প্রতিনিধি, উদয়পুর :- কাঁকড়াবন- উদয়পুর সড়কে সেতুর উপর যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে গোমতী জেলা প্রশাসন । শনিবার থেকে বন্ধ করা হয়েছে এক নির্দেশিকার মধ্য দিয়ে । কেন কাকরাবন সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে ? এই নিয়ে সরজমিনে খোঁজ নেয় আমাদের প্রতিনিধি । জানা যায় , সোনামুড়া সীমান্তপুরের সাথে বাণিজ্যিক কাজকর্ম শুরু হবে আগামী দিনে। এর ফলে পণ্যবাহী লরি কাকরাবন সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করবে । পাশাপাশি কাকরাবন সড়কটিকে আরো বড় আকারে তৈরি করা হবে। কিন্তু কাকরাবন সেতুটির ক্ষমতা কতটুকু রয়েছে বিশাল আকার পন্যবাহী লরির ওজন ধারণ করতে পারবে কিনা এই বিষয়ে সন্দেহ দানা বাদে ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে । ২০০৪ সালে এই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল । তারপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে কুড়িটি বছর । সেতুটি দৈর্ঘ্যে রয়েছে ১২৭ ফুট ও পাশে রয়েছে সাত দশমিক ৫০ ফুট । বর্তমানে এই সেতুর ক্ষমতা কতটুকু রয়েছে তা দেখার জন্য জেলা প্রশাসন এক নির্দেশিকা জারি করে। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল । আগামী একশো কুড়ি ঘন্টা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। শনিবার সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয়েছে সেতুর পরীক্ষার কাজ । ইতিমধ্যেই সেতুর ২ পাশে বালির বস্তা ও পুলিশের বেরিগেইট দিয়ে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে । যদি সেতুটি সম্পূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যায় তাহলে বিকল্প কোন আর সেতু তৈরি হবে না বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে যদি পরীক্ষায় কোন ধরনের ভালো রিপোর্ট না আসে তাহলে আরো একটি সেতু নির্মাণ করা হতে পারে তার পাশে এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে । কাঁকড়াবনে সেতুর উপর যান চলাচল বন্ধ রাখার ফলে সমস্যায় পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা । বর্তমানে আগামী পাঁচ দিন দূরপাল্লার যাত্রীরা অন্য সড়ক ধরে উদয়পুর এবং সোনামুড়া ও মেলাঘরে যেতে হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করে জানানো হয়েছে । প্রতিদিন নানারকম ভাবে সেতুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানা যায় ইঞ্জিনিয়ারদের সূত্রে। সেতু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে কোন ধরনের যাতে সমস্যা সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশের নাকা পয়েন্ট বসানো হয়েছে কাকরাবন সেতুর পাশে ।
দেশ
কেন্দ্রীয় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মারঘেরিতা। এদিন সহায়ক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা সভায়
খোয়াই জেলাশাসক কার্যালয়ে পর্যালোচনা বৈঠক শেষ করে তোলাশিখর ব্লকে স সহায়ক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা অংশগ্রহণ করলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মারঘেরিতা। এদিন সহায়ক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলা শাসক চাঁদনী চন্দ্রন, খোয়াই জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। পরবর্তীতে তুলা শিখরে টি আর এল এম পরিচালিত মহিলাদের দ্বারা তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী দেখে মুগ্ধ কেন্দ্রীয় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী। এদিন তিনি ঘুরে দেখেন বিভিন্ন মহিলাদের দ্বারা তৈরি করার সামগ্রী গুলি। এর মধ্যে রয়েছে পাচরা, রিসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী। এরপর তুলাশিখরে বিভিন্ন কর্মসূচি শেষ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হাতে হাত রেখে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখে কাজ করে চলেছে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি জি এবং রাজ্যে মানিক সাহার নেতৃত্বে ত্রিপুরা আরো অনেক দূরে এগিয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
