প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১২ জুন।। মানব পাচার সিপাহীজলা জেলার অন্যতম জ্বলন্ত ইস্যু। গত কয়েকবছর ধরে নানা প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও সমস্যা নিরসন হচ্ছে না। এবার জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন এই জলন্ত সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে। বুধবার শিশু পাচার প্রতিরোধ বিষয়ক একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার বিশ্রামগঞ্জ স্থিত সিপাহীজলা জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে জাতীয় এবং রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের উদ্যোগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে সিপাহীজলা জেলা প্রশাসন। আলোচনা করতে গিয়ে ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান জয়ন্তী দেববর্মা এবং জাতীয় কমিশনের চেয়ারম্যান সোনাক্ষী রাধিয়া শিশু পাচারের মূল কারণ গুলো তুলে ধরেন। শিশুদের দেহের বিভিন্ন অর্গানগুলো মানব পাচারকারীরা বেশি মূল্যে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দেয়। এছাড়া ও ত্রিপুরা রাজ্য আন্তর্জাতিক সীমানা পরিবেষ্টিত। যার ফলে বাংলাদেশ থেকেও কাজের জন্য অনেক অভিভাবক অভিভাবিকারা তাদের সন্তানদের নিয়ে দেশের সীমানা অতিক্রম করে চলে আসে ভারতবর্ষে। অনেক সময় এই সমস্ত অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের ঠিকভাবে দেখাশোনা করতে পারে না। যার ফলে তারা মানব পাচারকারী চক্রের হাতে পড়ে যায়। এছাড়াও দারিদ্রতা এর অন্যতম কারণ । যেকোনো মূল্যে শিশু পাচার প্রতিরোধ করতে হবে। এরজন্য প্রশাসনিক সকল দপ্তরের সমন্বয় প্রয়োজন। জয়ন্তি দেববর্মা এবং সোনাক্ষী রাধিয়া ছাড়াও কর্মশালায় আলোচনা করেন সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সুব্রত মজুমদার, সিপাহীজলা জেলার সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা আধিকারিক উত্তম দাস এবং বিশালগড় মহকুমা প্রশাসনের ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাস এবং সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধর বিভিন্ন থানার ওসি এবং বিএসএফ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ১২ জুন:- বুধবার গন্ডাছড়া মহকুমার তৈচাকমা ভিলেজের লস্কর পাড়ায় বাঁধ ভেঙ্গে এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম ঈশান চাকমা (৮) বাবা নিরময় চাকমা, বাড়ি তৈ- চাকমা ভিলেজের লস্কর পাড়া। ঘটনার বিবরণে জানা যায় এদিন সকাল থেকে মৃতের বাবা নিরময় চাকমা বাড়ির পাশে জেসিবি দিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে একটি পুকুরের বাঁধ দেওয়ার কাজ করছিলেন। সকাল আনুমানিক ৯ টা নাগাদ ঈশান তার বাবাকে ভাত খাওয়ার জন্য বাঁধের পাড়ে ডাকতে গেলে কোন একটা সময় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সে প্রায় ৩০ ফুট বাঁধের উপর থেকে মাটি ধ্বসে নিচে পড়ে যায়। পরবর্তী সময় জেসিবির ড্রাইভার মাটি সরাতে গেলে জেসিবির বাঘেডের মধ্যে মাটির সাথে শিশুর দেহ ভেসে ওঠে। তখন ড্রাইভারের সাথে থাকা তার বাবা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে এসে দেখে বাঘেডের মধ্যে উনার বড় ছেলে ঈশানের মৃতদেহ। বাঁধের পাড়ে বাবার চিৎকার শুনে আশপাশ এলাকার লোকজনরা ছুটে আসে। কতক্ষণে শিশুটির আর প্রান বেঁচে নেই। উল্লেখ্য ঈশান চাকমা তৈ-চাকমা গিরিশচন্দ্র কারবারি পাড়া হাই স্কুলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাবা নিরময় চাকমা একজন জমিয়া। তার দুই ছেলে। এর মধ্যে বড় ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
শান্তির বাজার প্রতিনিধি : ঘটনার বিবরনে জানাযায় জোলাইবাড়ী ব্লকের অধীনে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়ার প্রচেষ্টায় কোয়াইফাং এডিসি ভিলেজের শ্রীকান্তবাড়ী ধনতিফা পাড়ায় এলাকাবাসীর যাতায়তের সুবিধার্থে ইট সলিং রাস্তা নির্মানকরাহয়। কিন্তু দেখাযায় রাস্তা নির্মানের দায়িত্বেথাকা জোলাইবাড়ী ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার বিমল দাস কোনোপ্রকার পরিকল্পনা ছারা অর্থ নয় ছয় করার জন্য সাইউওয়াল ছারা নিম্নমানের ইটের সলিং রোড তৈরি করছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। এতেকরে সামান্য বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা ভেঙ্গেপরেযায়। যারফলে এলাকার লোকজনেরা যাতায়তের