প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৩ এপ্রিল।। যুব মোর্চার সিপাহীজলা (উত্তর) জেলা কমিটির পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিশালগড়স্থিত বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুব মোর্চার জেলা সভাপতি দীপ্তনু দাস, সাধারণ সম্পাদক প্রিতম সাহা, শ্যামল দেবনাথ সহ যুব মোর্চার কার্যকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুষ্পস্তবক এবং বাঁশ বেতের তৈরি উপহার দিয়ে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান নবাদল বণিককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন যুব মোর্চার কার্যকর্তারা। চেয়ারম্যান নবাদল বণিক বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা আমার ওপর বিশ্বাস রেখে এই গুরু দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। রাজ্যের শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানান। তিনি যুব মোর্চার কার্যকর্তাদের বলেন শুধু সরকারি চাকরির মুখাপেক্ষী না হয়ে বিকল্প রোজগারের সুযোগ গ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার বিকল্প দিশা দেখাচ্ছে । নিজে স্বরোজগারী হয়ে অন্যদের কাজের সুযোগ করে দিতে হবে।
রাজনীতি
টিকিট না পেয়ে বিজেপি ছাড়লেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী! কর্নাটক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে শাহ
আংশিক প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পরেই কর্নাটকে প্রকাশ্যে এল বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। টিকিট না পেয়ে বুধবার দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন সে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাদাভি। অন্য দিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার যান বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে, টিকিটের আবেদন জানাতে। মঙ্গলবার কর্নাটকে বিধানসভা ২২৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৮৯টিতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিজেপি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। তার মধ্যে নতুন মুখের সংখ্যা ৫২। অন্য দিকে, ছাঁটাই করা হয়েছে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বিদায়ী বিধায়ককে! অন্য দিকে, কংগ্রেস এবং জেডি(এস) ছেড়ে আসা প্রায় এক ডজন বিধায়ক পদ্ম-চিহ্ন পেয়েছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের খবরও এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কর্নাটক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে বলে দলের একটি সূত্রের খবর।
বেলগাম জেলার নেতা লক্ষ্মণের আতমি কেন্দ্রে নয়া প্রার্থী ঘোষণার পরেই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। একই ভাবে নতুন প্রার্থী মানতে না পেরে দক্ষিণ কন্নড় জেলার প্রভাবশালী মন্ত্রী তথা ৬ বারের বিধায়ক এস অঙ্গারা সক্রিয় রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করেন। তবে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশের হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম নেই বিজেপির আংশিক তালিকায়। মঙ্গলবার জগদীশ বলেছিলেন, ‘‘দল টিকিট না দিলেও আমি ভোটে লড়বই।’’
আগামী ১০ মে এক দফায় বিধানসভা ভোট হবে কর্নাটকে। ১৩ মে ফল ঘোষণা। গত ২৯ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তার ৩ দিন আগেই প্রথম দফায় সে রাজ্যের ১২৪টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। পরে দ্বিতীয় দফায় আরও ৪১ আসনে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জনতা দল (সেকুলার)-ও ইতিমধ্যে অধিকাংশ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। কিন্তু অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই সে রাজ্যে প্রার্থী ঘোষণায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের এত সময় লাগল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ দাবি করেছিলেন। প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পরে সেই দাবি কার্যত মিলে গিয়েছে।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনকে ঘিরে সেবা সপ্তাহের অঙ্গ হিসেবে প্রথম স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগীদের মধ্যে বিষণ মোর্চা বামুটিয়া মন্ডল কমিটির উদ্যোগে ফল মিষ্টি বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।বামুটিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগীদের মধ্যে জেলার সভাপতি সমীর দাস, সাধারণ সম্পাদক শোসেন মালাকার, পশ্চিম জেলার এগ্রী স্টেন্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সমরেশ বিশ্বাস উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও এদিন বামুটিয়া এলাকার কৃষাণ সম্মাননীধি প্রাপকদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে কিষান্মুক্তার সদর গ্রামীণ জেলা কমিটির সভাপতি সমীর দাস বলেন সেবা সপ্তাহ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে দলীয় নির্দেশমতেই বামুটিয়া বিধানসভা এলাকায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সন্ধ্যায় রাজারবাগ মুসলিমপাড়া এলাকায় ৪০ ও ৪১ নং বুথের নাগরিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস, উদয়পুর পুর পরিষদের সহকারী পুরপিতা প্রদীপ দেবনাথ, শক্তিকেন্দ্র ইনচার্জ গোপাল সাহা, এলাকার পুর পারিষদগণ ও বুথ সভাপতিগণ প্রমুখ।
