প্রতিনিধি, উদয়পুর :-উন্নত ব্যাংক পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে উদয়পুরে । এবার স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া উদয়পুর রমেশ চৌহমুনীতে সিডিএম মেশিনগুলি বিকল হয়ে পড়েছে দীর্ঘ চার দিন ধরে । এর ফলে ভোক্তারা নিজেদের টাকা জমা দিতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে । কিন্তু কেন উদয়পুর শহরের ব্যস্ততম জায়গা রমেশ চৌহমুনীতে এই ধরনের মেশিন বিকলের সমস্যায় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া উদয়পুর শাখা মেরামতির কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে না তার পেছনে কি কারণ রয়েছে সেটা বুঝে উঠতে পারছে না গ্রাহকরা । এই শহরের এই ব্যস্ততম রমেশ চৌহমুনীর মত জায়গায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ ও শয়ে শয়ে গাড়ি যাতায়াত করে জাতীয় সড়ক ধরে। বিভিন্ন সময় কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অফিস কর্মচারী এবং বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার কাজের টাকা জমা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । এই ধরনের সমস্যা কয়েক মাস পর পরেই ঘটে থাকে উদয়পুরের বুকে । কেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার উদয়পুর শাখার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের সাড়া শব্দ করছে না । এরফলে গ্রাহকরা ভোগান্তির শিকার । এখন দেখার সংবাদ সম্প্রচারিত হওয়ার পর কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ব্রাঞ্চ আধিকারিকরা ।
দেশ
ধর্মনগর প্রতিনিধি। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। মমতা ব্যানার্জি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের উপর অত্যাচার করছে। বিজেপির জেলা কার্য্যালয়ে সাংগঠনিক বৈঠক শেষে এমনটাই বললেন বিজেপির উত্তর জেলার সভাপতি কাজল দাস। ২৬শে মে রবিবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাসদর ধর্মনগর শহরের পদ্মপুরস্থিত বিজেপির জেলা কার্য্যালয়ে একটি সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বৈঠকে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এই বৈঠক শেষে জেলা সভাপতি উনার পশ্চিমবঙ্গ সফর সম্পর্কে বলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সাধারণ মানুষের উপর যেভাবে অত্যাচার সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাতে যুব সমাজ হতাশাগ্রস্থ। এই অত্যাচার সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মনে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে সুপ্ত একটা ভাবনা তৈরী হচ্ছে যার প্রভাব ভোটবাক্সে পরবে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে অধিকাংশ TMC-র আসন হাতছাড়া হবে। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি কাজল দাস,সহ সভাপতি জহর চক্রবর্ত্তী,UTZP সভাধিপতি ভবতোষ দাস, যুবারাজনগর RD ব্লকের চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস, মহিলা মোর্চার ধর্মনগর মন্ডলের সভানেত্রী রুপালী অধিকারী,বিজেপির ধর্মনগর মন্ডলের সভাপতি শ্যামল নাথ, যুবারাজনগরের মন্ডল সভাপতি নান্টু গোস্বামী,কুর্তি কদমতলার মন্ডল সভাপতি রাজা ধর,কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব, UTZP সদস্য দিলীপ বর্ধন, জেলা সম্পাদিকা গায়ীত্রী ঘোষ,জেলা সোশ্যাল মিডিয়া ইনচার্জ অনন্ত দাস সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা।
এ বছর ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় নবম স্থান অধিকারী রিসভ ছন্দ।
