দু’রাজ্যের বিধানসভা ও দিল্লি পুরনিগমের ভোট শেষ হলেই লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। আগামিকাল দিল্লিতে পুর নিগমের ভোট। তার পরের দিন অর্থাৎ পাঁচ ডিসেম্বর গুজরাতের দ্বিতীয় দফার ভোট। সে দিনই সকাল থেকে দিল্লিতে লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি।বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে, যে হেতু ওই বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু হল আসন্ন লোকসভা নির্বাচন, তাই গোটা দেশে দলের যত পদাধিকারী রয়েছেন, তাঁদের সকলকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। বিজেপি জানিয়েছে, ওই বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, সহ-পর্যবেক্ষক, রাজ্য সভাপতি, রাজ্যগুলির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-কে ওই বৈঠকে বাধ্যতামূলক ভাবে থাকতে বলা হয়েছে। দু’দিনের ওই বৈঠক মূলত পরিচালনা করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। বৈঠকের শেষ দিনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাজনীতি
এ বার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য ‘এক ডাকে অভিষেক’ চালু করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে গত জুন মাসে এই ব্যবস্থা চালু করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। শনিবার কাঁথির জনসভা থেকে অভিষেক জানিয়ে দিলেন, এ বার পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষেরাও তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
শুভেন্দুর ঠিকানা ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর অদূরে প্রভাতকুমার কলেজের মাঠের সভামঞ্চ থেকে অভিষেক জানান, পঞ্চায়েত কেন্দ্রিক বা সাংগঠনিক— যাঁর যা দরকার, ‘এক ডাকে অভিষেক’-এর নম্বরে ফোন করতে পারবেন পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ। জনসভা থেকে ‘এক ডাকে অভিষেক’-এর ফোন নম্বর ‘৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭’ দিয়ে সাংসদ বলেন, ‘‘এক ডাকে অভিষেকের নম্বর দিয়ে যাচ্ছি। রোজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। যাঁর যা বলার আছে, সরাসরি আমায় ফোন করে জানাবেন।’’
রাজ্য সরকার ও শাসকদল সম্পর্কে যে কোনও বক্তব্য জানাতে সাধারণ মানুষের জন্য ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেছিল তৃণমূল। সেই ধাঁচেই সাংসদ হিসাবে নিজের আট বছর পূর্তিতে ডায়মন্ড হারবারে ‘এক ডাকে অভিষেক’ কর্মসূচি চালু করেন অভিষেক। সেই ব্যবস্থাই এ বার সম্প্রসারিত হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে পৌঁছে গেল। কাঁথিতে অভিষেক বলেন, ‘‘আমি আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি, যার যা দরকার হবে আমায় ফোন করবেন। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুরের কর্মী-সমর্থকদের বলছি। কেউ চমকালে-ধমকালে সোজা আমায় ফোন করে জানাবেন।
৩১ আর কে পুর মন্ডলের অন্তর্গত রাজারবাগে ৪0 নং বুথে, বুথের কার্য্যকর্তাদের সাথে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্প সমূহ নিয়ে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ।
ঐ সভাতেই ৪০ নং বুথের নব্যভোটার সহ ৩২ পরিবারের ১১৪ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা তলে সামিল হয়েছেন। তাদের সকলকে মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস সহ অন্যান্য কার্য্যকর্তাদের উপস্থিতিতে দলে বরণ করে নেন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২ ডিসেম্বর।। বিজেপির কার্যক্রম বানচাল করতে তিপ্রাসার সঙ্গে তিপ্রসার বিরোধ সৃষ্টি করে অশান্তি সৃষ্টি করবেন না। জনজাতিদের রক্ত ঝরাবেন না। প্রয়োজন হলে আমাকে খুন করে ফেলুন। তবুও জনজাতিদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে উন্নয়ন স্তব্ধ করার ষড়যন্ত্র করবেন না। জনজাতি ভাইদের রক্ত ঝরানোর দরকার নেই। প্রয়োজনে আমি আমার জীবন বলিদান দিয়ে হলেও পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো। শুক্রবার টাকারজলায় যুব জমায়েতে কথাগুলি বলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এদিন টাকারজলা মন্ডলের লাম্প্রা হাটিতে বিজেপির যুব জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল থেকেই সমাবেশ বানচাল করার জন্য উশৃংখলতা শুরু করে তিপরা মথার সমর্থকরা। জনজাতিদের এই সমাবেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। তারপরেও সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বেলা দুইটাই অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন ৭০ বছরে জনজাতীদের সর্বনাশ করে গিয়েছে। কখনো স্বাধীন ত্রিপুরার নাম করে। কখনো রাজ্য ভাগের নাম করে জনজাত্যের বিভ্রান্ত করে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আঠারো