প্রতিনিধি , উদয়পুর :- অক্টোবর মাসের শেষের দিকেই উদয়পুর মাতা বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে দেওয়ালি মেলা । এই মেলা কে কেন্দ্র করে দেশ ও বিদেশের লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী মাতাবাড়িতে অংশ নেয় । দেওয়ালী মেলাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রশাসন গোটা মাতারবাড়ি পর্যবেক্ষণ করেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। ঘুরে দেখেছে গোটা মন্দির চত্বর এলাকা সহ মেলা প্রাঙ্গণ । এদিন গোমতী জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায়, সহ-সভাধিপতি সুজন কুমার সেন ও বিধায়ক অভিষেক দেবরায় সহ প্রমূখ । মাতাবাড়ি দেওয়ালি মেলায় মেলা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক স্টল ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রদর্শনী কোথায় দেখানো হবে সেসব বিষয়গুলি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে। সেই সাথে মায়ের মন্দির কিভাবে নতুনভাবে সাজানো যায় তা নিয়েও এদিন আলোচনা করেন বিধায়ক। ইতিমধ্যেই মন্দিরের কাজকর্ম নতুনভাবে শুরু হয়েছে। অন্যদিকে মাতাবাড়ি প্রসাদ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। মেলায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা এবং পুলিশ কর্মীরা কোথায় তাদের রাত্রিযাপন করবে সেইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এদিন। সব মিলিয়ে মাতারবাড়িতে এক আলোর উৎসবের প্রস্তুতি যেন উৎসবের দিনে কোন ধরনের ঘাটতি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই জোর কদমে চলছে মেলার প্রস্তুতি ।
বিনোদন
- প্রতিনিধি, উদয়পুর :- রাজ্যে বর্তমানে চলছে উৎসবের মরসুম । দুর্গাপূজার পরে এবার অনুষ্ঠিত হলো দেবী লক্ষ্মীর পুজো । গোমতী জেলার উদয়পুরে প্রতিটি ঘরে ঘরে পূজিত হয় দেবী লক্ষ্মী । এই বছর উদয়পুরে ব্যতিক্রমী লক্ষ্মীবাজার দেখতে পাওয়া যায় । বন্যার কারণে বিভিন্ন গ্রামীন এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে এর ফলে ক্ষতির শিকার হয়েছে মৃৎশিল্পীরা । তারফলে প্রতিমা তৈরিতে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হয় মৃৎশিল্পীদের । এর ফলে উদয়পুর বাজারে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং ২০০০ টাকা পর্যন্ত লক্ষ্মীর প্রতিমা বিক্রি করা হয় । অন্যদিকে ফলের দাম ছিল উর্ধ্বগতি । শসার কেজি ছিল ১০০ টাকা দরে । লক্ষ্মীর নাড়ু তৈরি করতে গিয়ে গুড়ের দাম দিতে হয়েছে ১৪০ টাকা দরে । তারপরেও প্রতিটি ঘরে দেবী লক্ষ্মী পূজিত হয় । অন্যদিকে উদয়পুরে বাজির বাজারে ব্যাপক দাম দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন বাজির । সবমিলিয়ে ধনদেবী লক্ষ্মী পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি সনাতনী হিন্দু ঘরে ঘরে দেবী লক্ষ্মীর পূজা জাঁকজমক পূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এক আনন্দ কোন উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে গোটা উদয়পুর।
- প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৪ অক্টোবর।। বিশালগড়ে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল দুর্গোৎসব। সোমবার সাড়া জাগানো কার্নিভালের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় অসুর বিনাশিনী দেবী দুর্গাকে। এবারে দ্বিতীয়বারের মতো কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। সুশান্ত দেব বিশালগড়ের বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর গত বছর প্রথমবার বিশালগড়ে কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিশালগড় মহকুমা প্রশাসন, পৌর পরিষদ এবং বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় এই কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বিশালগড় ব্রিজ চৌমুহনীতে আয়োজিত কার্নিভালের অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিধায়ক অন্তরা দেব সরকার, বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন, সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিশালগড় পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, জেলাশাসক