প্রতিনিধি , উদয়পুর :- ভারতীয় জনতা পার্টি গোমতী জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায়ের সভাপতিত্বে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা ও আগামী দিনের কর্মসূচি সফল করতে অনুষ্ঠিত হয় জেলা কমিটির এক বৈঠক । এই বৈঠকে ছিলেন , বিজেপি প্রদেশ কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি বিমল চাকমা , বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার , জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি দেবল দেবরায় ও জেলা মোর্চার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ এবং মন্ডল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ। এছাড়াও ছিলেন অমরপুর নগর পঞ্চায়েত ,উদয়পুর পৌর পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন গণ সহ প্রমূখ । এই দিনের বৈঠকে গোমতী জেলার সাথে বিধানসভা কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আলোচনা হয় এবং আগামী দিনে দলের পক্ষ থেকে যে সকল কর্মসূচি গুলি দেওয়া হবে সেই সকল কর্মসূচি গুলি যেন প্রতিটি মন্ডল স্তরে সফল করা হয় সেদিকে নজর দিতে হবে মন্ডল সভাপতিদের । পাশাপাশি আগামী দিনে দলীয় প্রচারকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। ছোট থেকে বড় সমস্ত অংশের নেতৃত্বদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে প্রতিটি এলাকায়। এই সকল সভা গুলি যেন জোরদার ভাবে প্রচার করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এদিন জেলা সভাপতি বলেন পৌর এলাকাগুলি ও নগর পঞ্চায়েত এলাকাতে আরো বেশি করে উন্নয়নের কাজ করতে হবে। গোটা সভায় দলীয় কর্মসূচির উপর জোর দেয় নেতৃত্বরা ।
রাজনীতি
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ দুপুর ১২টা নাগাদ ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা চন্ডিপুর মন্ডলের উদ্যোগে চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল উত্তীর্ণ প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রীরামপুর স্বামী বিবেকানন্দ হলে সংবর্ধিত করা হয়েছে।নব স্বপ্নের উড়ান শীর্ষক ভাবনায় গোটা রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই যুব মোর্চার তরফ থেকে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধিত করা হচ্ছে।আজকের এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুরের বিধায়ক তথা ত্রিপুরা সরকারের সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।সভাপতিত্ব করেন যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি বাবলু দেব।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি শ্যাম কুমার সিনহা,রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর,জেলা সাধারণ সম্পাদক পিন্টু ঘোষ, যুব মোর্চার প্রদেশ মুখপাত্র তথা ঊনকোটি জেলা প্রভারী অম্লান মুখার্জি,আইনজীবী সন্দীপ দেব রায় ও মণ্ডল সহ-সভাপতি হিমাংশু দাস। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়েছে।উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করে গীতবিতান সংগীত সংস্থার শিল্পীবৃন্দ।মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ফার্স্ট ডিভিশন এবং সেকেন্ড ডিভিশন পেয়েছে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা তাদেরকেই এই মঞ্চ থেকে সংবর্ধিত করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন,এখন থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।কলেজ বাছাই এর ক্ষেত্রে সরকারি কলেজ ব্যতীত বেসরকারী ক্ষেত্রে জেনে শুনে খোঁজখবর নিয়ে পছন্দের বিষয় রয়েছে কিনা সে সবগুলো জানার পর কলেজ স্তরে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।তিনি বলেন সরকারি চাকরির আশায় বসে না থেকে এখন থেকেই ইনকামের টার্গেট নিয়ে এগিয়ে চলার প্রয়োজন। চিরসবুজ শ্যামলী ত্রিপুরায় অনেক কিছুর উৎস রয়েছে। যেখানটায় পর্যটন যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবেই ভারতবর্ষের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা।যেখানে এক লক্ষ মেট্রিকটন রাবার উৎপাদন হয় এবং কেরলে গিয়ে তার ভেলু এডিশন হয়। যার প্রাপ্তি মূল্য প্রায় ১৫শ কোটি টাকা।এছাড়াও ত্রিপুরা রাজ্যে ব্যাম্বু প্রজেক্ট,গ্যাস উৎপাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক ধরনের ইনকাম সোর্স রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলতে গিয়ে তিনি বলেন পরিশ্রমই হচ্ছে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। পৃথিবীর সকল সফল ব্যক্তিরা ধৈর্য এবং পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই সফলতার চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছুতে পেরেছেন।