- প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। রেললাইনে কাটা পড়ে প্রাণ হারায় এক যুবক। যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সকালে বিশালগড় থানার অন্তর্গত মধ্য ব্রজপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আগরতলা সাব্রুম রেল পথে । আগরতলা থেকে সাব্রুম গামি ট্রেনের চাকার নিচে কাটা পড়ে দেহ দু টুকরো হয়ে যায় যুবকের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। বৃহস্পতিবার প্রাতঃ ভ্রমণে বেরিয়ে রেললাইনে দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় কয়েকজন। মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশ এবং বিশালগড় থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে রেল পুলিশ এবং বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় । পুলিশ প্রশাসন এবং রেলওয়ে পুলিশ মৃতদেহটি রেল রাস্তা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। যুবকটির পরিচয় জানা যায়নি। মৃতদেহটি ৭২ ঘন্টা সংরক্ষণ করে রাখা হবে। ৭২ ঘন্টা পর সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসারে পুলিশ প্রশাসন মৃতদেহটি তাদের নিজস্ব উদ্যোগে সৎকার করবে বলে জানিয়েছে বিশালগড় থানার পুলিশ এবং রেলওয়ে পুলিশ এবং মহকুমা প্রশাসন।
- প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৮ অক্টোবর।। দুর্গোৎসবের দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জাগ্রত থাকবে হাজারো পুলিশ টিএসআর বাহিনী। মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে উৎসবের দিনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপার বি জে রেড্ডি। পুলিশ সুপারের কনফারেন্স হলে পুলিশ সুপার বি জে রেড্ডি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধর। জেলা পুলিশ সুপার জানান এবছর সিপাহীজলা জেলায় ৩৫৩টি পূজা হচ্ছে। গতবারের তুলনায় একটি পূজা বেড়েছে। এরমধ্যে ৩০১ টি পূজা হচ্ছে গ্রামীন এলাকায়। বড় বাজেটের পূজা হচ্ছে বিশালগড় এবং মেলাঘরে। এ দুটি শহরে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও থাকে বেশি। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ১০০০ এর ও বেশি পুলিশ টিএসআর অফিসার জাগ্রত থাকবে। এরমধ্যে মহিলা পুরুষ মিলিয়ে ৫৬৮ জন টিএসআর মোতায়েন থাকবে। ৪৫ টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র থাকবে। ১২ টি ওয়াচ টাওয়ার, ৩২ টি সিসিটিভি থাকবে। তিনি জানান পূজা আয়োজকদের সঙ্গে দফাই দফায় বৈঠক হয়েছে। মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক রাতে বলা হয়েছে আয়োজকদের। এছাড়া উৎসবের দিনগুলিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা সঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় যানবাহন চালালে চালককে গ্রেফতার করা হবে গাড়ি এবং বাইক বাজেয়াপ্ত করা হবে। দূর্গা পূজার পরে এসব গাড়ি এবং বাইক ছাড়া হবে। দুর্গোৎসবের দিনগুলিতে কোথাও কোন সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়ার আহ্বান জানান জেলা পুলিশ সুপার।
- প্রতিনিধি কৈলাসহর:-স্বচ্ছতার অঙ্গীকারে অঙ্গীকারবদ্ধ কৈলাসহর পুর পরিষদের স্বচ্ছতার কর্মসূচি এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে স্বচ্ছতা হি সেবা কর্মসূচিতে।১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে ২রা অক্টোবর অব্দি স্বচ্ছতা হি সেবা সপ্তাহ কর্মসূচিতে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে কৈলাসহর পুর পরিষদের স্বচ্ছ ভারত মিশন 2.O এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।যে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতার কর্মসূচিতে যারা অংশগ্রহণ করেছেন পুর পরিষদের সকল কাউন্সিলর সহ ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৬০ জনকে সম্মানিত করা হয় এবং তার পাশাপাশি কৈলাসহর প্রেসক্লাব সহ ১২টি সংস্থাকে সংবর্ধিত করা হয়েছে।প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জেলাশাসক ও সমাহর্তা দিলীপ কুমার চাকমা।ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৈলাসহর পুর পরিষদের চ্যায়ারপার্সন চপলা দেবরায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিইও বিশ্বজিৎ দাস, জেলা পরিষদের সদস্য শ্যামল দাস,এসবিএম এক্সপার্ট সৌরভ দাস এবং আইনজীবী সন্দীপ দেবরায় সহ অন্যান্যরা।স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুর পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার বলেন সমস্ত সামাজিক সংগঠন এবং সাংবাদিকদের যৌথ অংশগ্রহণে এই কর্মসূচির জোরালো প্রচার এবং তার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।তার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন সকলকে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডিকে চাকমা বলেন, ঊনকোটি জেলার মধ্যে কুমারঘাট,কৈলাশহর এবং ফটিকরায় স্বচ্ছতার কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাজারকে যেভাবে স্বচ্ছ রেখেছেন সেইভাবে পেচারথল কেও স্বচ্ছ রাখতে সেখানকার সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে।তিনি তার বক্তব্যে সাংবাদিকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন কেননা স্বচ্ছতা হি সেবা এই কর্মসূচিকে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি করেছেন সাংবাদিকরাই। তিনি বলেন ঊনকোটি জেলার মধ্যে ১০০টি এলাকাকে হটস্পট চিহ্নিত করে ১৫ দিনের চলমান এই কর্মসূচিতে সেই জায়গা গুলোকে চিহ্নিত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ করা হয়েছে।সবশেষে সভাপতির ভাষনে পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায় বলেন এই শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং এই কর্মসূচিতে আগামী দিনেও সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান রাখেন তিনি।সবশেষে সেদিনের এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কাউন্সিলর সিকিম সিনহা জানান আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের বুকে সবচাইতে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে কৈলাসহরকে তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কৈলাসহর পুর পরিষদ।ঐ দিন সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাতা বাড়িতে ত্রিপুরা সুন্দরী ফেস্টিভ্যাল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিনিধি, উদয়পুর : দেবী পক্ষের শুভ সূচনায় শক্তিপীঠ ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির পরিসরে আয়োজিত ত্রিপুরা সুন্দরী ফেস্টিভ্যাল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা । এদিন সন্ধ্যা রাতে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে মাতার বাড়িতে পৌঁছে মায়ের কাছে সোজা চলে যান পূজা-অর্চনা করার জন্য । পুজো অর্চনা শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মন্দির পরিক্রমা করেন । মন্দিরে পূজার্চনা শেষ করে ত্রিপুরা সুন্দরী ফেস্টিভ্যাল মঞ্চে গিয়ে উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার । স্বাগত ভাষণ রাখেন গোমতি জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা। পরে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের শুরু হয়েছে ত্রিপুরাসুন্দরী ফেস্টিভ্যাল উৎসব । রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর সুচিন্তা ধারায় এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান মাতারবাড়িতে শুরু হয়েছে । সাথে মাতাবাড়ির বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায়ের সাহায্য তার পেছনে রয়েছে । এখন বর্তমানে সরকারিভাবে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর থেকে গোটা অনুষ্ঠানটি করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন বাইরে থেকে প্রায় শতাধিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন । ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এবং সেই সাথে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ থেকে বহু পুণ্যার্থী আসেন মাতা বাড়িতে পুজো দেওয়ার জন্য । পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে মাতার বাড়ির দেশের কাছে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে । সনাতন ঐতিহ্যকে ধরে রাখার যে আয়োজন তা খুবই প্রশংসার যোগ্য । ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী সাথে কথা হয়েছে এবং প্রসাদ প্রকল্পে যে কাজ চলছে তা যেন খুব তাড়াতাড়ি করা যায় তার চেষ্টা চলছে। সারা ভারতবর্ষের মধ্যে মাতারবাড়ি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে এবং তাকে কেন্দ্র করে তার আশেপাশে গড়ে উঠবে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তার সাথে জড়িয়ে থাকবে বিভিন্ন জীবন জীবিকা। কিন্তু এদিন ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে স্বল্প করে অনুষ্ঠান শেষ করতে হয়। মহালয়া কে কেন্দ্র করে গোটা মাতারবাড়িকে আলোকমালা এবং নানা বাহারি ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , রামপদ জমাতিয়া ও গোমতী জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায় , জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার সহ প্রমূখ ।বুধবার সন্ধ্যা রাতে মাতা বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার ।
