার পদ্ধতি,নিযুক্ত ,দন্ড ,য়েস্টি ও খেলা।
দুপুরে বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ভারতীয় সংস্কৃতি, হিন্দুত্ব,কুশল সংগঠক মৌসিজি,শাখা,সমিতি প্রার্থনা,ভগবা ধ্বজ, ও বিভিন্ন বিষয়ে বৌদ্ধিক ও চর্চা হয়।বর্গ গীত ও বিভিন্ন,দেশ ভক্তিমূলক গীত শেখানো হয়।সন্ধ্যা তে সায়ম স্মরণ, ভজন, কার্যশালা ও বন্দে মাতরম।।২৩ শে মে সকালে শিবিরের সমাপন হয়।। চারদিনব্যাপী চলে এই সম্মেলন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- গোমতী জেলা বিজেপি ওবিসি মোর্চার উদ্যোগে শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়, উদয়পুর ব্রম্মাবাড়ী বিজেপি দলীয় অফিসে । সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন , ওবিসি মোর্চার গোমতি জেলা সভাপতি বিপুল কর্মকার , ওবিসি মোর্চার প্রদেশের জেলা প্রভারী জগদীশ পাল ও বিজেপি অফিস সম্পাদক ত্রিদিব আচার্যি সহ প্রমূখ । সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃত্বরা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যেভাবে সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়েছেন অবৈধভাবে তা সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গের একনায়কতন্ত্র যেভাবে চালিয়েছে মমতা ব্যানার্জি তার এক প্রকার যবনিকা দিয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই ধরনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান গোমতী জেলা ওবিসি মোর্চার নেতৃত্ব। । পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জিকে তীব্র আক্রমণ শানান নেতৃত্ব । দেশের সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দারস্থ হবে ওবিসির সার্টিফিকেট বহাল থাকার জন্য। এনিয়ে বার্তা দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে তা খারিজ করে দেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন গোমতী জেলা ওবিসি নেতৃত্বরা ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- অভীচরণ বাজারে নির্মীয়মান দ্বিতল সুপার মার্কেটের নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে অনিয়মের অভিযোগ করেছিল স্থানীয়রা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার নির্মাণ স্থল পরিদর্শন করলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন সঠিক সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ করার।
অভিচরন বাজারের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান করতে নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিতল সুপার মার্কেট। ইতিমধ্যেই পিলার বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয়দের তরফে অভিযোগ উঠেছে নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট ব্যবহার করার। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করলেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতনলাল নাথ। নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে কথা বলে সঠিক সামগ্রী ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে বেশ কিছু সংযোজন করা হয়েছে এদিন। আগামী দিনে গুণগত মান নিয়ে কোন ধরনের ছিনিমিনি না খেলে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-উদয়পুর মহকুমা অধীন সিএনজি স্টেশন গুলোতে সিএনজি গ্যাসের জন্য প্রতিদিন অটো রিক্সার দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয় । এর ফলে ব্যবসায় বড় ক্ষতি দেখা দিয়েছে অটো শ্রমিকদের । একদিকে যেমন ব্যাংকের লোন পরিশোধ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আবার অন্যদিকে পরিবার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের । সিএনজি গ্যাসের এই ধরনের সমস্যার কথা জানতে পেরে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ গোমতী জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমার নিকট এক ডেপুটেশানে মিলিত হয় ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী ত্রিপুরা অটো রিক্সা মজদুর সংঘ ও ট্যাক্সি চালক সংঘের নেতৃত্বরা । এদিন পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের সাথে দেখা করেন । এদিনের ডেপুটেশানে অংশ নেন বিএমএসের জেলা সভাপতি গৌতম দাস, সহ-সভাপতি স্বপন মন্ডল , গোমতী ত্রিপুরা অটো রিক্সা মজদুর সংঘের সভাপতি মুকতুল হোসেন ,
সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার , ট্যাক্সিচালক সংঘের সভাপতি কৃষ্ণ বৈদ্য সহ প্রমূখ । এই ডেপুটেশানে দাবিগুলির মধ্যে প্রধান দাবি ছিল , অবিলম্বে খিলপাড়া স্থিত সিএনজি স্টেশন এবং গর্জি সিএনজি স্টেশন চালু করা , ব্রম্মাবাড়ী সিএনজি স্টেশনে ২৪ ঘন্টা দুইটি ডিসপেন্সার চালু রাখা , জামজুরি ও মাতাবাড়ি সিএনজি স্টেশান ২৪ ঘন্টা পরিসেবা চালু রাখা ও সিএনজি সরবরাহকারী গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি সাত দফা দাবি নিয়ে এদিন ডেপুটেশান দেওয়া হয় । ডেপুটেশান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নেতৃত্বরা জানান , গোমতী জেলা শাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা সাত দফা দাবি নিয়ে কথা বলেছেন এবং তিনি আশ্বস্ত করেছেন আগামী দিনে এই সকল সমস্যার সমাধান করার জন্য সিএনজি আধিকারিকদের সাথে কথা বলবেন। তাছাড়া প্রশাসনিকভাবে এক বৈঠক তিনি করবেন এই সমস্যা দূরীকরণের জন্য। এই বৈঠক শেষে এক সমাধান সূত্র বের হয়েছে বলে জানান ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলা নেতৃত্বরা ।