সিদ্ধার্ত শিব জয়সওয়াল, মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সদস্য গৌরাঙ্গ ভৌমিক, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপন দাস প্রমূখ। মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এবং স্থানীয় শিল্পীরা দলগত সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর একে একে ক্লাবগুলি সারিবদ্ধভাবে প্রতিমা নিয়ে কার্নিভালে অংশ নেন। ক্লাব গুলির পক্ষ থেকেও অনুষ্ঠান মঞ্চ প্রাঙ্গনে নৃত্য পরিবেশন করেন। সুসজ্জিত কার্নিভালে মোট ১৩ টি ক্লাব অংশ নিয়েছেন। এরপর সরকারি ব্যবস্থাপনায় রঘুনাথপুর বিজয় নদে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। বিধায়ক সুশান্ত দেব ভাষণে বলেন সকলের সহযোগিতায় বিশালগড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিক বন্যায় চরম ক্ষতি হয়েছে বিশালগড়ের। এরপরেও এলাকার সনাতনী সমাজ দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে। কার্নিভালে বিভিন্ন ক্লাবগুলি অংশগ্রহণ এক ইতিবাচক বার্তা বহন করে। আমরা সবাই মিলে দেবী দুর্গার আশীর্বাদ বিশালগড় কে শ্রেষ্ঠ বিশালগড় হিসেবে গড়ে তুলবো। কার্নিভালকে কেন্দ্র করে সোমবার বিকাল থেকেই সাজো সাজো রব বিশালগড়ে। সন্ধ্যা রাতে কার্যত জন ঢল নামে। কার্নিভাল উপভোগ করতে কয়েক হাজার নর নারী উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তমীর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই উদয়পুরে বিভিন্ন পুজো মন্ডপে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায় সন্ধ্যা থেকে
উদয়পুর প্রতিনিধি : ষষ্ঠীতে উদয়পুরে ভারী বৃষ্টিপাত থাকার কারণে মন ভেঙেছিল দর্শনার্থীদের । কিন্তু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠে পরিস্থিতি। সপ্তমীর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই উদয়পুরে বিভিন্ন পুজো মন্ডপে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায় সন্ধ্যা থেকে । নতুন পোশাক পরিধান করে দর্শনার্থীরা মন্ডপে মন্ডপে ভিড় জমান ঠাকুর দেখার জন্য। গোটা শহর জুড়ে আলোক মালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে নানা বাহারি রঙে রঙিন হয়েছে শহর উদয়পুর। যত রাত বাড়তে থাকে তত ভিড় বাড়তে থাকে পুজো মণ্ডপ গুলিতে । নানা থিম তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ক্লাব গুলিতে । মহকুমা ছাড়িয়ে জেলা থেকে বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরা ভীড় জমান বিভিন্ন পূজো মন্ডপে এবং সাথে বহু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে্য দেখা যায় এদিন । ফুটপাতে ব্যবসা করা ছোট বড় দোকানিরা তাদের খাবারের দোকান যেভাবে সাজিয়ে বসেছে তাতে করে ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন দোকানগুলিতে । রাতের শহর উদয়পুরে যাতে কোন ধরনের সমস্যা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার । পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নাকা চেকপোস্ট থেকে শুরু করে ট্রাফিক গেইট বসানো হয়েছিল। যাতে শহরের কোথাও ভিড় না জমতে পারে যানবাহন গুলির । প্রতিনিয়ত প্রশাসন থেকে দেওয়া হচ্ছিল টহলদারি । সবমিলিয়ে সপ্তমীর রাত কেটেছে উদয়পুরে ব্যাপক জমজমাট ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৮ অক্টোবর।। দেবী দশভুজা দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হয়েছে রাজ্যের জনজাতিরা। গোলাঘাটি বিধানসভার জনজাতি অধ্যুষিত গাবর্দি এলাকা প্রবাহমান কালের সনাতনী সংস্কৃতির আধারে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর তারা দেবী বন্দনায় ব্রতী হয়। এবারেও ব্যতিক্রম হয়নি। আরম্বরতা না থাকলেও পূজা মন্ডপগুলিতে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া থাকে । এবছর আর্থিক কারণে গাবর্দী এলাকার কয়েকটি পূজা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সকলের সহযোগিতায় দেবী বন্দনায় ব্রতী হয় তারা। আয়োজকদের উৎসাহ প্রদানে সহযোগিতার হাত বাড়ান বিশালগড়ের বিধায়ক তথা যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি সুশান্ত দেব। মঙ্গলবার দুটি মহিলা পরিচালিত পূজা সহ কয়েকটি পূজায় অর্ঘ্য প্রদান করেন তিনি। আয়োজকদের আপ্যায়নে আমরা সকলে অভিভূত বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন রাজ্যের জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষ দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে। জাতি জনজাতি সকল নাগরিকদের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন শ্রী দেব।