রক্তদানের ,খেলাধুলা, বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে নবম বাহিন প্রতিষ্ঠাদিবস পালন।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি: অন্যান্যবছরেরন্যায় এইবছরও একগুচ্ছ সামাজিক কর্মসূচী হাতেনিয়ে শান্তির বাজার মহকুমার সাঁচীরামবাড়ী এলাকায় অবস্থিত নবমবাহিনী টি এস আর ক্যাম্পের হেডকোয়াটারে অনুষ্ঠীত করাহয় ২৩ তম প্রতিষ্ঠাদিবস। আজকের এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিহিসাবে উপস্থিতছিলেন ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ শ্রী অভিতাভ রঞ্জন। প্রধান অতিথির পাশাপাশি উপস্থিতছিলেন এডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ শ্রী জি এস রাও, ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ শ্রী চেরিভ মারাক, এসিডেন্ট ইনেস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ শ্রী আর ডারলং,দক্ষিনজেলার পুলিশ সুপার শ্রী অশোক কুমার সিনহা, নবম বাহিনী টি এস আর এর কমানডেন্ট শ্রী অলোক ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দরা প্রথমে নবম বাহিনী টি এস আর জোওয়ানদের দ্বারা আয়োজিত রক্তদান শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানে রক্তদানে জোওয়ানদের রক্তদানে উৎসাহিত করেন ডি জি এবং উপস্থিত অতিথিরা । রক্তদান শিবির থেকে টি এস আর জোওয়ানদের দ্বারা দেওয়া বিভিন্ন ষ্টল পরিদর্শন করেন । পরবর্তীসময় ফটো ষ্টল পরিদর্শনকরেন ডি জি। ফটো ষ্টলের মধ্যে নবম বাহিনী টি আর জোওয়ানদের বিভিন্ন কর্মসূচী প্রদর্শন করাহয়। আজকের অনুষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজনদের হাতে পূজো উপলক্ষ্যে পরিধানের বস্ত্র প্রদানের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ব্যাক প্রদান করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা । সেখানথেকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রীত অতিথিবৃন্দরা টি এস আর জোওয়ানদেরদ্বারা আয়োজিত বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকরে। অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতেগিয়ে প্রধান অতিথি ত্রিপুরা রাজ্যের টি এস আর জোওয়ানদের বিভিন্ন কর্মসূচীর কথা জনসন্মুখে তুলেধরেন। এইবছর বন্যায় লোকজনদের সাহাযার্থে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে টি এস আর জোওয়ানরা। নবম বাহিনী টি এস আর জোওয়ানদেরমধ্যে নায়েবসুবেদার পিন্টু দাস বন্যাচলাকালিন লোকজনদের উদ্ধার কাজে উনার টিম নিয়ে নিষ্ঠারসহিত কাজকরেগেছেন। জানা যায় প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ৭৭ জন জোয়ান স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। নবম বাহিনী কমান্ডেন জানান প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আগামী দিনও এই ধরনের সামাজিক কর্মসূচি জারি থাকবে নবম বাহিনীর উদ্যোগে। টি এস আর নবম বাহিনীর এর উদ্দ্যেেগে আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনদেরমধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্যকরাযায়।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:- সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আজ কৈলাসহর কলাক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে জেলা ভিত্তিক অনুষ্ঠান।প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা রানী দেবরায়। সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের সদস্য শ্যামল দাস।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অর্ঘ্য সাহা, জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার,মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর শীর্ষেন্দু চাকমা,রাষ্ট্রবাদী পেনশনার এসোসিয়েশনের কনভেনার মিনেশ্বর সিনহা ও আইনজীবী জয়দীপ দত্ত এবং চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য জোতির্ময় পাল সহ অন্যান্যরা।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ শিক্ষা দপ্তরের জেলা পরিদর্শক বিদ্যাসাগর দেববর্মা।এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঊনকোটি জেলার বিশেষ চারজন ব্যাক্তি যাদের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রয়েছে তাদেরকে মানপত্র এবং পাঁচ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়ে সংবর্ধিত করেন অতিথিরা।এরমধ্যে কুমারঘাটের ৯০ উর্ধো প্রবীণ মনীন্দ্র শীল,সত্তরোর্ধ্ব প্রবীনা মালাশ্রী সিনহা,সৃজনকলা ক্ষেত্রে হিমাংশু শর্মা এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সামাজিক কাজের জন্য রনধীর সেনকে সন্মানিত করা হয়।উল্লেখ্য যে,১৯৯০ সালের ১৪ই ডিসেম্বর প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘে।সেই সিদ্ধান্তে মান্যতা দিয়ে পরবর্তীতে ১লা অক্টোবর ১৯৯১ সাল থেকে প্রবীণদের প্রতি সন্মান জানিয়ে গোটা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে এই দিনটি।