এ বছর ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় নবম স্থান অধিকারী রিসভ ছন্দ। সে উত্তর জেলার স্বনামধন্য নর্থ পয়েন্ট টু ক্লাস স্কুলের ছাত্র। এ বছরের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত পরীক্ষায় সে ৪ ৮২ নম্বর পেয়ে নবম স্থান লাভ করে। তার এই ফলাফলে সে এবং তার পরিবার অত্যন্ত খুশি বলে জানায়। সে প্রথমে তার এই সাফল্যের খবর জানতে পারে ত্রিপুরা দর্পণ পত্রিকার ধর্মনগরের প্রতিনিধির মাধ্যমে । তার বাবার নাম রামানুজ চন্দ । পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মা শিল্পী চন্দ গৃহিণী। সে মা-বাবার একমাত্র সন্তান। রিশব এক সাক্ষাৎকারে জানায় তার মোট চারজন গৃহ শিক্ষক ছিল। সে প্রতিদিন নিয়মিত এবং প্রয়োজনমতো পড়াশোনা করতো। গড়ে আট থেকে নয় ঘণ্টা পড়তো। তার প্রিয় সাবজেক্ট গণিত। সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক করতে চায় । পড়াশোনার পাশাপাশি সে ক্রিকেট খেলা পছন্দ করে এবং কিছু কিছু সময় ক্রিকেট খেলে, সে গান করে ক্লাসিকেল এ বিশারদ রয়েছে। সে এ বছর নজরুল এ বিশারদ দেবে বলে জানায়।
তার এই সাফল্যে সে তার মা-বাবার পাশাপাশি নর্থ পয়েন্ট টুয়েলভ ক্লাস স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং তার গৃহ শিক্ষক শিক্ষিকাদের অবদানের কথা জানায় । তার এই সাফল্যের সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই তার বাড়িতে যান ধর্মনগর নর্থ পয়েন্ট টুয়েল্ভ ক্লাস স্কুলের পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান ডক্টর রজত ভট্টাচার্য,ভাইস চেয়ারম্যান দেবব্রত চক্রবর্তী, সেক্রেটারি দেবময় ভট্টাচার্যী, কোষাধ্যক্ষ রাহুল ব্যানার্জী এবং তার এই সাফল্যের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান । বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শশাঙ্ক্ষ শেখর দাস বিশেষ কারণে দিল্লিতে থাকায় তিনি সেখান থেকে ফোন যুগে তার সঙ্গে কথা বলেন, তার সাফল্যে তাকে অভিনন্দন জানান এবং তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তাকে উৎসাহিত করেন বলে জানায় । বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির প্রতিনিধি সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা , অধিক্ষক কর্মী , ছাত্রছাত্রী সকলে ই তার এই সাফল্যে খুশি বলে জানা যায় এবং পাশাপাশি সকলেই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-এলাকাতে বিদ্যুৎ অনিয়মিত পরিষেবা নিয়ে কাঠগোড়ায় বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা। অভিযোগ সাব স্টেশন থেখৈ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে বাড়িতে চলে যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। ঘটনা হেজামারার বিদ্যুৎ সাব ডিভিশনের অধীন কাতলামারায়।
কাতলামারা এলাকায় পৃথক বিদ্যুৎ সাবস্টেশন স্থাপন হলেও পরিষেবার উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়। এলাকার মানুষ হেল্পলাইন নাম্বার থেকে শুরু করে স্থানীয় বিদ্যুৎ সাব স্টেশনে বহুবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেনি। অবশেষে বাধ্য হয়ে গভীর রাতে বিদ্যুৎ সাব স্টেশনে গিয়ে এলাকার মানুষ দেখতে পান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে একজন নেশায় বিভোর। অবশেষে বহু উচ্চবাচ্যের পর এলাকাতে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। কিন্তু পুনরায় ভোরবেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এলাকাতে। এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন পুনরায় বিদ্যুৎ সাব স্টেশনে গিয়ে দেখতে পান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী মলেন দেববর্মা এবং মেনশন দেববর্মা পাওয়ার বন্ধ করে বাড়িতে চলে গেছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে নিয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের দাবি এই সমস্যার সমাধান করতে বিদ্যুৎ নিগম অতিসত্বর উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- শুক্রবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড উদয়পুরের বিভিন্ন এলাকা। ধ্বজনগর ছাতারিয়া রোডে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে । তখন রাস্তায় কোনো মানুষ না থাকার ফলে খুঁটিটি সম্পূর্ণ রাস্তার ওপর উপরে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ। ঘূর্ণিঝড়ের সাথে সাথে উদয়পুর মহকুমার সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ দপ্তর । যেভাবে শুক্রবার সকাল থেকে গরমের তাপমাত্রা বেরিয়ে চলেছিল এর ফলে সাধারণ মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়ে। তীব্র গরমে নাজেহাল হয় জনজীবন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা রাতের ঝড় বৃষ্টিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেমে আসে জনমনে। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া অনুযায়ী জানা গিয়েছে বহু জায়গায় ছোট বড় গাছ পড়েছে । আবার কোথাও ছোটখাটো ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ে। বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই একদিকে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করে বৃষ্টি কে নিয়ে । আর অন্যদিকে এই বৃষ্টিকে উপভোগ করে প্রকৃতি প্রেমি সাধারণ মানুষ ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-প্রবল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক এবং সাই কম্পিউটার্সের কর্মীদের নিয়ে সম্প্রতি সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় টিলাবাজারে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহকুমা শাসক নবকুমার জমাতিয়া,ডিসিএম বিশ্বজিৎ দাস,ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগমের এসডিও প্লাবন দাস, সাই কম্পিউটার্স লিমিটেডের ডিজিএম হরিন্দর শর্মা,৬ নম্বর ফিডার ইনচার্জ আমন রায় ও অজয় কুমার এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব মহঃ বদরুজ্জামান এবং গিয়াস উদ্দিন আহমেদ সহ ৬ নং ফিডারের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং নির্বাচিত সদস্যরা।এই বৈঠকটি মূলত বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে থাকা ছয় নম্বর ফিডারের বৈদ্যুতিক সমস্যা নিয়ে হয়েছে।উল্লেখ্য,গত ১৬ই মে ৬ নম্বর ফিডারে শাটডাউন করা হলে ঘন্টা খানেকের মধ্যে পুনরায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও এই সময় অব্দি অপেক্ষা না করে একাংশ যুবক কৈলাসহর বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসের গাড়ী ভাঙচুর এবং বিদ্যুৎ কর্মীকেও শারীরিক নিগৃহীত করেছে।আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডিকে চাকমা।ফের ১৮ই মে উক্ত ফিডারে কাজ করতে গেলে সেই অঞ্চলের বিদ্যুৎ কর্মীদেরকে হুমকি ধমকি দেওয়ার ফলে তাদের নিরাপত্তা জনিত বিষয় নিয়ে কাজ বন্ধ রাখেন।এই সামগ্রিক বিষয় নিয়েই সেদিন সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করা হয় যেখানে প্রশাসনের আধিকারিক সহ বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।সেই বৈঠকে সাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয় ১৮ই মে রাত্রি ১১টার মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং জঙ্গল কাটার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করতে হবে যাতে আগামী দিনে এ ধরনের সমস্যা না হয়।