প্রতিনিধি , উদয়পুর :- টিআর কে এস মাধ্যমে রাজ্যের কর্মচারীদের ভবিষৎ সুরক্ষিত রাখার লক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় । উদয়পুর রাজর্ষি কলা ক্ষেত্রের ২নং হল ঘরে । ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘ, ত্রিপুরা প্রদেশের পদাধিকারীকের উপস্থিতিতে টিআরকে এস গোমতী জেলার উদ্যোগে হয় এই আলোচনা সভা। জেলার শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে সাংগঠনিক আলোচনা সভা হয়। এদিনের সাংগঠনিক সভাতে সংগঠনকে সুদৃঢ় ও সুসংগঠিত করা নিয়ে আলোচনা হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন TRKS টিআরকেএস ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি আশীষ কান্তি ঘোষ, ৩ জন সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, ট্রেজারার ও অফিস সম্পাদক সমেত বিএমএস গোমতী জেলার প্রভারী হেলেন দেববর্মা। এছাড়া ছিলেন সংগঠনের সভাপতি গৌতম দাস, টি আর কে এস গোমতী জেলার সম্পাদক বিপ্লব বিজয় দে। আগামী দিনে সংগঠনের নানান কর্ম সূচি নিয়ে আলোচনা হয় এদিনের সভায়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পেনশনার সংঘ গোমতী জেলার সাধারণ সম্পাদক রানা প্রতাপ রায় এবং উপস্থিত ছিলেন অখিল ভারতীয় পেনশনার সংঘের সহ-সভাপতি রঞ্জিৎ দে ।
রাজনীতি
সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা দুষ্কৃতিকারীদের , উদয়পুরে চাঞ্চল্য
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- উদয়পুরে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা। হিন্দু বাড়ির সামনে গো মাতার কাটা মুন্ডু রেখে দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈদের পরের দিন উদয়পুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। সংবাদে জানা যায় , হিন্দু বাড়ির সামনে রাস্তায় গোমস্তক রাখাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে রাধাকিশোর পুর থানাধীন রাজারবাগ সুকান্ত পল্লী এলাকা। মঙ্গলবার উদয়পুর রাজারবাগ সুকান্ত পল্লী তারন পাড়া এলাকা বাসিন্দা শ্যামল তারণের বাড়ির সামনে ভোর ৪.৩০ নাগাদ গো মস্তক দেখতে পায়। ঘটনা সম্পর্কে শ্যামল তারন জানান , দীর্ঘ সময় ধরে রাজারবাগ সুকান্ত পল্লী তারণ পাড়া এলাকায় হিন্দু মুসলিমের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে কোন একটি চক্র এই শান্ত এলাকায় ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিবাদে সৃষ্টি করার চেষ্টা কেন চালাচ্ছে ? তা বুঝতে পারছেন না এলাকার হিন্দু লোকজনরা। কিন্তু কি কারণে হিন্দু বাড়ির গোমস্তক রাখা হয়েছে তা কোনভাবেই ভেবে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা। যদিও ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আর কেপুর থানার পুলিশ কর্মীরা এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ভারতীয় জনতা পার্টি দলের আর কেপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস । কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে । এলাকায় যেন শান্তি সম্প্রীতি বজায় থাকে তারও আহ্বান রাখেন এদিন তিনি। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি রেখেছেন যে দুষ্কৃতিকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য তাদের যেন অতিসত্বর শনাক্ত করে কঠোরতম শাস্তি প্রদান করা হয়। বলা যায় মঙ্গলবার সাত সকালে এই ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকালে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের পারদ জ্বলছে।