বিশেষ অসুবিধার সন্মুখিন হতেহচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ার বিমল দাসের বিরুদ্ধে বিগতদিনেও নানান অভিযোগ ছিলো। উনার অধিকাংশ কাজ এখনো সমাপ্তি হয়নি। প্রতিটি কাজের বরাদ্ধ অর্থ তিনি নিজের কাজে ও ব্লকের দায়িত্বে থাকা হেভিওয়েট নেতৃত্বের পিছনে খরচ করছে বলে জানাযায়। যারফলসরূপ ব্লকথেকে উনাকে যেসকল কাজ দেওয়াহচ্ছে সবকয়টি কাজের অভিযোগ প্রতিনিয়ত উঠেআসছে। জোলাইবাড়ী বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়াকে বদনামকরার লক্ষ্যে নিম্নমানের কাজ করেযাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার বিমল দাস এমনটাই অভিযোগ। জোলাইবাড়ী ব্লকের সমষ্টিউন্নয়ন আধিকারিক এই বিষয়ে জেনেও তিনি নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। সকলে চাইছে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া ও রাজ্যসরকার বিষয়টির উপর নজর দিক এবং দুরনিতির সাথে যুক্ত লোকজনদের চিহ্নিত করার জন্য সকলে বিশেষ আহব্বান জানিয়েছেন।
ধর্মনগর মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অফিস চত্বরে নেশার সাম্রাজ্য, দপ্তর নির্ভিকার।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। যে নেশাকে সামলাবার জন্য রাজ্য সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। নেশা মুক্ত ত্রিপুরা রাজ্য গঠনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ ডাক দিয়েছে। সেই নেশার কবরে ধর্মনগরের মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস চত্বর। কিন্তু কোন ধরনের অভিযান বা মানুষের দ্বারা নেশার সাথে জড়িত তাদের ভয়ে প্রান্তের কোন সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। পরোক্ষে দপ্তরের কর্মকর্তাদের মদতে কিছু সংখ্যক সরকারি কর্মচারী এবং বেসরকারি কর্মচারী নেশার সাথে জড়িয়ে শুধুমাত্র নিজেদেরকে ধ্বংস করছে না ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অর্থাৎ সমাজের ক্ষতি করে চলেছে। ধর্মনগর মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অফিস চত্বর হয়ে উঠেছে এর ইনকালে নেশা গ্রহণকারি মুক্তাঞ্চল। বাইরে কোথায় নেশা করলে পুলিশের ধরপাকড় বা একটা সামাজিক ভয় থেকে যায় কিন্তু এই মহকুমা রেজিস্ট্রেটের অফিস চত্বরে নেশা করলে কেউ ধরার মত ক্ষমতা করতে পারেনা। অর্থাৎ রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকায় এখানে অবতীর্ণ। মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস চত্বরে পাওয়া যায় না এমন নেশার উপসর্গ কমই আছে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন সাইজের বোতল, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ এমনকি নির্দ্বিধায় যারা নিত্যদিনের কার্য অর্থাৎ প্রসাব করতে যায় তারা ও ভয়ে থাকে কখন তাদের পায়ে অবৈধ ইনজেকশনের সিরিজ প্রবেশ করে তা নিয়ে। কখনো কখনো আগে ধর্মনগরের মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস এদিক সেদিক দারুণ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হতো। এখন দারোয়ানরা পর্যন্ত নেশার কবলে নিজেদেরকে যুক্ত করে নিয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয় কিছু সংখ্যক অফিসের সরকারি কর্মচারী তাদের আলমারিতে বহুমূল্যবান সরকারি কাগজপত্র না রেখে মদের যাবতীয় সরঞ্জাম সঞ্চিত রাখে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। স্বাভাবিক নিয়মে বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর অফিস ছুটি হয়ে গেলে দেখা যায় কোন কোন দপ্তরে লাইট জ্বলছে এবং সেই লাইট জ্বলার আড়ালে নেশার সামগ্রীর ব্যবহার হচ্ছে। স্থানীয় বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন বেশ কয়েকবার সেইসব সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে পত্রপত্রিকার খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন। বিভিন্ন কর্মচারী মহল থেকে উনার বিরুদ্ধে বিদ্রুপ উপস্থাপনা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন উনি বিধানসভার স্পিকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই সব সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলা এবং কোন ধরনের অভিযানে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। তাই কর্মচারী মহলের একাংশ ভাবছেন স্থানীয় বিধায়ক যখন কিছু বলছেন না তাহলে নিজেদের ইচ্ছেমতো জীবনধারণ করাই ভালো। কিছু সংখ্যক কর্মচারীর অবৈধ টাকার রোজগার এবং