কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে জেডিএস ও কংগ্রেস অধিকাংশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও বিজেপি এত দিন পর্যন্ত একটি আসনেও প্রার্থীর নাম জানায়নি। অবশেষে আজ থেকে কর্নাটকের ভোটে বিজেপির প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হল। বিজেপি নেতাদের দাবি, আগামিকাল তেলঙ্গানা-তামিলনাড়ু-কর্নাটক সফর সেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লি ফেরার পরে তাঁর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি ও সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে কর্নাটকের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে।
কর্নাটকের ভোটে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রশ্নে এ বার বিজেপি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে বলে দলের নেতারাও মানছেন। গত কাল গভীর রাত পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত বি এল সন্তোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, কর্নাটকে ভোটের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, সহকারী ভারপ্রাপ্ত মনসুখ মাণ্ডবিয়া, সংগঠনে কর্নাটকের ভারপ্রাপ্ত অরুণ সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। ওই বৈঠকে অবশ্য সন্তোষ ছাড়া কর্নাটকের কোনও নেতা ছিলেন না। এর পরে আজ নড্ডা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে বৈঠক করেন। বোম্মাই বলেন, জেলা ও বিধানসভা কেন্দ্র স্তরে সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই হবে। ২২৪ আসনের বিধানসভায় কয়েকটি বাদে সিংহভাগ আসনেই এক বারে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ার চেষ্টা হবে।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় দেরি নিয়ে কংগ্রেসের কর্নাটকের ভারপ্রাপ্ত নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা প্রশ্ন ছুড়েছেন, মোদী-শাহ-নড্ডারা ভয় পাচ্ছেন কেন? বহু বিজেপি নেতা ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে কি আরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ভয় দেখা দেবে?
বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় দেরি নিয়ে কংগ্রেসের কর্নাটকের ভারপ্রাপ্ত নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা প্রশ্ন ছুড়েছেন, মোদী-শাহ-নড্ডারা ভয় পাচ্ছেন কেন? বহু বিজেপি নেতা ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে কি আরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ভয় দেখা দেবে?