উদয়পুর প্রতিনিধি : বুধবার ছিল সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধীর জন্মদিন । ৫৪ বছরের পা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী । এদিন দুপুরে রাহুল গান্ধীর জন্মদিন পালন করা হয় দিল্লি কংগ্রেসের সদর দপ্তরে। ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকা অর্জুন খারগে সহ প্রথম সারির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। জন্মদিন কে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার উদয়পুর জেলা যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে জন্মদিন কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উদয়পুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি টিটন পাল , উদয়পুর ,কাকারা বন ও বাগমা ব্লক কংগ্রেসের সভাপতিসহ ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতিরাও এদিন ছিলেন বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে । গোটা বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানটি ভারী বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই এদিন রাহুল গান্ধীর জন্মদিন কে এক পরিবেশ প্রেমী রূপ হিসেবে তুলে ধরা হয় যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-সারা রাজ্যের সাথে কৈলাসহরেও প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন সাধারণ মানুষ।তিন চার দিনের টানা বৃষ্টিতে মনু নদীর জল যেভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে এর ফলে আতঙ্কগ্রস্ত নদী এলাকার পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী নাগরিকরা।কৈলাসহর পুর এলাকা সহ উত্তরাঞ্চল, সমরুরপাড়,শ্রীরামপুর,ভটেরবাজার,ছনতৈল সহ হাওড়র বাজার এলাকা জুড়ে বাড়ীঘর ও কৃষির অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।বুধবার সকালে পুর এলাকার লক্ষীছড়া সহ মনু নদীর জল বাড়তে শুরু করলে নূতন করে মনু নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়।আর তাতে পুর পরিষদের ১০নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোবিন্দপুরের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সংলগ্ন মূল বাধেঁর ভেতরে ৩০-৩৫ পরিবারের মধ্যে অধিকাংশ পরিবারের ঘরবাড়ী নদীর জলে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।এই পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বরা। জেলা সম্পাদক অরুন সাহার নেতৃত্বে যুব মোর্চা সংগঠনের কার্যকর্তারা বন্যায় আক্রান্ত পরিবারের পাশে থেকে সর্বতোভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অরুণ বাবু।গোবিন্দপুরের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সংলগ্ন মনু নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে বসত ঘর।গত দুদিনে ভারী বর্ষণে যৌবন রুপ ধারণ করেছে মনু নদী।আর তাতে কৈলাসহর পুর পরিষদের ১০নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর এলাকার বসত ঘর চলে গেছে নদী গর্ভে।মনু নদীর ভাঙ্গন রুখতে ও বসত বাড়িগুলো রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের এখন পর্যন্ত কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে।অসহায় পরিবার গুলোর অবস্থা খুবই করুন।চিন্তায় কাটাচ্ছেন প্রতি মুহূর্ত।পুনরায় জমি ক্রয় করে নতুন বাড়ি নির্মান করার মত ক্ষমতা তাদের নেই।আর তাই বর্তমানে খোলা আকাশই তাদের বসবাসের স্থান।কৈলাসহর পুর পরিষদ এলাকার গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা মায়া রানী সরকার,দিলীপ সরকার, মানিক সরকার একই পরিবারের সদস্য।গতকাল গভীর রাত থেকে নদীর জল বাড়তে থাকলে তাদের বাড়ির বিশাল একটা অংশ ভেঙে নদীর তলায় তলিয়ে যায়। আর ঠিক একই অবস্থা মায়া রানী সরকারের।নদীর জল কমতে থাকলে এক সময় উনার বাড়ির একটি অংশ সহ শৌচালয় চলে যায় নদী গর্ভে। বর্ষা আসলেই নদীর প্রলয়ংকরী রুদ্ররুপ নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।আর এই অসহায় পরিবারের সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে দাবী করেন তাদের সমস্যা দ্রুত নিরসনের জন্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,পুর পরিষদের অন্তর্গত ১৫ ও ১৬ নং ওয়ার্ডের দুর্গাপুর সোনামারা এলাকায় মনুনদীর বাঁধের উপর বালির খাদান থেকে লরি ভর্তি বালি নিয়ে আসা যাওয়া করতে গিয়ে প্রতিদিন বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে।কোন কোন জায়গায় গর্ত তৈরী হওয়ায়ও বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে।একই অবস্থা ১৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব দুর্গাপুর এয়ারপোর্ট সংলগ্ন মনুনদীর বাঁধের।এই বাঁধের উপর দিয়ে প্রতিদিন যানবাহন চলাচলের ফলে ক্ষতি হচ্ছে বাঁধের।প্রশাসনের কাছে দ্রুত বাঁধ সারাইয়ের দাবী করেছেন মহকুমাবাসী।২০১৮ সালের বন্যার পর এখন অব্দি তেমন ভাবে বাঁধের কোন কাজ-ই করা হয় নি।এই বিষয়ে ওয়াটার রিসোর্স দপ্তর একেবারেই নির্বিকার।তবে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সংলগ্ন বাঁধের যে জায়গায় মানুষের ঘর ভেঙে পড়েছে সেখানটায় কিছু সংখ্যক ইটের কেটস ফেলে দায়িত্ব সেরে নিয়েছে দপ্তর।আরো অধিক মাত্রায় ইট ফেললে হয়তো বা বসত ঘরটি বেঁচে যেত।
প্রতিনিধি, বিশালগড় । সম্পন্ন হলো চারদিন ব্যাপি অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ত্রিপুরা প্রদেশ অভ্যাস বর্গ । এবছর সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় নগর শাখার অন্তর্গত অফিসটিলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় অভ্যাস বর্গ। গত ১৫ থেকে ১৮ জুন প্রদেশ অভ্যাস বর্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। অভ্যাস বর্গে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ত্রিপুরা প্রান্ত প্রচারক নিখিল শংকর নিবাসকর , পরিষদের ত্রিপুরা প্রদেশ সংগঠন মন্ত্রী শুভম শ্রীবাস্তব, ত্রিপুরার প্রদেশ মন্ত্রী সঞ্জিত সাহা সহ অন্যান্য জেলার কার্যকর্তারা। অভ্যাস বর্গে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কার্যকর্তাদের ছাত্র স্বার্থে , রাষ্ট্রস্বার্থে কাজ করার দৃঢ় মানসিকতা গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিদ্যার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের বিকাশ , চরিত্র গঠন এবং একতাবদ্ধ ছাত্র সমাজ গড়ার মাধ্যমে বৈভবশালী ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের জন্য উৎসাহিত করা হয়। তাছাড়া ভারতীয় সংস্কৃতির আধারে সুষ্ঠু সুন্দর সমাজ গঠনের ওপর আলোচনা হয় । অভ্যাস বর্গের অন্তিম দিনে অফিসটিলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন অফিসটিলা স্কুলের এন এস এস ইউনিট সহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা, বিভিন্ন সমাজ সেবীগণ, জনপ্রতিনিধি এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কার্যকর্তারা। এদিকে অভ্যাস বর্গকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানান বিদ্যার্থী পরিষদের কার্যকর্তারা। অভ্যাস বর্গের কারণে স্কুল বন্ধ ছিল বলে অপপ্রচার করছে একাংশ। অপপ্রচারের জবাবে তারা জানান ছুটির দিনেই অভ্যাস বর্গ হয়েছে। তিনদিন স্কুল ছুটি ছিল। বাম জামানায় ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনের নামে স্কুল বন্ধ রেখে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে রোদ বৃষ্টিতে মিছিল মিটিং হয়েছে। ছাত্রদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। এগুলো রাজ্যের মানুষ দেখেছে। কিন্তু অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ কখনো সেই পথে পা দেয়না। রাষ্ট্র এবং সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করে এবিভিপি।