সালে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে শান্তি এবং উন্নয়নের কাজ যখন দ্রুত গতিতে চলছিল তখনই পাহাড়ের উন্নয়ন বিরোধী বিভেদগামী শক্তি আবারো পাহাড়ের উন্নয়ন স্তব্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আগরতলায় ঠান্ডা ঘরে বসে ডায়লগ হচ্ছে। শুধু ডাইলগে শান্তি হয়না। আগরতলায় বসে শান্তির বাণী ছড়ানো হচ্ছে আর উন্নয়নের স্বার্থে জাতিদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। রাজীব ভট্টাচার্য আরো বলেন ১৮ সালেও এমন ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বিজেপির কার্যকর্তাদের খুন করা হয়েছিল। সকল ষড়যন্ত্র অত্যাচার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এর রাজ্যের মানুষ পরিবর্তন করেছে। তেমনি আগামী ২৩শে নির্বাচনেও জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে তারা আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে থাকবেন। কারণ জনজাতিরা অশান্তি চায় না। তারা চায় উন্নতি। ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও যে সিপিএম জনজাতিদের উন্নয়নে কোন কাজ করেনি, তাদের মদতেই আজ বিভেদগামী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন আমরা কাজ করেছি বলেই উন্নয়নের পরিসংখ্যান নিয়ে ঘরে ঘরে যাচ্ছি। বিগত দিনে কোন সরকার উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার সাহস করেনি। জনজাতি মোর্চার রাষ্ট্রীয় সভাপতি তথা ত্রিপুরা নির্বাচনী সহ প্রভারী সমীর ওরাং বলেন বিগত ৭০ বছর উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নে কাজ করেনি কংগ্রেস এবং সিপিএম। জনজাতিদের কল্যাণে তাদের কোন সুনির্দিষ্ট ভাবনা ছিলনা। কেন্দ্রীয় সরকার জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প তসরুপ করাই ছিল তাদের মূল কাজ। ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে বিভেদের রাজনীতি করে জনজাতিদের বঞ্চিত করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। তিনি বলেন এই ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ বদলের কান্ডারী আপনারা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে নরেন্দ্র মোদির পাশে থাকুন। এছাড়া এদিনের সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সম্পাদিকা মৌসুমী দাস, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, সাধারণ সম্পাদক রাজেশ দেববর্মা, জনজাতি মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিকাশ দেববর্মা, যুব মোর্চার বিপিন দেববর্মা, ডেভিড দেববর্মা, মন্ডল সভাপতি রবি দেববর্মা, মন্ডল ইলেকশন ইনচার্জ নির্মল দেববর্মা প্রমুখ।
কাঁথি: রাতপোহলেই কাঁথিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসভা। কাঁথির বুকে যা নয়া ইতিহাস তৈরি হবে বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে প্রভাত কুমার কলেজ ময়দানে সভাস্থলের দূরত্ব মাত্র ২০০মিটার। শনিবার দুপুরে অভিষেক তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে যে ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাঁথি এবং তমলুক সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে এই এই মহা রাজনৈতিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অভিষেক একদিকে যেমন রাজনৈতিক বার্তা দেবেন, ঠিক একইভাবে পূর্ব মেদিনীপুরে সার্বিকভাবে সংগঠনকে আরও মজবুত করার ডাক দেবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কাঁথি শহরের বুকে এই সভা হলেও গোটা পূর্ব মেদিনীপুরজুড়ে তার প্রভাব যে পড়তে চলেছে, কোলাঘাট ঢুকলেই সেই ছবিটা স্পষ্ট। রাস্তার দু’পাশে ভরে গিয়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বিশাল বিশাল কাট-আউট, তৃণমূলের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, তোরণে। ২৪ ঘন্টা আগে থেকেই সাজ সাজ রব। তুমুল উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক, স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে। এই সভাকে কেন্দ্র করে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলেই দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই যোগদানের হিড়িক পড়েছে পাহাড় থেকে সমতলে।তাও আবার প্রতিদিন সিপিএমের ঘর ভাঙছে বিজেপি। দীর্ঘদিনের সিপিএম কর্মীরা সিপিএম দলের সাথে থেকে কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে শুধুমাত্র মিছিলের লাইন লম্বা করেছেন।এই কর্মীরাই আজ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সিপিএম ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করছেন।কৈলাসহর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ড এলাকার ২৭ নং বুথে ১লা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত যোগদান সভায় সিপিএম দলের বহু পুরনো তিন পরিবারের নয় জন কর্মী বিজেপি দলে যোগদান করেছেন।তারমধ্যে সংখ্যালঘু অংশের ভোটাররাই বেশি ছিলেন।যোগদানকারীদের হাতে ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করেন কৈলাসহর মন্ডল সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত,মন্ডল সহ-সভাপতি প্রশান্ত দে এবং বটতলা শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ অজয় ধর।যোগদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হচ্ছেন হায়দার আলী,আবুল হোসেন ও মুজাহিদ আলি।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