পাশাপাশি কর্মীর সংখ্যা এবং যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ানোর লিখিত দাবি চাওয়া হয় কর্তৃপক্ষের কাছে। যথারীতি সাই কম্পিউটার্স কর্তৃপক্ষ সেই রাতেই ১১টার মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করে এবং জঙ্গল কাটার কাজও শুরু হয়েছে যা আগামী ৩০শে মে’র মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,গত ২৬শে এপ্রিল বিধ্বংসী ঝড়ে প্রায় দেড়শ টিরও বেশি বৈদ্যুতিক খুঁটি মাটিতে পড়ে যায়।সেগুলো দু-তিন দিনের মধ্যেই ঠিকঠাক করে পরিষেবা চালু রাখতে সক্ষম হয়েছে কৈলাসহর বিদ্যুৎ বিভাগ।এই পরিষেবা খুব কম সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক করতে পারায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়। পাশাপাশি এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে দাবী তোলা হয় টিলাবাজার স্কুল সংলগ্ন ১৩২ কেভি সাবস্টেশন খুব শীঘ্রই চালু করার জন্য।তাহলে বৈদ্যুতিক সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত হবেন ওই অঞ্চলের গ্ৰাহকরা।কেননা বর্তমানে যে ছয়টি ফিডার রয়েছে কৈলাহহরে তার মধ্যে সর্ববৃহৎ ফিডার হচ্ছে ছয় নম্বর ফিডার।কারণ এই ফিডারের সাথে কম করেও দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ যুক্ত রয়েছেন।প্রায় ৭৫ কিমি এলাকা নিয়ে এই ফিডার রয়েছে।২০মে গভীর রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় এই গরমকালে অনেকটাই কষ্টে রাত্রি যাপন করেছেন উত্তরাঞ্চল এলাকার মানুষ। যদিও আজ সকাল ১১টার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা পুনরায় চালু হয়েছে।এই বিষয়গুলো নিয়ে ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড কৈলাসহর বিভাগের ডিজিএম স্বপন দেববর্মার সাথে কথা বললে তিনি জানান বর্তমানে পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। টেকনিক্যাল কোন সমস্যা যেকোনো সময় হতেই পারে। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করেনা কর্তৃপক্ষ।বিপর্যয়ের সময়ে সবার সার্বিক সহযোগিতা থাকলে খুব কম সময়ের মধ্যেই পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-মৎস্য দপ্তরে সরকারি পুকুরে মাছের মড়কে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে এলাকায় । ঘটনা উদয়পুর অমর সাগর পশ্চিম পাড় এলাকায় । ঘটনার বিবরণে জানা যায় , রবিবার দুপুরে অমর সাগর পশ্চিম পাড় এলাকায় মৎস্য তত্ত্বাবধায়কের অফিসের অধীনে থাকা দুইটি সরকারি পুকুরে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছের মৃত্যু ঘটানো হয় । এর ফলের বিকেল থেকেই বহু মানুষ অনায়াসে সরকারি পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায় । কিন্তু সোমবার সকাল হতেই সম্পূর্ণ পুকুরের মধ্যে ছোট-বড় বহু মাছ পুকুরে জলের উপর ভেসে ওঠে । এর ফলে দুর্গন্ধ বের হয় গোটা এলাকা জুড়ে । পুকুরটিকে পরিষ্কার করা হয়নি দপ্তর থেকে। ফলে মৃত্যু হয় পুকুরে আসা এলাকার বিভিন্ন মানুষের গৃহপালিত হাঁসের । এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়ে এলাকাবাসীরা। তারা রীতিমতো স্তম্ভিত গোটা এলাকার মানুষ । মুহূর্তের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মৎস্য দপ্তরের সহ অধিকর্তা সুজিত সরকার ও মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক যদুলাল সাহা । কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন দপ্তর থেকে এলাকাবাসীদের কে জানানো হয়নি যে সরকারি পুকুরে মাছ নিধন করা হবে বিষ ঢেলে। তাদের গৃহপালিত হাঁস যেন পুকুরে না আসে। এই ধরনের কোন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি এলাকায়। আর এর