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ১৫৪ বছরে পদার্পণ করলো গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়ের বাড়ির দুর্গাপূজা । এই নিয়ে শ্রী দেব রায়ের বড় ভাই আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান , দুর্গাপূজাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ব্রার্মনবাড়ি মহকুমার প্রত্তন গ্রামে। বর্তমানে চতুর্থ প্রজন্ম এই পূজোটি করে যাচ্ছে । পুজোর চার দিন বাড়িতে নানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং সপ্তমী থেকে নবমী তিন দিন অন্ন ভোগের ব্যবস্থা থাকে বাড়িতে । বর্তমানে দেবরায় বাড়ির দুর্গাপূজা নামেই এই পূজাটি পরিচিতি লাভ করেছে । পালাটানা এলাকার সমস্ত অংশের জনগণ দুর্গাপূজায় যুক্ত হয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশে মেতে ওঠে । এখনো বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন যোগাযোগ রেখে চলেছে এই পূজা কে কেন্দ্র করে । জিলা সভাধিপতির ভাই জানান , এই বছর একটি বাড়তি আনন্দ রয়েছে বাড়ির সকল সদস্যদের মধ্যে । তার কারণ , বাড়ির ছেলে জিলা সভাধিপতি হয়েছেন । তার জন্য আরও একটি বাড়তি আনন্দ যোগ হয়েছে এবারের দুর্গাপূজায় । মা যেন সকলকে সুখে শান্তিতে রাখে সে কামনা করেন তিনি। তিনি আরো জানান বাড়ির এই মন্ডপে তৈরি হয় দুর্গার কাঠামো। যা চিরাচরিতভাবে যুগের পর যুগ এভাবেই চলে আসছে। স্থানীয় শিল্পীর দ্বারা তৈরি হয় মা দুর্গার প্রতিমা। সব মিলিয়ে গোমতী জিলা সভাধিপতির বাড়ির দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে এক উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে গ্রামীন এলাকার সাধারণ মানুষ ।
চতুর্থীর সন্ধারাতে অর্থমন্ত্রী হাত ধরে উদ্বোধন হলো উদয়পুর ফ্লাওয়ার্স ক্লাবের দুর্গাপূজা ।
- প্রতিনিধি, উদয়পুর : মহা চতুর্থীর সন্ধ্যার রাতে উদ্বোধন হয়ে গেল উদয়পুর ফ্লাওয়ার্স ক্লাবের এই বছরের দুর্গা পুজো । উদয়পুর সেন্ট্রাল রোড থেকে পায়ে হেঁটে অর্থমন্ত্রী বাজার পূজো উদ্বোধন করতে আসেন মন্ত্রী যা এক ব্যতিক্রমী চিত্র দেখল উদয়পুরবাসী । এদিন ফিতা কেটে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে তার শুভ উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার,ক্লাব সভাপতি প্রাণ গোবিন্দ দাস , সম্পাদক কমল জিত সাহা , এলাকার অভিভাবক জয়পাল কান্তি সাহা সহ প্রমুখ । ঐদিন উদ্বোধনী মঞ্চে অর্থমন্ত্রী ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন , এই বছর ভয়াবহ বন্যা সাক্ষী হয়েছে উদয়পুর । এর ফলে আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছে সাধারণ মানুষ । তারপরেও দৌড় গোড়ায় এসে হাজির দুর্গাপূজা । মন্ত্রী বলেন , সমস্ত দুঃখ-দুর্দশাকে পেছনে ফেলে আগামী দিনে এই চার দিন যেন উৎসবের মেজাজে সকলে আনন্দ করতে পারে তার আবেদন রাখেন তিনি । এছাড়া তিনি বলেন , বন্যা কবলিত এলাকা গুলিতে বিভিন্ন ক্লাব সামাজিক সংস্থা ও সংবাদ মাধ্যম নানাভাবে সাহায্য করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। আজকে এই উদ্বোধনী মঞ্চে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে যেভাবে পড়াশুনা সামগ্রী তুলে দেওয়া হলো ফ্লাওয়ার্স ক্লাবের উদ্যোগে তা খুবই প্রশংসার যোগ্য । উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অর্থমন্ত্রীসহ সমস্ত অতিথিরা ঘুরে দেখেন গোটা মন্ডপ । দর্শন করেন মা দুর্গাকে সেই সাথে এই বছরের ফ্লাওয়ার্স ক্লাবের উদ্যোগে যে লাইট এবং সাউন্ড শো করা হয়েছে । তা দেখে খুবই আনন্দিত হয়েছে সকল অতিথিরা। একদিকে বলা চলে ফ্লাওয়ার্স ক্লাবের এক সময় বড় গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী যা তার নিজের পাড়ার ক্লাব। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী হিসেবে ক্লাবের মন্ডপের ফিতা কেটে যেভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে তা খুবই আনন্দমুখর হয়ে ওঠে গোটা দুর্গাপূজা দেখতে আসা বাজার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে অন্যান্য দর্শনার্থীরা ।
