প্রতিনিধি কৈলাসহর:-রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়শই বলে থাকেন মহকুমা হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা সুন্দর এবং স্বচ্ছ থাকলে রোগীরা তার নিজস্ব জেলাতেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।কষ্ট করে রেফার নিয়ে জিবি হাসপাতালে আসার প্রয়োজন হয় না।সেই লক্ষ্য নিয়েই জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্রমোন্নতি হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ পূর্বের থেকে বর্তমানে পরিষেবা অনেকটাই ভালো পাচ্ছেন।আজ জেলা হাসপাতালেই এইচআইভি পজিটিভ রোগীনির সফল অস্ত্রপাচার করে স্বাস্থ্য পরিষেবায় নতুন ফলক যোগ করল জেলা হাসপাতাল।গত কয়েক দশক ধরেই ক্রমাগত বেড়ে চলেছে এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা। আপাতত সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচি এবং জনসচেতনার মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের উপর কিছুটা লাগাম দেওয়া সম্ভব হলেও সম্প্রতি কালে সিরিঞ্জের মাধ্যমে নেশা সেবনকারীদের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে এইচআইভি সংক্রমণ। গর্ভবতী এক মহিলা সোমবার প্রসব বেদনা নিয়ে জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায় গর্ভবতী মহিলার শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ রয়েছে।চিরাচরিতভাবে এই মহিলাকে উন্নত পরিষেবার জন্য অন্যত্র রেফার না করে এই জেলা হাসপাতালে সীমিত পরিষেবার মধ্যেই সিজারিয়ান ডেলিভারির মাধ্যমে প্রসব করানোর সিদ্ধান্ত নেয় জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।আজ দুপুর একটা পাঁচ মিনিটে সিজারিয়ানের মাধ্যমে এক সুস্থ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মহিলা।এই সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুমিত দাস। তার সঙ্গে সহযোগিতায় ছিলেন ডাঃ রূপময় দাস,ওটি সিস্টার সাথী ঘোষ,ওটি নার্স করুনা দেববর্মা,ওটি টেকনিশিয়ান সুরঞ্জিত দাস, ওটি জি ডি এ শুভঙ্কর সাহা প্রমূখ।জেলা হাসপাতালের এই সাফল্যে কৈলাসহরবাসী গর্বিত।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর পূর্বেও একাধিক কঠিন অস্ত্রোপচার এই হাসপাতালে করা হয়েছে।
116
previous post