মন্ত্রী স্থানীয় মানুষের নানাবিধ সমস্যাদির কথা শোনেন এবং এলাকার উন্নয়নে তাঁদের পরামর্শ আহ্বান করেন। স্থানীয় মন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে এলাকাবাসী এলাকার নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী তা সমাধানে আশ্বাস দেন এবং বলেন বিগত পাঁচ বছরে এই এলাকায় রাস্তাঘাটের প্রভূত উন্নতি করা হয়েছে। এই এলাকায় রাস্তার কাজ সুসম্পন্ন করা হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নেও পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই বুথে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করায় মন্ত্রী এলাকাবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং সর্বদা তাঁদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন একটা সময়ে রাজারবাগ ছিল দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। বিগত ২৫ বছরে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে কোন পরিকল্পনা করা হয়নি। এলাকাটিকে পুর পরিষদের অন্তর্ভুক্ত করা হলেও পুর এলাকার সুযোগ সুবিধা থেকে এলাকা ছিল বঞ্চিত। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সার্বিক উন্নয়নে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা হয়েছে। আগামী দিনের এই এলাকা প্রকৃতই পুরো এলাকার সর্বশেষ সুবিধা যুক্ত এলাকার হিসেবে গণ্য হবে । তিনি বলেন এলাকার উন্নয়নের প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে শান্তি । আর তাই তিনি সর্বত্র শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আহ্বান জানান। তিনি নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস শব্দটিকে মুছে ফেলতে এই এলাকার কার্যকর্তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। দুই সম্প্রদায়ের মিশ্র বসতি সম্পন্ন এই এলাকায় পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীলতা রাজ্যে সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে জেডিএস ও কংগ্রেস অধিকাংশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও বিজেপি এত দিন পর্যন্ত একটি আসনেও প্রার্থীর নাম জানায়নি। অবশেষে আজ থেকে কর্নাটকের ভোটে বিজেপির প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হল। বিজেপি নেতাদের দাবি, আগামিকাল তেলঙ্গানা-তামিলনাড়ু-কর্নাটক সফর সেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লি ফেরার পরে তাঁর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি ও সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে কর্নাটকের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে।
কর্নাটকের ভোটে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রশ্নে এ বার বিজেপি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে বলে দলের নেতারাও মানছেন। গত কাল গভীর রাত পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত বি এল সন্তোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, কর্নাটকে ভোটের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, সহকারী ভারপ্রাপ্ত মনসুখ মাণ্ডবিয়া, সংগঠনে কর্নাটকের ভারপ্রাপ্ত অরুণ সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। ওই বৈঠকে অবশ্য সন্তোষ ছাড়া কর্নাটকের কোনও নেতা ছিলেন না। এর পরে আজ নড্ডা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে বৈঠক করেন। বোম্মাই বলেন, জেলা ও বিধানসভা কেন্দ্র স্তরে সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই হবে। ২২৪ আসনের বিধানসভায় কয়েকটি বাদে সিংহভাগ আসনেই এক বারে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ার চেষ্টা হবে।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় দেরি নিয়ে কংগ্রেসের কর্নাটকের ভারপ্রাপ্ত নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা প্রশ্ন ছুড়েছেন, মোদী-শাহ-নড্ডারা ভয় পাচ্ছেন কেন? বহু বিজেপি নেতা ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে কি আরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ভয় দেখা দেবে?
বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় দেরি নিয়ে কংগ্রেসের কর্নাটকের ভারপ্রাপ্ত নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা প্রশ্ন ছুড়েছেন, মোদী-শাহ-নড্ডারা ভয় পাচ্ছেন কেন? বহু বিজেপি নেতা ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে কি আরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ভয় দেখা দেবে?