সেই টাকা ব্যয় হয় নেশা সামগ্রী জোগাড় করতে। বিনিময়ে বেশ কিছু কর্মচারীর স্বাস্থ্য অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে যখন তখন তাদের ইহলোক ত্যাগ করে পরলোকের ডাক পড়ে যায়। তাই স্বাভাবিক ধর্মনগর বাসির প্রতিক্রিয়া হচ্ছে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে হলে পূর্বে ধর্মনগর মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস নেশা মুক্ত গড়ে তুলতে হবে। এতে ধর্মনগর বাসী মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর প্রফেসর মানিক সাহার মুখাপেক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদ প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আবারো সমাজ সেবায় এগিয়ে এসে নজির গড়লো কুমারঘাট প্রেস ক্লাব।একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন” এই লক্ষকে সামনে রেখে কুমারঘাটে অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান শিবির।কুমারঘাট প্রেস ক্লাব,লায়ন্স ক্লাব এবং আসাম রাইফেলস ২৮ নম্বর বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে সোমবার কুমারঘাটের মাঙ্গলিক হলঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই রক্তদান শিবির। মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্বলনের মধ্যদিয়ে শিবিরের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস। উপস্থিত ছিলেন মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুচরিত চাকমা,কুমারঘাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি তপন বনিক, আসাম রাইফেলসের কমানডেন্ট কর্নেল আরএস নেগি,লায়ন্স ক্লাব কুমারঘাট রয়েলসের সহ সভাপতি ডক্টর সুব্রত শর্মা সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের ভাষনে সভাধিপতি বলেন,বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোতে রক্তের সংঙ্কট চলছে এই অবস্থায় এই ধরনের শিবির যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ন।এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করায় উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান অতিথিরা।দেশ রক্ষার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজে এগিয়ে আসায় আসাম রাইফেলসের ভূয়োসি প্রশংসা করেন সকলেই।অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষন রাখেন কুমারঘাট প্রেসক্লাবের সম্পাদক আশুতোষ পাল। এদিনের শিবিরে কুমারঘাট প্রেস ক্লাবের সদস্য ও চারজন মহিলা সহ শতাধিক রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। কুমারঘাট মহকুমায় আয়োজিত অন্যান্য রক্তদান শিবিরগুলোকে ছাপিয়ে এই প্রথমবার এতো বিশাল সংখ্যক রক্তদাতা এদিনের শিবিরে এগিয়ে এসেছেন বলে অভিমত সচেতন মহলের।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১০ জুন:- ধলাই জেলার প্রত্যন্ত গঙ্গানগর বাজার এলাকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং বাজারের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সোমবার গঙ্গানগরে এক প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিন গঙ্গানগর কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৪৪ রাইমাভ্যালী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মা রিয়াং ,আমবাসা মহকুমা শাসক, গঙ্গানগর আরডি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সহ বিভিন্ন দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ। সেখানে গঙ্গানগর বাজার এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং এদিন এই সমস্যা গুলি সমাধানের লক্ষ্যে একগুচ্ছ পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১০ জুন:- প্রশাসনিক সুবিধা মানুষের হাতের কাছে পৌঁছে দিতে সোমবার গন্ডাছড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে আরও একটি প্রশাসনিক শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মহকুমার প্রত্যন্ত দলপতি এডিসি ভিলেজের কর্ণকিশোর পাড়া জেবি স্কুল মাঠে প্রশাসনিক কাম স্বাস্থ্য শিবিরে স্কুল এডভাইজারি কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্র দা ত্রিপুরা, মহকুমা শাসক অফিসের ডিসিএম, দলপতি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক সহ অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকগন। এদিন প্রশাসনিক শিবিরে এলাকাবাসীদের বিভিন্ন জরুরি কাগজপত্র প্রদান করা হয় পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকার প্রায় শতাধিক জনজাতিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিনামূল্যে ওষুধপত্র বিতরণ করেন। এই দিন প্রশাসনিক কাম স্বাস্থ্য শিবির হাতের কাছে পেয়ে এলাকার জনজাতিরা দারুণ খুশি।