বক্তব্য রাখতে গিয়ে সকলেই আজকের দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং পরিবারের বয়স্কদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি তাদের সেবা যত্ন করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-মহিলা ক্ষমতায়ন মহিলাদের স্বশক্তিকরন এবং নারীদের নিরাপত্তা,নারীর সম্মান ও নারী স্বনির্ভরতা বিষয়কে সামনে রেখে ‘মিশন শক্তি’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩০শে সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা থেকে কৈলাসহর সার্কিট হাউসে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের সদস্য শ্যামল দাস।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান চপলা দেবরায়,জেলা শাসক ও সমাহর্তা দিলীপ কুমার চাকমা,অতিরিক্ত জেলাশাসক অর্ঘ্য সাহা এবং এল ডার্লং,সিডব্লুসি চ্যায়ারম্যান রেবা দাস,জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার এবং ডিস্ট্রিক্ট ফেমিলি ওয়েলফেয়ার অফিসার ডাঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ এবং এসিডিআর উৎপলেন্দু দেবনাথ সহ অন্যান্যরা।স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ শিক্ষা দপ্তরের জেলা পরিদর্শক বিদ্যাসাগর দেববর্মা।অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে একটি বইয়ের উন্মোচন করা হয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় যে সমস্ত দিব্যাঙ্গজন ছাত্র-ছাত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও পড়াশোনা করার যে অদম্য ইচ্ছা তার প্রতি সম্মান জানিয়ে দপ্তরের তরফ থেকে তাদের শংসাপত্র এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।এরপর ডিস্ট্রিক্ট হাব ফর এম্পাওয়ারমেন্ট অফ ওমেন এবং ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রটেকশন ইউনিটের তরফে দুটো শর্ট ভিডিও প্রকাশ করা হয়।যার মধ্য দিয়ে সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন ইউনিটের উদ্যোগে শিশু সুরক্ষা এবং শিশুশ্রম প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি তুলে ধরা হয়।মূলত গার্হস্থ হিংসা,যৌতুক, বাল্যবিবাহ,অনৈতিক পাচার, যৌন হয়রানি,নারী ও শিশু অধিকার এবং নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়কে নিয়েই মিশন শক্তি প্রকল্প মিশন মোডে কাজ করে চলেছে গোটা রাজ্যে।তার-ই অঙ্গ হিসাবে আজ ঊনকোটি জেলার জেলা সদরে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তর ও শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেন বাল্যবিবাহ এই জেলার মানুষের কাছে একটি সামাজিক থ্রেড।রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে এই জেলায় বাল্যবিবাহ এবং টিনেজ প্রেগনেন্সির সংখ্যা প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড় করাচ্ছে।এই সংখ্যাটি ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে জাতীয় স্তরে লজ্জিত হতে হচ্ছে সকলকেই।সে কারণে সকল দপ্তর সমন্বিত হয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রচার এবং প্রসারে জোর দিতে হবে এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ডে সামাজিক ক্ষেত্রে যে বা যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে মন্ত্রী শ্রী রায় বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কোন গর্ভবতী মা প্রথম বাচ্চা প্রসব করার পর পাঁচ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় বাচ্চা প্রসবের পর এককালীন ৬ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে ২০১৯ থেকে চলতি বছর অব্দি ২১ হাজার গর্ভবতী মহিলাদের এই সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হলেও সে ক্ষেত্রে প্রায় ছয় হাজার গর্ভবতী মহিলাদের এই সুযোগ প্রদান করা সম্ভব হয়নি টিনেজ প্রেগনেন্সির জন্য।তিনি বলেন প্রতিটি স্কুলের ছাত্রীদের কক্ষগুলোতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কিছু সচেতনতামূলক বার্তা ক্লাসরুমে পোস্টারিং করার জন্য এবং বিভিন্ন ওয়াটসএপ গ্রুপ তৈরি করে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।যাতে করে কোন ছাত্রী যদি ৫-৬ দিন ধরে স্কুলে না আসে সেক্ষেত্রে স্কুল কমিটি এবং অন্যান্য ভাবে তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর করা এবং নেতিবাচক কোনো বিষয় সামনে আসলে অভিভাবকদের সাথে কথা বলে তাদেরকে কাউন্সিলিং করার পরামর্শ দেন তিনি। সেক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা অনেকটাই সম্ভব বলে আশাবাদী মন্ত্রী। মহিলা ক্ষমতায়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার পরিবর্তনের পর মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নের বিষয়টি মাথায় রেখেই টিআরএলএম প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি স্ব-সহায়ক দল গঠন করা হয়েছে যার মধ্য দিয়ে ১২শো কোটি টাকা শুধুমাত্র মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নের জন্য ব্যয় করেছে সরকার।আজকের এই সেমিনারের মধ্য দিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন দপ্তর একত্রিত ভাবে প্রচারে অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