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
শনিবার দুপুর ১২ টায় ৩২ মাতারবাড়ি বিজেপি মন্ডলের উদ্যোগে নব নির্বাচিত বিধায়ক অভিষেক দেবরায় ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় কে সংবর্ধনা দেওয়া হয় । এই সংবর্ধনা সভার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে শুভ উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় । পরে ভারত মাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , মন্ডল সভাপতি মিন্টু চক্রবর্তী ও এমডিসি সম্রাট জমাতিয়া । পরে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠন ও ৩২ মাতাবাড়ি মন্ডল থেকে অর্থমন্ত্রীকে সংবর্ধনা ও গণেশ ঠাকুরের প্রতিকৃতি হাতে তুলে দেওয়া হয় । সেই সাথে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় কে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি প্রতীকৃতি দিয়ে সম্মান জানানো হয় । পরে সংবর্ধনা সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন , বিগত দিনে গত পাঁচ বছরে মাতাবাড়িতে যে কাজ হয়েছে তার পরেও আরো বহু কাজ রয়ে গিয়েছে । সে সকল কাজ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সমাপ্তি করতে হবে এবং এই মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রকে সাজিয়ে তুলতে হবে । একদিকে যেমন ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের আশীর্বাদ রয়েছে অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রী রয়েছে। সর্বদিকে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার কাজ করবে গোটা মাতাবাড়িতে । এদিকে অর্থমন্ত্রী ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন , রাজ্যের উন্নয়নে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার আগেও যেমন কাজ করেছে বর্তমানেও আরো বেশি করে কাজ করবে শহর থেকে গ্রাম। মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রকে আরো কিভাবে উন্নত করা যায় সেদিকে নবনির্বাচিত বিধায়ক আরো বেশি করে কাজ করবে এবং যেকোন প্রকার সাহায্য সহকার জন্য আমার দপ্তর সম্পূর্ণভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে এই মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে । সব মিলিয়ে আগামী দিনে নতুন রূপে সেজে উঠবে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র । আজকের এই দিনে দাঁড়িয়ে বিধানসভা কেন্দ্রে সংবর্ধনা সভায় দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো ।
বাবা জেলে, মেয়েটা একা, মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে সুকন্যার জন্য মমতা, সবাই খেয়াল রাখিস, নির্দেশ
গরু পাচার কাণ্ডে বাবা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বাড়িতে ‘একা’ হয়ে গিয়েছেন মাতৃহারা সুকন্যা মণ্ডল। আদালতের নির্দেশে চাকরিও গিয়েছে। দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পরে বাবার ঠিকানা এখন তিহাড় জেল। বার বার ইডি তলব করছে সুকন্যাকেও। এই পরিস্থিতিতে দলের নেতাদের কী করা উচিত তার পরামর্শ ও নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নিজের বাড়িতে বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানেই নেতাদের মমতার নির্দেশ, সকলেই যেন সুকন্যার খেয়াল রাখেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, এমনটা বলার সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় সত্যিই স্নেহের ছোঁয়া ছিল। বৈঠকে উপস্থিত এক তৃণমূল নেতার কথা অনুযায়ী, মমতা বলেন, ‘‘কেষ্ট এখন জেলে রয়েছে। মেয়েটা একা আছে! তোরা ওর বাড়ির খোঁজ-খবর রাখিস।’’মমতা তথা তৃণমূল যে অন্য গ্রেফতার হওয়া নেতাদের তুলনায় বেশি করে অনুব্রতের পাশে আছে তা আগেও স্পষ্ট হয়েছে। ‘মন্ত্রী’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ একে একে গ্রেফতার হওয়া বাকিদের দল বহিষ্কার করলেও অনুব্রত এবং পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবে অনুব্রত আরও এগিয়ে। কারণ, গ্রেফতারের পরে মমতা এমনটাও বলেছিলেন যে, মুক্তি পেলে ‘বীর’-এর সম্মান দেওয়া হবে অনুব্রতকে। কেষ্টর বিষয়ে যে দল নরম তা বুঝিয়ে শুক্রবারের বৈঠকেও বীরভূমে জেলা সভাপতি বদল করা হয়নি। তিহাড়ে বসেও বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি রয়ে গিয়েছেন অনুব্রত।অন্য দিকে, চাপে রয়েছেন সুকন্যাও। পর পর দু’দিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। গত বছর অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হন। এর পরে সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই সময় সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, সুকন্যার বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলেও তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই (যিনি এখন ইডি হেফাজতে) দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে জানা যায়, সেই কারণেই অনুব্রত ও সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবা হয়। তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, তাতে রহস্যের জট অনেকটাই খুলবে। যদিও সেটা এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কারণ, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সুকন্যা দিল্লি যাননি।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৪ মার্চ।।