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১০ জুন।। বেসরকারি ছাত্রাবাসে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে জম্পুইজলা স্থিত রুংনক বেসরকারি ছাত্রাবাসে। ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জম্পুইজলা থানার পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে জম্পুইজলা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর নিথর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়। জানা যায়, গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে জম্পুইজলা সুধন্য দেববর্মা মেমোরিয়াল এইচ এস স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র জন দেববর্মাকে তার পরিবারের সদস্যরা সোমবার সকালে রুংনক প্রাইভেট হোস্টেলে দিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই হোস্টেলের একটি কক্ষে ফাঁসিতে ঝুলে পড়ে সে। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে যান পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত হোস্টেলে ছুটে যান ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। হোস্টেলে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জন দেববর্মার মা সহ আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব পাড়া প্রতিবেশীরা। মৃত ছাত্রের বাড়ি কিল্লা এলাকায়। সে বেসরকারি ছাত্রাবাসে থেকে সুধন্ব দেববর্মা স্মৃতি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। কিন্তু দশ বছর বয়সী এই ছাত্র হোস্টেলে থাকতে চায়নি। গ্রীষ্মের ছুটির পর একপ্রকার জোর করে হোটেলে দিয়ে যায় অভিভাবকরা। হোস্টেলে আরও ছাত্র রয়েছে। দিনদুপুরে হোস্টেল কর্মকর্তারা কোথায় ছিলেন ? উঠছে প্রশ্ন । বর্তমানে অভিভাবকেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় অবুঝ শিশুদের ওপর। ছাত্রের অনিচ্ছা সত্ত্বেও একপ্রকার জোর করে হোটেলে দিয়ে যায় অভিভাবকরা। এতেই অভিমান করে আত্মহত্যা করেন এই ছাত্র।
রুদ্র – দ্যা রে অফ হোপ সামাজিক ও মানবিক সংঘঠনের উদ্যোগে ৫ ই জুন বিশ্বপরিবেশ দিবস এর কর্মসূচি এর অঙ্গ হিসেবে কাঁকড়াবন ব্লকের অন্তর্গত নিতাই বাবা সেবা আশ্রমে বিভিন্ন ফুল ফল নিম গাছের চারা রুপন করা হয়। সংঘঠনের কর্ণাধার রাজীব কুমার সাহা জানান।সংঘঠনের বৃক্ষ রোপন ও গাছের চারা বিতরণ করার কর্মসূচি জারি রয়েছে, আজ ও উদয়পুর শহরের পথ চলতি মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকমের ফুল ফল, নিম, Arjuna গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌরপিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার, কাউন্সেলির রঞ্জিত দাস, রুদ্র সামাজিক সংঘঠনের কর্ণাধার রাজীব কুমার সাহা, সংঘঠনের সদস্য মানিক দাস, পার্থ দেবনাথ,বিশ্বজিৎ শুক্ল দাস, নবারুণ পাল, সৌমেন দেবনাথ, বিকাশ দাস, এষা প্যাথেলিজির মালিক।
কর্ণাধার বলেন আগামী দিনেও এই রকম বৃক্ষ রোপন ও গাছের চারা বিতরনের অনষ্ঠান জারি থাকবে, পৌরপিতা শীতল চন্দ্র মজুদার রুদ্র সামাজিক সংঘটন ও কর্ণাধার রাজীব কুমার সাহা কে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ও ভুয়শী প্রসংঘসা করেন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- শনিবার রাত দুইটা নাগাদ রহস্যজনক আগুনে পুড়ে ছাই দুটি দোকান ঘর । ঘটনা বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পিত্রা বাজারে । ঘটনার সূত্রে জানা গিয়েছে , গভীর রাতে জেলেরা মাছ ধরার জন্য যখন বাজারের রাস্তা ধরে যাচ্ছিল তখন হঠাৎ করে আলোর রশ্নি দেখতে পায়। তখন জেলেরা দেখে একটি টেইলার দোকান ও একটি কসমেটিকের দোকান সম্পূর্ণভাবে পড়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে জেলেরা। পরে আশ পাশের গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দমকল বাহিনীকে খবর দেয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে । দীর্ঘ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে । কিভাবে আগুন ধরে যায় দুটি দোকানের মধ্যে তা বুঝে উঠতে পারছে না দোকান মালিক থেকে শুরু করে বাজার এলাকার সাধারণ মানুষ। জানা গিয়েছে বর্তমানে গোটা ঘটনা তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।