টিআর কে এস মাধ্যমে রাজ্যের কর্মচারীদের ভবিষৎ সুরক্ষিত রাখার লক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- টিআর কে এস মাধ্যমে রাজ্যের কর্মচারীদের ভবিষৎ সুরক্ষিত রাখার লক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় । উদয়পুর রাজর্ষি কলা ক্ষেত্রের ২নং হল ঘরে । ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘ, ত্রিপুরা প্রদেশের পদাধিকারীকের উপস্থিতিতে টিআরকে এস গোমতী জেলার উদ্যোগে হয় এই আলোচনা সভা। জেলার শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে সাংগঠনিক আলোচনা সভা হয়। এদিনের সাংগঠনিক সভাতে সংগঠনকে সুদৃঢ় ও সুসংগঠিত করা নিয়ে আলোচনা হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন TRKS টিআরকেএস ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি আশীষ কান্তি ঘোষ, ৩ জন সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, ট্রেজারার ও অফিস সম্পাদক সমেত বিএমএস গোমতী জেলার প্রভারী হেলেন দেববর্মা। এছাড়া ছিলেন সংগঠনের সভাপতি গৌতম দাস, টি আর কে এস গোমতী জেলার সম্পাদক বিপ্লব বিজয় দে। আগামী দিনে সংগঠনের নানান কর্ম সূচি নিয়ে আলোচনা হয় এদিনের সভায়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পেনশনার সংঘ গোমতী জেলার সাধারণ সম্পাদক রানা প্রতাপ রায় এবং উপস্থিত ছিলেন অখিল ভারতীয় পেনশনার সংঘের সহ-সভাপতি রঞ্জিৎ দে ।
সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা দুষ্কৃতিকারীদের , উদয়পুরে চাঞ্চল্য
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- উদয়পুরে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা। হিন্দু বাড়ির সামনে গো মাতার কাটা মুন্ডু রেখে দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈদের পরের দিন উদয়পুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। সংবাদে জানা যায় , হিন্দু বাড়ির সামনে রাস্তায় গোমস্তক রাখাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে রাধাকিশোর পুর থানাধীন রাজারবাগ সুকান্ত পল্লী এলাকা। মঙ্গলবার উদয়পুর রাজারবাগ সুকান্ত পল্লী তারন পাড়া এলাকা বাসিন্দা শ্যামল তারণের বাড়ির সামনে ভোর ৪.৩০ নাগাদ গো মস্তক দেখতে পায়। ঘটনা সম্পর্কে শ্যামল তারন জানান , দীর্ঘ সময় ধরে রাজারবাগ সুকান্ত পল্লী তারণ পাড়া এলাকায় হিন্দু মুসলিমের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে কোন একটি চক্র এই শান্ত এলাকায় ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিবাদে সৃষ্টি করার চেষ্টা কেন চালাচ্ছে ? তা বুঝতে পারছেন না এলাকার হিন্দু লোকজনরা। কিন্তু কি কারণে হিন্দু বাড়ির গোমস্তক রাখা হয়েছে তা কোনভাবেই ভেবে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা। যদিও ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আর কেপুর থানার পুলিশ কর্মীরা এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ভারতীয় জনতা পার্টি দলের আর কেপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস । কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে । এলাকায় যেন শান্তি সম্প্রীতি বজায় থাকে তারও আহ্বান রাখেন এদিন তিনি। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি রেখেছেন যে দুষ্কৃতিকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য তাদের যেন অতিসত্বর শনাক্ত করে কঠোরতম শাস্তি প্রদান করা হয়। বলা যায় মঙ্গলবার সাত সকালে এই ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকালে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের পারদ জ্বলছে।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- জল নিকাশি ব্যবস্থা উদয়পুরের পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বেহাল রূপ ধারণ করে । অতি ভারী বৃষ্টির ফলে প্রতিবছর জলের নীচে তলিয়ে যেতে হয় উদয়পুরের বিভিন্ন পৌর এলাকাগুলি । এই বছরের আষাঢ়ের বর্ষায় যেন মহাদেব বাড়ির সংলগ্ন এলাকার রাস্তা জল না জমে তার জন্য এর সমাধান বের করতে ময়দানে নামেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। প্রতিবছর বর্ষায় পৌর এলাকায় মহদের বাড়ি সংলগ্ন এলাকার রাস্তা অপরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থার কল্যাণে জলমগ্ন হয়ে থাকে। স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রশস্ত নানা নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শনে বের হন অর্থমন্ত্রী। সাথে ছিলেন পৌর চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ । কিভাবে জল নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক রাখা যায় এই বর্ষার সময় । তার বিকল্প সমস্যা সমাধান বের করতে নির্দেশ দেন পৌর চেয়ারম্যান কে। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় বর্ষা ঢুকতে শুরু করেছে । উদয়পুরে প্রতি সপ্তায় তিন থেকে চার দিন বৃষ্টি অনবরত দিন অথবা রাতে শুরু হয়ে যায় আর তাতে করে জল নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক না থাকার ফলে সমস্যায় পড়ে মানুষ। তাই এর থেকে রেহাই দিতে উদ্যোগ নেন অর্থমন্ত্রী । সঠিক জল নিকাশি ব্যবস্থা কবে নাগাদ করা হয় সেদিকে তাকিয়ে এলাকাবাসীরা ।
