প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৮ জুন।। টানা তৃতীয়বার বিজেপির নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। বিকশিত ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলছে। বিজয়ের আনন্দে মেতেছে সারা দেশের বিজেপির কার্যকর্তারা। শনিবার গোলাঘাটি বিধানসভার বিজেপির কার্যকর্তারা বিজয় মিছিল করে । লোকসভা নির্বাচনে গোলাঘাটি বিধানসভায় ২৬৯৭৬ টি ভোট পেয়েছে বিজেপি। বিরোধী জোট পেয়েছে ৫৭৫৯ টি ভোট। দলের বিপুল জয়ে উল্লসিত নেতা কর্মীরা। শনিবার বিকালে এক বিজয় মিছিল এবং সভা অনুষ্ঠিত হয় গোলাঘাটি বিধানসভার শ্যামনগরে। সেখানকার গাঙঠাকুর বাজারে আয়োজিত মিছিলে অংশ নেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা সহ জেলা মন্ডল বুথ স্তরের কার্যকর্তারা। প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মার তত্ত্বাবধানে এই বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়। ব্যান্ডের তালে গেরুয়া আবির মাখিয়ে আনন্দ উল্লাস করেন জাতি জনজাতি কার্যকর্তারা। আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক বলেন বিজেপি একা যে আসন পেয়েছে তার ধারেকাছেও নেই বিরোধী জোট। প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা বলেন গোলাঘাটি বিধানসভার সকল কার্যকর্তা একজোট হয়ে কাজ করেছে লোকসভা নির্বাচনে। তাই ২১২২৭ ভোটে বিরোধী দলকে হারানো সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর বিশ্বাস রেখেছে গোলাঘাটির জাতি জনজাতি ভোটাররা।
রাজনীতি
রাজ্যের পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিজেপি প্রার্থীর বিপুল জয় এবং মোদীজির নেতৃত্বে দেশে পুনরায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পশ্চিম ত্রিপুরার বিভিন্ন বিধানসভা ভিত্তিক চলছে অভিনন্দন রেলি এবং বিজয় সমাবেশ। এর ব্যতিক্রম ঘটেনি খোয়াই মহাকুমাতেও। খোয়াই মহকুমার রামচন্দ্র ঘাট, খোয়াই এবং আশারাম বাড়ি তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে অভিনন্দন রেলি ও বিজয় উৎসব সম্পন্ন করে নিয়েছে দলের নেতৃত্ব এবং কার্য কর্তাগণ। শুক্রবার রামচন্দ্র ঘাট মণ্ডল কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক বিজয় উৎসব। দলের বিপুল জয়ে দলীয় কার্য কত্তাগণ গেরোয়া আবির মেখে, বাজি ফটকা পুড়িয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। এবছর দেশের অষ্টার্দশ লোকসভা নির্বাচন ছিল এক ঐতিহাসিক নির্বাচন। এই নির্বাচনে একদিকে বাজপা নেতৃত্বাধীন জোট, অপরদিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেশের সমস্ত বিরোধী দল ইন্ডিয়া জুট নামে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে দেশের শাসন ক্ষমতায় তৃতীয়বার বাজপা সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এই বিশাল জয়ের দৌলতে বৃহস্পতিবার সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে খোয়াই মন্ডলের উদ্যোগে এক ধন্যবাদ রেলি আয়োজিত হয় খোয়াই শহরে। রেলিটি বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা নাগাদ খোয়াই অফিসটিলা রোড স্থিত মন্ডল কার্যালয়ের সম্মুখ থেকে শুরু হয়ে সুভাষ পার্ক, নিপেন চৌমুহনী, বনকর, কবিগুরু পার্ক, পুরান বাজার, দুর্গানগর, লাল ছাড়া, জি এ বি চৌমুহনী এবং পুনরায় সুভাষ পার্ক হয়ে মন্ডল কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এদিন রেলির অগ্রভাগে ছিলেন খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার, বিজেপি খোয়াই জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস, খোয়াই পৌর পরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক তাপস কান্তি দাস, সম্পাদক প্রণব দেবনাথ এবং মন্ডলের সহ-সভাপতি প্রণব বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। এদিন রেলি উপলক্ষে বাজি