বাঙালী জাতির প্রতি শারদোৎসবের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পূজার প্রাক্ লগ্নে আজ পদ্মপুর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আপামর বাঙালী জাতির প্রতি শারদোৎসবের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ের হল ঘরে।হল সজ্জা, মঞ্চ সজ্জা, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে সুনিপুনভাবে সাজিয়ে মঞ্চস্থ করানো সবই ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই করে। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা অনুষ্ঠানকে সার্থক করে তুলতে সর্বোচ্চ ভূমিকা গ্রহণ করে।আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় থেকে সদ্য অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত কুমার দাস এবং সদ্য অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নিত্যানন্দ নাথ মহোদয়গণ।এছাড়া বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষা পান্না দেবনাথ মহোদয়াসহ অন্যান্য সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গীত,নৃত্য পরিবেশনার পাশাপাশি শিক্ষিকারাও নাচ গানে অংশগ্রহণ করেন।ছাত্রদের পরিবপশনাই হউক বা শিক্ষকদের পরিবেশনা, প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান পরিবেশনাই ছিল হৃদয় স্পর্শী।মঞ্চ ও হল সজ্জার ক্ষেত্রে সুকুমার শিল্পের ছোঁয়া ছিল ভরপুর।পুরো অনুষ্ঠানটাই এতো নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ ছিল যে,ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছিল না।এই বয়সের ছাত্রছাত্রীদের ভেতরে যে,এতো শৈল্পিক- সৃষ্টিশীলতার অভিব্যক্তি লুকিয়ে ছিল এই অনুষ্ঠান সামনাসামনি না দেখলে বোঝার উপায় ছিল না।বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আজকের অনুষ্ঠানের সার্বিক সৌন্দর্য্য দিয়ে বোঝিয়ে দিয়েছে যে,ওদের স্যার-মেডামরা ওদেরকে শুধু পড়াশোনা করানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন না,ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক বিকাশে এই বিদ্যালয়ের জুড়ি মেলা ভার। এখানে বিশেষ উল্লেখ্য বিষয় হচ্ছে, এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সুকুমার শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিশাল ভূমিকা পালন করে চলেছেন। শারদীয়া উপলক্ষে আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষা পান্না দেবনাথ মহোদয়া ছাত্রছাত্রীদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন
কৃষ্ণপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অপি দেবনাথ কে তার দশম স্থান অধিকার করার জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হল।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। শুক্রবার এক সংবর্ধনা সভার মাধ্যমে কৃষ্ণপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রাজ্যে টিবিএসই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম স্থান অধিকারকারী অপি দেবনাথ কে এক সংবর্ধনা দেওয়া হল। এই সংবর্ধনা সভায় মুখ্য বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবরাজ নগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের হেডমাস্টার ধনঞ্জয় দেববর্মা সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বেশ প্রতিকূলতার মধ্যে যেখানে সঠিকভাবে শহরের উন্নত মানের শিক্ষক রাখার সাধ্য নেই ঘরে সামান্য বৃষ্টি হলেই জল পড়ে সেই পরিবেশ থেকে অপি দাস বিজ্ঞান বিভাগে দশম স্থান অধিকার করেছে। উদ্বোধক ভবতোষ দাস বলেন একসময় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আবার ঘুরে আসছে। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় এতই খ্যাতিসম্পন্ন এবং বই পত্রের উপর স্থিতিশীল ছিল যে বহিরাগতরা ভেবেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয় যদি ভারতীয়রা সঠিক শিক্ষা প্রদান করে তবে তারাই পৃথিবীতে এক নম্বর জায়গা দখল করে নেবে। তাই ৯০ লক্ষ এই বিদ্যালয়ের পুস্তক জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল বিদেশীরা। এখন নরেন্দ্র মোদী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবার কোন প্রতিষ্ঠা করতে উদযোগী হয়েছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কারণে দেশে নয়া শিক্ষানীতি প্রবর্তিত হচ্ছে যা দেশকে আরো উন্নতির পথে এগিয়ে নেবে বলে সবাই আশাবাদী। প্রচন্ড দারিদ্রতা থাকা সত্ত্বেও অপি দেবনাথ যদি তার একাগ্রতার জন্য করে দেখাতে পারে তাহলে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা কেন পারবে না তার ব্যাখ্যা দেন উদ্বোধক। যুবরাজ নগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস বলেন প্রচন্ড সংঘর্ষের মধ্যে যদি অপি দেবনাথ সহ তিনজন ৮৫% এর উপরে মার্কস পেয়েছে এই গ্রাম্য স্কুল থেকে করে দেখাতে পারে তবে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের বলেন তোমরাও এগিয়ে আসো। যেকোনো অসুবিধার সৃষ্টি হলে বা সমস্যার সৃষ্টি হলে তা তিনি ব্যক্তিগতভাবে সমাধান করে দেবেন যদি উনার সাথে যোগাযোগ করা হয়। তাছাড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি এই বিদ্যালয় এবং উনার প্রাথমিক স্তরের বিদ্যালয়ের জন্য কি কি করেছেন তা তুলে ধরেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধনঞ্জয় দেববর্মা বলেন কিছু কিছু অসুবিধার সৃষ্টি হলেও এইরকম ভালো ফলাফলের উপর সকলের নজর পড়ে। আর নজর পড়লেই যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা সকলে মিলে সমাধানে এগিয়ে আসবে। এই বিদ্যালয়ের দুপুরের কক্ষে প্রায় ১০০০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে এবং শিক্ষকের সংখ্যা ২২ জন। শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য সার্বিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত এবং বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে তিনি জানান
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উদয়পুর সাংস্কৃতিক মঞ্চের ব্যবস্থাপনায় ও তথ্যসংস্কৃতি দপ্তর এবং উদয়পুর পৌর পরিষদের সহযোগিতায় বিশ্ব সংগীত দিবস এবং বিশ্ব যোগা দিবস উদযাপন করা হয় উদয়পুর টাউনহলে. তাছাড়া কৃতি ও গুণীজনদের সংবর্ধনা করা হয় এ দিন l মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন গোমতী জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি দেবল দেবরায় । এছাড়া ছিলেন , রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য মনোজিৎ ধর , বিশিষ্ট সমাজ সেবক ত্রিদীপ কান্তি দাস , তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক সুমন দাস সহ প্রমূখ । এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অতিথিরা বলেন , মানুষের জীবনের সাথে সংগীত ও যোগা সব সময় জড়িত। প্রাচীন কাল থেকেই যোগা এ ভারতবর্ষে ঋষি মুনিরা পরম্পরাগত করে এসেছে এবং বিভিন্ন সময় যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে এই যোগাসন গোটা দেশে বিভিন্ন রকম ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ভারত সরকার বিশ্ব যোগা দিবস হিসাবে তাকে গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছে দেশের প্রধানমন্ত্রী। অপরদিকে আজ বিশ্ব সংগীত দিবস। এ দিবসকে কেন্দ্র করে সংগীত জগতের সাথে জড়িত ছোট থেকে বড় সমস্ত অংশের মানুষ আজ এ সংগীতকে নানাভাবে পালন করে গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। এর থেকে বাদ যায়নি গোমতী জেলার উদয়পুর মহকুমা। আগামী দিনেও বিশ্ব যোগা দিবস এবং সংগীত দিবস পালন করা হবে যথাযথভাবে। গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংগীত প্রেমী সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো সেইসাথে বিভিন্ন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী এবং ছোট বড় সংগীত প্রেমী সকল অংশের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো । পাশাপাশি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে বিভিন্ন স্থান অধিকারীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।