ফলে ঘটে যায় বড় ধরনের বিপত্তি। পরবর্তী সময় এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানান , সাধারণ মানুষের যে ক্ষতি হয়েছে সেসব ক্ষতি কিভাবে লাগু করা যায় সেই বিষয়ে দপ্তর সম্পূন্ন বিষয়টি দায়িত্ব সহকারে দেখছে এবং তিনি স্বীকার করেন দপ্তরের গাফিলতির জেরে এই ধরনের ঘটনা হয়েছে । গোটা ঘটনায় অমর সাগর পশ্চিম পাড় এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সাথে চাপা ক্ষোভ ছড়িয়েছে মৎস্য দপ্তরের বিরুদ্ধে এলাকার জনগণের মধ্যে ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-রাতের অন্ধকারে উদয়পুর জগন্নাথ দীঘির পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে পার্কের ভেতরে ২৯ টি ছোট বৈদ্যুতিক লাইটের খুঁটি ভেঙে ফেলেছে দুষ্কৃতিকারীরা । তছনছ করা হয়েছে গোটা পার্কটি কে । ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাইটের খুটিগুলি । এই ঘটনা রবিবার সকালে দেখতে পায় প্রাত: ভবনে বের হয়ে পুর নাগরিকরা । কেন এই ধরনের ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে রাতের অন্ধকারে তা বুঝে উঠতে পারছে না শহরবাসী । যেভাবে একের পর এক পার্কের সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে তাতে একেবারে সন্ধিহান শহরের সমস্ত অংশের জনগণ । এই ঘটনা বিষয়ে জানতে পেরে রবিবার সকাল দশটা নাগাদ পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পার্কের ভেতরে এই ধরনের ঘটনার বিষয় নিয়ে কথা বলেন পার্কের দায়িত্বে থাকা পৌর কর্মচারীদের সাথে। চেয়ারম্যান জানতে চান কিভাবে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে এবং কখন হয়েছে । গোটা বিষয় নিয়ে রাধা কিশোরপুর থানার ওসি বাবুল দাসের নিকট টেলিফোনের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। তিনি জানান লিখিতভাবে ও মামলা দায়ের করা হবে থানায়। রাতের পুলিশি টহলদারি যেন দেওয়া হয় পার্কের চারিদিকে এই বিষয়ে চেয়ারম্যান থানার ওসিকে জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি । এবার প্রশ্ন উঠছে কেন সমাজদ্রোহীরা এই ধরনের জঘন্যতম ঘটনা সংঘটিত করছে প্রতিনিয়ত পার্কের ভেতর। চেয়ারম্যান প্রশ্ন তোলেন তাহলে কি উন্নয়নকে সহ্য করতে পারছে না সমাজদ্রোহীরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাধাকিশোরপুর থানা রাতে পুলিশি টহলদারি নিয়ে । সূত্রের দাবি , পার্ক উদ্বোধন করার আগে এই পার্কের নিরাপত্তা এবং রাতের টহল নারীর জন্য ত্রিপুরার স্টেট রাইফেল প্রতিনিয়ত তার ভেতরে পাহারা দেওয়ার জন্য থাকতো কিন্তু একটা সময় থানার ওসি বাবুল দাস পাহারা দেওয়ার জন্য যে টি এস আর কর্মীরা ছিল । তাদেরকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারপরেই ঘটে এই ধরনের ঘটনা। অপরদিকে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তোলেন একদিকে যেমন এই ধরনের ঘটনা নিন্দনীয় অন্যদিকে পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা পৌর কর্মচারীদের গা হেলামির কারণে গোটা জগন্নাথদিঘী চারদিকে যেমন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে অন্যদিকে নিরাপত্তার বিষয়টিও সেভাবে না দেখার কারণে এই ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন পুরবাসী। এখন দেখার বিষয় পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে পারে কিনা ? সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে পৌর পরিষদ থেকে শুরু করে উদয়পুর শহরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ । গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন পৌর চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে পুর নাগরিকরা ।