ফটকা পুড়িয়ে,গেরুয়া আবিরে রঞ্জিত হয়ে, ঢাকের তালে নেচে নেচে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে দলীয় কার্যকর্তাগণ। রেলি শেষে মন্ডল কার্যালয়ের সামনে দলীয় কার্য কর্তাদের সম্মোধন করতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার বলেন, এই জয় এক ঐতিহাসিক জয়। দেশবাসীর সার্বিক কল্যাণ সাধন সহ বিশ্ব দরবারে ভারতকে সর্বোচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সমগ্র ভারতবাসীর পক্ষ থেকে। তবে আমরা আশাবাদী ছিলাম আরো অধিক আসন পাব। যাই হোক তৃতীয়বার মোদীজির নেতৃত্বে দেশে বাজপা নেতৃত্বাধীন সরকার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এর জন্য তিনি সমগ্র খোয়াইবাসীকে হার্দিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি এখনো যারা বিভ্রান্ত হয়ে বিরোধী শিবিরে অবস্থান করছেন তারা ভাজপা দলে সামিল হয়ে দেশের সার্বিক বিকাশে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি। এদিকে শুক্রবার রামচন্দ্র ঘাট মণ্ডল কার্যালয়ের সম্মুখে আয়োজিত বিজয় সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা,মন্ডল সভাপতি সঞ্জীব দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৭ জুন।। সমারোপ কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের আসাম ক্ষেত্রের কার্যকর্তা বিকাশ বর্গ প্রথম ( সামান্য )। গত ১৯ মে আগরতলার পূর্ব চাম্পামুড়া স্থিত সেবাধামে এই বিকাশ বর্গ শুরু হয়। টানা একুশ দিন শারীরিক বৌদ্ধিক প্রশিক্ষণ শেষে শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয় সমারোপ কার্যক্রম। উত্তর পূর্ব ভারতের পাঁচটি প্রান্ত থেকে ১৫১ জন শিক্ষার্থী বিকাশ বর্গে অংশ নেন। ২৩ জন শিক্ষক, ৪১ জন প্রবন্ধক এই বর্গ পরিচালনা করেন। এরমধ্যে পাঁচ দিন সেবাধামে অবস্থান করে মার্গ দর্শন করেন সরসঙ্ঘচালক ড: মোহন ভাগবত। বর্গে একদিন মাতৃহস্তে ভোজন পর্ব অনুষ্ঠিত হয় । শুক্রবার সমারোপ কার্যক্রমের শুরুতে গৈরিক ধ্বজ উত্তোলন, ধ্বজ প্রণাম শেষে প্রার্থণা পর্বে অংশ নেন স্বয়ং সেবক সহ উপস্থিত নাগরিকরা। শিক্ষার্থীরা ব্যায়াম যোগ, ভারতীয় রচনায় ব্যান্ডের তালে সঞ্চালন, সমতা, নিযুদ্ধ, দন্ডযুদ্ধ ইত্যাদি প্রদর্শন করেন। অমৃতবচন, একক গীত, সামুহিক গীত পরিবেশন করেন স্বয়ং সেবকরা। বর্গ কার্যবহ সঞ্জয় দাস পরিচয় পর্ব সম্পন্ন করেন। মুখ্য বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সঙ্ঘের আসাম ক্ষেত্র প্রচারক বশিষ্ঠ বুজরবরুয়া। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রতন দেবনাথ এবং বর্গ সর্বাধিকারী প্রদীপ শাইকিয়া। মুখ্য বক্তা বশিষ্ঠ বুজরবরুয়া বলেন সংগঠিত সমাজ বৈভবশালী ভারত গড়ার সংকল্প নিয়ে নিরন্তর কাজ করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। জীবনে যে পেশাতে যুক্ত থাকিনা কেন সেবার ভাবনা নিয়ে সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে সবাইকে। ভারত বিশ্বগুরু ছিল। আবার ভারতবর্ষকে বিশ্বগুরুর আসনে দেখতে চাই আমরা। বৃষ্টিস্নাত বিকালে সমারোপ কার্যক্রম উপভোগ করতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নাগরিক এবং স্বয়ং সেবকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। বিরোধীদের প্রলোভনে কেউ পা দেয়নি। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিকাশ মুখী সরকার দেশের বংশের কল্যাণে আরো কাজ করবে। বুধবার বিজয় মিছিলে অংশ নিয়ে কথাগুলি বলেন প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন। বুধবার চড়িলামে বিজেপির বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন ছাড়াও মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ সহ বিজেপির কার্যকর্তারা গেরুয়া আবির মাখিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিজয় মিছিলটি চড়িলামের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। মঙ্গলবার অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গড়তে চলছে এনডিএ। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার আগামী পাঁচ বছর দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা অখন্ডতা রক্ষা এবং বৈভবশালী ভারত গড়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। তিনি বলেন বিকাশ মুখী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সবগুলি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ বিজেপির নেতৃত্বেদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার কুৎসা রটিয়েছিল । মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর উপর বিশ্বাস রেখেছে ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৬ জুন।। ইন্ডি জোটের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন বিপ্লব কুমার দেব। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের নবনির্বাচিত সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব দুই দিন ধরে কার্যকর্তাদের সঙ্গে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন । বৃহস্পতিবার চড়িলাম নলছড় বক্সনগর মন্তলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। নলছড়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক কিশোর বর্মন । বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিপ্লব কুমার দেব বলেন সিপিএম কংগ্রেস জোট মেনে নেয়নি রাজ্যের মানুষ। তাই সিপিএম কংগ্রেসের অনেক ভোটার বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। বিরোধী দলের লোকেরা ভোট না দিলে ৭৫ শতাংশ ভোট পাওয়া সম্ভব নয়। তাই এই ভোট ধরে রাখতে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পরামর্শ দেন তিনি। অন্যদিকে চড়িলামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সম্পাদিকা মৌসুমি দাস, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ প্রমুখ। নবনির্বাচিত সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন এ রাজ্যের মানুষের আশীর্বাদ আমার সঙ্গে রয়েছে। এই বিপুল জয়ের মূল কান্ডারী দেবতুল্য কার্যকর্তারা। কার্যকর্তারা দলের সম্পদ। সকলের কঠোর পরিশ্রমে রেকর্ড ভোট পেয়েছে বিজেপি। তাই আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এসেছি। আমি এই রাজ্যের কল্যাণে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাব। এছাড়া এদিন বক্সনগর মন্ডলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নবনির্বাচিত সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন, সংখ্যালঘু মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিল্লাল মিয়া, মন্ডল সভাপতি সুভাষ সাহা প্রমুখ। বিপ্লব কুমার দেব বলেন তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। কয়েকটি আসন কমেছে। কিন্তু সরকার গড়ছে বিজেপি। অথচ বিরোধীরা লাফালাফি করছে। বামফ্রন্ট মাত্র চারটি আসন পেয়েছে সারা দেশে। ২৮ টি দল মিলে ২৩০ টি আসন পেয়েছে। আর বিজেপি একা পেয়েছে ২৪২ টি আসন। এনডিএ সরকার টানা তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। এতে বিরোধীদের উল্লসিত হওয়ার কারণ নেই।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- তৃতীয়বারের জন্য ফের কেন্দ্রের ক্ষমতায় বসতে চলেছে এনডিএ জোট সরকার । আগামী ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি । গোটা দেশের সাথে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে লক্ষ লক্ষ ভোটে জয়লাভ করে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। এই জয়ের আনন্দে দলীয় কর্মীরা মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মহারানী এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিজয় মিছিল বের করে