মাত্র ৫৭ বছর বয়সে ব্যর্থ হলেন বিজেপি দলের রাজ্য কমিটির সদস্য পান্না শর্মা।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। শুক্রবার সবাইকে কাঁদিয়ে চিরতরে বিদায় নিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য পান্না শর্মা। মাত্র ৫৭ বছর বয়স হয়েছে এবং কয়েকদিন ধরে কিডনি জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ করে 2018 রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রচুর সংগ্রাম করেছিলেন কেমন করে রাজ্যে বিজেপি সরকারকে প্রতিষ্ঠা করা যায় তাই নিয়ে। যুবরাজ নগরের বিধায়ক যাদব লাল নাথ ওনার মৃত্যুতে মর্মাহত। দীর্ঘদিন একসাথে পার্টি র কাজ করে গেছেন এবং একই বিধানসভা এলাকার মানুষ হওয়ায় একে অপরের প্রতি সহানুভূতিতে ছিল ভরপুর। উত্তর জেলা সভাধিপতি ভবতোষ দাস ছিলেন পান্না শর্মা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মানুষ। উত্তর জেলা বিজেপি দলের সভাপতি কাজল দাস পান্না শর্মা মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না। ওনার স্ত্রী টিংকু শর্মা কালা চড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান পদে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত। এক পুত্র এবং এক কন্যার জনক ছিলেন এই বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। একসাথে অনেক সংগ্রাম এবং আন্দোলনের জন্য পার্টি সদস্যরা তাকে ভুলে যেতে পারছে না। আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিন ঘটিকায় তার মৃতদেহ জেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পার্টি সদস্যরা দল বেঁধে তাকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। ১৪ এবং ১৫ জুন ধর্মনগরের সার্কিট হাউসে মহিলা কমিশনের কাউন্সিলিং শুরু হয়েছে। এই কাউন্সেলিং এ উপস্থিত রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন ঝরনা দেববর্মা, রাজ্য মহিলা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মধুমিতা চৌধুরী, মহিলা কমিশন বোর্ডের সদস্য রত্না দেবনাথ কর, নমিতা দেববর্মা এবং অনিতা দাস সহ বিভিন্ন পর্যায়ের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সকাল 11 টা থেকে কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা সেখানে কাউন্সিলিং শুরু হয় সকাল সাড়ে ১১ টায়। বেলা দুইটা পর্যন্ত সাত আটটি কাউন্সিলিং হয়ে গেছে এবং বাইরে আরো পাঁচটি কেস রয়েছে। বিকাল চারটা পর্যন্ত এই কাউন্সিলিং অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল অর্থাৎ ১৫ জুন পনেরো বিশটি কাউন্সেলিং এর কেস রয়েছে। মানুষ দলে দলে এই কাউন্সিলিং এর অনুষ্ঠানে যোগদান করছে। ঝরনা দেববর্মা জানান ত্রিপুরা রাজ্যের আনাচে-কানাচে মহিলাদের অনেক সমস্যা রয়েছে এগুলি নিরসনে মহিলা কমিশন এগিয়ে এসেছে। শুধুমাত্র রাজ্যে আগরতলাতে একটি অফিস রয়েছে মহিলা কমিশনের এই অফিসের মাধ্যমে সারা রাজ্যের কাউন্সিলিং করা সম্ভব নয়। তাই কয়েকদিন আগে দক্ষিণ জেলাতে কাউন্সিলিংয়ের অনুষ্ঠান হয়ে গেছে এখন চলছে উত্তর জেলাতে। তিনি মহিলা কমিশনের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর দেখতে পেয়েছেন রাজ্যে অনেক মহিলা রয়েছে যাদের সমস্যা সমাধানের জন্য মহিলা কমিশনের একান্ত দরকার। এই ভাবনা থেকে মানুষের বিশেষ করে মহিলাদের সমস্যা নিরসনে এই ভাবে রাজ্যের আনাচে-কানাচে কাউন্সেলিং চলছে। আগামীকাল উত্তর জেলার পানিসাগর মহকুমায় একটি সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হবে এবং রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন হওয়ার সুবাদে তিনি সেখানে যোগদান করবেন। সে অনুষ্ঠানে 400 থেকে 5 00 মহিলাকে এবং ছাত্রীদের আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মহিলা সংক্রান্তকে যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে কাউন্সিলিংই পারে তাদের সমস্যা সমাধান করতে। তাছাড়া নেশা বিরোধী অভিযানে মহিলাদের যোগদান বিশেষ অগ্রাধিকার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং আগামীকালকের পানি সাগরের অনুষ্ঠানে নেশা বিরোধী অভিযান নিয়ম আলোচনা করা হবে।