নিজস্ব প্রতিনিধি , আগরতলা : আগরতলা আমতলী বাইপাস রোড সংলগ্ন স্থানে চালক নেই তো, পরিবহন নেই, জয় জওয়ান, জয় কিষান, জয় ড্রাইভার, জয় সারথি এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সকল গাড়ি চালক ও পথচারীদের মধ্যে শরবত বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সর্ব কল্যাণ চালক সংঘের ত্রিপুরা গোমতী জেলা সভাপতি শাহজাহান মিয়া, ত্রিপুরা উত্তর জেলা সভাপতি শিবা পাল, আগরতলা সর্ব কল্যাণ চালক সংঘের কার্যকর্তা নৃপেণ শীল, সজল দেবনাথ, উত্তম দাস সহ অন্যান্যরা। এদিনের এই অনুষ্ঠানে সকল গাড়ি চালকরা জানিয়েছেন, বিশ্বে সব দিবস পালিত হয়, কিন্তু ড্রাইভারদের কোন দিবস পালিত হয় না। তাই ড্রাইভার দিবস পালনের জন্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার নিকট দাবি জানিয়েছেন সকল ড্রাইভাররা। ড্রাইভাররা তাদের লরি নিয়ে অনেক জায়গাতে যান, কিন্তু ড্রাইভারদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হয় না। তাছাড়া লরিতে রান্না করে ড্রাইভাররা খাবার খেয়ে রাত্রিযাপন করে। কোন ড্রাইভার যাতে নেশায় আসক্ত হয়ে গাড়ি না চালান সকল ড্রাইভারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সর্ব চালক কল্যাণ সংঘের ত্রিপুরা গোমতী জেলা সভাপতি শাহজাহান মিয়া। তাছাড়া, কোন ড্রাইভারের মৃত্যু হলে মৃত্যুবীমা চালু করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- স্ত্রী এবং ছেলে মিলে পিটিয়ে খুন করল হরিবল বিশ্বাসকে। ঘটনা লেফুঙ্গা থানার অন্তর্গত দমদমিয়া এলাকায়। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্য গ্রেফতার অভিযুক্তরা। জানা গেছে ছেলের বাইকের প্রিমিয়াম না দেওয়ায় পিতাকে পিটিয়ে খুন করেছে ছেলে।তাতে সহযোগিতা করেছে তাঁর মা।
বিলাসিতা করে ঋণ নিয়ে বাইক কিনেছিল সুমন বিশ্বাস। শ্রমজীবীর কাজ করতো সে। বাইক কেনার পর নিয়মিত প্রিমিয়াম দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাঁকে। তাঁর বাবা হরিবল বিশ্বাস লাকড়ি বিক্রি করে সংসার প্রতি পালন করেন। এই অবস্থাতে পরিবারে আর্থিক অনটনকে কেন্দ্র করে সমস্যা লেগেইছিল। প্রতিনিয়ত হরিবল বিশ্বাসের উপর তাঁর ছেলে এবং স্ত্রী মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করত বলে অভিযোগ করলেন মৃতের দুই ভাই পরিমল বিশ্বাস ও দিলীপ বিশ্বাস। তাঁরা আরো জানান বুধবার সন্ধ্যা রাতে মা এবং ছেলে মিলে হরিবল বিশ্বাসকে অল্প বিস্তর মারধর করেছিল। এই খবর পেয়ে দুই ভাই বৌদি এবং ভাইপোকে বুঝিয়ে আসে তাঁদের ভাইকে মারধর না করার জন্য। এমনকি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথেই মারধরের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে মাথায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ স্ত্রী আলপনা বিশ্বাস এবং ছেলে সুমন বিশ্বাস পিটিয়ে খুন করেছে হরিবলকে। ঘটনা সংগঠিত করার পর রাতেই পালিয়ে গেছে অভিযুক্তরা। সকালে ঘটনা খবর পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে লেম্বুছড়া ফাঁড়ির পুলিশ। আসে লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। আনা হয় ডগ ক্সোয়াড ও ফরেনসিক টিম।লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস জানান ছেলে সুমন বিশ্বাসের বাইকের প্রিমিয়াম দেওয়ার জন্য তাঁর বাবার কাছে পয়সা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় হরিবল বিশ্বাসকে মারধর করে ছেলে এবং মা। তাদের আক্রমণেই খুন হয়েছে হরি বল। পরবর্তী সময়ে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ বিশালগড় থেকে গোপন খবরের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি সহদেব দাস।