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- জল নিকাশি ব্যবস্থা উদয়পুরের পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বেহাল রূপ ধারণ করে । অতি ভারী বৃষ্টির ফলে প্রতিবছর জলের নীচে তলিয়ে যেতে হয় উদয়পুরের বিভিন্ন পৌর এলাকাগুলি । এই বছরের আষাঢ়ের বর্ষায় যেন মহাদেব বাড়ির সংলগ্ন এলাকার রাস্তা জল না জমে তার জন্য এর সমাধান বের করতে ময়দানে নামেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। প্রতিবছর বর্ষায় পৌর এলাকায় মহদের বাড়ি সংলগ্ন এলাকার রাস্তা অপরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থার কল্যাণে জলমগ্ন হয়ে থাকে। স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রশস্ত নানা নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শনে বের হন অর্থমন্ত্রী। সাথে ছিলেন পৌর চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ । কিভাবে জল নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক রাখা যায় এই বর্ষার সময় । তার বিকল্প সমস্যা সমাধান বের করতে নির্দেশ দেন পৌর চেয়ারম্যান কে। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় বর্ষা ঢুকতে শুরু করেছে । উদয়পুরে প্রতি সপ্তায় তিন থেকে চার দিন বৃষ্টি অনবরত দিন অথবা রাতে শুরু হয়ে যায় আর তাতে করে জল নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক না থাকার ফলে সমস্যায় পড়ে মানুষ। তাই এর থেকে রেহাই দিতে উদ্যোগ নেন অর্থমন্ত্রী । সঠিক জল নিকাশি ব্যবস্থা কবে নাগাদ করা হয় সেদিকে তাকিয়ে এলাকাবাসীরা ।
মাত্র ৫৭ বছর বয়সে ব্যর্থ হলেন বিজেপি দলের রাজ্য কমিটির সদস্য পান্না শর্মা।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। শুক্রবার সবাইকে কাঁদিয়ে চিরতরে বিদায় নিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য পান্না শর্মা। মাত্র ৫৭ বছর বয়স হয়েছে এবং কয়েকদিন ধরে কিডনি জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ করে 2018 রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রচুর সংগ্রাম করেছিলেন কেমন করে রাজ্যে বিজেপি সরকারকে প্রতিষ্ঠা করা যায় তাই নিয়ে। যুবরাজ নগরের বিধায়ক যাদব লাল নাথ ওনার মৃত্যুতে মর্মাহত। দীর্ঘদিন একসাথে পার্টি র কাজ করে গেছেন এবং একই বিধানসভা এলাকার মানুষ হওয়ায় একে অপরের প্রতি সহানুভূতিতে ছিল ভরপুর। উত্তর জেলা সভাধিপতি ভবতোষ দাস ছিলেন পান্না শর্মা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মানুষ। উত্তর জেলা বিজেপি দলের সভাপতি কাজল দাস পান্না শর্মা মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না। ওনার স্ত্রী টিংকু শর্মা কালা চড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান পদে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত। এক পুত্র এবং এক কন্যার জনক ছিলেন এই বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। একসাথে অনেক সংগ্রাম এবং আন্দোলনের জন্য পার্টি সদস্যরা তাকে ভুলে যেতে পারছে না। আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিন ঘটিকায় তার মৃতদেহ জেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পার্টি সদস্যরা দল বেঁধে তাকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। ১৪ এবং ১৫ জুন ধর্মনগরের সার্কিট হাউসে মহিলা কমিশনের কাউন্সিলিং শুরু হয়েছে। এই কাউন্সেলিং এ উপস্থিত রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন ঝরনা দেববর্মা, রাজ্য মহিলা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মধুমিতা চৌধুরী, মহিলা কমিশন বোর্ডের সদস্য রত্না দেবনাথ কর, নমিতা দেববর্মা এবং অনিতা দাস সহ বিভিন্ন পর্যায়ের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সকাল 11 টা থেকে কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা সেখানে কাউন্সিলিং শুরু হয় সকাল সাড়ে ১১ টায়। বেলা দুইটা পর্যন্ত সাত আটটি কাউন্সিলিং হয়ে গেছে এবং বাইরে আরো পাঁচটি কেস রয়েছে। বিকাল চারটা পর্যন্ত এই কাউন্সিলিং অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল অর্থাৎ ১৫ জুন পনেরো বিশটি কাউন্সেলিং এর কেস রয়েছে। মানুষ দলে দলে এই কাউন্সিলিং এর অনুষ্ঠানে যোগদান করছে। ঝরনা দেববর্মা জানান ত্রিপুরা রাজ্যের আনাচে-কানাচে মহিলাদের অনেক সমস্যা রয়েছে এগুলি নিরসনে মহিলা কমিশন এগিয়ে এসেছে। শুধুমাত্র রাজ্যে আগরতলাতে একটি অফিস রয়েছে মহিলা কমিশনের এই অফিসের মাধ্যমে সারা রাজ্যের কাউন্সিলিং করা সম্ভব নয়। তাই কয়েকদিন আগে দক্ষিণ জেলাতে কাউন্সিলিংয়ের অনুষ্ঠান হয়ে গেছে এখন চলছে উত্তর জেলাতে। তিনি মহিলা কমিশনের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর দেখতে পেয়েছেন রাজ্যে অনেক মহিলা রয়েছে যাদের সমস্যা সমাধানের জন্য মহিলা কমিশনের একান্ত দরকার। এই ভাবনা থেকে মানুষের বিশেষ করে মহিলাদের সমস্যা নিরসনে এই ভাবে রাজ্যের আনাচে-কানাচে কাউন্সেলিং চলছে। আগামীকাল উত্তর জেলার পানিসাগর মহকুমায় একটি সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হবে এবং রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন হওয়ার সুবাদে তিনি সেখানে যোগদান করবেন। সে অনুষ্ঠানে 400 থেকে 5 00 মহিলাকে এবং ছাত্রীদের আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মহিলা সংক্রান্তকে যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে কাউন্সিলিংই পারে তাদের সমস্যা সমাধান করতে। তাছাড়া নেশা বিরোধী অভিযানে মহিলাদের যোগদান বিশেষ অগ্রাধিকার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং আগামীকালকের পানি সাগরের অনুষ্ঠানে নেশা বিরোধী অভিযান নিয়ম আলোচনা করা হবে।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- ২০২৩ সালের বিধানসভার নির্বাচনী ভোট প্রচারে বের হয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা সামনে উঠে আসে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়ের কাছে । তেমনি উদয়পুর পৌর পরিষদের ২১ নং ওয়ার্ডের সোনামুড়া এলাকার করোনা বাজার থেকে ক্যানেল পর্যন্ত ইট সলিং রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে রয়েছে। এই বিষয়ে এলাকাবাসীরা মন্ত্রীর কাছে দাবী করেন এলাকার রাস্তাটিকে যেন পাকা করে দেওয়া হয়। সেই সাথে পার্শ্ববর্তী জল নিকাশি ব্যবস্থার ড্রেনটি কংক্রিটের করে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীরা দাবি তুলে। তখন অর্থমন্ত্রী এলাকা বাসীদের কে আশ্বস্ত করেন সরকার ক্ষমতায় ফিরে আসলে এই সকল সমস্যাগুলি মিটিয়ে দেওয়া হবে । সেইমতো পূর্ত দপ্তর রাস্তা এবং ড্রেনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই নিয়েছে । আজ মন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয় কাউন্সিলার মান্নান মিঞা সরকার সহ দলীয় নেতৃত্বরা প্রস্তাবিত রাস্তাটি পরিদর্শন করার এবং দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে অতিসত্বর কাজ শুরু করার জন্য উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন। যারা গিয়েছে আগামী কিছুদিনের মধ্যে এই এলাকার রাস্তাটি নতুন ভাবে তৈরি করা হবে । অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় যেভাবে মানুষের সমস্যা সমাধানে নিজ থেকে এগিয়ে এসে কথা রেখে চলেছেন তাতে করে আগামীদিনে এই রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি নতুন ভাবে আরো সাজিয়ে উঠবে বলে মনে করছে উদয়পুরের রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১২ জুন।। বিশালগড়ের নির্মাণ এবং অসংগঠিত শ্রমিকদের সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। শ্রমিকদের সমস্যা গুলো জানতে বুধবার সকালে বিশালগড় ব্রীজ চৌমুহনীতে শ্রমিকদের সাথে চায়ের আড্ডায় সামিল হন বিধায়ক। দিনের কাজে যোগ দেয়ার আগে বিধায়কের সাথে ঘন্টা খানেকের চায়ের আড্ডায় সামিল হন শতাধিক শ্রমিক। চায়ের কাপে চুমু দিতে দিতে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন শ্রমিকরা। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন আজকে আপনাদের সমস্যা শুনে তার সমাধানের পথ খুঁজতে এখানে এসেছি। ইতিমধ্যে শ্রমিকদের অফিস ঘরের ব্যবস্থা করেছেন বিধায়ক। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ক্যাম্প করে শ্রমিক কার্ড প্রদানের আশ্বাস দেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এছাড়া ভিন রাজ্য কিংবা অন্য জেলা থেকে আসা ঠিকেদারি সংস্থার সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন বলে জানান বিধায়ক। শ্রমিকদের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখতে পরামর্শ দেন তিনি। সবশেষে শ্রমিকদের গলায় গামছা পড়িয়ে সম্মানিত করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১১ জুন ।। ক্ষমতার অধিকারী মানুষ । মানুষের জন্যই ক্ষমতা। মানুষের জন্য কাজ করতে দরকার পরামর্শ এবং সহযোগিতা। মানুষের আশীর্বাদ এবং সহযোগিতা থাকলে সরকারি প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে বদলে যেতে পারে গ্রাম থেকে শহর। সকলের পক্ষে নেতা মন্ত্রী বিধায়কের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়না। তা সময়ের অভাব বা অন্য কোন কারণে। কিন্তু বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব কাজ করতে চায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। মানুষের আশীর্বাদ পরামর্শে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একের পর এক অভিনব কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে বিশালগড়ের তরুণ বিধায়ক সুশান্ত দেব। মানুষের আরও কাছে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রতি পাড়ায় সুশান্ত কার্যক্রম চলছে বিশালগড়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে বিশালগড়ের ৫৬ নং বুথ নদীলাগ এলাকার প্রবীণ নাগরিক আশু পালের বাড়িতে বসে প্রতি পাড়ায় সুশান্ত কার্যক্রম। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। ছিলেন গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা। সেখানে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল না। ছিল মতবিনিময়। গ্রামের নানা সমস্যার কথা শুনেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এলাকাটিতে মূলত কৃষিজীবী শ্রমজীবীদের বসবাস। কৃষি ক্ষেত্রে সামগ্রিক বিকাশের মাধ্যমে গ্রামের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ রচনায় প্রবীণদের পরামর্শ লিপিবদ্ধ করেছে বিধায়ক সুশান্ত দেব। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন সকলের পরামর্শ নিয়েই তিনি বিশালগড়ের সামগ্রিক বিকাশ করতে চান। তিনি বলেন একসময় এখানে বিজেপির কার্যকর্তা ছিল না। কিন্তু আপনারা কথা রেখেছেন। এই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথে ৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে বিশালগড় বিধানসভায় চল্লিশ হাজার ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। এরমধ্যে ৩৩৮০০ ভোট পায় বিজেপি। এই বিধানসভার হিন্দু মুসলমান সবাই নরেন্দ্র মোদির পক্ষে ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন আর কিছু দিন পর পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত গঠন করতে হবে। তাহলেই ডাবল ইঞ্জিন সরকারের জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিকাশের স্রোতপ্রবাহে মিশে আরও এগিয়ে যাবে এই গ্রাম।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-সদ্য সমাপ্ত দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন এক গুরুত্বপূর্ণ জনাদেশ দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন যা ইতিহাসের পাতায় একটি স্বর্ণখছিত অধ্যায়।দেশের ২৮ টি রাজনৈতিক দল একজোট হয় লড়াই করেও এনডিএ জুটকে হারাতে পারেনি।