জাতীয়স্তরে আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম স্থান দখল করলো বিশালগড়ের কৃতি সন্তান বিশ্বজিত দেবনাথ। দেশের প্রথম সারির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা প্রশিক্ষণকেন্দ্র আইআইটির জয়েন্ট এডমিশন টেস্ট ফর মাস্টার্স পরীক্ষায় জাতীয়স্তরে ৪৬০ র্যাঙ্ক এবং রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম স্থান অধিকার করেছে বিশালগড়ের তেবাড়িয়া এলাকার চাষী ললিত দেবনাথের পুত্র বিশ্বজিত দেবনাথ। কৃতী ছাত্রের পিতা ললিত দেবনাথ শারীরিক অসুস্থতায় সজ্জা শায়ী । মা বিড়ি শ্রমিক। পারিবারিক অভাব অনটন নিত্যসঙ্গী। আর্থিক প্রতিবন্ধকতা মেধার বিকাশে বাধা হতে পারেনি। একাগ্রতা আর কঠোর অধ্যাবসায় অনন্য নজির গড়ল বিশ্বজিৎ। টিউশন পড়ার সুযোগ ছিলনা। শুধুমাত্র ইন্টারনেটকে পুঁজি করে সফলতার গন্ডি ছুঁয়েছে এই মেধাবী ছাত্র। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কৃতি ছাত্র বিশ্বজিতের বাড়িতে ছুটে যান বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব। বিশালগড় মহকুমা শাসক বিনয় ভুষন দাসকে সঙ্গে নিয়ে কৃতি সেই সন্তানের উৎসাহ বর্ধনের পাশাপাশি আগামী দিনে যেকোন সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বিধায়ক সুশান্ত দেব তৎক্ষনাত তার হাতে কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে পরবর্তী ধাপে আরও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অভাবী পরিবারের ছাত্রের সফলতায় খুশি স্থানীয়রা। অসুস্থ বাবা এবং মা চাইছে ছেলেকে উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে সকলের সহযোগিতা।
সংসদের কোনও ঘরে বসে দল নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা করা যাবে না। তা সে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরে লোকসভা বা রাজ্যসভার কক্ষেই হোক, অথবা সেন্ট্রাল হল কিংবা দলীয় কার্যালয়ে। আজ সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এমনটাই স্থির হয়েছে বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর।
সকালে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কক্ষের সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে দলের শৃঙ্খলারক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উত্থাপন করা হয়। পরে রাজ্যসভার কয়েক জন সাংসদও যোগ দেন ওই বৈঠকে। তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশ, মানুষের স্মৃতি দুর্বল। ফলে সংসদীয় অধিবেশন শেষ হয়ে গেলে সাংসদদের নিজ নিজ নির্বাচনী ক্ষেত্রে ফিরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত কর্মসূচির ‘সুফল’ ফের মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে। তার জন্য যাবতীয় কৌশল নিতে হবে। লোকসভার সাংসদদের আরও বেশি করে জনসংযোগ বাড়াতেও নির্দেশ দিয়েছেন সুদীপ।
তৃণমূল সাংসদদের একাংশের অভিযোগ, কোনও কোনও নেতা সংসদীয় অফিসে বসে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে কুবাক্য বলছেন, সর্বসমক্ষে সমালোচনা করছেন। অবিলম্বে এটা বন্ধ করার দাবি তোলেন তৃণমূলের হাওড়ার সাংসদ-ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, প্রসূন বলেন, এক জন ফুটবলার হিসেবে তিনি নিজেকে ‘টিমম্যান’ মনে করেন। রাজনীতিতেও সেই ভূমিকা বজায় রেখে একজোট হয়ে ‘স্পিরিট’ ধরে রেখে সংসদীয় কাজকর্ম করতে চান। সূত্রের আরও বক্তব্য, প্রসূন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে সমালোচনা করেন। বলেন, অন্যায় ভাবে দলের সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে প্রত্যহ খারাপ কথা বলা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। জানা গিয়েছে, দলের লোকসভার নেতাও প্রসূনকে সমর্থন করে বলেন, সংসদে বসে দলের কারও সম্পর্কে কটু কথা বলা চলবে না। সংসদে কী ভাবে কাজ করা হবে, তা নিয়েই আলোচনা করতে হবে। সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে সুদীপকে সমর্থন করেন উপস্থিত সাংসদেরা।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৪ মার্চ।। বিশালগড় দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় কতৃপক্ষ সংবর্ধিত করলেন তাদের প্রিয় ছাত্র তথা নবনির্বাচিত বিধায়ক সুশান্ত দেবকে। মঙ্গলবার স্কুলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই স্কুলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে সুশান্ত। কৈশোর কাটিয়ে যৌবনে পা রেখেছে এই স্কুলে পড়া কালে। পড়াশোনার পাশাপাশি বেশ দুষ্ট ছিলেন সুশান্ত। তবে খেলাধুলার প্রতি অধিক আগ্রহ ছিল। সেদিনের আদরের ছাত্র আজ বিধায়ক। স্বাভাবিক কারণেই বাড়তি উচ্ছ্বাস রয়েছে স্কুলে। মঙ্গলবার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন আমি আজও ছাত্র হিসেবে স্কুলে এসেছি। আমাকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে বিশালগড়ের জনতা। স্কুলে পড়াশোনা চলাকালীন যেভাবে আপনারা আমাকে ভুল ধরিয়ে দিতেন, শাসন করতেন। ঠিক তেমনি মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমার কোথাও ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। বিশালগড়ের সার্বিক কল্যাণ আমার লক্ষ। সকলের আশীর্বাদ সুপরামর্শ নিয়ে আমি কাজ করবো।