মাতৃ বন্দনার প্রতীক্ষায় রয়েছে মর্তোবাসী।শরতের এই আনন্দমুখর উদযাপনে রাত পোহালেই ঢাকে কাঠি পড়বে সোনালী উৎসবের।আর কয়েক ঘন্টা পরেই পিতৃপক্ষের অবসানে মাতৃপক্ষের শুভ সূচনা হবে।রাজ্যের পাহাড় থেকে সমতল প্রতিটি ক্লাব,সার্বজনীন পূজা কমিটি,বারোয়ারি পূজা কমিটি,প্রত্যেকেই শারদ বরণে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলছেন।এ রাজ্যের বিশেষ কয়েকটি দুর্গাপূজার মধ্যে গত বছর থেকেই স্থান করে নিয়েছে ঊনকোটি জেলার চন্ডিপুর বিধানসভার শ্রীরামপুর সংহতি সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি।২০১৮ সাল থেকে এই দুর্গাপূজার সূচনা হলেও ২০২৩ সালে চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্র বাম মুক্ত করে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিধায়ক তথা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়ের আন্তরিক উদ্যোগে গত বছর থেকে এই পূজার উৎকর্ষতা এবং উচ্চতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।এবছর পূজার থিম ইতালির রাজপ্রাসাদে ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া। এবারকার মাতৃ মন্দিরও এখানকার মাটি ও মানুষের মূল শিল্প ধারার সঙ্গে সাজুজ্য রেখেই পরিকল্পিত হয়েছে।থার্মোকল দ্ধারা নির্মিত এই পূজা প্যান্ডেলে ভারতীয় ঐতিহ্য এবং দেব দেবীর প্রতিকৃতি সহ আমাদের কৃষ্টি এবং পরম্পরার সংমিশ্রণে নির্মিত হবে অনুপম মাতৃ মন্ডপ।সুউচ্চ এই প্যান্ডেল নির্মাণের চূড়ান্ত পর্বের কাজ চলছে।এবারকার দুর্গা পূজার সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে জানতে গিয়ে পূজা কমিটির সম্পাদক বাবলু দেব এবং অফিস সম্পাদক উত্তম করের সাথে কথা বললে তারা জানান,এবছর পূজার বাজেট ৫০ লক্ষ টাকা।এই কারু কল্পনা এবং বিস্ময়-নির্মানে নবদ্বীপের কোমল সাধকের প্রশংসিত ইতিহাস প্রতিফলিত হবে এই অনুপম মাতৃ মন্দিরে এবং মৃৎ শিল্পী সত্যেন পাল নবদ্বীপের চারুকৃতিতে গড়া ওই দশভুজা-মূর্তি-এই জনপ্লাবন, এই আনন্দ উচ্ছ্বাস,এই নন্দিত কাল খন্ডের বুকে দাঁড়িয়ে ঋদ্ধ করবে দর্শনার্থীদের।সমস্ত প্রাঙ্গন জুড়ে আলোকমালার এই অবাক-বিচ্ছুরনে রয়েছে রাজধানীর শিল্পী তপন দাসের ছোঁয়া।পঞ্চমী তিথিতে এই মাতৃ মন্ডপের আনুষ্ঠানিক সূচনা পর্বে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা।ঐ অনুষ্ঠানেই চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি গ্রামীণ এলাকা থেকে ৫০টি করে প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি বস্ত্র বিতরণ করা হবে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে শ্রীরামপুরে নবনির্মিত তিনটি বেকার স্টল বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।শ্রীরামপুর সংহতি সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি সপ্তম বর্ষের এই আয়োজন অবিভক্ত উত্তর জেলার মধ্যে সবচাইতে বড় বাজেটের পুজো উপহার দিতে চলেছে তা হলফ করেই বলা যায়।যেখানে শুধুমাত্র সুদৃশ্য মাতৃ মণ্ডপ তৈরির জন্য ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।পূজার প্রতিটি দিন অন্ন ব্যঞ্জনের ব্যবস্থা রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য।এছাড়া প্রতি সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পী এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীদের নিয়ে মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যা থেকেই শুরু হবে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবারকার দুর্গাপূজার সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন জেলা পরিষদ সদস্য বিমল কর এবং কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন শম্পা পাল দাস। এখানে উল্লেখ্য যে,গত বছর শ্রীরামপুর সংহতি সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি ৩৫ লক্ষ টাকা বাজেটের দুর্গাপুজোর আয়োজনে চন্দ্র মহল থিম উপহার দিয়েছিল দর্শনার্থীদের।যা রাজ্যের কয়েকটি পূজার মধ্যে নজরকাড়া ছিল।এবছরও ইতালির রাজপ্রাসাদে ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া শীর্ষক ভাবনায় যে পূজা প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে তা দেখার জন্যে এখন থেকেই উৎসব প্রেমী মানুষদের উৎসাহ শুরু হয়ে গেছে বলে জানান পূজা কমিটির সদস্যরা।