উদয়পুর পৌর পরিষদের সহকারী পৌরপিতা এবং এক প্রাক্তন কাউন্সিলারকে নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা অপবাদ নিয়ে ভাইরাল হয়ে উঠেছিল। তারই প্রতিবাদে এবং ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রাধাকিশোরপুর মহিলা থানার দারস্ত হন কাউন্সিলর সহ মহিলা মোর্চার নেত্রীরা। ঘটনার বিবরনে জানা যায় , গত বেশ কিছুদিন যাবত উদয়পুর পৌর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অনুপম চৌধুরী এবং প্রাক্তন কাউন্সিলার মানষী চক্রবর্তীকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তাদের অবৈধ সম্পর্কের কথা বলে একটি রেকর্ডিং দিয়ে সংবাদ প্রচার চলছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার প্রাক্তন কাউন্সিলর মানষী চক্রবর্তী সহ মহিলা মোর্চার একটি প্রতিনিধি দল এই ঘটনার সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করে রাধাকিশোরপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কাউন্সিলার মানষী চক্রবর্তী দাবি করেন শাসকদল বিজেপিকে বদনাম করার জন্য একটা চক্র এই ধরনের ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে যাচ্ছে। প্রচার হওয়া ঘটনার সাথে তাদের কোন সম্বন্ধ নেই বলেও দাবি করেন।
প্রতিনিধি তেলিয়ামু।১লা ডিসেম্বর।
নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তাসের ঘরের মতো ভাঙছে সিপিএম। আজ আবারো তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএমের ঘর ভাঙ্গিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পেল। তেলিয়ামুড়া মন্ডলের অধীন পাঁচ নম্বর করইলং শক্তি কেন্দ্রের অধীন ৩৮ নম্বর বুথে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে এক উঠানসভা অনুষ্ঠিত হয় শিশু বিহার এলাকাতে। সভাতে সিপিএম দলের দশ পরিবারের ৩২ জন ভোটার সিপিএমের দল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেয়। নবাগতদের ভারতীয় জনতা পার্টির পদ্ম চিহ্ন পতাকা হাতে তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী রায়। নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে বিধায়িকা শ্রীমতি রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন সিপিএম গত ২৫টি বছর রাজ্যের সাধারণ মানুষদের সাথে শুধু প্রবঞ্চনাই করে গেছে। রাজনীতিক স্বার্থে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করেছে। গত সাড়ে চার বছর রাজ্যের মানুষ দেখেছে উন্নয়ন কিভাবে করতে হয়। বর্তমান বিজেপি সরকার সবকে সাত সব কে বিকাশ আদর্শকে সামনে রেখে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছে। বিশন ডকুমেন্টে দেওয়া প্রতিশ্রুতি গুলি একে একে পূরণ করে চলেছে। রাজ্যের মানুষকে এখন আর তাদের দাবি দেওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে হয় না। রাজ্যের মানুষের কল্যাণের জন্য রাজ্য সরকার নিজে থেকেই ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। আজ ত্রিপুরা রাজ্য সারা ভারতবর্ষের কাছে উন্নয়নের এক মডেল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষ আজ উপলব্ধি করতে পেরেছে বলেই সিপিএম থেকে উন্নয়নের কাজে নিজেকে জড়ানোর জন্য বিজেপি দলে সামিল হচ্ছে। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া মন্ডল সভাপতি রঞ্জিত সূত্রধর সহ শক্তি কেন্দ্রের এবং বুথের নেতৃবৃন্দরা।
ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চূড়ান্ত অবনতি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর বিজেপির হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার স্টেট ইনচার্জ রাজীব বন্দোপাধ্যায় ও সাংসদ সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে আগরতলার বনমালীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বাসভবন ঘেরাও করে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস। চলে অবস্থান বিক্ষোভও।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি, রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগরতলায় বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করে যুব কংগ্রেস। কংগ্রেস ভবন থেকে শহরের বিভিন্ন পথ ঘুরে এসে আবার কংগ্রেস ভবনে শেষ হয়। সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার কুশপুত্তলিকা দাহ করে যুব কংগ্রেস কর্মীরা।