এদিন ৩নং শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে ছয়ঘরিয়া বাজারে এই বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয় । মিছিলে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায় অংশ নেন। এছাড়া ছিলেন জেলা বিজেপি ও সংখ্যালঘু মোর্চার নেতৃত্বরা । এই মিছিলের মধ্য থেকে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় কর্মীদের উদ্দেশ্য বার্তা দেন , ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করার ফলে এবার মাতারবাড়ি বিধানসভা থেকে বিপ্লব কুমার দেব কে বেশি ভোটে জয়ী করানো গিয়েছে । একমাত্র সম্ভব হয়েছে দলীয়কর্মী নেতৃত্বদের এক জোটে কাজ করার ফলে । আগামী দিনও এই ধরনের উন্নয়নের কাজ জারি রাখতে হবে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে। তিনি আরো বলেন , এলাকার যে সকল সমস্যা গুলি এখনও রয়েছে সেসব সমস্যাগুলি আগামী বিধানসভা আসার আগেই সব সমস্যার সমাধান করা হবে । সেই সাথে এলাকার উন্নয়ন আরো বেশি করে কিভাবে করা যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে শক্তি কেন্দ্র গুলিকে । গেরুয়া আবিরে এদিনের বিজয় মিছিল রঙিন হয়ে ওঠে । সব মিলিয়ে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে বিজেপির দলীয় কর্মী সমর্থকরা ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- মঙ্গলবার সকাল থেকে গোটা দেশের সাথে ত্রিপুরার দুইটি লোকসভা কেন্দ্রে শুরু হয় ভোট গণনা। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ৩১ রাধা কিশোরপুর, ৩২ মাতাবাড়ি, ৩০ বাগমা ও ৩৩ কাকরাবন বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা করা হয় উদয়পুর রমেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে । ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই করা নিরাপত্তা বলয়ে মোড়ে দেওয়া হয়। বন্ধ করা হয় উদয়পুর – আগরতলা প্রধান জাতীয় সড়কটি । শাসক দল বিজেপি একটি অস্থায়ী পার্টি অফিস ক্যাম্প তৈরি করে সোনামুড়া চৌহমুনী এলাকায়। গোটা দেশ এবং রাজ্যের সমস্ত তথ্য ও খবর দেখার জন্য দলীয় কর্মীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিজেপির গোমতী জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় , বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, জিতেন্দ্র মজুমদার , পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার সহ জেলা ও মন্ডল স্তরের বিভিন্ন নেতৃত্বরা । এদিন ভোট গণনা শেষে বিজেপি জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় বলেন , আর কেপুর বিধানসভায় কুড়ি হাজার ভোট , বাগমা বিধানসভায় সাড়ে ২১ হাজার ভোট বিধানসভায় ২৪ হাজার ভোট , মাতাবাড়ি বিধানসভায় ২৬ হাজার ভোট ও পূর্ব ত্রিপুরা আসনের অমরপুর বিধানসভায় সতের হাজার ভোট এবং অম্পি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৬ হাজার ভোটে লিড দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি । সর্বমোট গোমতী জেলা থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজারের উপর ভোট লিড দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি । এই কেন্দ্রে প্রথম দিক থেকেই পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব এগিয়ে ছিলেন। এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন , পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের গোমতী ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতার পার্টির কর্মীরা সত্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করার ফলে ভালো একটি ফলাফল হয়েছে গোমতী জেলার প্রতিটি বিধানসভায়। বিপ্লব কুমার দেব ভালো ফলাফলের জয়ী হওয়ার ফলে অভিনন্দন জানান অর্থমন্ত্রী। আগামী দিনে এই লোকসভা কেন্দ্রে আরো বেশি করে উন্নয়নের কাজ হবে এবং ভারতীয় জনতা পার্টি আগামী দিনে আরো বৃহত্তর স্তরে কাজ করবে সাধারণ মানুষের জন্য । এদিন গণনা শেষে সোনামুড়া চৌহমুনীতে বিজেপি কর্মীরা বাজি পটকা ফুটিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের কুৎসার জবাব দিতে ময়দানে নেমেছে যুব মোর্চা। অপপ্রচারের প্রতিবাদে সারা রাজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশালগড়ে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করে যুব মোর্চা। শনিবার বিকালে বিশালগড় স্থিত ড: শ্যামাপ্রসাদ মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে অংশ নেন বিধায়ক তথা যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি সুশান্ত দেব। এছাড়া ছিলেন যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি অনুরাগ চক্রবর্তী, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তপন দাস সহ যুব মোর্চার কার্যকর্তারা। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে অফিসটিলায় গিয়ে মিছিলের সমাপ্তি ঘটে। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন বেশ কয়েকদিন ধরে অপপ্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বামপন্থী যুব সংগঠন। ওরা কাজ খাদ্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তিনি বলেন এ-সব নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। রক্তপাত হীন শান্তিপূর্ন নির্বাচন করে দেখিয়েছে বিজেপি । সিপিএমের জামানায় ভোটের সময় খুন সন্ত্রাস হয়েছে। মানুষের রক্ত ঝড়েছে। সরকার প্রতিটি পরিবারকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। অথচ খাদ্য নেই বলে প্রচার করছে। সিপিএম জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আগামী চার জুন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে মিথ্যাচারে ভর করে রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকার চেষ্টা করছে সিপিএম। তিনি বলেন আসলে এখন সিপিএমের নেতাদের কোন কাজ নেই। চাঁদাবাজি করতে পারছেনা। তাই মিথ্যাচার করে বাজার গরম করতে চাইছে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে যুব মোর্চা। গণতান্ত্রিক উপায়ে সারা রাজ্যে প্রতিবাদ হবে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। দক্ষিণ জেলার সাবরুম ও জুলাইবাড়ি মন্ডলে কিষান মোর্চার সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয় প্রথম সভাটি হয় সাবরুম মন্ডল অফিসে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রদেশ সহ-সভাপতি শ্রী তাপস ভট্টাচার্য মহাশয় কিষান মোর্চা প্রদেশ সভাপতি শ্রী প্রদীপ বরণ রায় বিজেপি দক্ষিণ জেলা সভাপতি শ্রী শঙ্কর রায়, বিজেপি কিষান মোর্চা দক্ষিণ জেলা সভাপতি শ্রী সত্যব্রত সাহা বিজেপি সাবরুম মন্ডল সভাপতি জিতেন ত্রিপুরা প্রমূখ সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবরুম মণ্ডল কিষান মোর্চা সভাপতি রঞ্জিত মজুমদার মহাশয়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ কিষান মোর্চার সভাপতি শ্রী প্রদীপ বরণ রায় উপস্থিত মন্ডল সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন প্রতি বুথে কৃষক ভাই-বোনদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং কিষান সম্মান নিধি কিষান ক্রেডিট কার্ড ফসল বীমা যোজনা ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা যেসব কৃষক লাভ করে থাকেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। কিছু স্বৈরাচারী ব্যক্তি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে কালিমা লিপ্ত করতে চাইছে এদের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। দ্বিতীয় সভাটি হয় জুলাই বাড়ি মন্ডল অফিসে সেখানে উপস্থিত ছিলেন জুলাই বাড়ি কিষান মোর্চা মন্ডল কমিটির নব নিযুক্ত সভাপতি শ্রী জয়দেব দত্ত বিজেপি মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং প্রদেশ বিজেপি সদস্য শম্ভু মানিক সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ বিজেপি কিষান মোর্চা সভাপতি সংগঠন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন এবং স্বৈরাচারী ও মিথ্যাচারীদের বিরুদ্ধে সংগঠনকে আরো মজবুত করতে আহ্বান রাখেন। দুটি সভাতেই প্রধান অতিথির ভাষণে প্রদেশ বিজেপি সহ-সভাপতি শ্রী তাপস ভট্টাচার্য মহাশয় সাংগঠনিক নিয়ম শৃঙ্খলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি বলেন কিষান মোর্চার সদস্যদের গ্রামের কৃষকের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং সরকারের প্রত্যেকটি কাজকর্ম মানুষের নিকট তুলে ধরতে হবে জনগণের সাথে নিবিড় সম্পর্ক একটি সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে সুশাসন প্রদানের সাহায্য করে। সভা গুলিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজেপি দক্ষিণ জেলা সভাপতি শ্রী শঙ্কর রায় বিজেপি দক্ষিণ জেলা কৃষাণ মোর্চা সভাপতি শ্রী সত্যব্রত সাহা প্রমূখ।
স্বর্ণ যুগের পাপের ফল ভোগ করছে এখন রাজ্যের জনতা –প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। শুক্রবার জেলা কার্যালয়ে বিকাল 3 ঘটিকায় বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য আসেন এবং উত্তর জেলার সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হন। তিনি জানান লোকসভা নির্বাচনের একেবারে শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ এক জুন যে শেষ পর্যায়ে লোকসভার ভোট হতে যাচ্ছে তার প্রাক্কালে তিনি জেলা মন্ডল এর কার্যকর্তাদের সাথে এক বিশেষ বৈঠকে মিলিত হন। কারণ লোকসভা নির্বাচনের পর ই এই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। লোকসভার গণনার চার জুন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন কেমন করে করবে তা নিয়ে জেলা মণ্ডল এবং অফিস বেয়ারারদের নিয়ে এক বিশেষ বৈঠক সম্পন্নের কাজে প্রদেশ সভাপতি এসেছেন। উনার সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সহ-সভাপতি এবং উত্তর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবাহী তাপস ভট্টাচার্য, কুমারঘাট বিধানসভার কেন্দ্রের বিধায়ক ভগবান দাস, ওবিসি মোর্চার প্রদেশ সভাপতি মলিনা দেবনাথ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ দাস, উত্তর জেলার সভাপতি কাজল দাস প্রমূখ। তিনি জানান চার জুন আমরা সবাই মোদির তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আনন্দে হোলি খেলব এবং আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন কেমন করে হবে তা নিয়ে জেলা মণ্ডল ও অফিস বেয়ারার দের নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সম্পন্ন হবে। রাজ্যের বিরোধী দলগুলি একটা স্লোগান তুলেছে যে রাজ্যে খাদ্য নেই জল নেই সবকিছুর অভাব রয়েছে। তাকে ভারতীয় জনতা পার্টি ধিক্কার জানায়। কিছুদিন আগে রাজ্যস্তরে এক ধিক্কার সম্মতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। আগামী কাল অর্থাৎ পহেলা জুন রাজ্যজুড়ে যুব মোর্চা আবার রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল সংঘটিত করবে। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় রাজ্যের গরিব অংশের মানুষদের ফ্রি রেশন দেওয়া হচ্ছে। রেশম শপের মাধ্যমে ডাল আটা সরিষার তেল চা পাতা মসলা প্রভৃতি দেওয়া হচ্ছে। ২৫ বছর সিপিআইএম শাসনকালে রাজ্যে যে স্বর্ণযুগের কথা বলা হয়েছে এখন এই স্বর্ণযুগের পাপের ঠেলায় এই রাজ্যের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সকলের সমবেত প্রয়াসে কেমন করে বৈতরণ ী নির্ভীকতা নিয়ে পার হওয়া যায় তাই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সম্পন্ন হবে। সকলের সমবেত প্রয়াসে এবং কার্যকরতাদের সক্রিয় করতে এই বৈঠক এর আয়োজন করা হয়েছে।