প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২ ডিসেম্বর।। বিজেপির কার্যক্রম বানচাল করতে তিপ্রাসার সঙ্গে তিপ্রসার বিরোধ সৃষ্টি করে অশান্তি সৃষ্টি করবেন না। জনজাতিদের রক্ত ঝরাবেন না। প্রয়োজন হলে আমাকে খুন করে ফেলুন। তবুও জনজাতিদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে উন্নয়ন স্তব্ধ করার ষড়যন্ত্র করবেন না। জনজাতি ভাইদের রক্ত ঝরানোর দরকার নেই। প্রয়োজনে আমি আমার জীবন বলিদান দিয়ে হলেও পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো। শুক্রবার টাকারজলায় যুব জমায়েতে কথাগুলি বলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এদিন টাকারজলা মন্ডলের লাম্প্রা হাটিতে বিজেপির যুব জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল থেকেই সমাবেশ বানচাল করার জন্য উশৃংখলতা শুরু করে তিপরা মথার সমর্থকরা। জনজাতিদের এই সমাবেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। তারপরেও সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বেলা দুইটাই অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন ৭০ বছরে জনজাতীদের সর্বনাশ করে গিয়েছে। কখনো স্বাধীন ত্রিপুরার নাম করে। কখনো রাজ্য ভাগের নাম করে জনজাত্যের বিভ্রান্ত করে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আঠারো সালে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে শান্তি এবং উন্নয়নের কাজ যখন দ্রুত গতিতে চলছিল তখনই পাহাড়ের উন্নয়ন বিরোধী বিভেদগামী শক্তি আবারো পাহাড়ের উন্নয়ন স্তব্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আগরতলায় ঠান্ডা ঘরে বসে ডায়লগ হচ্ছে। শুধু ডাইলগে শান্তি হয়না। আগরতলায় বসে শান্তির বাণী ছড়ানো হচ্ছে আর উন্নয়নের স্বার্থে জাতিদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। রাজীব ভট্টাচার্য আরো বলেন ১৮ সালেও এমন ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বিজেপির কার্যকর্তাদের খুন করা হয়েছিল। সকল ষড়যন্ত্র অত্যাচার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এর রাজ্যের মানুষ পরিবর্তন করেছে। তেমনি আগামী ২৩শে নির্বাচনেও জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে তারা আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে থাকবেন। কারণ জনজাতিরা অশান্তি চায় না। তারা চায় উন্নতি। ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও যে সিপিএম জনজাতিদের উন্নয়নে কোন কাজ করেনি, তাদের মদতেই আজ বিভেদগামী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন আমরা কাজ করেছি বলেই উন্নয়নের পরিসংখ্যান নিয়ে ঘরে ঘরে যাচ্ছি। বিগত দিনে কোন সরকার উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার সাহস করেনি। জনজাতি মোর্চার রাষ্ট্রীয় সভাপতি তথা ত্রিপুরা নির্বাচনী সহ প্রভারী সমীর ওরাং বলেন বিগত ৭০ বছর উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নে কাজ করেনি কংগ্রেস এবং সিপিএম। জনজাতিদের কল্যাণে তাদের কোন সুনির্দিষ্ট ভাবনা ছিলনা। কেন্দ্রীয় সরকার জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প তসরুপ করাই ছিল তাদের মূল কাজ। ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে বিভেদের রাজনীতি করে জনজাতিদের বঞ্চিত করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। তিনি বলেন এই ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ বদলের কান্ডারী আপনারা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে নরেন্দ্র মোদির পাশে থাকুন। এছাড়া এদিনের সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সম্পাদিকা মৌসুমী দাস, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, সাধারণ সম্পাদক রাজেশ দেববর্মা, জনজাতি মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিকাশ দেববর্মা, যুব মোর্চার বিপিন দেববর্মা, ডেভিড দেববর্মা, মন্ডল সভাপতি রবি দেববর্মা, মন্ডল ইলেকশন ইনচার্জ নির্মল দেববর্মা প্রমুখ।
108
previous post