বরঞ্চ ২৮টি রাজনৈতিক দল সব মিলিয়ে যে সংখ্যা পেয়েছে তার থেকে একক ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির সংখ্যা অনেক বেশি।বিজেপি দলের নেতৃত্বে এনডিএ জোটের অষ্টাদশ লোকসভা ভোটে বিপুল জয় এবং পর পর তৃতীয় বারের মতো মোদিজীর নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রীসভাকে অভিনন্দন জানিয়ে ১০ই জুন সোমবার সন্ধ্যায় কৈলাসহরের রাজপথে ধন্যবাদ র্যালী করেছে ত্রিপুরা রাস্ট্রীয় কর্মচারী সংঘ অর্থাৎ টি.আর.কে.এস কৈলাসহর মহকুমা কমিটি এবং বি.এম.এস মহকুমা কমিটি। ধন্যবাদ র্যালীটি কৈলাসহরের ঊনকোটি কলাক্ষেত্র প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে শহরের পিডব্লিউডি রোড,সেন্ট্রাল রোড,নেতাজী কর্নার,গার্লস স্কুল রোড থেকে থানা রোড হয়ে পুনরায় একই রাজপথ পরিক্রমা করে শহরের পুরাতন মোটরস্ট্যান্ডে এসে দলীয় এক সভায় মিলিত হয়।মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কর্মচারী সংগঠনের সুপরিচিত শিক্ষক তথা কর্মচারী নেতা পার্থ সারথী দত্ত,কর্মচারী নেতা বিপ্লব সরকার,গোপাল মল্লিক,প্রসেনজিত সিনহা, উত্তম সিনহা সহ আরও অন্যান্য রাস্ট্রবাদী নেতৃত্বরা। পুরাতন মোটরস্ট্যান্ডে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্থ সারথী দত্ত বলেন যে, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের পূর্বে দেশের জাতীয়তাবাদী নামধারী কংগ্রেস দলের বড় মিঞা আর উত্তর প্রদেশের ছোটো মিঞা আর পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত পিশি ভাইপোরা অনেক রাস্ট্র বিরোধী কাজ করেও নরেন্দ্র মোদীর সরকারের জয় আটকাতে পারেন নি।ওদের লজ্জা থাকা উচিত।মোদি ওদের মুখে জামা ঘষে দিয়ে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন বলেও পার্থ বাবু দাবী করেন। তাছাড়াও পার্থ সারথী দত্ত বলেন যে,লোকসভা ভোটে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি দল এগিয়ে থাকলেও শুধুমাত্র ৫৩-কৈলাসহর কেন্দ্র বিগত ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে দশ হাজার ভোটের ব্যবধান ছিল।সেই ব্যবধান আড়াই হাজারে এসেছে।আগামী দিনে বিজেপি দলের প্রার্থীদের জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করেন নেতৃত্বরা।তবে কিছুদিন বাদেই অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বর্তমানে লোকসভা নির্বাচনে কৈলাসহরে ফলাফল যা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল কতটা মাইলেজ নিতে পারবে তা সময়ই জবাব দেবে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ভারতীয় জনতা পার্টি ৩১ আরকেপুর মন্ডলের ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি – এনডিআই জোটের বিপুল জয়কে কেন্দ্র করে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয় রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় উদয়পুর শহরে। এদিন প্রথমে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত হয় জামতলা টাউন হলের সামনে । পরে মোদি প্লে কার্ড সামনে নিয়ে মহিলা শক্তিকে এগিয়ে দিয়ে বিজয় মিছিলে মেতে ওঠে । বিজয় মিছিলে দলীয় গান বাজিয়ে কর্মীরা গোটা রাস্তা ধরে উল্লাসে মেতে ওঠে । তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি । এই জয়ের আনন্দে নিজেদেরকে সামিল করার জন্য ৩১ রাধাকিশোরপুর মন্ডলের বিজেপি কর্মীরা ঢাকঢোল নিয়ে বিজয় মিছিলে সারা জাগিয়ে উদয়পুর শহর কাঁপিয়ে তোলে । বিজয় মিছিলে অংশ নেন ৩১ রাধা কিশোরপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস, পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার, বিজেপির রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য সমীর চক্রবর্তী সহ প্রমূখ । এদিনের মিছিলে পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাঁটো ।